নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমালোচনাতে জ্ঞানীর জন্য থাকে শিক্ষা আর মূর্খের জন্য থাকে তর্ক।

তোফায়েল আহমেদ টুটুল

সাহসী আওয়াজ

তোফায়েল আহমেদ টুটুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ষড়রিপু

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

ষড়রিপু
কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-মদ মাৎসর্য্য।
রিপু মানব জীবনের অপরিহার্ষ অংশ,এর নেতিবাচক-ইতিবচক (ভাল-মন্দ) উভয় দিক-ই আছে। এই ষড়রিপু কে মহৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে যেমন বড় বড় মহৎ কার্য সম্পাদন করা যায় এবং মানব জীবনের চরম উদ্দেশ্য ঈশ্বর প্রাপ্তি, সেই ঈশ্বর প্রাপ্তিও সম্ভব হয় তেমনি রিপুর বশীভূত হয়ে রিপুর দাসত্ব করলে মানব জীবনে নেমে আসে চরম অধঃপতন।
কাম রিপু- কাম শব্দের অর্থ কামনা, আবার মনে যে ভাবের উদয় হলে নারী পুরুষের প্রতি ও পুরুষ নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয় তাকেও বলে কাম।
মানুষ যদি কাম রিপুর বশীভূত হয়ে রিপুর গোলামী করে সে চরিত্রহীন হয়, দিগি¦দিক জ্ঞান শুন্য হয়ে অমানুষে পরিণত হয় ও ধর্মহীন হয়ে সে পাষণ্ড হয়, মানব সমাজে তার অপযশ হয় এবং জন্মান্তরে সে পশু যোনী প্রাপ্ত হয়। ষড়রিপুর মধ্যে কাম রিপু-ই সর্বাপেক্ষা দুর্জয় রিপু, কাম রিপু জগৎ কর্তার ভজন-পূজনে বিশেষ বাঁধা স্বরূপ।
কাম শব্দের অর্থ কামনাঃ- কামনা দ্বারায় মানুষ জীবনে বেঁচে থাকার শক্তি পায়, কামনা আছে বলেই মানুষ মানুষকে ভালবাসে ঘর বাঁধে, সংসারধর্ম পালন করে, কামনা আছে বলেই মানুষ ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত ভাবে বড় বড় মহৎ উদ্দেশ্য গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের আপ্রাণ চেষ্টা করে। কাম থেকে ক্রোধের জন্ম আবার কামেতে-ই প্রেমের জন্ম। প্রথম পর্যায়ে মানুষ তার আত্মসুখ কামনায় ঈশ্বর উপাসনায় ব্রতী হয়, পর্যায়ক্রমে যখন আত্মজ্ঞানের উদয় হয়, তখন তাঁর সকল কামনা-বাসনা ঈশ্বরে লীন (মিশে যায়) হয়ে যায়, তখন-ই তার নাম হয়, নিস্কাম প্রেম। এ বিষয়ে ভাবেরগীতে‘ বলা হয়েছেঃ-
যে কাম সাগরে কামনা করেছিল,
কামনার ফলেতে মহৎ আদেশ হল।
প্রেমরস পরশে রে ভাই যার শরীরে। ভাবেরগীত নং- ৩৫৯, কলি-১
মন কাম রিপুর বশীভূত হয়ে ভোগ বিলাসে কামরিপুকে যে ভাবে নিয়োজিত রাখে, তার সামান্যতম অংশ যদি জগৎকর্তার নাম গুণগান, শ্রবণ-কীর্ত্তনে, স্মরণ-মননে, নিয়োজিত রাখতে পারতো তা হলে সহজেই কর্মবন্ধন হতে মুক্ত হয়ে নিত্যধামে গমন করত।
ক্রোধ রিপুঃ- ক্রোধের অপর নাম রাগ। রাগ দুই প্রকারঃ- রাগ এবং অনুরাগ। মানুষ ক্রোধ রিপুর বশবর্তী হয়ে অতিতুচ্ছ বিষয় নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে ফেলে, যার ফলশ্র“তিতে নিজের জীবনে সংসারে সমাজে অশান্তি বয়ে আনে। তাই ক্রোধ কে সম্বরণ করে ধৈর্য্য ধারণ করা জ্ঞানীর পরিচয়। ক্রোধ খুবই দুর্জয় রিপু, ক্রোধ রিপুকে বশীভূত করতে না পারলে জীবনের কোন কাজেই সফলতা আসে না, ক্রোধ রিপুকে বশীভূত করতে হলে ধৈর্য্য, সহনশীলতা ও ক্ষমা গুণের অধিকারী হতে হয়। রাগ হচ্ছে ধ্বংসাত্মক বা ক্ষতিকারক দিক আর অনুরাগ হচ্ছে সৃজনশীলতা ও কোন মহৎ উদ্দেশ্য বা সাধনা বাস্তবায়নের সোপান স্বরূপ। কোন মহৎ কাজে বা সাধনে-ভজনে সফল হতে হলে নিশ্চয় তার অনুরাগ থাকতে হবে,অনুরাগ না থাকলে উপাসনা কার্যের বিপথগামী রিপু-ইন্দ্রিয়কে বশীভূত করা যায় না। মানুষ তার জীবনে রাগের বশবর্তী হয়ে যত কাজ করে তার সামান্যতম যদি অনুরাগের সাথে ঈশ্বর উপাসনায় মনোনিবেশ করতে পারতো তাহলে নিশ্চয় সাধনায় সিদ্ধিলাভ করত।
লোভ রিপুঃ- অতৃপ্ত রসনাকে তৃপ্ত করার ও অপ্রাপ্তি বস্তুকে প্রাপ্তির প্রবল ইচ্ছার নাম লোভ। লোভ খুবই দুর্দমনীয় রিপু, অতিরিক্ত লোভের কারণে মানুষ বিবেকহীন হয়ে মনুষ্যত্ব, ধর্ম-কর্ম হারিয়ে ফেলে। লোভ রিপুকে বশীভূত করতে হলে একান্তভাবে আত্মসংযমী হতে হবে, সংযম অভ্যাস দ্বারা লোভ রিপুকে বশীভূত করা যায়। মানুষ লোভের বশবর্তী হয়ে যত কিছু করে তার সামন্যতম অংশ যদি মালিকের নাম গুণগানের লোভে রসনাকে নিযুক্ত করতে পারতো তা হলে নিশ্চয় মালিকের অসীম কৃপা লাভে সমর্থ হত।
