![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা মানৃষের জন্য। শিক্ষা ছাড়াও মানুষ বাঁচে। শিক্ষা তিন প্রকার
১ - পারিবারিক শিক্ষা
২ - প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা
৩ - ধর্মীয় শিক্ষা
তবে সব থেকে বড় শিক্ষা হল পারিবারিক শিক্ষা । আমাদের দেশের মধ্য এই শিক্ষার অভাবেই আজ দেশ জাতি খারাপ।
মানুষের শিক্ষার হাতখড়ি পরিবার থেকে হয় । কথা বার্তা আচার ব্যবহার চাল চলন সব কিছুই মানুষ পরিবার থেকে পায়।
যুবক কিংবা যুবতি খারাপ পথে পা বাড়ায় তাও ঐ পরিবারের হাত ধরে । কিশোর কিশোরী বয়সে যখন পরিবারের বাইরে সমাজে তাদের বিচরণ শুরু হয় তখন অনেক ভুল ত্রুটি তারা করে ফেলে যা পরিবারের দৃষ্টিগোচর না হলেও সমাজের হয় । কিন্তু তাদেরকে সমাজ কিছু বলতে পারেনা কারণ তারা তখন পরিবারের দাপটে বিষাক্ত ফনা তুলে । আবার তাদের হয়ে পরিবার সমাজের সাথে লড়াই করে ।
সমাজ কারো ভালো করতে শাসন করলে কিছু কিছু পরিবার সমাজের বিরুদ্ধেও ক্ষমতা প্রয়োগ করে ।
একসময় আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন রাস্তা ঘাটে হাটে মাঠে চাল চলনে আচার ব্যবহারে কোন ভুল ভ্রান্তি করলে বয়োজৈষ্ঠ্য গন শাসন করতেন সে পরিবারের কেউ নয় । আমরা তাদের সম্মান শ্রদ্ধা করতাম । আমাদের সমাজের কেউ শাসন করলে কখনো পরিবারে বিচার দিতাম না । বরং আরো ভয়ে ভয়ে থাকতাম যদি পরিবারে আমাদের ভুলগুলো কেউ বিচার দেয় ।
আমরাইতো এক প্রজন্মে পরিবার ও সমাজকে যেভাবে দেখেছি আজ আমরা পরিবারের কর্তা হয়ে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এসব কি করছি । আমরাই আমাদের সন্তানকে ভালবাসি নাকি আমাদের সমাজও ভালবাসে । তাহলে সমাজের কেউ আমাদের সন্তানকে শাসন করতে পারবেনা কেন ?
যেমন ধরেন আমার বোনকে কোন ছেলে ইভটিজিং করল সেটা আমি প্রতিষ্ঠানে বিচার দিবনা দিব তার পরিবারে। আমি যদি সেই ছেলেটাকে অন্যায়ের জন্য শাসন করি বা আঘাত করি তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্টান আমার উপর প্রতিশোধ গ্রহন করবেনা বরং আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে সম্মান জানাবে। কিন্তু ছেলেটার পরিবার আমাকে শাস্তি দিবে পারলে আমার বোনেরও ক্ষতি করবে শুধুমাত্র ছেলেকে শাসন করার জন্য। কিন্তু একবারও ভেবে দেখবেনা নিজের সন্তান কি অপরাধী কিনা।
বাস্তবতা আপনি আমি সবাই দেখছি জোর যার মুল্লৃক তার।
আমি আবারও বলি আজকের প্রজন্ম দিন দিন খারাপ হওয়ার পিছনে শুধু মাত্র পরিবার দায়ী।
আজকের প্রজন্ম বাবা মায়ের যত্নে গড়া আদরেরর দুলাল নাকি অবহেলায় গড়া ফসকে যাওয়া দুরন্ত ঘোড়া।
লিখলে সারাদিন লেখা যাবে। বুঝে শুনে দুলাইন লিখলেও সার্থক হবে।
আজ আমরা লেখা পড়া করি শিক্ষিত হই সম্পদ অর্জন করি সন্তান মানুষ করি শুধু ভালভাবে জীবন যাপন করার জন্য৷কিন্ত বাস করতে হয় খুবই আতংকের মাঝে৷কিন্ত কেন?
যারা সমাজকে নিয়ে খেলছে তারা কারা?
কোন সমাজের বাইরে তাদের বাস?
