![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জহিরুল ইসলাম ভাইএর ভ্রমণবিলাসী পোষ্টগুলো দেখে আমি অহর্নিশ হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরি।আহহ হারে কি সুন্দর পকেটের টাকা ফু করে কত সহজেই সামুতে হিট হওয়া যায়।তার উপর নিজের বিনোদনটুকু এক্কেরে ফাউ ফাউ পাওয়া যায়।
আমিও হিট হবার এমন অভিনব কৌশল মনে মনে হাতড়ে বেড়াচ্ছিলাম।হঠাত করেই একখানা সুযোগ মিলে গেল।কয়েক বান্ধবী মিলে দুতিনদিনের জন্যে বান্দরবান যাওয়ার প্লান। সবার চোখের সামনে বান্দরবানের পাহাড় ঠিলা আর গাছের পাতায় রোদের রোশনাইর ঝকমকারি আর আমার সামনে আমার মায়ের ভয়াল মুখখানি।তাকে ম্যানেজ করার জন্যে ভ্রমণের ফজিলত সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান আহরণ করতে লাগলাম।এতদিন ধরে হিন্দি সিরিয়াল দেখে দেখে ছলাকলার যত কৌশল শিখেছিলাম তার সবটুকুন একত্রিত করে মায়ের কাছে ঘুরতে যাবার বায়নাখানা পাড়তেই তিনি আকর্ণমুলে জ্বলে উঠলেন।আমার রক্তশূন্য মুখেরদিকে ফিরে বললেন, "আগে পা দুখানা গজাক তারপর যেখানে খুশি যাস"।অসংখ্য কথার ফাকে এটুকু জানিয়ে দিতে ভুললেন না যে পুরুষ মানুষ ছাড়া শুধু মেয়েরা দুইতিনদিন বাড়ির বাইরে থাকতে পারে এ নাকি সে তার বাপের জনমেও শোনেননাই।
আমি আমার হতাশাপূর্ণ চোখদুটিকে আরও করুন করে আমার অচল পাদুটির দিকে অসহায়ের মত তাকিয়ে রইলাম।খুব নীরবে পৃথিবীর বুকে আরেকটু দুখের বাতাস ভারী করে হিট হবার ইচ্ছেখানা সেবারের মত শিকেয় তুলে রাখলাম।
কিন্তু আমাকে আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নাই।হঠাত বাসাতে এক খালাত বোন এল।উদ্দেশ্য আরেক খালাত বোনকে দেখতে কুমুদিনি মেডিকেল কলেজে যাব।এবার মাকে বোঝালাম বেলায় বেলায় রওয়ানা দিলে ওদিকে বেলা থাকতেই বাড়ি ফিরে আসতে পারব।সন্ধ্যা পার হবেনা এই মর্মে স্বীকারোক্তি দান করে চললাম আমার স্বপ্ন পূরনের দ্বারে।
ট্রাফিক জ্যামের ফাকফোকর গলে বাসের পিছনে দৌড়াইতে দৌড়াইতে দুইবোন উত্তরা হতে বাসে উঠলাম গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।আহ আমার বহু প্রত্যাশিত ভ্রমন।বাস ছুটে চলছে রাজধানীকে পিছনে ফেলে একে বেকে সর্পিল ভঙ্গিমায় এগিয়ে যাওয়া পথখানি ধরে।কখনো শম্বুক গতিতে,কখনো থেমে কিংবা কখন রেগে গিয়ে ঝড়ের গতিতে শত শত বাসের মধ্য দিয়ে নিজেকে পাড়ি দিচ্ছে সে।আমি নিমগ্ন ভাবনায় লক্ষ করি এ চলা যেন চারপাশের চাপে নুয়ে পড়া এক জীবন,সে চলছে হাজারও বাধাবিপত্তি পেরিয়ে।মেঘমেদুর পৃথিবীর ঝড়ঝাপ্টার দুর্দমনীয় পথখানা কেবলি তাকে থামিয়ে দিতে চাচ্ছে।আর সে ছুটে চলছে।