মোহ রিপুঃ- স্বপ্ন দর্শনের ন্যায় অবাস্তবকে বাস্তব মনে করে এবং ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য ক্ষণস্থায়ী কিছু কিছু বিষয়ের উপর ভ্রান্তধারণা পোষন করে তাতে মোহিত হয়ে থাকার নাম মোহ। মানুষ যখন স্বপ্ন দেখে তখন স্বপ্নকে বাস্তবতা জ্ঞানে আনন্দে উল্লসিত হয়, দুঃখে মানষিক কষ্ট অনুভব করে, কিন্তু স্বপ্ন ভেঙে গেলে বুঝতে পারে সব-ই ভূল বা অবাস্তব, তদ্রূপ প্রত্যহ নিজের চোখের সামনে মানুষ মৃত্যু বরণ করছে এবং মানব দেহের শেষ পরিনতি কি তাও প্রত্যক্ষ করছে, তবুও ক্ষণস্থায়ী মানুষ নিজেকে চিরস্থায়ী মনে করে, অহংকারে মত্ত হয়ে সামাজিক অশান্তি সৃষ্টি করে। মোহ রিপুর প্রভাবে আমি যে ক্ষণস্থায়ী এ কথা মানুষের স্মরণ থাকে না। ই্িন্দ্রয় গ্রাহ্য কিছু কিছু বিষয় যেমন খেলা-ধুলা, গান-বাজনা, নাটক-উপন্যাস,ধর্মান্ধতা কু-সংস্কার ইত্যাদিতে বাস্তবতা বোধে তাতে মোহিত হয়ে থাকা, তাছাড়া নেশার মোহ, অর্থ-সম্পদের মোহ, রূপের মোহ, পূরুষের পরস্ত্রীতে মোহ, নারীর পর পূরুষের মোহ এবং অন্যের থেকে নিজেকে অসুখী মনে করে মানষিক কষ্ট ভোগ করাও মোহ রিপুর কাজ, মোহ রিপুর বশীভূত ব্যক্তির অতিদ্রুত নৈতিক স্খলন ঘটে। জ্ঞানীজনের উপদেশ ও সাধুসঙ্গ ছাড়া মোহ রিপু থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। মানুষ মোহের বশবর্তী হয়ে যে ভাবে জীবন অতিবাহিত করে মনে তার সামন্যতম অংশ যদি মানুষকে ভালবাসা ও ঈশ্বরকে পাওয়ার মোহ সৃষ্টি হত তাহলে মানব সমাজে আসত অনাবিল শান্তি এবং ঈশ্বরকে পাওয়ার পথ হত সুগম।
মদ রিপুঃ- মানুষের সাধারণ ভাবে জীবন-যাপন করার মত বিশেষ প্রয়োজনীয় বিষয় বস্তু সমুহ থাকা সত্ত্বেও অতৃপ্ত মন অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষী হওয়ায় মনের সে অস্থিরতা, ‘আরও চাই আরও চাই’ ভাব তার নাম মদ রিপু। মদরিপু হচ্ছে কাম-ক্রোধ-লোভের অতি মাত্রায় বহিঃ প্রকাশ। মদরিপুর বশবর্তী মানুষের সাধারণত ইশ্বরে ভক্তি থাকে না, তার অতিদ্রত মতভ্রম ঘটে এবং এক পর্যায়ে মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হয়। মদরিপু থেকে মুক্তি পেতে হলে সমাজের উচুতলার ধনী লোকের দিকে নজর না দিয়ে,গরীব-দুঃখী ও শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধীদের দিকে গভীরভাবে মনযোগ নিবন্ধ করলে ক্রমে-ক্রমে মদরিপু থেকে মুক্তি পাওয়া যাই। মানুষ মদ রিপুর বশবর্তী হয়ে যে ভাবে জীবন-যাপন করে তার সামান্যতম যদি ধর্ম-কর্ম ও ঈশ্বরের প্রতি নিবন্ধ করে তাহলে সহজেই মানুষের মত মানুষ হওয়া যায় ও মালিকের চরণ লাভে সমর্থ হয়।
মাৎসর্য্য রিপুঃ- অন্যের ভাল সহ্য করতে না পারা এবং অতি আপন জনকেও অযথা সন্দেহের চোখে দেখা মাৎসর্য্য রিপুর কাজ। মাৎসর্য্য রিপুর বশবর্তী মানুষ অন্যের ভাল সহ্য করতে না পারার কারণে অপরের দুঃখে আনন্দিত হয় অপরের আনন্দে হিংসা হয় এবং মনেমনে অপরের অনিষ্ট চিন্তা করে, দেহ মন বাক্য দ্বারা কুট-কৌশলে অপরের ক্ষতি সাধন করে। মাৎসর্য্য রিপুর বশবর্তী মানুষ এতই কুটিল স্বভাবের হয় যে, সে অতি আপন জনের ভালও সহ্য করতে পারে না এবং তার ক্ষতি সাধন করতে দ্বিধাবোধ করে না। মাৎসর্য্য রিপুর বশবর্তী মানুষের ধর্মে কর্মে বিশ্বাস থাকে না এবং জীবনে কোন কাজে দীর্ঘস্থায়ী সফলতা পায় না। একমাত্র গুরুর উপদেশ ও সাধু সঙ্গ ব্যতিত মাৎসর্য্য রিপু কোন ভাবেই বশীভূত হয় না। মানুষ যে ভাবে মাৎসর্য্য রিপুর বশবর্তী হয়ে অন্যের অনিষ্ঠ চিন্তা করে তার সামান্যতম যদি নিজের অন্তরের কৃ-প্রবৃত্তি গুলোর অনিষ্ঠ চিন্তা করতো তাহলে নিশ্চয় মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটতো এবং জগৎ কর্তার ভজন-পুজনের পথ সুগম হত ও মানব জীবন ধন্য হত।
সংগৃহীত লেখা অনুসারে নিচে আমার প্রয়াস কবিতা ।

