![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সামহোয়্যার ইন ব্লগের ব্লগার হিসাবে নিবেদিত প্রাণ যারা" প্রসঙ্গে ঃ আমার বক্তব্য টি সংযোযন করলাম ;- ব্লগার যাযাবর বেদুইন-কে বলছি ; "আপনার পোষ্ট পড়ে অন্তত কিছু "সু-শীল ব্লগার হস্তীদের" চিনতে পারলাম, এই-সব "সু-শীল হস্তী" বা রাঘব-বোয়ালদের কারনেই হয়তো আমাদের লেখার সাথে সম্পৃক্ত ছবিগুলো "সু-শীল ব্লগার হস্তীদের" মত বা "রাঘব-বোয়ালদের লেখার মত লেখার পূর্ব-লাইনে সংযোযন করা হয়-না ; -যেমন তাদের পোষ্টে সংযোযন করা হয় এবং "সু-শীল ব্লগার হস্তীদের" সাদা-বিষের ছোবলে সত্যের সন্ধ্যানীদের জন্য আমাদের লেখা-গুলো প্রথম পাতা থেকে বাদ-দেয়া হয় অথবা মুছে ফেলা-হয় , বন্ধ করে দেয়া হয় অন্যান্য পাঠকদের জন্য পড়ার লিংক ! ধন্যবাদ আপনাকে "যাযাবর বেদুইন" !
আগে পূরোটা পড়ুন এবং কোথায় সংঘাত-প্রয়াসী এবং উস্কানীমূলক বিষয় আছে অথবা সমালোচনামূলক না হয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ হয়েছে তা উল্যেক করে আমার লেখা « মা হতে না পারার অভিশপ্ত ও নির্বংশ হওয়ার কাহিনী » প্রথম পাতা থেকে বাদ-দিন । মতামত প্রকাশের প্রথম সর্ত ঃ - « Tout individu a droit à la liberté d'opinion et d'expression, ce qui implique le droit de ne pas être inquiété pour ses opinions et celui de chercher, de recevoir et de répandre, sans considérations de frontières, les informations et les idées par quelque moyen d'expression que ce soit. »
« Tout individu a droit à la liberté d'opinion et d'expression, ce qui implique le droit de ne pas être inquiété pour ses opinions et celui de chercher, de recevoir et de répandre, sans considérations de frontières, les informations et les idées par quelque moyen d'expression que ce soit. »
আমার মা বলতেন "যে সংসারে কোন মেয়ে নাই সে সংসারে আল্লাহ"র ফেরেস্তা প্রবেশ করে-না" ! মা"র এই কথা থেকে আমি একটা কথা আবিস্কার করেছি "মাতা-পিতার কাছে কোন মেয়ে নাই , নাই কোন ছেলে-ও , তাদের কাছে সবাই হলো সন্তান" ! যে মাতা-পিতা নিজ সন্তানদের "ছেলে" "মেয়ে" বলে আলাদা করে পরিচয় দেন তারা যেন নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মেরে নিজ সংসারটাকেই দুই ভাগ করে দিলো এবং তা বর্নবাদীতার সমান অপরাধ !
