নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাংক ঋণের গ্যারান্টর/তৃতীয় পক্ষ বন্ধক দাতা যখন ঋণ খেলাপি মামলায় পড়েন

৩১ শে মে, ২০২২ বিকাল ৫:১৪


বিভিন্ন প্রয়োজনের ব্যাংক লোন (Bank Loan) নেওয়া হয়ে থাকে। আর লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণের বিপরীতে জামানত হিসাবে জামিনদার বা গ্যারান্টর হিসাবে এক বা একাধিক ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব নিতে হয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ঋণ চুক্তিপত্র না পড়ে, না বুঝে লোন গ্যারান্টারের (Loan Guarantor) কাগজে সই করে দেন অনেককে। পরে ঋণ গ্রহিতার সাথে যখন নিজেও খেলাপি মামলায় পড়ে দিশেহারা হয়ে যান। কারণ,  ঋণখেলাপি হলে গ্যারান্টরের উপরও দায় বর্তায় ঋণ পরিশোধের জন্য এবং সে জন্য গ্যারান্টরও ঋণখেলাপি হন।এমনকি ঋণ গ্রহিতা বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে না পারলে গ্যারেন্টারকে নিজের সম্পতি পর্যন্ত বিক্রি করে তা পরিশোধ করতে হয়। ঋণ গ্রহিতার মৃত্যু হলেও সবসময় গ্যারেন্টার রেহাই পান না। এমন পরিস্থিতিতে ঋণগ্রহীতার লোন অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়।মূল কথা হলো, লোনের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার বিষয়ে গ্যারান্টার দায়বদ্ধতা থাকেই।

তাই ঋণখেলাপি হলে ঋণ আদায়ের জন্য কেবলমাত্র ঋণগ্রহীতা নয় গ্যারান্টরের বিরুদ্ধে মামলা করার বিধান রয়েছে বিদ্যমান অর্থঋণ আদালত আইনে।
অর্থঋণ আদালত আইনের ৬(৫) ধারার বিধানে এ সংক্রান্তে আলোচনা করা হলো। তা হলো-"আর্থিক প্রতিষ্ঠান মূল ঋণ গ্রহীতার (Principal debtor) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সময়, তৃতীয়পক্ষ বন্ধকদাতা (Third party mortgagor) বা তৃতীয়পক্ষ গ্যারান্টর (Third party guarantor) ঋণের সহিত সংশ্লিষ্ট থাকিলে, উহাদিগকে পক্ষ করিবে; এবং আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায়, আদেশ বা ডিক্রি সকল বিবাদীর বিরুদ্ধে  যৌথভাবে ও পৃথক পৃথক ভাবে (jointly and severally) কার্যকর হইবে এবং ডিক্রি জারির মামলা সকল বিবাদী-দায়ীকের  বিরুদ্ধে একই সাথে পরিচালিত হইবেঃ তবে শর্ত থাকে যে, ডিক্রী জারীর মাধ্যমে দাবী আদায় হওয়ার ক্ষেত্রে আদালত প্রথমে মূল ঋন গ্রহীতা-বিবাদীর এবং অতঃপর যথাক্রমে তৃতীয় পক্ষ বন্ধক দাতা (Third party mortgagor) ও তৃতীয় পক্ষ গ্যারান্টর (Third party guarantor) এর সম্পত্তি যতদূর সম্ভব আকৃষ্ট করিবে। "তার মানে ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান প্রথমে ধরবে মূল ঋন গ্রহীতাকে। তার নিকট হইতে যদি টাকা আদায় করা সম্ভব না হয় কিংবা তার বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে নিয়েও ঋণ সমন্বয় না হয় সেক্ষেত্রে ধরা হবে বন্ধক দাতা (Third party mortgagor) ও তৃতীয় পক্ষ গ্যারান্টর (Third party guarantor) কে। সহজ কথায় প্রতিটি ব্যাঙ্ক (Bank)- আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ দেওয়ার সময় টাকা ফেরতের বিষয়টি নিশ্চিত করে নেয়। যে ঋণ দেওয়ার আগে গ্যারান্টার চায় তারা। ঋণের টাকা ফেরত না পেলে গ্যারান্টারকেও ঋণখেলাপি ঘোষণার ক্ষমতা ব্যাঙ্কের আছে এবং  মামলা রুজু করে গ্যারান্টারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে পারে।তাই ঋণের গ্যারান্টর হওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সাবধনতা অতি জরুরি। 

-মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( কল করার পূর্বে হোয়াটস্অ্যাপে ম্যাসেজ দিন)

লেখক- আইন বিষয়ক উপন্যাস 'নিরু" এবং 'অসমাপ্ত জবানবন্দী', মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস 'মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'একাত্তরের অবুঝ বালক' ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.