নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুনিয়াদী জ্ঞানের অনুসারিনী। মনের ভ্রমের হত্যাকারিণী।

বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা

ছোটবেলা থেকে ভ্রমের মধ্যে বড় হওয়া, প্রশ্ন করায় শাস্তি পাওয়া। মেয়ে হয়ে তো ষোলকলাই পূর্ণ করলাম। জ্ঞান আমাকে মুক্তি দিয়েছে। এখন নিজের আর অন্যের ভ্রম হত্যার সংগ্রাম করি যাব।

বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবর্তন ১০১ (কিউ অ্যান্ড এ)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩০



বিবর্তন নিয়ে আমাদের সকলেরই অনেক কৌতূহল ও অজ্ঞতা আছে। অনেকেই একে হাইপথেসিস বলে উড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে অনেকে একে থিউরি অফ গ্রেভিটির মত ফ্যাক্ট মনে করে। থিউরি, ফ্যাক্ট ও হাইপথেসিস এর গোলকধাধা তো আমাদের মধ্যে আছেই। অনেকে ধর্মের কথ বলে এই বিষয় থিউরি হোক বা না হোক একে অবান্তর একটা বিষয় বলে টপিক থেকে সরে আসে। যেটাই হোক, বিবর্তন নিয়ে মানুষের কনফিউশন আর প্রশ্ন নিয়েও আমার এই ব্লগ। আশা করি বেসিকগুলো কভার হবে আর প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট এ পাব, যা পরে এডিট করে ব্লগে যোগ করা হবে।

(১) বিবর্তন কি ?

আক্ষরিকঅর্থে বিবর্তন বলতে আমরা কোন কিছুর সময়ানুক্রমে এক রূপ থেকে অন্য রুপে যাওয়ার সামগ্রিক প্রক্রিয়াকে বুঝাই।

ব্যবহারহারিকভাবে, বিবর্তন বলতে আমরা অরগানিক বিবর্তন বা প্রানের এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় আসার সামগ্রিক প্রক্রিয়াই বুঝে থাকি।

ভিডিওটি একটু সাহায্য করতে পারে


(২) বিবর্তন কিভাবে হয় ?


বিবর্তন প্রধান দুইটি প্রক্রিয়ার সমন্বয়।
ক। জেনেটিক মিউটেশন
খ । ন্যাচারাল সিলেকশন

ক। মিউটেশন



মিউটেশন হচ্ছে প্রাণীর প্রজনন ও রেপ্লিকেসশনের সময় ডিএনএ এ পরিবর্তন আসা। আর ডিএনএ আমাদের বৈশিষ্ট্যকে ধারন করে রাখে। যখন ডিএনএ তে পরিবর্তন আসে তখন প্রজননের সময় নতুন প্রানের মধ্যে নতুন বৈশিষ্ট্য দেখা দেয়।

যেমন কুমিরের ডিমে মিউটেশনের ফলে হয়ত একটার আগের রঙ বেশি হলদেটে হল বাকিদের থেকে।

মিউটেশন সম্পূর্ণ র‍্যান্ডম বা দৈবভাবে হয়। পরিবেশ এর উপর কোন প্রভাব রাখে না।

খ। ন্যাচারাল সিলেকশন




মিউটেশন যেমন দৈব। ন্যাচারাল সিলেকশন ঠিক আর উল্টো। যখন কোন প্রানি মিউটেশনের ফলে নতুন বৈশিষ্ট্য পায় তখন সে সেই পরিবেশে অন্যদের থেকে হয়তো বেশি সুবিধা বা ঝুকিতে থাকে। সেই প্রাণীই টিকে থাকলে পারে যে পরিবেশে সুবিধা পেয়ে এসেছে। এভাবে সুবিধাজনক জেনেটিক ইনফো ( যা ডিএনএ তে থাকে সেটা পরবর্তী প্রজন্ম বহন করতে থাকে)

যেমন ঃ আগের উদাহরনের কুমিরগুলো ধরুন আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলের কোন এক জলাশয়ে আছে। হলদে মিউটেশন হওয়া কুমির অন্য কুমিরদের থেকে বেশি পরিবেশের সাথে মিশে থাকতে পারে। ফলে তার শিকার করা সহজ আর তার জেনেতিক ইনফো ধারন করা সহজ। অন্যদিকে সবুজ কুমিরের শিকার ধরা কঠিন। দীর্ঘ সময় ধরে ন্যাচারাল সিলেকসন হতে হতে একসময় হলুদ জিন সম্পন্ন কুমিরই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে। সবুজরা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

(৩) বিবর্তন বিবর্তন হতে কতদিন সময় লাগে?

বিবর্তন প্রতিনিয়তই হচ্ছে। তবে সেটা খুবই ক্ষুদ্র পরিসরে। মানুষের জীবনকালে সেটা নিজ চোখে দেখা প্রায় অসম্ভব (মাইক্রোঅরগানিজমের বিবর্তন ছাড়া)।

বিবর্তনের গতি নির্ভর করে অনেক কিছুর উপর। প্রাণীর জনসংখ্যা যদি কম হয় তাহলে সেটা দ্রুত হয়। তাছাড়া নতুন মিউটেশন কতটা তুলনামুলক শক্তভাবে পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতা রাখে সেটাও বিবেচ্য। অনেক সময় দুর্বল জিনও পরিবেশ বদলের কারনে টিকে যায়

(৪) পরিবেশের সাথে প্রাণীর খাপ খাওয়ানোর জন্য কি বিবর্তন হয়?

না। বরং বিষয়টা ঠিক উল্টা। সেই প্রাণীই পরিবেশে খাপ খেতে পারে যার জেনেটিক ইনফো বা মিউটেশন পরিবেশের সাথে মানানসই হয়েছে।

(৫) প্রাণীদের যে বিবর্তন হয়েছে বা হচ্ছে সেটার প্রমান কি ?



বায়োলজিস্টরা বিভিন্ন পন্থায় সেটা পরীক্ষা করে এসেছে। তার মধ্যে Comparative Anatomy, Embryology & Development, Fossil Record, DNA Comparisons, Species Distribution, Evolution Observed, Nested Hierarchies of Traits ইত্যাদি কিছু নিরপেক্ষ পরীক্ষা যার সবগুলোই বিবর্তনকে সাপোর্ট করে।

(৬) তাহলে কি সব প্রাণীই একই বড় পরিবারের অংশ?