আমি আমার সাহিত্যিক জীবনের বিশাল প্রতিভা দিয়ে বাস আর জীবন রহস্য নিয়ে নিমগ্ন তখনই বাসের হুইসেলে কিংবা হেলপার মামার মিষ্টি মধুর কোকিল কন্ঠে আমার চৈতন্যদয় ঘটল।"আফা ভাড়াডা দ্যান"।
"কত?"জানতে চাইলে সে পঞ্চাশটাকার ভাড়া নির্দ্বিধায় একশটাকা চেয়ে বসল।দুইবোন ক্ষণিকের জন্যে একে অন্যের মুখখানা দেখে নিলাম,চেহারায় কোন প্রব্লেম আছে কিনা?নাহ!কোথাওতো কোন বোকা বোকা ভাব নেই বেশ সুন্দর ভাসা ভাসা হরিণি চোখ,পেলব গাল আর সিক্ত ঠোটদুখানা।তাইলে সমস্যা কোথায়?দ্বিগুন ভাড়া কেন চাইল?গলায় সমগ্র গাম্ভীর্য এনে বললাম"রোজ রোজ তো ৫০টাকা দিয়েই আসা যাওয়া হয়"।
আমার কথা শুনে মামুজান রহস্যময় ভঙ্গিতে হাসলেন যেন্ তিনি তার দিব্যচোখে মনুষ্য জগতে সদ্য উঠে আসা কোন প্রাণীকে দেখছেন। মায়ের বলা সেই কৃত্রিম পা দুখানাকে বড্ড মিস করলাম।সাথে সাথে বুঝলাম আমাদের সমাজে নারী জাতির অসহায়ত্ব আর সেই পায়ের মুল্যমান।
অবশেষে ঝটিকা বাসের দৌড়াত্মে এসে নামলাম টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার বাইপাস এলাকায়।তারপর রিক্সা যোগে এসে পৌছে গেলাম লৌহজং নদীর তীর ঘেষে দাঁড়িয়ে থাকা দেশের শহরতলীতে গড়েওঠা যেকোন হাসপাতালের চেয়ে বড় এবং অত্যাধুনিক হাসপাতাল"কুমুদিনি হাসপাতাল এন্ড কলেজ"এ।
চারপাশে কুয়াশার চাদরে ঢাকা প্রবেশ পথ।
রায় বাহাদুর রনদা প্রসাদ সাহা টাংগাইল শহরের কয়েক মাইল দূরে মির্জাপুরের তিনি বাসিন্দা।
তিনি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে সরকারকে সাপ্লাই্ দেবার কাজ করে অনেক সম্পদ অর্জন করেন এবং পরে নারায়নগঞ্জে পাটের কলে বেশ সফলতা লাভ করেন। তিনি "কুমুদিনি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অফ বেঙ্গল" নামে একটি ট্রাস্ট সৃষ্টি করেন। ১৯৪৩সালে শ্রীমতি শোভা সুন্দরীর নামে একটি হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করেন।পরবর্তিতে ২৭ জুলাই ১৯৪৪সালে ২০ বেডের এই হাসপাতালটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। দুই প্রতিষ্ঠানেই গরীবদের কোন খরচ দিতে হত না। সেবা, যন্ত্রপাতি, ভবন, পরিচ্ছন্নতা – সবকিছুরই উচ্চমান এবং উপযুক্ত কর্মচারি ও তাদের নিষ্ঠা যে কাউকে আভিভূত করবে।মেয়েদের আধুনিক মানের শিক্ষা দেওয়ার জন্যে ১৯৪৪ সালে ভারতেশ্বরী হোমস স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। হায়, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ থেকে এই উদার মানুষও রক্ষা পান নাই।
কুমুদিনি হাসপাতাল;
পরবর্তীতে মেয়েদের চিকিতসা বিদ্যায় পারদর্শী করার জন্যে ২০০১ সালে মেডিকেল কলেজ খোলা হয়।যদিও তা কেবল দেশের ধনীর দুলালীদের জন্যেই স্বীকৃত।
সেবায় আত্মনিয়োগকৃত চিকিতসকদের প্রমোদবিলাস যেখানে তারা তাদের বউ বাচ্চাদের নিয়ে সুখে দিনাতিপাত করেন।
