![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন অসম্ভব আত্মঅহংকারী, আত্মকেন্দ্রিক; বাউণ্ডুলে টাইপের একজন মানব সন্তান।
অনেক গুলো বছর নিষুপ্তি আঁখি ক্রান্দনে পাথর,
পাহাড়ি ঝর্না নেমে এসেছে যেন গাল বেয়ে;
কার শোকে ঝরে অবিরাম?
শোকাবহ অশ্রু গড়িয়ে পড়ে প্রিয়তমার ফুলশয্যার বালিশে!
আমার বক্ষের কাছে কষ্টের সূচনা
প্রাণজুড়ে অভিমান,
অলংকারে সজ্জিত দেহ...
আমি অনাচার আক্রান্ত ভূ-খন্ডের পাপী বলে-
লয়হীন যন্ত্রনা বয়ে বয়ে উর্বব মস্তিস্ক পুড়ে গেছে
কষ্টের মার্তণ্ড তাপে-
কখনো দেখেছ কি?
আমার অশ্রুর অকুল পাথার,
অথবা নিশাপতির হলুদ আলোর পোড়া দাগ?
যা তুমি দিয়েছ-
গগনচূম্বী অভিশাপের মাথা কেটে...
আমি এক দেহত্যাগী
ছুটে চলা উল্কা,
কিছুটা স্রোতের মতই বিভ্রান্ত;
শান্ত বুকের ভেতর অস্থির এক যন্ত্রনা পুষে রাখি-
যে অনবরত গায় বিচ্ছেদের গীত!
অবচেতন মনে ভালবাসার অকারণ পিছুটান নেই-
তাই বিন্দু বিন্দু জমাট ঘামের মত,
রুমালে মুছে...
হৃদয়ের পাঠ্যপুস্তকে এখনও অনুপস্থিত তোমার গল্প-
গল্পের সংজ্ঞাগুলো বিশ্লেষণ করতে পারেনি বলে,
সত্যোন্মোচন ঘটেনি তোমার উপেক্ষার!
তাই বার বার আঙ্গিকের আলোচনায় আলোচিত হবে তুমি-
আত্ননিমগ্ন এক মানুষের আত্মিক শিক্ষালয়ে।
আমার দারিদ্র জীবনের সুখ তৃষ্ণা শুধু...
কেমন আছিস তোরা?
রাতিন আর কবিতা-
শিল্পী, কনিকা, রুবাইয়া-রুমেল কানন ও সাহানা;
চিরচেনা মুখগুলো ঝাপসা হয়ে গেল দেখিনা অনেকদিন!
ঠিকানাও অজানা।
বাড়িওয়ালাকে ঘুষ দিয়ে যে ছাদ নিতাম ভাড়া,
সে ছাদে আজ শ্যাওলা পড়েছে নেই থার্টিফাস্টের...
তুমি দেখতে পাওনি বলে
আমার অশ্রুজল গড়িয়ে পড়েছে-
তপ্ত বালুর বুকে, কংক্রিটে;
চুপি চুপি অতি গোপনে
নীল সমুদ্র জলে মিশে গেছে আমার কয়েক ফোঁটা অশ্রু!
তোমার বুকের মাঝে জমেছে বিষাদের পবিত্র পাথর,
আমার জন্য তা নয়-
জমেছে...
রাতটা যখন গভীর হলো
আঁধার হলো ঘোর,
অমনি নিধন গরীব মিঞার
ঢুকলো ঘরে চোর!
সজাগ ছিল নিধন ঘরে
চোর ঢুকেছে বুঝে;
বললো আমি দিনের আলোয়
পাইনা কিছু খুঁজে
তুমি এলে আঁধার রাতে কি পাবে ভাই ঘরে?
না হয়...