হ্যাঁ, তবে তারা লক্ষ, কোটি এমন কি বিলিয়ন বছর আগে ভিন্নভাবে বিবর্তিত হয়ে ভিন্ন জাতি প্রজাতিতে চলে গিয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ঠিক যেমন বাবা নির্ধারণ সম্ভব ঠিক তেমনইভাবে হাজার লক্ষ বছর আগে বিচ্ছেদ হয়ে অন্যভাবে বিবর্তিত হওয়া প্রাণীর সাথেও সম্পর্ক প্রমান হয়েছে।

(৭) সবাই বলে বিবর্তন একটা থিউরি। এটাকে সঠিক বলা যায় না। একটা ফ্যাক্ট না। এটা কি ঠিক?

বিবর্তন অবশই একটি থিউরি। সাথে সাথে একটি বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্ট। ঠিক যেমন থিউরি অফ গ্রেভিটি ও বিগ ব্যাঙ থিউরি। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ থিউরি, হাইপথেসিস ও ফ্যাক্ট নিয়ে দ্বিধান্বিত হয়ে যায়। উল্লেখ্য যে, বিজ্ঞানে বলা থিউরি আর নিত্যদিনে বলা থিউরির মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। সহজে বুঝার জন্য ভিডিওটিও দেখতে পারেন।


(৮) মানুষও কি বিবর্তনের ফলে এসেছে ?

পৃথিবীর সব প্রাণীর মত মানুষও বিবর্তনেরই ফসল।



(৯) মানুষ নাকি বানর থেকে এসেছে। ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে বানর এখনো কিভাবে আছে ?



মানুষ বানর থেকে আসেনি। মানুষ ও বানর একটু কমন পূর্বপুরুষ থেকে ভিন্নভাবে বিবর্তিত হয়েছে। যা দেখতে না ছিল বর্তমান বানরের মত না বর্তমান মানুষের মত। মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে এপরা ভিন্নভাবে বিবর্তিত হয়েছে সেখান থেকে একটা হচ্ছে বানর। অন্যদিকে হমিনিডদের থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে বিবর্তিত হয়ে বর্তমান অবস্থায় এসেছে মানুষ বা Homo Sapiens.

(১০) মানুষও যে বিবর্তনের ফলে হয়েছে এর কি প্রমান আছে ?



লক্ষ লক্ষ বছরের অনেক ফসিল প্রমান ও তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করে ও উপরোক্ত পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে প্রমান হয়েছে যে মানুষ ৮-১০ মিলিয়ন বছর আগে শিম্পাঞ্জির সাথে কমন কমন এক Hominoidea প্রাণী ছিল। এরপর মিউটেশন ও ন্যাচারাল সিলেকশনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে মিলিয়ন মিলিয়ন বছরে হমিনিড Australopithecus ( প্রায় ৩ মিলিয়ন বছর ) থেকে Homo habilis থেকে Homo erectus থেকে ধীরে ধীরে Homo Sapiens এ পরিনত হয়েছে।

আগের স্তরের প্রাণীর জেনেটিক ইনফো এখনো আমাদের মাঝে আছে। লক্ষ কোটি বছর আগের অনেক জেনেটিক ইনফো আজ অকেজো অবস্থায় আমাদের শরীরে রয়ে গেছে। তার মধ্যে রয়েছে ঃ
ক। এপেনডিক্স ( যেটা মিলিয়ন মিলিয়ন বছর আগে যখন এনচেস্টররা গাছে থাকতো আর সুধুমাত্র সবুজ খাদ্যের উপর নির্ভর ছিল তখন সেটা পরিপাকতন্ত্রের একটা অংশ হিসেবে কাজ করতো)
খ । টেইল বোন (জেনেটিক মিউটেশনের ফলে লেজ মিলিয়ন বছর আগেই বাহ্যিকভাবে লোপ পায় হমিনিডদের, কঙ্কালকাঠামোতেও আসতে আসতে লোপ পেয়েছি , তবে এখনো কিছু অবশিষ্ট অংশ রয়ে গিয়েছে।)
গ । গুসবাম্ব বা ভয়/চমকিত হওয়ার সময় লোম খারা হওয়া ( স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে যাদের থেকে আমরা বিবর্তিত হয়েছি বলা হচ্ছে তাদের মতও আমাদের মাসল ফাইবারে একই রকম মেকানিজম বিদ্যমান )
আরও কিছু জিনিস আছে যেমন দুধ দাত, ছেলেদের নিপল, চোখের ভিতরের পর্দা, ঢেঁকুর তোলা ইত্যাদি।

(১১) প্রান হীন পৃথিবিতে জড় পদার্থ থেকে কি করে একটা প্রানের উৎপত্তি হলো?

বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো এই বিষয়টা পরিস্কার না যে, প্রথম প্রান কিভাবে এসেছিল। তবে শক্ত এভিডেন্স আছে বিষয়টা প্রায় ৪ বিলিয়ন বছর আগে হয়েছিল আর পানিতে হয়েছিল। সবচেয়ে প্রাচীন যেঁ algae এর ফসিল পাওয়া গিয়েছে তা প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন বছর আগের। প্রথম প্রানের ব্যাপারে বিজ্ঞানিরা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে দেখেছে এটার পিছনে chemical evolutionই সবচেয়ে শক্ত প্রিমিসেস।


অ্যামোনিয়া, ফরফোরিক লবন, আলো, বজ্রপাত এই বিষয়গুলো প্রাথমিক ডিএনএ কমিনেশন করার জন্য প্রয়োজন ছিল, যা পৃথিবীর লাভাযুগের অস্তালগ্নে (গ্রহানু একত্রিত হওয়ার প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন বছর পর) যথেষ্ট ছিল। তবে একটি মাত্র জীব থেকেই যে সব হয়েছে সেটা বলা মুশকিল। পরিস্থিতি অনুকূল ছিল একাধিক এককোষী একাধিক জায়গায় গঠিত হওয়ার।

(১২) প্রানের আদিলগ্নে এককোষী প্রাণী ছিল। এখনো কিভাবে এককোষী প্রাণী থাকে। এদের ক্ষেত্রে কি বিবর্তন কাজ করে না ?



বর্তমান সময়ের এক কোষী প্রাণী ৩.৪ বিলিয়ন বছর আগের প্রানের বহুগুলো জটিল। আর বিবর্তনের ফলে সেই জটিলতা এসেছে।

(১৩) মানব সভ্যতা তো প্রায় কয়েক হাজার বছর ধরে চলছে। এর মধ্যেও কি কোন বিবর্তন হয়নি। নাকি আমাদের লক্ষ বছর অপেক্ষা করতে হবে?



অনেক প্রাণীরই হয়েছে। কিছুদিন আগে আমেরিকায় একটি মেমেলের হাড় পাওয়া গিয়েছে যেটায় মানুষের চিহ্নও পাওয়া যায়। মানে হাতির আগের পূর্বপুরুষ মেমেল মানব সভ্যতা নিজ চোখেই দেখে। তাছাড়া মানুষের হাতেই বিবর্তন পেয়েছে বেশ কিছু প্রজাতি। তার মধ্যে কুকুর, বিড়াল, বিভিন্ন ধরণের শস্য, বেশ কিছু গবাদি পশু উলেক্ষযোগ্য। এই ধরণের বিবর্তন প্রক্রিয়াকে বলা হয় Artificial Selection যা ন্যাচারাল সিলেকশনের মতই।

(১৪) Artificial Selection কি ?