ষড়রিপুর পুজারী
তোফায়েল আহমেদ টুটুল

ষড়রিপুর মন্ত্রণা বিবেক বোধে দ্বীদ্ধা দন্ধ
বিশ্বলয়ে খেলছে মানুষ জীবন নিয়ে অন্ধ
কামে মত্ত সদা ক্ষয় করিল স্বাধের যৌবন
ক্রোধের দাবানলে দগ্ধ হয়ে পুড়ে সর্বক্ষণ
মোহান্ধে রুপের নেশায় মরিচিকার পিছে
লোভের থাবায় শক্তি ক্ষমতার দম্ভ মিছে

মদে উম্মাদ দিবানিশি ধনী গরীব প্রভেদ
মাৎসর্য মনের মাঝে জাত ধর্মের নিষেধ
কি অর্জন আর কি বর্জনে ষড়রিপু দমন
ভাল মন্দ নির্বাচনে জ্ঞানের সাধন ভজন
পঞ্চ ইন্দ্র জয় করিতে নিত্য আত্মসংযম
ইবাদতে আরাধনায় সন্তুষ্ট চিত্তে রয় পরম

অথই জলে মানিক মিলে হইলেরে ডুবুরী
ধ্যানে জ্ঞানে পাবি কলবে মাওলার বাড়ি
ধর্মতলে মাথা গুজে মসজিদে দৌড়াদড়ি
মন্দির গীর্জায় প্রসাদ ভোগের কাড়াকাড়ি
হাত উঠাইয়া মোনাজাতে চাইছে ভিখারী
কি আজব মানব জীবন ষড়রিপুর পুজারী

