![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবতা, সুস্থ উপলোব্ধি ও সঠিক মূল্যবোধ ও সত্যিকারের ভালবাসার চর্চা হোক **
অনেক অনেক আগে একটা বোকা লোক বাস করত, সে ভাবত পাঁচজনে যা বলে সেভাবেই তার সব কথা শুনতে হবে ও সেই অনু্যায়ী কাজ করতে হবে। বোকা মানুষটার যখন ১৭-১৮ বছর হল তার বন্ধু বান্ধবরা তাকে বুঝাল মদ ও সিগারেট খাওয়া বীরত্বের ব্যাপার। প্রথম প্রথম তার খুব কষ্ট হত, কিন্তু বাকিদের পাল্লায় পড়ে সে এগুলো তাদের সামনে খেত। বাসায় গেলে বা অন্য সময়ে সে তওবা তওবা করত। একদিন বাসায় সে ধরা পড়ে গেল অন্য বন্ধুর সাথে সিগারেট খেতে গিয়ে।
বন্ধুদের সাথে চুপি চুপি আজে বাজে সিনেমা ইত্যাদিও সে করে বেড়াত। কিন্তু সে সমাজের তথাকথিত খুবই ভদ্র ছেলে। এরপর তাদের বন্ধুরা প্রেম করা শুরু করল। যথারীতি তাদের দেখাদেখি সেও গিয়ে মহিলা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়ানো শুরু করল ও একের পর এক মেয়েকে নিজের প্রেমের জালে ফাসা শুরু করল এমনিতে সে খুব ভাল মানুষ।
কিন্তু পাঁচজনের সাথে চলতে গেলে তো তাকে এসব করতেই হবে। সে গুনে গুনে জানাল অন্যদের চেয়ে সে রেকর্ড ভেঙ্গেছে, বাবা সরকারী অফিসার। বাবার টাকায় ভালই উড়িয়ে এমনি চলল তার ২৭-২৮ বছর পর্যন্ত। এত মেয়েদের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে একটা ক্লাসের মেয়ে বিয়ে করতে চাইছিল। মেয়েটা তার মতই পড়ালেখায় ভাল ও স্মার্ট, কিন্তু এত মেয়েদের ভীর দেখে মেয়েটি অন্য এক লোকের সাথে বাগদান করে ফেলল । কিন্তু এরপরেও সে চেষ্টা চালাতে লাগল। একের পর এক তুরুপের তাস তার প্রেমের পরেও বিয়েতে রাজী হল না। এতদিন সে যেমন মেয়েদের নিয়ে খেলতে আরম্ভ করেছিল, মেয়েরাও বুঝি তাকে নিয়ে খেলতে আরম্ভ করল।
হঠাৎ একদিন তার জীবনে সত্যিকারের একটা মেয়ে আসল যে সমাজের বাকী পাঁচটা মেয়ের মত না তার আবার এক্কেবারে ফর্সা লাগবে, টাকা লাগবে,মেয়েটা কেমন জানি মোটা হয়ে গিয়েছে, আর আগের মতও চামড়াও ফর্সা নেই, টাকা তেমন নাই, কি বলবে লোকে। আর কে জানে এই মেয়েও যদি বাকীদের মত খেলে ধোকা দেয় । সে তাকে ছুড়ে ফেলে চলে গেল। এরপর দিন যায় , মেয়েটি তার ঠিকই খোজ রাখে।
কিন্তু সে তার ক্লাসের হট মেয়ে খুজতে থাকে। একদিন তার পরিবার তাকে এক বড়লোকের উচ্ছন্নে যাওয়া মেয়ের সাথে তার বিয়ে ঠিক করে। সে টাকা ও চামড়া ফর্সা মেয়েকেই বিয়ে করে সুখী হওয়ার তীব্র চেষ্টা করতে থাকে।
মারা যাওয়ার সময় চলে আসে লোকটির, সে জীবনে সব পায় কিন্তু সত্যিকারের তার নিজের জীবন সে পায় না । তার নিজের ইচ্ছার কোন জীবন তার হয় না ।
মারা যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তাকে সবাই ভুলে যায়। কিন্তু তার ভালবাসার সঙ্গী চিরকুমারী মেয়েটির কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়। মেয়েটি সারাটিজীবন কষ্টে গিয়েছে, আর লোকটিও বিবাহের সুখের কিছুই উপভোগ করেনি।
উপরন্তু নিত্য নতুন উপদ্রপ বানিয়ে তার জীবনটাকে ছেড়াবেড়া করে রেখেছিল উচ্ছনে যাওয়া বউটি।
এভাবেই কি বাঙ্গালী ছেলেদের জীবন কাহিনী চলবে ??
নাহ যারা অসাধারন মানুষ তারা বোকা লোকটার মত নিজের জীবন বানায় না ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪০
তিথির অনুভূতি বলেছেন: ছেলেটা একটা বাংলাদেশি ছেলে , ইন্টারনেট হতে প্রাপ্ত
https://www.google.com.bd/search?q=bangladeshi+boys&espv=2&biw=1280&bih=923&source=lnms&tbm=isch&sa=X&ved=0ahUKEwjMjdiRkajJAhWQW44KHShKAywQ_AUIBigB
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:১৫
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আই ডোন্ট নো, হোয়াট টু সে!
প্রকাশ ভঙ্গিটা অন্যরকম, কিন্তু মূলভাবটা অসাধারণ।
আসলে ভাল থাকতে চাইলে, নিজের মত করে গড়ে উঠার কোন বিকল্প নেই। পাঁচ-দশ জন কী করলো সেটা নিয়ে না ভেবে আমি কী করতে পারব - সেটা ভাবা জরুরী। নাহলে এই বোকা লোকটির মত দ্বিধায় পড়ে সব পেয়েও বিসর্জিত ও অসুখী কেউ হয়েই থাকা লাগবে।
ভাল লেগেছে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪১
তিথির অনুভূতি বলেছেন: পাছে লোকে কিছু বলে
এই হচ্ছে বাংলাদেশীদের জীবন ।
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
আরজু পনি বলেছেন:
লেখা পুরোটা পড়েছিলাম, ভেবেছিলাম এই ছেলেটা বুঝি তেমন চরিত্রের । তাই জিজ্ঞেস করেছিলাম ।
আমার ছবি কেউ এভাবে জুড়ে দিলেতো আমি মানহানির মামলা করে দিব...হাহাহাহা
তবে লেখা পড়ে যেটা মনে হয়েছে...দূরদর্শী চিন্তার মানুষরা তেমন ভুল করেনা যেটা আপনার রেখা চরিত্রটি করেছে ।
অনেকদিন পর আপনাকে পেলাম, আশা করি ভালো আছেন ।
আপনি কি আগের চাকরীতেই আছেন ?
শুভকামনা রইল ।
৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩
সায়েম মুন বলেছেন: তাহলে ছেলেটা মরার পর সার্থক হলো বলা যায়। পাশে পেল ভালবাসার রমনী। যে ভূত হয়ে তাকে ভালবাসবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৪
আরজু পনি বলেছেন:
পোস্টের শেয়ার করা ছেলেটা কে ?