প্রাণীদের মধ্যে সেই প্রাণী যখন টিকে থাকে যা মানুষের মাধ্যমে সুবিধা ও বেচে থাকার ক্ষমতা পায় ও তাদের জেনেটিক ইনফো তাদের উত্তরাধিকারের মধ্যে বহন করে যায় তাকে Artificial Selection বলে।

ধরুন ৫টা কুকুর আছে। তার মধ্যে একটা মিউটেশনের ফলে একটু বেশি লোমশ। যা হয়ত মানুষের কোন বাচ্চার খুব পছন্দ। সে খুব আদর যত্ন করে সেটা পালন করে। ফলে অন্য কুকুর কম সুবিধা পায়। লোমশ সেই কুকুর পরবর্তীতে যার জেনেতিক ইনফো পরের প্রজন্মে বহন করায়। সংকর জাতের প্রাণীগুলো এরই ফসল।

(১৫) প্রাণীদের মধ্যে কেউ মাংসাশী, কেউ তৃণভোজী, কেউ জড়ভোজী । এরা সবাই মিলে একটা সুশৃঙ্খল খাদ্য চক্র তৈরি করেছে। যেখানে এক স্তরের প্রাণী লোপ পেলে পুরো খাদ্য চক্রের সব প্রাণীর বিলুপ্তির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। বিবর্তনের এখানে ভুমিকা কি?

প্রথমে জীব শুধু পরিবেশ থেকে দরকারি কেমিক্যালগুলো সংগ্রহ করে নিজেদের রেপ্লিকেট করতো। তবে সবসময় আদর্শ কেমিক্যালে ভরা পরিবেশ পাওয়া যায়না। তখন সেই আদি জীবগুলো নিজেদের মৃত সহদরগুলো থেকে কেমিক্যাল নেয়ার চেষ্টা করত। যারা এমন করতে পেরেছে তারা ভিন্নভাবে বিবর্তিত হতে পেরেছে। এভাবে আসতে আসতে প্রাণীদের খাদ্য আহারের মধ্যে পরিবর্তন আসে। প্রথমে খাদ্যচক্র খুবই অস্থিতিশীল ছিল। কোটি কোটি বছরের নানা খাদ্য বিপর্যয়ের পর আজ এখন আমরা অনেক জায়গায় সুশৃঙ্খল খাদ্যস্তর পেয়েছি। অনেক প্রাণী এই প্রতিকুলিতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছে আর সেইভাবেই বিবর্তিত হয়েছে। বিবর্তিত প্রাণী যারা বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় মাইগ্রেশন করে সেটা তারও এক প্রমান। এমনকি আজও এমন অনেক স্থান আছে যেখানে খাদ্যস্তর খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

(১৬) কিছু প্রাণী ভিন্ন প্রজাতিতে বিবর্তিত হলেও তাদের শারীরিক অনেক মিল পাওয়া যায়। এমনটা কেন? (যেমন জিরাফ ও বাঘ)

জিরাফ, বাঘ তারা ভিন্নভাবে বিবর্তিত হলেও তাদের গায়ে এক রকমের স্ট্রাইপ বা ডোরা কাটা দাগ আছে। এটা সমাপতনিক বটে । আফ্রিকায় বিসাক্ত পোকামাকড়ের কামড়ে জিরাফের মৃত্যু ঝুকি থাকে। তাদের মধ্যে সেই প্রাণীগুলো ন্যাচারাল সিলেকশনে টিকে ছিল যারা নিজেদের পরিবেশের সাথে আড়াল করতে পারতো যাকে বলা হয় "camouflage"। চামড়ার মাধ্যমে পোকা থেকে নিজেদের আড়াল করায় তারা প্রজননে সেই জেনেটিক ইনফো পরের প্রজন্মে দিয়ে দেয়। বাঘের ক্ষেত্রেও তাই। সেই বাগই টিকে আছে যেটা তৃণভুজি প্রাণীর চোখের আড়ালে থাকলে পেরেছে। সেই ডোরাকাটার জেনেটিক ইনফো পরের প্রজন্ম গুলো বহর করে আসছে।

(১৭) এখন কি বিবর্তন পরিপূর্ণ? সব প্রাণী তো সমৃদ্ধই দেখা যায় ?

বিবর্তন প্রতিনিয়ত হয়। এই কোন সমৃদ্ধির শেষ নেই। ধরুন শিকারি প্রাণী সুন্দর করে বিবর্তিত হল। তখন সেই সব শিকার প্রাণী বেচে থাকার কৌশল শারীরিকভাবে বহন করে সে টিকে থাকে। বিবর্তন সমান্তরালভাবে হচ্ছেই।

(১৮) আমি একজন ধার্মিক। ইসলামে আছে আদম (আ) প্রথম মানব। তাকে ও মা হাওয়াকে আল্লাহ জান্নাত থেকে এখানে পাঠিয়েছেন। মানুষের বিবর্তন কি আদম (আ) এর ঘটনার সাথে সাঙ্ঘরসিক নয় কি?

এটা নিয়ে ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে বিভিন্নমত আছে। ডঃ জাকির নায়েক মনে করেন মানুষ ব্যাতিত অন্য প্রানের বিবর্তন আমাদের মানতে সমস্যা নেই। আবার অন্য লেকচারে সে এটাকে হাইপোথেসিস বলে আর কথা বাড়ান না। অন্যদিকে ডঃ রানা দাজানি যিনি একজন মুসলিম বায়োলজিস্ট, তিনি বিবর্তনকে ফ্যাক্ট মনে করেন । তার মতে আদম (আ) এর ব্যাপারে যা বলা আছে সেটা " metaphor for humanity 'in general' হতে পারে। Dr. Yasir Qadhi যিনি একজন বিজ্ঞ ইসলামিক স্কলার তিনি মনে করেন আদম (আ) এরটা হয়তো রুপক। তিনি স্বীকার করেন বিবর্তন একটি ফ্যাক্ট। তবে তিনি হোমো সেমিপেন্ট এর শুরু ৫০,০০০ এর আগে হলে সেটা মুসলিমদের জন্য বিশ্বাসযোগ্য বলে তিনি মনে করেন না। যেটা বিবর্তনের প্রমানের সাথে খাপ খায় না।

(ভিডিওগুলো দিচ্ছি)





(১৯) মানুষ ভবিষ্যতে কিভাবে বিবর্তিত হবে?