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০০

সনেট কবি বলেছেন: কবিতা ভাল হয়েছে তবে কিছু বানান ভুল আছে।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৩

সনেট কবি বলেছেন:




কবি তোফায়েল আহমদ টুটুল

মনে জাগা কথাগুলো প্রকাশ নিমিত্তে
ভাষা খোঁজে অহরহ দূরন্ত চেতনা
মনে জাগে অভিলাষ জানাতে অপরে
মনকোনে লুকায়িত চিন্তার আধাঁর।
তোফায়েল আহমদ টুটুল হে কবি
দেখলাম আপনার কবিতা সমগ্র
উড়ু উড়ু কবি মনে কত কি প্রত্যাশা
যতনেতে গেঁথেছেন ভাবের রতন।

পৃথিবীতে নানামতে বিভক্ত মানুষ
আপনার ভক্ত হবে সকলে কি আর?
ভাললেখা পেলে তবে পড়বে অনেকে।
ক্রমাগত লিখে যান মনের আনন্দে
একদিন হয়তবা পাবেন স্বীকৃতি
পরিশ্রমে মিলে শেষে কাঙ্খিত সাফল্য।

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:০৮

তোফায়েল আহমেদ টুটুল বলেছেন: অবুঝ শিষ্য

গুরু হয়ে ভক্ত খুঁজা বোকামির কাজ,
শিষ্য আমি শিক্ষালয়ে নেই ভয় লাজ।
গুরুর গুরত্ব আছে শিষ্যের নিকট,
উকৃষ্ট গুরু পাওয়া মহা সংকট।
গুরুর কৃপায় ভক্ত সোনার মানুষ,
জ্ঞানের দরজা খোলে হৃদয়ের হুশ।
সাধু গুরু মুনী ঋষী ব্যক্তির কৃতিত্ব,
বিশ্বাস ভক্তিতে মিলে শিষ্যের অস্থিত্ব।

গুরুর আদেশ শিষ্য মাথা পেতে নিলে,
মানব বাগানে বৃক্ষ সাজে ফুলে ফলে।
গুরুর সম্মানে নত ঐ মস্তিষ্ক শির,
আর্শিবাদ শিষ্যে খুঁজে চরণ ধূলির।
শ্রদ্ধা ভক্তিতে সম্মান মর্যাদা রচনা,
গুরুদেবের পাওনা ভক্তের দক্ষিণা।

৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

সনেট কবি বলেছেন:



কবি তোফায়েল আহমদ টুটুল

প্রতিভার পরিচয় সকলে মিলেনা
জহুরীর চোখ চিনে সঠিক রতন
তোফায়েল আহমদ টুটুল হে কবি
জহুরীর দেখা পেলে পাবেন স্বীকৃতি।
আল্লাহর স্মরণেতে থাকেন সর্বদা
তাঁর যদি দয়া হয় ভাগ্যের দুয়ার
এমনিতে খুলে যাবে অনেক সহজে
তাঁর দয়া অপেক্ষাতে আমিও যে আছি।

উপেক্ষায় কত রত্ন পায়নি কদর
অনেকেই পেয়েছেন মরন পরেতে
ভাগ্যগুণে অনেকেই আসেন নজরে।
কিকরার আছে আর মনুষ্যে করার
অপারগ জন বাঁচে প্রভুর কৃপায়
সে কৃপার সন্ধানেতে চলুক প্রচেষ্টা।

৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

তোফায়েল আহমেদ টুটুল বলেছেন: মানিক রতন

মানিকে মানিক চিনে রতনে রতন,
জহুরীর হাতে থাকে সঠিক যতন।
চিক চিক করে বালি কিরণে রবির,
সোনা ভেবে ভুল বুঝে কুঁড়াতে অস্থির।
পিতলের ধাতু দিয়ে গড়িয়ে গহনা,
হাতের কাঁকন বালা অঙ্গতে পড়েনা।
ক্ষুদ্র মুক্তার দানায় নাকের নোলক,
ময়লা আবর্জনাতে কারিবে পলক।

পথে ঘাটে ধূলি মাঝে করে অনুসন্ধান,
অমূল্য রতন মিলে রয়েছে প্রমাণ।
ভাল মন্দ ন্যায় নীতি আসল নকল,
রাজার রাজ্য হারায় প্রাসাদ মহল।
জীবন মহা সঙ্কটে ঠিকানা অজানা,
জ্ঞানীর নিকট জ্ঞান মূল্য ষোল আনা।



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.