![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গভীর রাতের বুকচিরে ওঠা অদূরের ক্ষীপ্র তেজের থেকে থেকে ভেসে ওঠা আওয়াজে একটা কথাই আমার অন্তরে প্রতিধ্বনি তোলে, আমি আছি, এখানেই আছি। সামনের বইগুলো আমাকে বলতে থাকে, তুমি আছ, সত্যিই আছ, ঘুমিয়ে পড়তে পড়তে আজানের দীর্ঘায়িত স্বর বলতে থাকে, তুমি শুনছো, সত্যিই শুনছ। মেয়ে, তুমি তিনটি শব্দ বলতে থাকবে, আমি পালাতে থাকব। বুঝে নাও আমাকে।
লোকটার অন্ডথলিটি প্রকান্ডরূপে ফুলে রয়েছে। চতুর্থ মাইক্রোসেকেন্ডেই আমি চোখ সরিয়ে ফেললাম। সেই ভয়াবহ বিভৎস দৃশ্য আমি সহ্য করতে পারলাম নাহ। কোনমতেই নাহ।
বাস থেকে নেমে ফুটপাথ ধরে একা একা হাঁটছি। ঠান্ডার ছুরিগুলো মোটা কাপড় ভেদ করে কেটে কেটে বসছে। আমি সামলাতে চেষ্টা করলাম না পরনের মোটা সোয়েটারটা। ফুটপাথে শুয়ে থাকা কত ভাসমান মানুষ! দেখে মনে হয় পোঁটলা পাকিয়ে জড়বস্তুতে পরিণত হয়েছে।
তখনই দেখলাম!
বয়স কত হবে? পঁচিশ ছাব্বিশ! পা ভাঁজ করে থাকার উপায় নেই। প্রকান্ড বেলুনের মতো অন্ডথলিকে প্যান্ট নামক সভ্যতা আড়াল করতে পারে নি। পারবেও না। গাঁজার নেশায় কাতর চোখ দুটো দেখলে ভয় লাগে। ইচ্ছে হয় ছুটে পালিয়ে যাই। তবুও বিভৎস দৃশ্যের মধ্যে এক ধরণের মাদকতা থাকে। সেই মাদকতাই আটকে রাখছে সেই কালো মানুষটির দিকে।
অন্ডথলির সামনেই লিঙ্গটি খুবই বেমানান, বিভ্যৎসতাকে আরো এক ধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। ভয়াবহভাবে।
লোকটি আগুন পোহাচ্ছিল। পোহাতে থাকুক। মন খারাপ করা মন নিয়ে আমি হাঁটতে থাকি।
©somewhere in net ltd.