এটা আসলে বলা মুশকিল। তবে অনেকগুলো হাইপোথেসিস আছে এটা নিয়ে। যেমন মানুষের পায়ের কনিস্ট আঙ্গুল বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে, আমাদের টিস্যু আরও কোমল হয়ে আসবে, চোখ বৃহৎ হবে, লম্বায় বৃদ্ধি পাবে ইত্যাদি। তবে সেটা আসলে বলা মুশকিল। কেননা পরিবর্তনশিল প্রযুক্তি মানুষের বিবর্তনকে অনুমান করা আরও জটিল করে দিচ্ছে।

(২০) শুনেছিলাম কোথায় জানি ৬০ ফুট লম্বা মানুষের কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছে। সেটা কি সত্য ? আমরা কি সেখান থেকে বিবর্তিত হয়েছি ?



বেশ কয়েক বছর আগে এমন কিছু ইমেজ ইন্টারনেটে সাড়া ফেলেছিল। যেখানে বলা হয় ন্যাশনাল জিওগ্রাফি এটা পেয়েছে। পরে যাচাই করে জানা যায় সেটা ছিল ফটোশপ দিয়ে তৈরি একটা মিথ্যা প্রোপাগান্ডা। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি জানাও অস্বীকৃতি জানায়। মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে ইন্টারনেটে সাড়া ফেলাই ছিল এই ইমেজের উদ্দেশ্য। আমরা কোন অতিকায় প্রজাতি থেকে বিবর্তিত হয়ে এখানে আসিনি। আমাদের পূর্বপুরুষরা ছিলেন লম্বায় খর্ব।

এখননো দ্বিধায় আছেন ? আপনার জন্য অপেক্ষা করছে বিবর্তন ১০১ (কিউ অ্যান্ড এ) পর্ব ২

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১০

জিএমফাহিম বলেছেন: আমার বেশ কিছু প্রশ্ন ছিল। আপনার ব্লগে সেগুলোর উত্তর পেয়েছি।

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

চন্দ্রদ্বীপবাসী বলেছেন: আমার কতিপয় প্রশ্নঃ

১. পৃথিবীর প্রথম প্রাণ যদি জলে হয়ে থাকে। তবে জলের প্রাণীর তো ফুলকা থাকে তাদের তো আর ফুসফুস নেই। কীভাবে জলের প্রাণী স্থলে এসেছিল?
২. আমরা কিন্তু কোনভাবেই প্রক্রিয়াটিকে অবজারভ করতে পারছি না। বিজ্ঞান তো অবজারভেশন ছাড়া কোন কথা গ্রহণ করে না। তাহলে কীভাবে বিবর্তনকে সায়েন্টিফিক ফ্যাক্ট বলতে পারি?
৩. ফিঞ্চ পাখি তো ফিঞ্চ পাখিই রয়ে গেল। অন্যকোন কাইন্ডে পরিণত হল না। এমন কোন এভিডেন্স আছে যেখানে বোঝা যায় একটা কাইন্ড অন্য কাইন্ডে পরিণত হয়েছে (উইথ অবজারভেশন)?
৪. যদি কোন অবজারভেশন না থাকে তবে বিজ্ঞান একে 'বিশ্বাস' বলে। বিবর্তনের কোন অবজারভেশন যদি না থাকে তবে এটাকে কি এক ধরনের 'বিশ্বাস' বলা যাবে?

পুনশ্চঃ কোন ধরনের ঝামেলার উদ্দেশ্যে প্রশ্নগুলো করা হয় নি। শুধুমাত্র কৌতূহলের বশেই প্রশ্নগুলো করা হয়েছে। আশা করি যথাযথ উত্তর দেবেন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১৬

বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য। দ্বিতীয় পর্বের জন্য আমি ইতমধ্যে ১০টি প্রশ্ন তৈরি করে রেখেছিলাম। আপনার কমেন্টে একটি কমন পেলাম। যাই হোক, এখানেই উত্তর দিচ্ছি। প্লাস যখন দ্বিতীয় পর্ব লিখব তখন আপনার প্রশ্নও যুক্ত করা হবে। :)

১. পৃথিবীর প্রথম প্রাণ যদি জলে হয়ে থাকে। তবে জলের প্রাণীর তো ফুলকা থাকে তাদের তো আর ফুসফুস নেই। কীভাবে জলের প্রাণী স্থলে এসেছিল?
ফসিল প্রমান যে জলের প্রাণীর স্থলে আসার প্রথম প্রমান পায় না আদি যুগের লাংফিশ (protopterus annectens) এর মত এক ধরণের প্রাণী। এদের ফুলকাও ছিল, আবার ফুসফুসও ছিল। পানিতে তারা ফুসফুসকে মুলত ব্যবহার করত বাতাস ব্যবহার করে পানিতে কম্পন তৈরি করতে। তাদের আকৃতিও ছিল চারপায়ী প্রাণীদের খুব কাছাকাছি। (উল্লেখ্য যে, এই প্রান সকল Tetrapads এর কমন এনচেস্টর)। তাদের ফসিল এনাটমি থেকে বুঝা যায় তাদের ফুসফুস খুব ছোট ছিল। মানে তারা খুব বেশি সময় স্থলে থাকতে পারতো না। পরে কোটি কোটি লেগেছে লাংফিশ এর জল থেকে সম্পূর্ণ স্থলে বাসকরা যোগ্য প্রজাতিতে বিবর্তিত হতে।

২. আমরা কিন্তু কোনভাবেই প্রক্রিয়াটিকে অবজারভ করতে পারছি না। বিজ্ঞান তো অবজারভেশন ছাড়া কোন কথা গ্রহণ করে না। তাহলে কীভাবে বিবর্তনকে সায়েন্টিফিক ফ্যাক্ট বলতে পারি?
বিবর্তন প্রকৃতি ও ল্যাব উভয়ে অবজারভ করা হয়েছে। বিবর্তন খুবই ধীরগতির প্রক্রিয়া । মানব সভ্যতার পুরো সময় জুড়েও যদি অব্জারভ করা হত তারপরও বেশ কিছু প্রাণীকে অব্জারভ করার জন্য যথেষ্ট হত না। তবে বেশ কিছু মাইক্রোঅরগানিজমের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানিরা অরজারভ করে বিবর্তনের চাক্ষুস প্রমান পেয়েছে। মাইক্রএভোলিউসন বলা হয়ে থাকে একে। তাছাড়া প্রায় ১২টি ভিন্ন প্রক্রিয়া যেটা দিয়ে বিবর্তন সঠিক কিনা যাচাই করা হয়, সেই পরীক্ষণগুলোর সত্যতা ও নির্ভুলতা পরীক্ষা করা হয়েছে অরজারভেসন দিয়েই। আর সেই পদ্ধতি দিয়েই বিবর্তনকে যাচাই করা হয়। এই সবগুলো প্রিমিসেসই সাপোর্ট করে বিবর্তন ফ্যাক্ট।

