নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানহানির কখন সাইবার অপরাধ? ডিজিটাল মাধ্যমে মানহানির শিকার হলে আইনী পদক্ষেপ যেভাবে

১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৮

যে কোনো ধরনের ক্রাইম বা অপরাধ যখন অনলাইন বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘটে, তখন তাকে সাইবার ক্রাইম বা অপরাধ বলে। আর ডিজিটাল মাধ্যমের দ্বারা সংগঠিত মানহানির প্রতিকার "ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ " তে প্রদান করা হয়েছে ।

এই আইনের ২৯ ধারায় মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, প্রচার, ইত্যাদির শাস্তির কথা বলা হয়েছে । যথা ঃ

২৯। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে Penal Code (Act XLV of 1860) এর section 499 এ বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

একই আইনের ৩১ ধারায় ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন বা করান যার ফলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বা ঘটিবার উপক্রম হয় ইত্যাদির অপরাধ ও দণ্ডের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে । যথা :

৩১। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন বা করান, যাহা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অথবা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বা ঘটিবার উপক্রম হয়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

(৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।


****সাইবার অপরাধ বা সাইবার ক্রাইমে আক্রান্ত হয়ে গেলে আপনার করণীয় :

করণীয় বা প্রতিকার দুই ভাবে পেতে পারেন ঃঃ
১। থানায় এজাহার দায়েরের মাধ্যমে মামলা করে
২। সরাসরি সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করে। ( দেশের একমাত্র সাইবার ট্রাইবুনাল ঢাকায়)

থানায় এজাহার দায়েরের মাধ্যমে মামলা করার ক্ষেত্রে করণীয় ঃ
প্রমাণগুলো সঠিকভাবে কালেক্ট করা। বাচাই করে সেগুলো প্রিন্ট করে ফেলা। স্ক্রিন ভিডিও এবং লিংকসহ প্রমাণ যোগাড় করা। তারপর
থানায় যাবেন। অভিযোগ দায়ের করবেন।

কোনো কারণে যদি থানা মামলা না নেয় তখন আইনজীবীর সহায়তা নিয়ে সরাসরি সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করতে হবে। ( দেশের একমাত্র সাইবার ট্রাইবুনাল ঢাকায়) ।

## এক্ষেত্রে আইনী সহায়তায় যোগাযোগ করতে পারেন।
এম টি উল্যাহ
আইনজীবী
০১৭৩৩ ৫৯৪ ২৭০




মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৪

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ভাল লিখা । মানুষের উপকারে আসবে

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫০

কিরমানী লিটন বলেছেন: দারুণ কার্যকর পোস্ট.....

শুভরাত্রি।

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: জেনে রাখলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.