কুমুদিনির বিশাল পুকুরে ভাসমান প্রমোদতরী,তবে বিনোদনের জন্যে নয়।এতে করে পুকুর থেকে মাছ ধরা হয় এবং তা মেডিকেল হোস্টেলের ছাত্রীদের জন্যে বরাদ্দ।
বলাবাহুল্য এখানকার ছাত্রীদের মাছ ছাড়া মাংস দেওয়া হয়না বিশেষত গরুর মাংস।
কুমুদিনির সব্জিবাগান।এদের খাবারে বরাদ্দকৃত সব্জিটুকু নিজেদের বাগান থেকেই আহরণ করা হয়।
কুমুদিনির মত পরিচ্ছন্ন হাসপাতালের পরিবেশ আমার চোখে আর কোথাও পড়েনাই।
সেদিন বাসায় ফিরতে ফিরতে রাস্তার জ্যামে বসে দেখলাম দিনের আলো মুছে গিয়ে কিভাবে কুয়াশার আবরণ গভীর হয়ে ক্রমশ চারপাশের গাছপালা আর ঘরবাড়িকে নিজের গহবরে ঢেকে নিচ্ছে।তারমানে বুঝতেই পারছেন সেদিন বাসায় ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত আসি আসি করছিল।কিন্তু আমার লক্ষ্মী মামনি একটা বকাও আমায় দেয়নাই।
সবশেষে জহির ভাইয়ের কাছে মাফ চেয়ে নিচ্ছি।কারণ আমার এই পোষ্টখানা দেখলে তিনি নির্ঘাত বলে বসবেন হাতি ঘোড়া গেল তল ব্যাং(মারইয়াম)ব বলে কত জল।হা হা হা।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪৪
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: া হা হা ।কি ভালো সেটাত বললেন না?
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩০
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট।
ভ্রমন নিয়ে অসম্ভব সুন্দর বয়ান।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪৬
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: আমি আজ সগর্ভে বলে যাই এর কারিগরি নির্দেশনায় ছিলেন আশরাফুল ইসলাম দূর্জয়।ধন্যবাদ ভাইজান আমাকে এতটা হেল্প করার জন্যে।
৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৭
গাধা মানব বলেছেন: +++++++++++++++++
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪৭
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: ধন্যবাদ মানব গাধা।
৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৮
চর্যা পদ বলেছেন: পরিচিত কিছু জায়গার ছবি দেখে ভিষণ ভাবে নস্টালজিক হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ছবিগুলো দেয়ার জন্য। আমি ভারতেশ্বরিহোমসের ছাত্রি ছিলাম।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪৯
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: ্তাই আপু?আমি ভারতেশ্বরী হোমসকে দেখার জন্যে গেটের বাইরে থেকে কত উকিঝুকি মারলাম।ভিতরে নাকি ঢুকতে দেয়না?
৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৯
রোকন রাইয়ান বলেছেন: এখন তো আমারো ছুটলাগাতে ইচ্ছে করছে,
কি দেহাইলেন.. খালি লেখলে তো সমস্যা হতো না.