"এরকম বিব্রতকর পরিস্থিতির জন্য ঐ অ-শ্লীল "মায়েরা"ই দ্বায়ী" শিরোনামের নিবন্ধটিতে যে ভুল গুলি আমি করেছি সে ভুলের মাসুল আমি আমার আজকের এই নিবন্ধটিতে তুলে ধরবো ! গড়ে বাংলাশের ৯৯ % মা , ৯৫ % পিতা এবং পৃথিবীর ৮৫ % মা এবং ৭৫ % পিতা জানেন-না "কি-করে "কি-ভাবে অন্যের কাছে , সমাজের কাছে নিজ-নিজ মেয়ে অথবা ছেলেকে পরিচয় করিয়ে দিবেন ? এ হীন-মন্যতা ছিলো সম্ভবত মানব যুগের শুরু থেকেই এবং তা আজকের এই সভ্য যগৎএ-ও একই ভাবে উপস্থিত আছে ! এ প্রসঙ্গে আমি বলতে চাই ঃ -শিশু জন্ম দিতে পারলেই মাতা-পিতা হওয়া যায়-না , বা কর্তব্য এবং দ্বায়িত্ব পালন শেষ হয়ে গেল-না , তার জন্য চাই ত্যাগ শ্বীকার , অনেক ত্যাগ শ্বীকার ! এই ত্যাগ শ্বীকার করতে পারেন নাই বলেই রাজা বাদশা-দের বেগম বা রানী সাহেবা-গন "মা" হতে পারেন নাই , তারা শুধু মা হতে না পারার অপরাধেই অপরাধী নয় , আমার কাছে আজ তারা বংশ নির্বংশ হওয়ার অপরাধে অপরাধী ! আমেরিকার ৭০ % মা , ইউরোপের ৮৫ % মহিলা যে কারনে আজ-ও মা হতে পারেন-নাই , অথচ তারা সবাই এক বা একের অধিক সন্তান জন্ম দিয়েছেন ! শিশু জন্ম দিয়ে-ও রানী সাহেবা-গন কেন মা হতে পারেন নাই ? তার জবাবে আমি বলবো ; -রানী সাহেবা-গন সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন ঠিক কিন্তু কর্ম তারা করেন নাই ! তারা তাদের নিজ স্বার্থ রখ্যায় ব্যাস্ত থাকতেন প্রতিনিয়ত , যৌবনের লোভ-লালসায় সারাখ্যন নিজেকে ব্যাস্ত রেখে সন্তানের প্রতি "মা" এর কর্তব্য এবং দ্বায়িত্ব পালনে তারা ছিলেন যথেষ্ট কৃপন ও স্বার্থপর , ছিলেন তারা "পাপিষ্ট" এবং খুব"ই দ্রুত "শয়তান" , ফলে দুধ-মা নামে এক নিষ্ঠুর নতুন এক দাস প্রথার ব্যাবস্থা চালু করলেন তারা "রাজ-শক্তির" মাধ্যমে , রাজা ঘোষনা করলেন "দুধ-মা"র সন্ধ্যান চাই , উজির সাহেবরা দুধ-মা খুজে-ও পেল ! কিন্তু কি-ভাবে , "দুধ-মা" কি গাছে ধরে , জমিতে ফলে , না মাছ ধরার জাল দিয়ে নদী থেকে ধরা যায় ? বুকে দুধ আছে এমন সব মহিলা-গন"ই তো "দুধ-মা" হবেন ? এখানে-ও প্রশ্ন আসে চাইলেই কি "দুধ-মা" হওয়া যায় ? যায় না , সদ্য সন্তান জন্ম দিয়েছেন এমন মহিলাদের "বুকে"ই দুধ আছে অথবা সদ্য জন্ম নেয়া সন্তানের মার বুকে"ই তো দুধ আছে সুতরাং তার মার বুকের দুদ-তো সে নিজেই খাবে এবং এটা নব-জাতক শিশুর জন্ম-গত অধিকার ! কিন্তু আজকের মত তখন-ও খমতা"ই ছিলো "অধিকার"! বর্তমানের মতই রাজাদের আমলে-ও আল্লাহ"র ফেরেস্তা-গন-ও খমতাধরদের হয়ে"ই সব কাজ করতো , বর্তমানে যেমন করছে ফেরেস্তা-গন খমতা দখল কারীদের দফাদারী ! তাই উজির সাহেবরা কখন-ও পয়সা দিয়ে কিনে , কখন-ও জোর করে আবার কখন-ও নব-জাতকদের খুন করে রাজার সন্তানদের জন্য "দুধ-মা"র ব্যাবস্থা করতো , করা হতো ! পাপ বাপকে-ও ছাড়ে-না , আজকের পাপীদের-ও যেমন ছাড়বে-না ! রাজা-বাদশাহ দের বংশ-পরিচয় আজ কোথায় ? খুজে পান