নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিজ্ঞতা!

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬

ঘটনা ১ঃ
একটা অভিজ্ঞতার কথা না লিখলে চলে না। আমি প্রতিদিন মালিবাগ রেলগেইট থেকে অফিসের পথে রিক্সায় চলি, এখনাকার অনেক রিক্সাচালক আমাকে চিনেন, ফলে ভাড়া বলতেও হয় না, উনারা আমাকে দেখলেই হুডতুলে বলেন, চলেন! মোটামুটি ১০/১২ জনের সাথে এমনি পরিচয় হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহধরে (আমিও সময় আগে পিছে করছি) দেখি এখানে আরো অনেক রিক্সাচালক, পুরানোদের কাউকে না পেলে নূতনদের জিজ্ঞেস করতে হয়। আমি অবাক হয়ে খেয়াল করলাম, এই নূতন (আমার কাছে) চালকেরা ৪০/৫০টাকা ভাড়া চাইছেন, আমার মনে খটকা লাগে, আমি ৬০টাকাই বলে উঠে ভাড়া দেই, হেসে বলি কম চাইছেন কেন!

পথে গত কয়েকদিনে কয়েকজনের সাথে এভাবে কথা হল, কেন ভাড়া কম চাইছেন? প্রায় উত্তর হচ্ছে, এখন রিক্সা চড়ার লোক পাচ্ছেন না, ঘন্টা ধরে বসে আছেন, ভাড়া নেই, ফলে কম চাইছেন যেন ভাড়া মিস না হয়! আবার গতকয়েক দিনে এমন হয়েছে, অফিসের সামনে নেমে ১০০টাকার নোট দিলে, ৪০টাকা ফেরত দিতে পারছেন না, তখন প্রায় বেলা ১১টা। জানতে চাইলাম, সকাল থেকে ভাড়া পান নাই। গত দুই দুইজন জানালেন, আমিই নাকি তাদের প্রথম যাত্রী, সকাল থেকে আর ভাড়া পান নাই! আজকের জন ১০০টাকার নোট নিয়ে প্রায় ১০জন সামনে পড়া রিক্সাচালকে ভাংতির জন্য জিজ্ঞেস করলেন, কেহ দিতে পারলো না! পরে আমি জানতে চাইলাম, সকালে নাস্তা করেছেন, স্বলাজ হাসিতে বললেন, না! আমি উনাকে বাকী টাকায় নাস্তা করার জন্য বলে অফিসের দিকে চললাম!

গত পরশু বা তারো আগের দিন, পুরানো পরিচিত একজনের সাথে কথা হচ্ছিলো, তিনি জানালেন এখন ১ হাজার টাকা উঠাতে ১২ ঘন্টার বেশী রিক্সা চালাতে হচ্ছে, অনেকদিন তাও হয় না, আরো জানালেন, এত টানা রিক্সা চালানো সহজ নয়, শরীরে সায় দেয় না!

বুঝতে পারছি না, মাথা মাঝে মাঝেই আউলাইয়া যাচ্ছে!


ঘটনা ২
আমাদের টাকা কিভাবে শুন্য হচ্ছে, আসেন আমার নিজের উপর দিয়েই উদাহরণ দেই! ধরেন আমার মাসিক ইনকাম ৭০ হাজার টাকা ছিল বা হত, কিছু সঞ্চয় আছে। গত বছরও ইনকামের টাকা দিয়ে কোনমতে সংসার চালিয়ে পার পেয়ে যেতাম (আহমরি চলা একে বলে), সামান্য লাগলেও এদিক সেদিক থেকে তা ম্যানেজ করে ফেলতাম। এখন আর এই টাকা দিয়ে আগের মত সংসার চালানো সম্ভব না, এখন সব মিলিয়ে ৮০/৯০ হাজার টাকা লাগেই, বিশেষ করে আগের মত বাজার না করেও (হিসাব চাইয়েন না, আগের চেয়ে এখন অনেক কম খরচ করেও তাল পাই না), শিক্ষা খরচ, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও বাজার দ্বিগুন হয়েছে, এদিকে বরকতও গেছে মনে হয়! আবার মাসে ৫/১০ হাজারের একটা উটকা ঝামেলা আছেই, না বলার উপায় নেই, ঈদচাদ তো আছেই!

এখন বাস্তবতা হচ্ছে মাসে ৫০ হাজারের বেশি ইনকাম হচ্ছে না, কোন মাসে আরো কম (এটা মধ্য মানের ব্যবসাহীরা বুঝতে পারবে), তা হলে বাকী টাকা কোথায় পাচ্ছি! হ্যাঁ, লজ্জায় কাউকে কিছু না বলে সঞ্চয় ভেঙ্গে ফেলছি, ভূর্তুকিটা সঞ্চয় থেকে আসছে, মানে পুঁজি হারাচ্ছি! খরচ বৃদ্ধির জন্য আমাদের মত পরিবার গুলো সঞ্চয় হারিয়ে ফেলছে এবং ভেতরে ভেতরে ভয়ে মরেই যাচ্ছে, এটা দেখার কেহ নাই বা কাউকে বলাও যায় না! আমরা যারা বিশ্বাসী, তারা বিধাতার কাছে হাত তুলে ক্ষমা চাইছি! বিকল্প বা অন্যায় পথে যেহেতু আমাদের পক্ষে রোজগার করা সম্ভব না, ফলে আর কি করা যায়! কিন্তু পরিনাম ভয়াবহ তা বুঝতেই পারছি এক্ষুনি! টাকা শুন্য হতে আর দেরী নেই!