৩. ফিঞ্চ পাখি তো ফিঞ্চ পাখিই রয়ে গেল। অন্যকোন কাইন্ডে পরিণত হল না।

ফিঞ্চ পাখিও অন্যসকল জীবের মতই বিবর্তিত হচ্ছে ও হয়ে এসেছে। আপনি হয়তো বুঝাতে চাচ্ছেন ডারউইন যখন গ্যালপেগস দ্বীপে দিয়েছিলেন তার সময় থেকে এই সময়ের মধ্যে কোন পরিবর্তন হয়নি সেটা বুঝাচ্ছেন। আসলে এত কম সময়ের মধ্যে (মাত্র দেড় শত বছর) পাখির অন্য কাইন্ডে পরিনত হওয়া প্রায় অসম্ভব। তবে ক্রমশএই পরিবর্তন হচ্ছে। হয়ত আমি আপনি জীবিত থাকব না যখন ফিঞ্চ বিবর্তিত হয়ে এক সময় তাকে অন্য কাইন্ড হিসেবে পরিচয় দিতে হবে। আর যদি বিলুপ্ত হয়ে যায় তাহলে তো কথাই নাই :(

এমন কোন এভিডেন্স আছে যেখানে বোঝা যায় একটা কাইন্ড অন্য কাইন্ডে পরিণত হয়েছে (উইথ অবজারভেশন)?

হ্যাঁ। অবশই। Artificial Section এর মাধ্যমে যেই প্রাণীগুলো বিবর্তিত হয়েছে তাদের নিয়ে বাইয়লজিস্টরা সেম্পিলিং পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমান পেয়েছে এক কাইন্ড থেকে অন্য কাইন্ডে বিবর্তিত হওয়ার। সংকর জাতের গরু, বিভিন্ন প্রজাতির কুকুর বিড়াল। এই সব অধিকাংশই বিগত মাত্র কয়েক শতাব্দী আগেও ছিল না।

৪. যদি কোন অবজারভেশন না থাকে তবে বিজ্ঞান একে 'বিশ্বাস' বলে। বিবর্তনের কোন অবজারভেশন যদি না থাকে তবে এটাকে কি এক ধরনের 'বিশ্বাস' বলা যাবে?

বিজ্ঞান বিশ্বাস নিয়ে কাজ করে না। পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণও যাচাই নিয়ে কাজ করে। আপনার দেয়া সংজ্ঞার মতে "অবজারভেশন না থাকলে সেটা 'বিশ্বাস' " যদি হয় তাহলে বিবর্তনকে বিশ্বাস বলা যাবে না। কারন বিবর্তনের একাধিক শাখায় একাধিক প্রানের বিবর্তন পরীক্ষার ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ বা অবজারভেশন করা হয়েছে।

আর অক্সফোর্ড ডিকশনারির মতে "বিশ্বাস" এর কোন কিছু সঠিক মনে করা প্রমানসহ অথবা ছাড়া। সেই হিসেবে দেখলে বিবর্তন বিশ্বাস। কেননা প্রায় ১২টি ভিন্ন ইন্ডিপেন্ডেন্ট পরীক্ষা বিবর্তন সমর্থন করা। সেই প্রমানের ভিক্তিতে একে সত্য মনে করা "বিশ্বাস" প্রমানসহ।

আশা করি উত্তরগুলো পেয়েছেন।

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৯

মারুফ তারেক বলেছেন: জড় বস্তু থেকে জীবনের সূচনা। এই ধারনাকে লুই পাস্তুর ভুয়া প্রমানিত করেছিলেন।তিনি বায়ুশূন্য স্থানে গম রেখে পরীক্ষা করেছিলে।কিন্তু, ফলাফল শূন্য। অর্থাৎ, বিবর্তনবাদ তত্ত্বের গোঁড়ায় গলদ। কেউই বিবর্তনবাদ প্রমান করতে পারেনি। শুধু পুরনো কিছু হাড়গোড় নিয়ে ফালতু মতামত দিয়েছেন।
তবুও কেন শিক্ষার্থীদের বিবর্তনবাদ বৈজ্ঞানিক সত্য হিসেবে পড়ানো হয়? আমার মাথায় আসেনা। সেদিন আমার এক বন্ধু প্রাণীবিজ্ঞানের ছাত্র, যে কিনা বলল বিবর্তনবাদের বায়োমেডিক্যাল এভিডেন্স আছে।

আমার কাছে মনে হল সব ভুয়া এভিডেন্স।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩৯

বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার কমেন্টের জন্য। এমন প্রশ্নই আমি আসলে খুজছিলাম আমার পরের পর্বের জন্য। লুই পাস্তু তার ল্যাব এ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে যেটা বের করেছেন সেটা একদিনে যেমন বিবর্তনকে সমর্থন করে অন্যদিকে প্রথম প্রানের ব্যাপারটা সমর্থন করে না। সেই সময় মানুষ মনে করতো প্রায় ৬০০০ বছর আগে এমনেই সব প্রান ও প্রজাতি শুরু হয়েছিল। তার এই মাইক্রবায়োলজির জনক লুই পাস্তুর এই পরীক্ষার ফলাফল প্রথমে করা হত হঠাৎ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রান এসে পড়া সম্ভব না। আজ থেকে প্রায় ২ শত বছর আগে করা আর পরীক্ষাও ছিল গলদে ভরা। উনি Swan-Neck Flask এর মাধ্যমে শুধুমাত্র এক প্রকার ব্যাকটেরিয়ার উপর নির্ভর করে এই উপসংহারে আসেন।সেই পরীক্ষায়ও গলদ ছিল তার সেই টিউবে বাতাস প্রবেশ করার স্থান ছিল। তিনি যে বছর মারা যান মাত্র ৩ বছর আগে ভাইরাস যেটা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি প্রভুত জীবের প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় যেটা তিনি পরীক্ষা করার সুযোগ পাননি। পৃথিবীর প্রথম প্রান ৩.৪ বিলিয়ন বছরের মধ্যে সবচেয়ে সরলতম প্রান ছিল। বিজ্ঞানীদের ধারনা Abiogenesis এর মাধ্যমে সেটা হয়েছে। ইত মধ্যে ক্রেগ ভ্যানটার ল্যাবে Abiogenesis এর সত্যতার প্রমান পেয়েছেন। আশা করি আমরা কনফিউশন দূর হয়েছে।

৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৫৮

আহসানের ব্লগ বলেছেন: :-&

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২২

-সাইরাস বলেছেন: প্রিয় লেখক প্রথম আমার নিজের পরিচয় দিই। আমি biochemistry and molecular biology র একজন সাধারন ছাত্র। বিবর্তনবাদ নিয়ে আমি ছোটখাটো একটা গবেষনা করছি ।
বিজ্ঞানীরা সর্বসম্মতভাবে কোন হাইপোথিসিস*কে গ্রহণযোগ্য বলে স্বীকৃতি দিলে সেটাকে বলা হয় ফ্যাক্ট কিংবা থিউরি । অন্যদিকে একটি নিদৃষ্ট গুরুত্ববহনকারী বিজ্ঞানীদের দল যদি কোন হাইপোথিসিস* এর বিপক্ষে অবস্থান নেন, তাহলে সে হাইপোথিসিসকে আর থিউরি বলা যাবে না । সেটাকে হাইপোথিসিস* হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে।
নিচের লিংকে গেলে দেখতে পাবেন, প্রায় ৫ শতাধিক বিজ্ঞানী ইভোলিউশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন । আপনার কাছে আমার একটি বিনীত প্রশ্ন, আপনি এটাকে ফ্যাক্ট বলছেন কিসের ভিত্তিতে ? (ইভোলিউশন একটা ফ্যাক্ট না হাইপোথিসিস* সে আলোচনায় যাচ্ছি না) ।

Over 500 Scientists Proclaim Their Doubts About Darwin's Theory of Evolution

আরেকটি বিনীত প্রশ্ন : রক্তখেকো প্রানীগুলোর আকৃতি মানুষের তুলনায় ছোট ছোট ( মশা, জোক প্রভৃতি )। প্রকৃতিতে এগুলোর অস্তিত্ব সুদৃঢ় করতে এরা কেন ঈগলের মত বড় আকৃতিতে বিবর্তিত হলো না ?

*হাইপোসথিসিস- মতবাদ যেটা পর্যাপ্ত ডাটা, ইনফরমেশন দ্বারা প্রমানিত নয় ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬

বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার বিজ্ঞানীরা সর্বসম্মতভাবে কোন হাইপোথিসিস*কে গ্রহণযোগ্য বলে স্বীকৃতি দিলে সেটাকে বলা হয় ফ্যাক্ট কিংবা থিউরি । অন্যদিকে একটি নিদৃষ্ট গুরুত্ববহনকারী বিজ্ঞানীদের দল যদি কোন হাইপোথিসিস* এর বিপক্ষে অবস্থান নেন, তাহলে সে হাইপোথিসিসকে আর থিউরি বলা যাবে না । সেটাকে হাইপোথিসিস* হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে। নিচের লিংকে গেলে দেখতে পাবেন, প্রায় ৫ শতাধিক বিজ্ঞানী ইভোলিউশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন । আপনার কাছে আমার একটি বিনীত প্রশ্ন, আপনি এটাকে ফ্যাক্ট বলছেন কিসের ভিত্তিতে ? (ইভোলিউশন একটা ফ্যাক্ট না হাইপোথিসিস* সে আলোচনায় যাচ্ছি না) ।

বিজ্ঞান কোন গনতন্ত্র নয়। এখানে বিজ্ঞানীদের জনমতের ভিক্তিতে কোন হাইপোথেসিসকে ফ্যাক্ট বলা হয় না। যখন কোন হাইপোথেসিস বহুবার বহু স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে কোন বিষয় প্রমানিত হয় তখন সেটাকে ফ্যাক্ট হিসেবে গ্রহন করা হয়। যখন কেউ সেই ফ্যাক্টকে অস্বীকৃতি জানাই তখন তাদের পাল্টা হাইপোথেসিস দিয়ে চ্যালেঞ্জ করতে হয়। সেটাকে পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করা। যদি বিদ্যমান থিউরি থেকে সেরার শক্ত প্রমান বেশি থাকে ও এমন কিছু যেটা বিদ্যমান থিউরিকে ভুল প্রমানিত করে তখনই বিজ্ঞানিরা সেটা মেনে নেই। এখানে ৫০০ বিজ্ঞানিরা বিবর্তনের সন্দেহ পোষণ করেছেন। কোন প্রপসড পিমিসেস দেয়নি। আর ব্যাক্তিগত অভিমত বা বিশ্বাস বিজ্ঞানের কাছে কোন গ্রহনযোগ্যতা নেই। আর আমি মনে করি সন্দেহ থাকা খুবই জরুরি। এটাই তো বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিয়ে যায়, ভুলকে ত্যাগও সঠিককে গ্রহন করতে শিখায়। আমিও বিবর্তনের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করি। তবে এর চেয়ে উত্তম পরীক্ষিত প্রমান দেয়া থিউরি আমার লাগবে বিবর্তনকে অবিশ্বাস করার জন্য।

রক্তখেকো প্রানীগুলোর আকৃতি মানুষের তুলনায় ছোট ছোট ( মশা, জোক প্রভৃতি )। প্রকৃতিতে এগুলোর অস্তিত্ব সুদৃঢ় করতে এরা কেন ঈগলের মত বড় আকৃতিতে বিবর্তিত হলো না ?

কোন প্রাণীর আকার সুদৃঢ় করার জন্য তার আকারই মুখ্য ভুমিকা পালন করে না। tardigrade এর কথা চিন্তা করি। এরা পানির ফোটা থেকেও ছোট অথচ অথচ পৃথিবীর মহাবিপর্যয়গুলোতে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়নি।মন্তব্যের জন্য। ব

৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১২

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট।

অনেক কিছু জানতে পারলাম। কিন্তু আমি বিবর্তনবাদ বিশ্বাস করি না।

বিবর্তনবাদে বলা হয় বানর থেকে মানুষের উৎপত্তি। কিন্তু ভবিষ্যতে মানুষ বিবর্তিত হয়ে কোন প্রাণী হবে বলতে পারেন।?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: মানুষ বানর থেকে আসেনি। মানুষ ও বানর একটু কমন পূর্বপুরুষ থেকে ভিন্নভাবে বিবর্তিত হয়েছে। যা দেখতে না ছিল বর্তমান বানরের মত না বর্তমান মানুষের মত। ৯ নং প্রশ্নের ভিডিওটিও চাইলে দেখতে পারেন।

আর আমরা এখনো নিশ্চিত না ভবিষ্যতে কিভাবে মানুষের বিবর্তন ঘটবে। তবে মানুষের বুদ্ধিমত্তার আরও বিকাশ লাভ করবে। পরের প্রজাতিকে বলা হবে "Homo Sapien Sapiens" । কখন ঠিক সেই পর্যায়ে যাবে সেটা বলা মুশকিল। ১৯ নং এর ভিডিওটি দেখতে পারেন, মজা পাবেন। :)

৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বিবর্তনবাদ আমার কাছে অসার মনে হয় ।
বানর থেকে যদি মানুষের উৎপত্তি হয়ে থাকে , তাহলে আমরা গহীন অরন্যের আর কোন বানরকে বিবর্তিত হয়ে লেজ খসে মানুষে রূপান্তরিত হতে দেখিনা কেন ?
দূর অতীতে কোন বানর মানুষে রূপান্তরিত হওয়ার পর বিবর্তনের এই ধারাটিতো অব্যাহত থাকার কথা !! বানর প্রজাতিই বিলুপ্ত হয়ে মানুষে রূপান্তরিত হয়ে যাওয়ার কথা , সেটা থেমে গেল কেন ?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: বানর থেকে যদি মানুষের উৎপত্তি হয়ে থাকে , তাহলে আমরা গহীন অরন্যের আর কোন বানরকে বিবর্তিত হয়ে লেজ খসে মানুষে রূপান্তরিত হতে দেখিনা কেন ?
রাতারাতি লেজের বিলুপ্তি হয়নি। সেটা ঘটেছে প্রায় ৮-১০ মিলিয়ন বছরের ক্রমশ ধারায় যেখানে মানুষের প্রথম সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায় মাত্র কয়েক হাজার বছর আগে। উল্লেখ্য যে, আমাদের এনাটমিতে টেইলবোন প্রমান করে যে আমাদের পূর্বপুরুষের লেজ ছিল।

দূর অতীতে কোন বানর মানুষে রূপান্তরিত হওয়ার পর বিবর্তনের এই ধারাটিতো অব্যাহত থাকার কথা !! বানর প্রজাতিই বিলুপ্ত হয়ে মানুষে রূপান্তরিত হয়ে যাওয়ার কথা , সেটা থেমে গেল কেন ?
বিবর্তন থেমে নেই। মিলিয়ন বছর আগের বানরও আজকের মত দেখতে নয়। বিবর্তন চলছে চলেই যাচ্ছে। মানুষ ও বানর ভিন্নভাবে বিবর্তিত হচ্ছে।

৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

বিষাদ সময় বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আপনার পোস্টের জন্য। বিবর্তনবাদ সম্পর্কে একটা ভূল ধারণা ছিল, সে ধারণাটি শুদ্ধ হল আপনার পোস্ট পড়ে। অনুসন্ধানী দৃষ্টি নিয়ে লিখে যান। আপনার মত ব্লগার শুধু ব্লগের জন্য নয় দেশের জন্যও প্রয়োজন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩

বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: সর্বনাশ, এত দূরে তো ভাবিনি। আসলে আমি ভাবছিলাম অনেক দিন ধরে বিবর্তন নিয়ে স্টাডি করছি। দেখি ব্লগার ভাইরা কি প্রশ্ন করে। আমারও কনসেপ্ট একটু ধারালো করা হয়ে যাবে :) সুন্দর গুছানো প্রশ্নগুলো পেয়ে ভালই লাগছে। আশা করি পরের পর্ব আরও সমৃদ্ধ হবে।

৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৩

বন্যলোচন বলেছেন: বিবর্তন নিয়ে আমার আইডিয়া শুন্যের কোঠায়। কিন্তু মনে হয়, মানুষ ধর্ম আর বিজ্ঞানের মাঝে যে গ্যাপটা দেখে বিভ্রান্ত হয়, সেটা আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারনে। দুটো একই মুদ্রার দুই পিঠ।

ভাল পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৫

বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: অধিকাংশ মানুষ বিবর্তনবাদকে মানতে চায় না ধর্মীয় আস্থার জন্য। তারা জোড় করে মনকে সায় দিতে চায় বিবর্তন ভুল। অথচ ধর্মীয় অনেক বিজ্ঞই বিবর্তনকে সমর্থন করেন সেটা তারা বুঝতে চায় না। জ্ঞান আর অনুসন্ধিত্সু মন না থাকলেই আসলে এমন বিভ্রান্তি কাজ করে।

১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫০

-সাইরাস বলেছেন: "বিজ্ঞান কোন গনতন্ত্র নয়। এখানে বিজ্ঞানীদের জনমতের ভিক্তিতে কোন হাইপোথেসিসকে ফ্যাক্ট বলা হয় না।"

আপনার সাথে আমি একমত :) গনতন্ত্রেঅধিকাংশ মানুষের সমর্থন দরকার হয়, আর বিজ্ঞানে কোন হাইপোথিসিসকে ফ্যাক্ট হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে অধিকাংশ নয়, প্রায় সকল বিজ্ঞানীকেই কনভেনসড হতে হয় । বিবর্তনবাদ সকল বিজ্ঞানীকে কনভেনসড করতে পারে নি ।

"আর ব্যাক্তিগত অভিমত বা বিশ্বাস বিজ্ঞানের কাছে কোন গ্রহনযোগ্যতা নেই। "

আপনি বিজ্ঞানীদের একাংশের ধারনাকে ব্যাক্তিগত অভিমত বা বিশ্বাস বলছেন আরেকাংশের ধারনাকে ফ্যাক্ট বলছেন, ব্যপারটা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড হয়ে গেল না ? আপনার পোস্টটিতে কিছু ইউটিউব আর আপনার আবেগপ্রবন কথাবার্তা, ব্যক্তিগত মতামত ছাড়া আর তেমন কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। ভিডিওগুলোও নিজে দেখেছেন বলে মনে হচ্ছে না ।

"যখন কোন হাইপোথেসিস বহুবার বহু স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে কোন বিষয় প্রমানিত হয় তখন সেটাকে ফ্যাক্ট হিসেবে গ্রহন করা হয়।"

জ্বি, বিবর্তনবাদ "বহুবার বহু স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে কোন প্রমানিত বিষয়" নয় ।

"কোন প্রাণীর আকার সুদৃঢ় করার জন্য তার আকারই মুখ্য ভুমিকা পালন করে না। "

কে বলেছে আপনাকে ? আপনার বিবর্তনবাদের বেসিক সম্পর্কেই ধারনা নেই । বিবর্তনবাদের বেসিক ধারনাকেই আপনে "মুখ্য নয়" বলে চালিয়ে দিচ্ছেন ! এটা হয়ত আপনার ব্যক্তিগত মত। আগে নিজে জানুন , তারপর লেখালেখি করুন ।আর মিউটেশন ও কেমিস্ট্রি সম্পর্কে একটু জানবেন, তাহলে জানতে পারবেন কেমিকেল রিয়েকশনে মিলিয়ন বছর নয়, ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন বছরেও প্রানের উৎপত্তি অসম্ভব :)