আমি নীল জলে ডুবে হয়ে যাবো ডলফিন
কিংবা হবো উদাসী আকাশের গাঙচিল,
আজন্মের পাপ নিয়ে দাড়িয়ে থাকবো তালগাছ হয়ে;
বজ্রপাতে চমকিত ঝড় মাথায় নিয়ে তোমার অপেক্ষায়,
পথ চেয়ে।
যদি তোমার ইচ্ছে হয় ছুঁয়ে দেখার আমার...
অঙ্গনা তুমি স্রোতস্বিনী
নাকি অশ্বের পায়ের নল?
তুমি জন্মদাত্রীর গর্ভ কষ্ট-
নাকি পদ্মপাতার জল?
তুমি নির্যাতিত একরোখা-
কেউ ডাকে পতিতা,
কারো তুমি মায়ের আঁচল;
প্রিয়তমা বনিতা।
তুমি ধানের মঞ্জুরী স্নিগ্ধ শরৎ
উড়ন্ত শান্তি কপোত,
তুমি তুঙ্গ, তুমি তমিস্রা-
আবার...
তুমি জানো কি মা?
তোমার বিশ্বাস্ত আদরের বড় ছেলে আমাকে ভিটে ছাড়া করেছে,
শুধু কবরস্হানটা ছাড়া সব নাকি তাদের?
দলিল পত্রও তাই বলে মা!
আমি ভিটে-মাঠি হীন যাযাবর;
গুজর গুজর খোটা আমার সাথে যায় না-
ঐ...
৭বছর বয়স থেকে আপুরা যে মেয়েটিকে ১১ বছর লালন পালন করে পড়ালেন সেই রুবির বিয়ে উপলক্ষে আপুর সাথে গাজীপুর থেকে ময়মনসিংহ যাচ্ছি।
সোনার বাংলা পরিবহন।
আমাদের সিট পড়লো B2-B3
১০ মিনিটের মধ্যে যাত্রী...
বাহিরে ঝটিকা বাতাস
আনকোরা মনে দগদগে ক্ষত,
ভিতরে-বাহিরে স্হালন হওয়ার পূর্বাভাস!
প্রতিকুলতা পেরিয়ে তোমাকেই অন্বেষণ করি,
জলাভূমির বুকে;
বৃহৎ ঢেউ আছড়ে পড়া সাগর তীরে
ক্ষণপ্রভা আলোকে-
কোথাও তুমি নেই,
মরীচিকা ধোঁয়াশা স্মৃতি ভেসে আসে আঁখি পল্লবে।
কখনো কখনো মাঝরাতে...
স্বাধীনতা তুমি এলে
ত্রিশ লক্ষ মানুষের রক্ত মাড়িয়ে
মৃত মানুষের ভেলায় চড়ে,
অসহায় নারীর ইজ্জত নিয়ে
হাজার মায়ের বুক খালি করে;
কালো আঁধার রাত পেরিয়ে
রক্ত রাঙা ঊষার ভোরে।
হে স্বাধীনতা তুমি-
দুঃখী মানুষের শেষ সম্বল বাসন,
তুমি বজ্রকন্ঠের...
বেশ তো ফিরে যাও যেখানে খুশি যেভাবে খুশি,
থাকুক কিছু গল্প জমা মিথ্যা দোষা-দোষী;
লাগিয়ে দিলাম মনের দুয়ার করুণ প্রেমের সুর,
আমি না হয় তোমার ক্রোধে যাবো বহুদুর।
তোমার আমার মন মালিন্য যেন চীনের...
প্রিয়তমা,
তোমার পক্ককেশ কেমন দেখায় এখন?
শিমুল তুলো নাকি শুভ্র কাঁশবন?
অনঙ্গ আঁখি ক্রান্দন করেনা আর-
আমার শোকে,
অজ্ঞাত স্বপনে নিদ্রা না খন্ডে রাত গভীরে,
ঊষার ভোরে;
আমি চেয়ে দেখি শূন্য সরণি,
তুমি আসোনা হেলে-দুলে চুনরিপদে!
ফুসরত পাও কি...
©somewhere in net ltd.