নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দলিল বাতিল করার পদ্ধতি জেনে নিন / জাল দলিল বাতিল করার নিয়ম

২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩


সম্পত্তি হস্তান্তরের বিভিন্ন দলিল যেমন, সাফ কবলা, দানপত্র, হেবার ঘোষণাপত্র, হেবাবিল এওয়াজ ইত্যাদি দলিল কোন যুক্তিসঙ্গত কারণে বাতিলের প্রয়োজন হলে তা রেজিস্ট্রি অফিস কর্তৃক বা অন্যকোনভাবে বাতিল করার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে অবশ্যই আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করে বাতিলের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হয়।

অন্যদিকে কিছু দলিল রয়েছে যেগুলো সম্পত্তি হস্তান্তর সংক্রান্ত নয় সেগুলো সংশ্লিষ্ট দলিলের পক্ষগণ সকলের সম্মতিতে রেজিস্ট্রি অফিসে "বাতিলকরণ দলিল” রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বাতিল করতে পারেন। যেমন-
বায়নাপত্র দলিল, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (আমমোক্তারনামা) দলিল, উইল দলিল, অছিয়ত দলিল, চুক্তিপত্র দলিল।

দলিল বাতিলের মামলার পর যদি রায় প্রাপ্ত হন তবে রায়ের কপি সংশ্লিষ্ট সাব- রেজিস্ট্রারের বরাবর পাঠাতে হবে।
আদালতের আদেশ প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, দলিলটি রেজিস্টার বইয়ের যে পৃষ্টায় নকল হয়েছে সেখানে বিলুপ্তির বিষয়ে টীকা লিপিবদ্ধ করবেন।

দলিল বাতিল করার ক্ষেত্রে কিছু তথ্য হলোঃ-

** জাল দলিল রেজিষ্ট্রেশন হয়ে থাকলে তা বাতিলের মামলা করা যাবে দেওয়ানি আদালতে।

** দেওয়ানি আদালতে মামলা করার বিধান সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭ এর ৩৯ ধারায় বর্ণিত রয়েছে।

** জাল দলিল বাতিলের জন্য ফৌজদারি মামলাও করা যায়। জালকারীর শাস্তি নিশ্চিত করতে থানায় কিংবা ম্যাজিস্টেট কোর্টে দন্ড বিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৩-৮৭৩ ধারায় মামলা করা যায়।

** দেওয়ানি আদালতে দলিল বাতিলের স্বপক্ষে রায় প্রাপ্ত হলে তার একটি নকল সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে প্রেরণ করতে হবে। উক্ত নকলের কপি পেয়ে সাব রেজিস্ট্রার সংশ্লিষ্ট বালাম বহিতে দলিল বাতিলের বিষয়টি লিটিবদ্ধ করে রাখবেন।

** সম্পত্তিতে যার স্বার্থ আছে তিনিই দলিল বাতিলের মামলা করতে পারবেন।

** একাধিক ব্যক্তি পক্ষ হলে তাদের সবাই বা যে কোন জন মামলা করতে পারবেন।

** জাল দলিল সম্পর্কে জানার ৩ বছরের মধ্যে ঐ দলিল বাতিলের মামলা করতে হবে।

** দলিল আংশিক বাতিলের মামলা করা যায়।

** যিনি কোন দলিলকে জাল বা জোর পূর্বক সম্পাদিত বলে দবি করবেন তাকে তার দাবির সত্যতা প্রমাণ করতে হবে।

** নাবলকের সম্পত্তি জাল দলিলের মাধ্যমে হাতিয়ে নিলে ঐ নাবালকের অভিবাবক বা ঐ নাবালক সাবালকত্ব অর্জনের পর সে নিজে মামলা করতে পারবেন।

** দলিল রদ বা বাতিলের জন্য ‘এডভোলেরম কোর্ট ফি’ প্রদান করে মামলা দায়ের করতে হবে।

** দলিল বাতিলের মামলার সাথে অন্য প্রতিকার যেমন-দখল পাবার প্রার্থনাও কারা যাবে তবে এর জন্য অতিরিক্ত কোর্ট ফি দিতে হবে।

** সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৩৯ ধারা অনুযায়ী দলিল বাতিলের কারন সমুহ যথাঃ
১. কোন লিখিত দলিল বাতিল বা বাতিলযোগ্য হলে।

২. যদি বাদীর যুক্তিসংগত আশঙ্কা থাকে যে, এরুপ দলিল যদি অনিস্পন্ন থেকে যায় তাহলে বাদীর অপুরনীয় ক্ষতির কারন সৃষ্টি হইতে পারে।

৩. উক্ত ক্ষতির কারণ গুরুত্বর হবে।

৪. আদালত তাহার ইচ্ছাধীন বা বিবেচনামুলক ক্ষমতা বলে রায় প্রদান করিতে পারে এবং চুক্তি বিলুপ্তি হিসেবে দলিল ত্যাগের আদেশ প্রদান করিতে পারে।

৫. দলিলটি জাল বা প্রতারণামুলকভাবে সৃষ্টি হতে হইবে।

৬. আংশিক দলিল বাতিলের বেলায় বাতিলকৃত অংশ অনান্য অংশ হতে সম্পুর্ণ আলাদা হতে হবে।

৭. উক্ত বিষয় অবগত হওয়ার ৩ বছরের মধ্যে মামলা দায়ের করিতে হইবে।

৮. দলিল বাতিলের মামলায় বাদীকে পরিস্কার হাতে আসতে হবে।

** মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( কল করার পূর্বে হোয়াটস্অ্যাপে ম্যাসেজ দিন)

লেখক- আইন বিষয়ক উপন্যাস 'নিরু" এবং 'অসমাপ্ত জবানবন্দী', মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস 'মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'একাত্তরের অবুঝ বালক' ।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৪২

বিটপি বলেছেন: হ্যাঁ

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৮

এম টি উল্লাহ বলেছেন: Thanks

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.