অভ্যন্তরীণ বাজার কিংবা খরচ ব্যবস্থা স্থিতিশীল না হলে কোন ব্যবসাই টিকে থাকতে পারে না!

* কিছু ছালবাল এসে বলতে পারেন, গ্রামে চলে যান, এমন পরামর্শ যারা বলবেন, আমি তাদের বলবো আপনাদের মনধনগান অভিজ্ঞতা কিছুই নাই, দুনিয়াতে এসেছেন মাত্র গরম ভাত সাইজ করতে!

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:০০

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: আমার এলাকায় রিকসা ভাড়া দ্বিগুন হয়ে গেছে। রিকসা ভাড়া বাঁচাতে মাঝে মাঝে বাসে ঝুলে যাই, হেটে যাই ।

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:০১

শেরজা তপন বলেছেন: বিষয়টা ভাবনার। যারা সত্যি কারের সমস্যার মধ্যে আছেন তারাই সেভাবে অনুধাবন করতে পারছেন বিষয়টা।
আমাদের এলাকায় রিকশা চালকদের দৌরত্ব বেড়ে গিয়েছিল অনেকটা ইচ্ছেমত ভাড়া হাকাচ্ছিল তারা।এখন এত বেশি অটো রিকশাচালক এসেছে -যে যেকোন ভাড়ায় তারা যেতে রাজি হচ্ছে!

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:


বাসা থেকে অফিস কত দুরে?

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

কামাল১৮ বলেছেন: সাইকেল চালু হলে, রিকশার আগে যাওয়া যাবে।টাকাও বাজবে।

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৫৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: গার্মেন্টস শ্রমিকরাও দেখলাম বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করছে। আমার মনে হয় যারা বিদেশে আছে তারাই শ্বান্তিতে আছে, কিন্তু অনেকেই বলে বিদেশেও নাকি শ্বান্তি নেই। আসলে এই দুনিয়াতেই শ্বান্তি নেই, তাই আমার মাঝে মাঝে মনে হয় অন্য গ্রহে চলে যাই।

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:১৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভারত, মালয়েসিয়া , ইন্দোনেশিয়া , থাইল্যন্ড ইত্যাদি দেশে জিনিষপত্রের দাম প্রায় বাংলাদেশের অর্ধেক। টাকার মান দিনকে দিন কমার কারনেই এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি জনগনের সমস্যা্কে হাইলাইট না করে কিসের মহাবেশ করছে তারাই জানে!!

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: দেশে একমাত্র বেকাররা কোনো আন্দলোন করছে না।

৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৪৫

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: আমাদের পড়াশোনার ধরনই এমন যে তা আমাদের কোন প্রকার দক্ষতা বাড়ায় না। বিদেশে সবাই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয় না, সবার তা দরকারও নেই। বরং সেখানে জোর দেয়া হয় কারিগরী শিক্ষায়।

আমাদের মানসিকতাও এমন যে আমরা কাজের মাঝে জাত পাত খুজে বেড়াই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার বিপরীতে কারিগরী শিক্ষা যেন খুব মানহানিকর কিছু। গতানুগতিক চিন্তার বাইরেও আমরা যেতে পারিনা কারন গোড়াতেই যে গলদ। আমাদের শিক্ষা তো আমাদের চিন্তা করতে শেখায় না, গভীরভাবে বিশ্লেষন করতে শেখায় না, শুধু শেখায়, না বুঝে মুখস্ত করাকে।

ফলে নিজের মূল আয়ের পাশাপাশি বিকল্প আয়ের জন্য যে কিছু করব, সে দক্ষতাও আমাদের নেই। তবে এর পরও ঠ্যালার নাম বাবাজী বলে কথা। আমার বিশ্বাস, আমরা বাংলাদেশীরা নাছোড় বান্দা টাইপ মানুষ। সমস্যার গভীর থেকেই সম্ভাবনা বের হয়ে আসবে। ইনসাআল্লাহ্।

৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:১০

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি পোষ্ট দেয়ার পর, ভাত রান্নায় লেগে গেছেন?

১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:৩১

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: হা হা :) :) :) । @সোনাগাজী আপনার কমেন্ট নিয়ে আপত্তির অন্ত নেই, কিন্ত আপনার মত satirical humour কমেন্ট খুব কমই দেখি।

১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৭

মিরোরডডল বলেছেন:




রিকশা চালানো খুবই কষ্টসাধ্য পরিশ্রমের কাজ।
এমনিতেই আমার তাদের জন্য খুব মায়া লাগে।
প্রথম ঘটনায় যা বলা হলো, শুনে কষ্ট লাগলো।
এমন হলে তাদের চলে কিভাবে, বাঁচবে কিভাবে!

১২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আমার বাসা স্কুলের পাশে হওয়াতে রিকসা ভাড়া একটু বেশি থাকে। তবে রিকসাওয়ালারা আগে যেমন অতিরিক্ত ভাড়া ছাড়া যাবে না এই ত্যাড়া ভাব আর দেখায় না।
সব কিছুর দামই এখন লাগাম ছাড়া। একদিন বাজারের এক মুদি দোকানদার বললো, আপা আমার দোকান হতে দুইজন নিয়মিত মালমাল ক্রয় করতো-কিন্তু দুইজনের বেতন অধেক দেয়। তাই তারা মাত্র কয়েকটি জিনিস ক্রয় করে।
যারা চাকুরীজীবি অথবা ব্যবসা করে- সকলের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য যে বাসা ভাড়া, বাজার, সন্তানের লেখাপড়া ---সব মিলিয়ে একটা বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে।
আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.