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫১
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: ঢুকতে দেবে বলে মনে হয়না?তবে রোগী ভর্তি করলে দয়া করে বিকেল চারটের পর্্্্্
৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব কাছে এসেছিলেন দেখছি
বাংলাদেশ ভ্রমন করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছি এ ভ্রমনের কথা উঠলেই চমকে উঠি- কবে এ ভ্রমন শেষ হবে
টাঙ্গাইলের বাস ভাড়া ঠিক আছে। মহাখালি থেকে ঝটিকা বা ধলেশ্বরী সার্ভিস (যা সবচেয়ে ভালো সার্ভিস দেয়) ১০০ বা ১২০ টাকা নেয়। রেলভ্রমন আজকাল বেশি সুবিধাজনক। এসি বা ফার্স্ট ক্লাস (টাঙ্গাইল পর্যন্ত নেই) ভাড়া ২৬৫ বা তার উপরে।
একবার টাঙ্গাইল পার হয়ে চলে যান মধুপুর গড়ে, অথবা মধুপুর থেকে উত্তরপশ্চিমে ধনবাড়ি জমিদার বাড়ি। এখানে লুকিয়ে আছে গভীর ইতিহাস।
পোস্টে প্লাস।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৪
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: বুঝলামনা ভাই আপনি আসলে থাকেন কই?এই মনে হয় কুমিল্লায়,আবার এই মনে হয় নিউইয়ররকে।এখন আবার বলেন বাড়ির ধারে।
তবে ফিরতি বাসে কিন্তু ৬০ টাকায় ফিরেছিলাম।আপনার দেওয়া প্লাসখানা পেয়ে সত্যি খুব গর্ব লাগছে।
৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪৭
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট এবং বর্ণনা !! আপনি তো হিট হয়ে গেলেন
২য় ভাললাগা!
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৬
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: উহু হলনা কিছুতেই আপনার মত বুদ্ধি খেলাতে পারলামনা।ভালোলাগার জন্যে ভালো লাগছে।
৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫২
ডেজা-ভু বলেছেন: হিট বাড়ায়া গেলাম।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৬
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: া হা হা,আর লজ্জা দিয়েন না।
৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৩
মিথী_মারজান বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর এক জায়গা!
জায়গাটা আজও আমার প্রাণের সাথে মিশে আছে।
আমিও ভারতেশ্বরী হোমসে্র ছাত্রী ছিলাম এক সময়।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৮
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: হ্যা আপু সত্যি অসাধারণ এক জায়গা।আপনারা আসলেই ভাগ্যবতী।
১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:২৫
কাজী রিদয় বলেছেন: আমি কোনদিন টাংগাইল যায় নি। ছবি ও লেখা দু'টোই ভালো লাগল।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৬
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: সুযোগ পেলে ঘুরে আসুন।কিছুটা মনে হয় নিরিবিলি এলাকা।
ভালো লাগানোর জন্যে ধন্যবাদ।
১১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:২৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: হা হা হা । বেশ মজা করে লিখেছেন।
পা দু'খানি এখনও গজায়নি? মায়েরা কেন যে পদে পদে স্মরন করিয়ে দেন অন্যের পায়েই তোমার ভরসা! এটা ঠিক নয়।
মেয়েরা নিজের পায়ে দাঁড়াবে কি করে!
ভারতেশ্বরী হোমস আর কুমুদিনী হাসপাতালে ছোট বেলায় গিয়েছি।
পাকসেনারা শুধু আরপি সাহাই নন, উনার ছেলেকেও উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো। তাদের মৃতদেহের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৭
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: আপু হয়ত দিন বদলে যাবে একদিন।
উনার ছেলেকেও মেরে ফেলেছিল এই ইনফর্মেশনটাত জানতামনা।থ্যাঙ্কস আপু।
১২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
খুব সুন্দর ... ছবিগুলো।
ওখানে যেতে হলে আগে কোন পার্মিশন লাগে ?
১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩১
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: আসলে ঠিক পারমিশন না।ভিতরে এমনিতে বোধ করি ধুকতেই দেয়না।আমার কাজিন ওখানে পড়ে ওকে দেখতে গিয়েছিলাম বলে দেখা হল।তবে রোগী ভর্তি করালে কিছুটা দেখার অপশন এমনি মিলে যায়।
১৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩১
mamuunn বলেছেন: খুব ভালো লাগলো লেখাটা। টাঙ্গাইল ছেড়ে চলে এসেছি সেই ২০০৩ সালে আর যাওয়া হয়নি। তারপর অনেকদিন মন পড়ে থাকত টাঙ্গাইলে। অনেকদিন হলো ভুলেই গেছি...। টাঙ্গাইলে থাকা অবস্থায় মন খারাপ হলে এই কুমুদিনী হসপিটাল- লৌহজং নদী ঘুরে বেড়াতাম। আজ অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়ে আবার মনে পড়ে গেল আমার ছাত্র জীবনের কথা।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৯
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: অবসর পেলেই পুরানো স্মৃতিগুলো এক কষ্টদায়ক মিষ্টি বেদনা দেয়।সেটা কি আপনার নিজের এলাকা? তবে দেননা একছুট।
১৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৪
নি্লীমা বলেছেন: আমারও খুব যেতে ইচ্ছে করে এখানে......