কোথাও কোন রাজ-পরিবারের বংশধর ( রাজ-পরিবারের বংশধর বলতে আমি সেই যুগের রাজ-পরিবারদের কথা বলছি যারা গনতন্ত্রের উর্ধে ছিলেন , যেমন ; - "ফেরাউন" "রোমান সম্রাজ্য" , « ক্লিওপেট্রা » « ভার্সাই রেভুলেশন-পূর্ব ফ্রাঁন্সের রাজ-পরিবার , ইত্যাদি ইত্যাদি ! বর্তমানে যাঁরা বা যে রাজ-পরিবার-গন আছেন তাঁদের কথা বলছি-না , কারন তাঁরা গনতন্ত্রের উপর বিশ্বাষ রেখে খমতার নামে তাসের সিংহাসনে বসে আছেন , তার পর-ও যদি লেবার পার্টি খমতায় আসে তা"হলে তাদের সেই তাসের সিংহাসন-ও চুড়মাড় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে , যেমন ; লেবার পার্টি থেকে আসা বৃটিনের সাবেক প্রধান মন্ত্রী "টনি ব্লেলের" রাজ পরিবারকে "ইনকাম-টেক্স" দেয়ার জন্য বাদ্য করতে চেয়েছিলো , তার মধ্যে উল্যেখযোগ্য "রানী এলিজাবেত-২" সহ "হলান্ড , "বেলজিয়াম , "ডেনমার্ক , "সুইডেন , "স্পেন দেশ সমুহ ) ? আছে কোথা-ও কোন জীবিত সেই আলালের ঘড়ের দুলালদের কোন খোজ-খবর ? এমন-কি ফ্রাঁন্সের সেই শক্তী-ধর রাজা লুই-কেত্রোজ ( রাজা - ১৪ ) , যিনি দাবী করতেন সূর্যের সাথে কথা বলেন সেই "সূর্য-রাজা"র-ও কোন বংশধরের সংবাদ ? নাই , যদি-ও সেই-সব দুলালদের কোন অপরাধ ছিলো-না , তারা হয়েছিলো মাতা-পিতার অপরাধে অপরাধী , মাতা-পিতার অভিশপ্ত জীবনের কারনে তাদের নিঃস্পাপ জীবন-ও হয়ে উঠেছিলো অভিশপ্ত , হয়েছে আজ তারা বিলুপ্ত ! বিলুপ্ত রাজ-পরিবার , বিলুপ্ত আজ রাজ-পরিবারের বংশধর ! এই গেল মা হতে না পারার অভিশপ্ত ও নির্বংশ হওয়ার কাহিনী ।
কথায় বলে "যুগের সাথে সব পাল্টে যায়" , আসলে কি কথাটা সত্য ? মোটে-ও কথাটা সত্য নয় ! "যুগের সাথে রূপ পাল্টায়" , মূল বিষয়টার কোন পরিবর্তন হয়-না , বাস্তব একটা প্রশ্ন করছি এবং তার জবাব আমি দিয়ে লেখা শেষ করবো , রাজা বাদশা বা রানী সাহেবা-গনদের আমলে যে নিষ্ঠুরতা ছিলো তা থেকে এখন কি কোন অংশে নিষ্ঠুরতার পরিমান কমেছে ? কমে নাই বরং বেড়েছে , যেমন আমরা বলি "দাশ-প্রথার বিলুপ্তি ঘটেছে" , আসলে কি আজ আর দাশ-প্রথা নাই ? অবশ্বই আছে , শুধু ব্যাবস্থার রূপ পাল্টিয়েছে অথবা পরিবর্তন ঘটেছে ! আগে দাশ-দাশী একেবারে কিনে নেয়া হতো আর এখন ঘন্টা দিন বা মাসিক হিসাবে নিয়োগ করি ( কি-ভাবে করা হয় সে বিষয়ে অন্য একদিন আলোচনা করবো ) , তেমনি ভাবেই রানী সাহেবা-গন দের সন্তান লালন-পালন ব্যাবস্থাটার-ও রূপ পাল্টিয়েছে অথবা পরিবর্তন ঘটেছে যা আজ আমরা দেখতে পাই আমেরিকার ৭০ % মা , ইউরোপের ৮৫ % মহিলাদের মধ্যে , এমন কি আমাদের বাংলদেশে-ও শুরু হয়েছে বেশ কয়েক যুগ আগেই এবং যে কারনে আজ-ও তারা মা হতে পারছেন-না , পারেন-নাই "মা" হতে ! কেন পারেন নাই "মা" হতে , তার কারন কর্তব্য এবং দ্বায়িত্বের মধ্যে যে মূল বিষয়টা আছে তার কোন পরিবর্তন হয়-নাই ! শুধু "যুগের সাথে রূপের পরিবর্তন ঘটেছে মাত্র , তা-ছারা নতুন কিছুই