নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমালোচনাতে জ্ঞানীর জন্য থাকে শিক্ষা আর মূর্খের জন্য থাকে তর্ক।

তোফায়েল আহমেদ টুটুল

সাহসী আওয়াজ

তোফায়েল আহমেদ টুটুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামী গণতন্ত্র

১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৩১

ইসলাম ধর্মের অনুসারী মুসলিম জাতির অনেকেই হয়ত জানেনা গণতন্ত্রের সূচনা ইসলামের মাধ্যমে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর ঐশি বাণী আসমানী কিতাব নাযিল করেছেন শুধুমাত্র মানুষের হেদায়েতের জন্য। যুগে যুগে নবী রাসুলদের নিকট অর্পিত দায়িত্ব দ্বারা মানুষের মঙ্গল ও কল্যাণের পথে আহব্বান করেছেন এবং সয়ং আল্লাহ সংবিধান আকারে কিতাব নাযিল করেছেন। সর্বশেষ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) এর মাধ্যমে ইসলামকে পরিপূর্ণ করেছেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদের ( সাঃ) এর উপর নাযিলকৃত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ট কিতাব পবিত্র মহাগ্রন্থ আল কুরআন।
পবিত্র কুরআনে একাধিক সূরায় একাধিক আয়াতে গণতন্ত্রের কথা প্রকাশ পেয়েছে।
" আকিমুস ছালাত ওয়াতুজ যাকাত "
অর্থাৎ নামাজ কায়েম কর যাকাত প্রদান কর।
আল্লাহর সংবিধান পবিত্র কুরআনের এই যাকাতই হল গণতন্ত্রের মূল বক্তব্য।
যেসকল গবেষনার মাধ্যমে আজ বিশ্বে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে তাদের মতামত ও সংজ্ঞাগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় সকলেই পবিত্র কুরআন গবেষণা করেই সকলে
গণতন্ত্র বিষয়ে মতামত প্রকাশ করেছেন।
বর্তমান বিশ্বে গণতন্ত্রের সর্বোত্তম সংজ্ঞা যিনি প্রদান করেছেন
এবং সর্বজন গৃহীত হয়েছে তিনি আমেরিকার তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন তাঁর গেটিসবার্গ এড্রেস-এ বলেছিলেন,
গণতন্ত্র জনগণের সরকার,
জনগণের দ্বারা গঠিত সরকার এবং
জনগণের জন্য সরকার।
এখানে সরকার শব্দের অর্থ প্রতিনিধি। মহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টির পূর্বেই মানুষকে প্রতিনিধি হিসাবে নিয়ুক্ত করছেন।
জণগনের প্রতিনিধিতো তিনিই হতে পারেন যিনি জণগণের মৌলিক অধিকারের কথা চিন্তা ভাবনা করেন।
জণগন দ্বারাতো তিনিই নির্বাচিত হতে পারেন যিনার নিকট জণগনের অধিকার নিশ্চিত রয়েছে।
এবার আপনি চিন্তা করেন আব্রাহাম লিংকন ইসলামের যাকাত ব্যবস্থাকে কিভাবে আমাদের জন্য উপস্থাপন করে গেছেন।
সকল ধন সম্পদের মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ ধনী হল শুধুমাত্র তার বাহক। গরীবের প্রতিনিধি হিসাবে সয়ং আল্লাহ ধনীকে নিযুক্ত করেছেন। এবং অধিকার নিশ্চিত করেছেন। গণতন্ত্রের মূল কাঠামো ইসলামের দ্বারাই উৎপত্তি ঘটেছে।
সংগৃহীত আলোচনা :
গণতন্ত্র সম্পর্কে বিভিন্ন জন বিভিন্ন অভিব্যক্তি প্রকাশ করে থাকেন। শুধু তাই নয়, সারা বিশ্ব আজ গণতন্ত্রের প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। অনেকে বলেন, প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীতে গণতন্ত্র বা জনগণের শাসন বলে কিছু নেই। তাদের মতে, ‘গণতন্ত্র’ একটি মুখরোচক শব্দ ছাড়া আর কিছুই নয়। পৃথিবীর কোথাও জনগণের শাসন আছে বলে তারা মনে করেন না। আসলে জনগণের নামে গুটিকয়েক ব্যক্তিই রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালনা করে থাকেন বলে তাঁরা মনে করেন। জনগণের অধিকার শুধু ভোট দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। ভোটের পরে শাসনকার্য পরিচালনায় জনগণের কোনো ভূমিকা আছে বলে তারা মনে করেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, গণতন্ত্র এমন একটি সরকার যেখানে প্রত্যেক সদস্যের অংশগ্রহণ রয়েছে। এ অংশগ্রহণ কথাটিও বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। এখন দেখা যাক, গণতান্ত্রিক সরকার বা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় কিভাবে জনগণ সরকার পরিচালনায় বা শাসনকার্যে অংশগ্রহণ করে। আজ থেকে হাজার হাজার বছর পূর্বে প্রাচীন গ্রিস এবং রোমের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নগর রাষ্ট্রগুলোতে (City State) অতিমাত্রায় ক্ষুদ্র আয়তন এবং স্বল্প জনসংখ্যার কারণে সভা-সমিতির মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সরাসরি জনগণের মতামত নেওয়া সম্ভব হয়েছিল। এটাকে প্রত্যক্ষ বা বিশুদ্ধ গণতন্ত্র বলা হয়। কালের পরিক্রমায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রাচীন যুগের নগর রাষ্ট্রের বিলুপ্তি ঘটেছে। আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার জনক ম্যাকিয়াভেলি ষোড়শ শতাব্দীতে আধুনিক জাতীয় রাষ্ট্রের (National State) গোড়াপত্তন করেন। এ জাতীয় রাষ্ট্রের বিশাল আয়তন এবং বিপুল জনসংখ্যাহেতু প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র সম্ভব নয়। তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই জনগণের কল্যাণে রাষ্ট্রীয় শাসনকার্য পরিচালনা করেন। এ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরই জন অভিমত বা জনগণের কণ্ঠস্বর বলে মনে করা হয়। তারা নির্বাচিত হয়ে জনগণের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করবে বলে আশা করা হয়। এটাকে পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র বলা হয়। এ প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাই আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার ভিত্তি। তবে অষ্টাদশ শতাব্দীর ফরাসি রাষ্ট্র-দার্শনিক রুশো পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক সরকার বলতে নারাজ। কারণ, তিনি মনে করেন, জন প্রতিনিধিরা মূলত জনস্বার্থে কাজ না করে তাদের আত্মস্বার্থ রক্ষার্থে শাসনকার্য পরিচালনা করেন। তাই তিনি প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে সমর্থন দিয়েছেন। যে ব্যবস্থায় জনস্বার্থ সুরক্ষিত থাকে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক অ্যারিস্টটলের শিক্ষাগুরু প্লেটো গণতান্ত্রিক সরকার বা শাসন ব্যবস্থাকে সবচেয়ে অযোগ্যের শাসন বা সরকার ব্যবস্থা বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর মতে, যেহেতু গণতন্ত্র বেশির ভাগ জনগোষ্ঠীর দ্বারা পরিচালিত শাসন ব্যবস্থা, সেহেতু গণতন্ত্র কখনো উন্নতমানের শাসন ব্যবস্থা হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। কারণ, প্রত্যেক রাষ্ট্রেই বিদ্বান, সুপণ্ডিত এবং যোগ্য লোকের তুলনায় অযোগ্য, অশিক্ষিত এবং অজ্ঞ লোকের সংখ্যাই বেশি। সুতরাং বেশিরভাগ জনগোষ্ঠীর শাসন মানেই প্রকারান্তরে অযোগ্যের শাসন। যেখানে মুড়ি- মিশ্রি একদামে বিক্রি হয়। মাথা গণনার দ্বারা সবকিছু নির্ধারিত হয়। তাঁর মতে, গণতন্ত্র সংখ্যায় বিশ্বাসী, গুণে নয়। তাই গণতন্ত্র কখনো উন্নতমানের শাসন ব্যবস্থা হতে পারে না। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক অ্যারিস্টটলও গণতন্ত্রকে স্বাগত জানাতে পারেননি। শুধু তাই নয়, তিনি গণতন্ত্রের বিকৃত রূপ জনতাতন্ত্রের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করে দিয়েছেন।চলবে................

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.