নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোকবর্তিকা

তোফায়েল আহমেদ সরকার

খুব সাধারন একজন মানুষ।

তোফায়েল আহমেদ সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কি স্কুল যাইতে পারি????

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৭



সংসদ ভবেনর পাশদিয়ে যাচ্ছিলাম, হঠাত করে চোখ পরে একটি শিশু প্রতি, শিশুটি রাস্তার উপরে ঘুমাইতেছিল, আনুমানিক বয়স (১০-১১) । কোন কাজ নাথাকায় আমি শিশুটির কিছুটা পাশে বসে পরি। শিশুটি কে দেখে মনে হচ্ছিল সে অনেক আরামে ঘুমাইতেছিল। তাই ওকে আর ডাকলাম না বরং দূর থেকে শিশুটিকে দেকতেছিলাম এবং ভাবতেছিলাম চারিদিকে এতো কোলাহল এবং গাড়ির হর্নের শব্দ যে, ইচ্ছে করছে নিজের কান দুট কোন কিছু দিয়ে বন্ধ করে রাখি। অথচ এর মাঝখনে কিভাবে একটা মানুষ ঘুমাইতে পারে? আবার ভাবতেছিলাম, সে কি হুমায়ূন আহম্মেদর মত নিজেই নিজেকে বলতেছে, আমি কি মারা গেছি না কি মারা যাচ্ছি?? কোন কিছুই বুঝতে পারতেছি না !!!

এমন সময় একটা প্রাভেট কার আমার কাছা-কাছি এসে হর্ন বাজাল তখন আমার মনে হচ্ছি আমি আর কিছু শুনতে পারতেছি না। অতপর শিশুটির দিকে তাকিয়ে দেখি ততক্ষনে ওর ঘুম ভেঙ্গ গেছে। শিশুটির ঘুম ভেঙ্গ যাওয়াই আমার কষ্ট হচ্ছে।

এই পরিস্তিতি গুলোতে সাধারনত আমি যা করে থাকি আজও তার কোন পরিবর্তন হলো না। প্রথমে শিশুটির কাছে যাওয়ার পর প্রশ্ন করলাম তোমর না কি? সে কোন উত্তর করল না বরং মাথা নিছু করে কিযেনো ভাবতেছে। কিছু সময় পর আবার প্রশ্ন করলা, এইবার কিছুটা সাবাভিক হয়ে মাথা নিছু করে উত্তর দিল সুমি আক্তার। এবার প্রশ্ন করলাম থাকো কোথায়? উত্তের বললো রাস্তায় !!! উত্তরটা শোনার পর আমার কিছুটা খারাপ লাগলো এবং মেন মনে ভাবতাছি এই কথা না শুনাই ভালো ছিল। আবার প্রশ্ন করলাম তোমার মা-বাবা কোথায়?? এইবার সুমিকে কিছুটা বিরক্ত বধ প্রকাশ করে বললো বাবার কথা জানিনা!!! মা ভিক্ষা করে । এখন সুমির চোখ ও মূখে স্পষ্ট অভিমানের ছায়া এবং তার কোমল দুটি চোখ ছল ছল করছে। এখন সুমির প্রতি যে কোন বক্তি তাকালেই বলে দিতে পারবেন ছোট এই শিশুটির মনের মাঝে লুকিয়ে রখেছখে না বলা অনেক কষ্ট। হয়তবা সুমি এখন চিৎকার করে বলতে চাইছে তার সকল দূঃখয এবং কষ্টর কথা, কিন্তু সে স্থান কোথাই কেবা শুনবে রাস্তায় শুয়ে থাকা সুমিদের কথা। তবু বলতে চইছে সুমি আর বলতে চাওটাই স্বাভাবিক..............

অনেকটা সময় পর নিরবতা ভেঙ্গে প্রশ্ন করলাম তুমি কি স্কুল যাও? সুমি অনেক চেষ্ট করেও আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না। হয়তোবা তার নিজের অজানেতই কয়েক ফোটা অশ্র ঝরে নিমেষেই মিশে গেলো ঢাকা শহরের উৎতপ্ত পিচ ঢালা রাস্তায়। এখন আমি নিজে নিজেই চিন্ত করতে সুমির এই চোখের অশ্র টুকু কিসের অভিমানের না অনন্ত কষ্টের। এমন অনেক প্রশ্ন আমার মাথায় ঘুর-পাক খাচ্ছেই। ঠিক সেই সময় সুমি বলে সযার বাবারে আজ পর্যন্ত দেখি নাই মা ভিক্ষা করে খায় তার সঙ্গে মাঝে মাঝে দেখা হয়, আর আমি নিজে সকালে উঠে চায়ের দোকানে দোকানে ঘুরে বাসি খবার এনে খাই। আর হাতে যে পানি দেখছেন তা বিক্রয় করে যা পাই তাই দিয়ে রাতে ভাত কিনে খাই। যেই দিন পানি বিক্রয় করতে পারি না সইদিন নাখেয়ে থাকতে হয়!!!

সযার আমর কি স্কুল যাইতে পারি???? আমি আপনাকে আর কিছু বলতে পারবো। সুমি যখন যাচ্ছিল তখন বার বার আমার দিকে অশ্র ভেজা চোখে দেখতেছিল, মনে হচ্ছিল তার অভিমান গোটা এই সমাজের প্রতি!!! সুমির এই অভিমানটাই আমায় অনাক বেশি ভাবিয়ে তুলেছিল। আমার বুঝবার বাকি রইলো না একটা মানুষ কখন হাজার কলাহলের মঝে রস্তা উপরে ঘুমাতে পারে। আর হুমায়ূন আহম্মেদর মত নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে, আমি কি মারা গেছি না কি মারা যাচ্ছি??? কোন কিছুই বুঝতে পারতেছি না !!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.