হয় নাই ! বাজারে আজ অনেক কিছুই পাওয়া যায় , পাওয়া যায় মায়ের দুধের বিকল্প অনেক কিছুই , তাই এখন আর "দুধ মা" কিনতে হয় না বটে কিন্তু মা থেকে সন্তান আলাদা করার ব্যাবস্থা প্রচুর পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে , বৃদ্ধি পেয়েছে মা থেকে সন্তান আলাদা করার কারন সমূহ-ও , তার মধ্যে সর্ব-প্রধান হলো "ক্যারিয়ার", তারপর আছে চাকুরী , পড়া-লেখা এবং বসের মন জয় করাতো আর ভুলা যায়-না ? বাংলাদেশে কাজের মেয়ের অভাব নাই , পাওয়া-ও যায় বেশ সস্তায় , কিন্তু আমেরিকা বা ইউরোপে এতো সস্তায় কাজের মেয়ে পাওয়া সম্ভব নয় , একটা কাজের মেয়ে রাখা মানে "নিন্মতম বেতন" অর্থাৎ আমি যে হারে "নিন্মতম বেতন" পাবো সে হারেই আমার কাজের মেয়েকে-ও বেতন দিতে হবে , তার মানে "পকেট টু পকেট" , যা কামাবো তা"ই দিয়ে দিতে হবে ! তা"হলে আমার সংসার চলবে কি করে ? আমার সংসার ঠিক"ই চলবে ! চলবে মানে ? ঘুষ খেয়ে ? কিন্তু এ-সব দেশে তো সন্মানীয়-ঘুষের ব্যাবস্থা নাই ? ঘুষের ব্যাবস্থা নাই ঠিক কিন্তু অন্য রকম ব্যাবস্থা আছে , তা হলো সঙ্গ-বদ্ধ ভাবে বাচ্চা রাখার ব্যাবস্থা , সরকারী , বে-সরকারী , এমন কি পারিবারিক ভাবে , যার যার সমর্থ অনুযায়ী নিজ শিশু ভাড়া রাখার ব্যাবস্থা করবেন বা করা যায় এবং এ-ভাবেই চলছে আমাদের আধুনিক সমাজ দেশ এবং পৃথিবী ! তা"হলে "যুগের সাথে সব পাল্টে যায়" বা গেল কোথায় ? কোন কিছুই পাল্টে যায় নাই , পাল্টিয়েছে শুধু রূপ ! কিন্তু নিষ্ঠুরতা বেড়েছে যান্ত্রীক ভাবে , আগে কিনা হতো দুধ-মা , সন্তান থাকতো চোখের সামনে আর এখন মেয়ে হোক ছেলে হোক দৃষ্টির আড়াল করে ঘড় থেকে বের করে দেয়া হয় ! সন্তানদের বয়স ১৮ বছর হলে তো স্থায়ী ভাবেই বাড়ী ছাড়া করে দেয়া হয় যদি-ও কোন খাদ্য সংস্থার ব্যাবস্থা করার কোন সমর্থ না থাকে নিজের"ই জন্ম দেয়া সন্তানদের ! তার ফল-ও হয় অত্যান্ত ভয়াবহ ! পিতা-মাতার কাছ থেকে বিতারিত হওয়া ঐ সব সন্তান এক সময় নিজ পায়ে দাড়ায় প্রতিষ্টিত হয় সমাজে দেশে কিন্তু রাখে-না কোন খোজ-খবর সেই বর্বর পিতা-মাতার । এক দিন দমকল বাহিনী এসে সেই নিষ্ঠুর পিতা অথবা মাতার শুকনো লাশ বের করেন খালি ঘড় থেকে , কে-জানে কবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে ? অথবা পাড়া প্রতিবেশী পুলিশ কে ফোন করেছে পাশের বাড়ী থেকে আসা "পচা-গন্ধ" পেয়ে ! তাই আমি বলেছি শিশু জন্ম দিতে পারলেই মাতা-পিতা হওয়া যায়-না , শুধু বুকের দুধ খাওয়ালেই "মা" এর কর্তব্য এবং দ্বায়িত্ব পালন শেষ হয়ে গেল-না বা মা হওয়া যায়-না , তার জন্য চাই ত্যাগ শ্বীকার , অনেক ত্যাগ শ্বীকার ! তা"ই বা কি-করে সম্ভব ? আজ-কাল তো মা-দের কাছ থেকে সন্তান কে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর সুযোগটাই কেড়ে নিয়েছি "অন-লাইনের" মাধ্যমে !
©somewhere in net ltd.