নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
কারো বিরুদ্ধে দুদকের মামলা হলে মামলার খবর শুনে যতটা হতবাক হোন না, তার চেয়েও দুশ্চিন্তায় পড়লেন, কীভাবে মামলার অভিযোগ থেকে আপনার যুক্তি তুলে ধরে রেহাই পাবেন। কারণ, অভিযুক্ত হলেই নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে কেউ অপরাধী। আইনের চোখে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত নিরপরাধ বলে গণ্য। অভিযুক্ত দোষী বা নির্দোষ, সেটি পরে প্রমাণিত হবে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে যেন এ মামলা সুষ্ঠুভাবে মোকাবিলা করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয় সে চেষ্টা করতে হবে।
যেকোনো দুর্নীতির বিষয়ে মামলা বা এফআইআর করার ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিজ কার্যালয়ে এজাহার দাখিল ও ওই এজাহারের ভিত্তিতে তদন্ত করার ক্ষমতা রয়েছে । দুদকের ওই বিধিমালা অনুযায়ী দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে থানা সরাসরি মামলা রেকর্ড করতে পারে না। কেবলমাত্র জিডি হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। থানা অভিযোগ (জিডি) পাঠিয়ে দেয় দুদকে। এরপর তার ভিত্তিতে অনুসন্ধানের পর দুদক মামলা করে।
দুদক এজহার দায়েরের পর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে উপস্থাপন পূর্বক আমলে গ্রহণের জন্য আবেদন করে, ক্ষেত্র বিশেষ আসামিকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জানায়।
এক্ষেত্রে অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করে কিংবা গ্রেফতার হলে জামিন চাইতে পারেন। অনেক সময় হাইকোর্ট বিভাগে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে আগাম জামিন চাইতে দেখা যায়। হাইকোর্ট বিভাগ আগাম জামিন সাধারণত নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত দিয়ে থাকেন। এ মেয়াদের মধ্যেই নিম্ন আদালতে গিয়ে জামিননামা সম্পাদনের জন্য আবেদন করতে হবে।
জামিন নেওয়ার চেষ্টার পাশাপাশি অভিযোগপত্র দাখিল করার আগে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে আপনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে, তা যথাযথ নয় প্রমাণের চেষ্টা করুন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগটির সত্যতা না পেলে আপনাকে নির্দোষ দেখিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবেন। চার্জশিট বা অভিযোগপত্র হয়ে গেলে আপনার মামলাটি বিচারিক আদালতে বদলি হবে। অভিযোগ গঠনের দিন আপনাকে হাজির হয়ে নতুন করে পূর্বশর্তে জামিন চাইতে হবে এবং জামিননামা সম্পাদন করতে হবে। তখন আপনি মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন করতে পারেন। অব্যাহতির আবেদন নাকচ হলে উচ্চ আদালতে প্রতিকার চাইতে পারেন।
যদি এমন হয় যে আপনি জানতে পারলেন না, আপনার বিরুদ্ধে এজাহার হয়েছে। পুলিশ এসে আপনাকে গ্রেপ্তার করল। আপনাকে থানায় নিয়ে গেল। গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। তখন আপনার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করতে হবে। যদি রিমান্ড চায় পুলিশ, তাহলে আপনার আইনজীবীর উচিত হবে রিমান্ড বাতিলের জন্য আবেদন করা। যদি জামিন দেন আদালত, তাহলে একজন পরিচিত জামিনদারের জিম্মায় আপনার জামিননামা সম্পাদন করতে হবে। যদি জামিন না হয়, তাহলে পর্যায়ক্রমে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে হবে।
আর আপনি কোনো কারণে আদালতে হাজির না হলে আপনার নামে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি হতে পারে। এতে হাজির না হলে আপনার মালামাল ক্রোকের আদেশ হতে পারে এবং আপনার অনুপস্থিতিতেই বিচার হতে পারে। তাই মামলা হলেই আপনি অপরাধী নয়, আইনের সহায়তা নিন।
-এম টি উল্যাহ
আইনজীবী
01733 594 270
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৩
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ২০১৯ এ।
২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: একবার দূর্নীতি করে সীমাহীন টাকা করে ফেললে। পরের আর কিছুই হয় না। মামলা টামলা হলেও সমস্যা নাই।
বহু দূর্নীতিবাজ তো বেশ ভালোই আছে।
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৫২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: মামলা টামলা হলেও বেশীর ভাগ সহজ সরল ব্যক্তি জেলে যায়,
দীর্ঘ জেল খেটে যখন প্রমান হয় যে , সে নিরাপরাধ তখন তার
জীবন থেকে ৫/৭ বৎসর চলে যায় । এর প্রতিকার কি ???
.................................................................................
আইনজীবিরা তো টাকা ছাড়া কোন সৎ লোকের কেস নেয়না ।
অসৎ টাকার অধীকারীরা এক সপ্তাহও জেলে থাকে না,
টাকা আর ক্ষমতার দাপটে দেখেছি, অস্ত্র মামলার আসামী
খালাস পায়।
.................................................................................
এসব প্রতিকার না হলে , দেশে আরও দূর্নীতিবাজ লোকের সংখ্যা বাড়বে ।।।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৫
এম টি উল্লাহ বলেছেন: নিরাপদ ব্যক্তি মিথ্যা মামলায় জেল খাটলে তারও প্রতিকার রয়েছে আইনে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৯
তারেক ফাহিম বলেছেন:
যেকোনো দুর্নীতির বিষয়ে মামলা বা এফআইআর করার ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিজ কার্যালয়ে এজাহার দাখিল ও ওই এজাহারের ভিত্তিতে তদন্ত করার ক্ষমতা রয়েছে । নতুন করে আইন হল?
ভালোই হল, থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা আছে।