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২০

বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: বিজ্ঞানে কোন হাইপোথিসিসকে ফ্যাক্ট হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে অধিকাংশ নয়, প্রায় সকল বিজ্ঞানীকেই কনভেনসড হতে হয় ।
রেফারেন্স দিলে খুশি হব।

আপনি বিজ্ঞানীদের একাংশের ধারনাকে ব্যাক্তিগত অভিমত বা বিশ্বাস বলছেন আরেকাংশের ধারনাকে ফ্যাক্ট বলছেন, ব্যপারটা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড হয়ে গেল না ?
আপনি যে লিঙ্ক দিয়েছেন সেখানে কেউ কাউন্টার হাইপোথেসিস প্রপস করেনি। অন্যদিকে বিবর্তন ফ্যাক্ট কারন বিজ্ঞানিরা এর পিছনে শক্ত প্রমান দেখিয়েছেন। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড হত যদি দুইপক্ষই একই কাজ করত আর তখন যদি আমি বিশ্বাসের কথা আনতাম।

বিবর্তনবাদ "বহুবার বহু স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে কোন প্রমানিত বিষয়" নয়
এর উত্তর আমার ব্লগেই দেয়া আছে। প্রায় ১২টি ভিন্ন ও স্বাধীন পরীক্ষা বিবর্তনকে সমর্থন করে। এটা প্রমানিত সত্য।

কোন প্রাণীর আকার সুদৃঢ় করার জন্য তার আকারই মুখ্য ভুমিকা পালন করে না।
আমার কমেন্টের টাইপিং মিস্টেক ছিল। এখানে "অস্তিত্ব" হবে। কোন প্রাণীর অস্তিত্ব সুদৃঢ় করার জন্য তার আকারই মুখ্য ভুমিকা পালন করে না।দুঃখিত কনফিউসনের জন্য। :)

১১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেক গুছিয়ে লেখা। ভাল লিখেছেন।

আল্লাহ (সৃষ্টিকর্তা) বহু আগে প্রথমে বিশ্বভ্রমান্ড তৈরি করে দিয়েছেন,
বা তা আগে থেকেই ছিল। সকল শক্তির উৎস সেটাই। বিগব্যাং ও ডিসইন্ট্রিগেটেড হয়েছে, আবার কেন্দ্রিভুত হয়ে আবার মহাবিষ্ফোরন, ছায়াপথ হয়েছে, এখনো চলমান।
অনেক পরে পানি ও অক্সিজেন সমৃদ্ধ গ্রহ,
এরপর প্রানের আবির্ভাব
এসব ঘটনা গুলো প্রকৃতির সাধারন নিয়মেই ঘটেছে।
পরবর্তিতেও প্রাকৃতিক কর্মকান্ডে এপর্যন্ত ঈশ্বরের কোন হস্তক্ষেপ হয়নি বলে মনে হয়।

এর পর বাকি ব্যাপারগুলো প্রাকৃতিক ভাবেই ডেভোলপ করছে। এজাবৎ বড় কোন অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয়নি।
বিরামহীন গবেষনা এখনো চলছে, মানুষ এখুনি সবকিছু জেনে ফেলবে সেই সুদিন এখনো আসেনি।
বিবর্তন সহ অন্যান্ন প্রাকৃতিক ব্যাপারগুলো নিয়ে বিজ্ঞানিদের মধ্যে কিছু টেকনিক্যাল টার্ম ছাড়া মুল ব্যাপারটি (বিবর্তন) নিয়ে খুব একটা বিতর্ক নাই।
এজাবৎ প্রাপ্ত মাটিখুড়ে পাওয়া প্রাচিন কংকাল, জিবাষ্ম গুলো প্রাকৃতিক স্বাভাবিক বিবর্তনগুলো সমর্থন করে।

শতকোটি, প্রায় ৫শ কোটি বছর আগে পৃথিবী নামক গ্রহে প্রানের আবির্ভাব
প্রথমে এমাইনো এসিড+পানি
তারপর জীবানু সদৃস্য প্রান
এককোষি জীব
এরপর এমিবা
তারপর স্পঞ্জ আকৃতির সামুদ্রিক ... জীব
এরপর গিরিগিটির মত হয়ে ডাঙ্গায় উঠা
তারপর আরো কোটিকোটি বছর পর স্তন্যপায়ী জীব
এরপর বহুকটি বছর বিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন প্রজাতিতে ভাগহয়ে এসেছে। কিছু টিকে আছে। অধিকাংশই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
৫০ কোটি বছর আগে ডাইনাশোর জাতীয় প্রানী রাজত্ত্ব করে ১২ কোটি বছর আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে, খাদ্যাভাবে।
মানুষ জাতীয় প্রানীর আবির্ভাব মাত্র আড়াই কোটি বছর আগে।
আর মাত্র ১০ হাজার বছর আগে মানুষ কিছুটা সভ্য হতে সুরু করে, ছোট ছোট সমাজ গঠন করে, টেক্সটাইল, পাথরাস্ত্র, আগুন জালাতে শিখে।
বড় ধর্মগুলোর আবির্ভাব আরো অনেক পরে সুরু হয় ৬ হাজার বছর আগে হিন্দুইজম, ইহুদিজম, কনফুসিয়াসসিজম, চালু হয়। এরপর বৌধ্যিজম। দুহাজার বছর আগে জিসাস খ্রাইস্টের খ্রীষ্টান।
ইসলাম আসে মাত্র দেড় হাজার বছর আগে।
সভ্যতা ও সমাজগঠনের সুরুতে ধর্মের ভুমিকা ছিল, এখনো আছে। থাকবে।
কোন বিভেদ হাঙ্গামা না করে যার যার ধর্ম পালন করে যাওয়া উচিত। আংশিক পালন বা না করতে চাইলেও সমস্য নেই।
বেশির ভাগ ধর্মিও পুস্তক গুলো বিজ্ঞান এবং বিবর্তন এর ব্যাপারে খুবই অস্পস্ট, এ ব্যপারে না না ভাবে ব্যাখ্যা বা অপব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব।
বিশ্বাসে কোন যুক্তি খাটেনা। তাই ধর্ম থাকবে, ঈশ্বরও থাকবে।

বিজ্ঞান বিজ্ঞানের গতিতেই চলছে এবং চলবে।

১২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ভাল লিখেছেন। অনেক দিন থেকে সময় ও সু্যোগের অপেক্ষায় আছি বিবর্তন নিয়ে একটি পোস্ট দেয়ার। সেখানে ইসলাম যে বিবর্তনকে সমর্থন করে সেটাই দেখানো হবে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: পোস্টের অপেক্ষায় থাকবো

১৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

শামিম হোসেন বলেছেন: দারুন লেখেছেন ।ধন্যবাদ

১৪| ২২ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
তবে আর একটু সহজ করে লিখতে পারতেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.