কান্না শুধু চোখে নয় বুকেও বহে যায়

৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

আজ এমন এক হৃদয় বিদারক ঘটনা শুনে এতোই খারাপ লাগলো যা শুনে সত্যই আমি কেঁদে দিলাম



রিকসা করে আজ আগ্রাবাদ যাচ্ছি, একজন বৃদ্ধা রিকসা চালক তাকে দেখে আমি তার রিকসায় উঠতে চেইতেছি না। তার কারণ তিনি অনেক মুরব্বি। তার পর তিনি আমাকে বলে; বাবারে তোমরা যদি আমার গাড়িতে না ওঠ, আমি না খেয়ে মরতে হবে। যাই হোক উঠলাম, তারপর তাকে আমি বললাম আপনি এই বয়সে রিকসা চালান কেন, আপনার কী কোন ছেলে মেয়ে নাই?? তিনি বললেন (একটু দীর্ঘশ্বাস নিয়ে...নারে বাবা) আমি আবারো বললাম, বলেন কী! তিনি বললেন ছেলে মেয়ে যদি জন্ম দিয়ে বাবা মাকে শেষ বেলায় না খেয়ে মরতে হয় তাহলে ঐ সন্তান কে স্বীকার করার চেয়ে না করায় উত্তম। আমি বললাম মানি, তারপর শুনলাম তার জীবনের কষ্টের সব কাহিনী তার তিন ছেলে আর এক মেয়ে সবাইকে তিনি এই রিকসা চালিয়ে মানুষ করেছেন, এবং সবচেয়ে বড় কথা হল, সবাই শিক্ষিত মেয়েটা এখন দেশের বাহিরে থাকে, আর ছেলে গুলা সবাই বিয়ে করে আলাদা শুধু তিনি একা তার স্ত্রী ৩ বছর আগে মারা গেছেন। তার পর থেকে তিনি একাকী এই ৭০ বছর বয়সে কোন ছেলে তার খাওয়া থাকার ভার বহণ করতে রাজি না। এবং তাকে তার ঘরবাড়ি থেকে বের করে দিল, তিনি তাদের সাথে থাকলে নাকি তাদের সন্তানদের মান সম্মান নষ্ট হয়ে যাবে, সবাই বলবে তোরা তো রিক্সা চালকের সন্তান। তাই তাকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করলো।



সত্যিই কি নির্মম কাহিনী!!



পৃথিবীটা কত নিষ্ঠুর, কী লাভ তাদের মত সন্তানদের জন্ম দিয়ে, তারা কী শিক্ষা পেল, যে গর্ভ ধারিণী ও জন্মদাতা পিতা কে অস্বীকার করে ? যে মায়ের দুধ পান করে আজকের এই অবস্থান যে বাবার ইনকামের টাকা দিয়ে আমার শরীরের রক্ত মাংস, দামি পোষাক, বন্ধু বান্ধব, ভাল পরিবেশ সব কিছু, সেই মা বাবা কে একটি সুন্দরি বউয়ের জন্য এতো কষ্ট দিয়, ধিক্কার তোদের মত সন্তান কে, ধিক্কার তোদের মত পাষন্ড অমানুষ পশুকে, ধিক্কার তোদের মত কুশিক্ষিত দের।



সাবধান বন্ধরা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় পীর হল মা বাবা সুতরাং কোন ভাবেই যেন মা বাবা কষ্ট না পায় । মা বাবার অবাধ্য সন্তাকে আল্লাহ কোনদিন ক্ষমা করবেন না।



সত্য পাঠক-----

৩ টি +১/-০