![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শত্রুরাষ্ট্র ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র । ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের পর থেকে ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরের ষোল তারিখ পর্যন্ত ওয়াশিংটনের মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর , ইসলামাবাদস্থ মার্কিন দূতাবাস , দিল্লিস্থ মার্কিন দূতাবাস এবং লাহোর , কোলাকাতা , ঢাকার উপদূতাবাসসমূহের সাথে যে গোপন চিঠি , 'স্মারকপত্র' আদান প্রদান করেছে , বর্তমানে যা মেরিল্যান্ড ন্যাশনাল আর্কাইভের গোপন সুরক্ষিত কুঠুরি থেকে বিশ্ববাসীর সম্মুখে প্রকাশিত হয়েছে , তা দেখে আমাদের এই সিদ্ধান্তে আসতে অসুবিধা হয় না যে ,আমাদের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পেছনের শক্তি ও সাহস যোগানদাতা হিসেবে তারাই পালন করেছিলেন মূল ভূমিকা । তাদের হাতেই ছিল মূল চাবি-কাঠি ( মার্কিন প্রশাসনের কথা বলছি , সাধারণ মার্কিন নাগরিক বা মার্কিন মিডিয়ার কথা বলিনি ) --- (সূত্র- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বহির্বিশ্বে শত্রু-মিত্র )
আসল কথা হল , মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পক্ষে ছিল না , এখন নাই এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না । মার্কিন প্রশাসন এবং মার্কিন প্রশাসনের মদদপুষ্ট মানবাধিকার সংস্থাগুলো যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ করছে এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবী করছে তার পেছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল সরকার প্রধান রিচার্ড নিক্সন এবং হেনরি কিসিঞ্জারের ভূমিকার কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আদালতে ইয়াহিয়ার পাশাপাশি নিক্সনের মরণোত্তর বিচার , কিসিঞ্জারের জীবদ্দশায় বিচার চাইতেই পারে । বিচার চাওয়াটা অযৌক্তিক না বরং যৌক্তিক, খুবই যৌক্তিক । মার্কিনিরা নিশ্চয় তা হতে দেবে না । নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই তারা বিচার হতে দেবে না এবং এটা নিয়ে উল্টা-পাল্টা কথা বলবে এটাই তো স্বাভাবিক । সোজা হিসাব , ওদের কথায় কান দেওয়ার টাইম নেই আমাদের । ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মাকে আমরা আর কষ্ট পেতে দিতে পারি না । বিচার আমাদের করতেই হবে যে কোন মূল্যেই হোক । পরাধীন দেশে আমারা যখন মুক্তির জন্য পাগল ছিলাম , তখন মার্কিন প্রশাসন যখন আমাদের পাশে দাঁড়াইনি উল্টা শত্রুতা করেছে , তাতে কি আমাদের বিজয় আটকে গিয়েছিল নাকি ? স্বাধীন দেশে দেশদ্রোহীদের বিচার করার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন সমর্থন না দিলে বিচার আটকে থাকবে নাকি ? তা নিশ্চয় না । তাছাড়া মার্কিনিদের পররাষ্ট্রনীতি খুবই খারাপ । মানবতার পক্ষে ওরা কখনোই দাঁড়ায় না । ওদের দিকে তাকিয়ে থাকার কিছু নাই ।
এখন একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলি । অনেকেরই ধারণা আমারিকার দয়ায় বাংলাদেশ বেঁচে আছে , আমেরিকা বাংলাদেশকে সাহায্য করে উল্টে দেয় । বিষয়টা কিন্তু মোটেও তা না । আমারিকা বাংলাদেশকে সে অর্থে সাহায্য করে না । হিলারি আর বিলাই ক্লিনটন সাহেব বস্তায় করে ইউএস ডলার এনে দেয় না । আমরা পরিশ্রম করে উপার্জন করি । আমাদের প্রবাসিরা উপার্জন করেন , আমাদের ফ্রী ল্যান্সাররা উপার্জন করেন । আমাদের পোষাক শ্রমিকরা কষ্ট করে পোষাক তৈরী করে দেন । সেই পোষাক পরেই হিলারিরা এক অর্থে বাংলাদেশের বিরোধীতা করেন । আমরা ওদের দয়ায় বাঁচি না বরং ওরাই আমাদের দয়ায় বেঁচে আছে । এত সস্তায় এত দক্ষ শ্রম পৃথিবীর আর কোন দেশে পাবে ?
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ভূমিকা-
আমার দৃষ্টিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কোন মানবাধিকার সংস্থা না , এটা মানবাধিকার হরণকারী সংস্থা । মানবাধিকার শব্দটার অর্থ সবচেয়ে কম বোঝে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের হর্তা-কর্তারা । যদি তা-ই না হবে তাহলে ওরা কীভাবে গু আজমের পক্ষ নেয় ? কীভাবে একের পর এক বিচার বাধাগ্রস্থ ষড়যন্ত্র করে ? জামাতের থেকে ওরা কত টাকা খেয়েছে এটা একটু তদন্ত করে দেখা দরকার । যারা বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তো ১৯৭৮ সালে অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের পরে প্রতিষ্ঠিত তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলব যে এর জন্ম যদি মুক্তিযুদ্ধের আগে হত তাও তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার যুদ্ধ বলে চালিয়ে দিত । কোথায় ছিল মানবাধিকার যখন ত্রিশ লাখ তাজা প্রাণ বিনা দোষে ঝরে গিয়েছিল ? যখন দু লক্ষ বোনের সম্ভ্রমহানি হয়েছিল ? কোথায় ছিল মানবাধিকার যখন এক কোটি মানুষকে শরণার্থী হতে হয়েছিল ? তখন কি 'মানবাধিকার' শব্দটা পৃথিবীর অভিধান থেকে উঠে গিয়েছিল নাকি ?
R.I.P The Economist ( লন্ডনভিত্তিক জামাতি লিফলেট ) , R.I.P Human Rights Watch
ট্যাকাটুকা খাওয়া বন্ধ কইর্যা , মানবতা-মানবাধিকার শব্দগুলার অর্থ ঠিকঠাক মত শিইখ্যা তারপরে আসিস যুদ্ধাপরাধের বিচারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে । তোদের দিকে তাকানোর সময় এবং ইচ্ছা কোনটাই আমাদের নাই । আমারা তোদের দোসরদের বিচার করবই । ত্রিশ লক্ষ শহীদ প্রাণ দিয়ে যে দেশটাকে স্বাধীন করেছেন সে দেশে রাজাকার, আলবদর , খুনী , ধর্ষকদের বিচার হবে , হতেই হবে । ইকোনমিস্ট আর হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বইস্যা চিন্তা কর তোদের বাপের কবর কোন দেশে দিবি ? পাকিস্তানে নাকি আম্রিকায় ? যাহ ভাগ ...
©somewhere in net ltd.