একবার ভাবুন সমাজের দোষ দিয়ে মানুষের অবহেলাই তাদের শক্তি ।আপনার সাথে বাস করে আপনাকে জিম্মি করেই তারা সমাজে অপরাধ করে । আপনার অবহেলার সমাজে সুযোগ পেয়ে আপনার সন্তানতে অপহরন খুন করে ।
আপনি পরিশ্রম করে ভাল থাকার যে স্বপ্ন নিয়ে বাচতে চান সেখানে সমাজটাও গড়তে আপনাকেই ভাবতে হব । আপনাকেই সুন্দর সুশীল ও ভদ্র সমাজ গঠনের চিন্তা করতে হবে ।
আপনার সন্তান যেন সুস্থ সুন্দর ভাবে পথ চলতে পারে ।
আর যেন কোন মেয়ে ধর্ষণের শিকার নাহয় ।
কোন ছেলে মাদকাসক্ত সন্ত্রাস খুনি নাহয় ।
সবকিছুর জন্য সমাজটাকেই আগে গড়তে হবে । সমাজের দোষ না দিয়ে ময়লা আর্বজনার মত খারাপ মানুষগুলোকেই দমন করতে হবে। আর দেরি না করে শুরু করেন সবাইকে নিয়ে ।
সন্তানদেরকে নিরাপদ রাখতে একটা সমাজই যথেষ্ট৷সন্তানের জন্য বাড়ি গাড়ি টাকা পয়সা অর্জনের চেষ্টা যেমন প্রয়োজন সুষ্ঠ সমাজটাও প্রয়োজন৷তানাহলে আপনি যে সন্তানের ভবিষৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখেন সেও ভুলপথে চলে গিয়ে নিজের ও পরিবারের কলঙ্ক রচনার সুচনা করবে সমাজেরি জন্য।
আপনার সন্তানকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না দিলেও সে সন্মান নিয়ে বাঁচতে পারবে। কিন্তু পারিবারিক ও ধর্মীয় শিক্ষা ব্যতীত বাঁচতে পারবেনা।
মানুষ সামাজিক জীব । সমাজ বদ্ধ হয়ে বাস করাই মানুষের স্বভাব । প্রাকৃতিক নিয়মে কোন সমাজ গড়ে উঠেনা মানুষই সমাজকে গড়ে তোলে । ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মানব সমাজের অনেকবার উথ্হান পত্তন হয়েছে । কখনো অত্যাচারী জমিদারের শোষন থেকে বাচতে মানুষ নতুন সমাজ গড়তে একত্রিত হয়েছে আবার কখনো সামাজিক অপরাধ দমন করতে একত্র হয়েছে ।
সমাজ কিন্তু মানুষকে কিছুই দেয়নি বরং মানুষই সমাজ থেকে সকল অন্যায় অত্যাচার অপরাধ সবকিছু দমন করে সমাজে মানুষ বসবাসের উপযোগী করে গড়ে রাখার চেষ্টা করেছে । আমরা আদো সেই সমাজেই বাস করি ।
বর্তমানে তিন চতর্থাংশ মানুষ বলে সমাজটা কি হল?
তাদের নিকট আমার প্রশ্ন কি হয়েছে আপনার?
কোন সমাজ মানুষকে নিয়ে এসেছে বাস করার জন্য না মানুষ সমাজে বাস করতে চায়?
আজ আমাদের সমাজে মাদক দ্রব্য থেকে শুরু করে খুন খারাপির মত জঘন্য কার্যকলার চলছে । সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ চোর ডাকাত অপহরন ছিনতাই ধর্ষণ সব চলছে আমাদের সমাজে । আর মানুষগুলো সমাজের দোষ দিয়ে সেগুলো জেনেশুনে চুপচাপ বসে আছে ।
মানুষ কেন এমন করছে?
প্রতিটা মানুষের কি আলাদা আলাদা সমাজ হবেনাকি?
সমাজের প্রয়োজনে মানুষ নয় বরং মানুষের প্রয়োজনে সমাজকে গড়েছে মানুষ বারবার ।
এই কথাগুলো সবাই জানে।
শিক্ষা কখনো মানুষকে খারাপ বানায় না।
মানুষের সবথেকে বড় সমস্যা হল নিজের দোষ অন্যর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া।
শিক্ষা কোন ছেলের হাতে পিস্তল দেয়নি।
যে বাবা মা সন্তান স্কুলে পাঠিয়ে খবর নেয়নি ছেলেটা বাহিরে বের হয়ে কি করছে কোথায় যাচ্ছে সে ছেলেগুলোই সমাজের জন্য আতঙ্ক হয়ে উঠেছে।
যে বাবা মা খোজ নিয়ে দেখেনা একটা কুমারি মেয়ে সংসারে কিভাবে আর্থিক যোগান দিচ্ছে।
সেই মেয়েটাই একদিন সবকিছু বিসর্জন দিয়ে পতিতা তৈরি হচ্ছে।
সবই আপনারা জানেন।
আমি বলব যতদিন মানুষ নিজের মূল্যবোধ দায়িত্ব কর্তব্য, সম্পর্কে না শোধরাবে ততদিন প্রজন্মের পর প্রজন্ম খারাপ হবে।
যে পিতা সন্তান জন্ম দিয়ে মনে করে ভাল ভাল খাবার মুখে তুলে সুন্দর সুন্দর আধুনিক পোশাক দিয়ে ভাবে এটাই বুঝি সন্তানের প্রতি দায়িত্ব।
যে মা সন্তান গর্ভে নিয়ে লালন পালনের সময় ভাল মন্দ না বুঝে সন্তানের চাহিদা মিটিয়ে দিচ্ছে। মা অবশ্য জানে সন্তান কখন কোথায় কোন খারা দিকে চলছে।
আমি বলব প্রতিটা সন্তান যা কিছু করে সবি তার পরিবার জানে স্কুল কলেজ নয়।
আজ আমাদের প্রজন্মকে ভাল পথে আনতে হলে কোন প্রতিষ্ঠান দোষারোপ করে নয় পরিবারকে শোধরাতে হবে। পরিবারকে বুজতে হবে। যে পরিবারের সুখ শান্তির জন্য হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করলেন সে পরিবারের সদস্যদের ভাল মন্দ খোজ না রাখার জন্য আজ এ অবস্হা।
আমরা সবাই পরিবারে জন্মেছি এবং পরিবারের পরিচয়েই সমাজে প্রথম পরিচয় ঘটেছে । শিক্ষার মাধ্যমে হয়ত আমরা শুধু পরিচয়ের ব্যক্তিগত সম্মান ও মর্যাদাটুকু একটু অর্জন করতে পারি ।
২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৩৭
তোফায়েল আহমেদ টুটুল বলেছেন: আপনার মতামত একদম সঠিক ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৫৫
বজ্রকুমার বলেছেন: পরিবারের কর্তাদের হাতেই ছোটদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার চাবি রয়েছি তাই পরিবারের কর্তা সচেতন হলে সুন্দর সমাজ গড়ে উঠবে।