১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৩
উম্মে মারিয়াম বলেছেন:
আকাশের পাখি বলে মুক্ত মেঘে বাধি ঘর,
খাচার পাখি শুধোয় কি জানি কি যাতনা মোর?
আমার মত পা বাধা নাকি?ছুট দেন।
১৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১৭
মাহমুদ ইব্রাহীম বলেছেন: ঝটিকা আর ধলেশ্বরীতে ভাড়া আগে না বলে উঠলে এইরাম হবেই!!!!! যদিও ভাড়া বাড়ছে তয় মির্জাপুর পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭০ টাকা!! জায়গাটা আমিও ভালা পাই!! ৪বছর যাবত টাঙ্গাইল আছি। আর মাত্র ২দিন পরেই টাঙ্গাইল ছেড়ে একবারে চলে যাব! বর্ণনা ভাল হইছে সাতে ফডুকও +++++++++ লন
১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৪
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: ওমা!!!!!!!!!!! কই যাবেন?পোষ্টিং হল বুঝি?
১৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫৬
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, আমারে এমনে পচানি দিলেন?? অথচ আপনেরে আমি কত ভাল জানতাম ! আমি কতবার আপনের খোজ নিছি যে ইংরেজিতে ঝগড়া করার পার্টনার খুইজা পাইছেন কিনা !!
নাহ, দুনিয়াতে ভাল মানুষের কোন খাওয়া নাই !!
আমিও কিন্তু উত্তরাতেই থাকি, আমারেতো একটু যাইতেও কইলেন না !!
অ.ট.: ফেবুতে তো কোন এড রিকোয়েস্ট আসে নি। [email protected] এই ই মেইল এড্রেসে খুজতে হবে। আর লিংক এটাঃ
Click This Link
১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫০
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: আমারে ভাল জানতেন ,এই পাস্ট টেন্স কেন ব্যবহার করলেন ভাই?বিশ্বাস করেন আমি এখনও খুব ভাল আছি।তয় একটা সমস্যা কি জানেন আমার মিষ্টি কথাও কেন যেন মানুষের কানে কুইনাইন ঢালে।আপনি আছেন বলেইনা এইরকম একটা পোষ্ট দেবার সাহস আমার হল।
সাথে গেলে যে একশ টাকা পকেট থেকে খসে যেত তা কি সইতে পারতেন?
১৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩৮
বড় বিলাই বলেছেন: চিপার ছবি আর বর্ণনা তো ভালোই লাগল। এরকম বেড়ানো যেন আরও হয়।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫২
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।বেড়ানো আর বই পড়া আমার খুব প্রিয় দুটি বিষয়।ফাক পেলে বই হাতে আসে কিন্তু বেড়ান সে ভাগ্যে খুব বেশি একটা জুটতে চায়না।
১৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সাথে গেলে যে একশ টাকা পকেট থেকে খসে যেত তা কি সইতে পারতেন?
ছিহ, এইটা কি কইলেন?? এইবার কিন্তু সত্যিই বেইজ্জতি করলেন !!
১০০ টাকা = 1.20729 USD মাত্র !!
১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৮
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: ইশ!!!!!!!!!!পাউন্ডে খরচ করলেতো আরও কমে পারতেন।এইবার নিশ্চয়ই আর রাগ হবেনা।কতগুলো পয়সা বাচিয়ে দিলাম।
১৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:১৫
আবদুর রহমান (রোমাস) বলেছেন: ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ থেকে এই উদার মানুষও রক্ষা পান নাই।
এত সুন্দর লেখা আর ছবিতে হারিয়ে যেতে চেয়েও আটকে গেলাম... ঐ ঘাতকদের কাছে কেউই রক্ষা পায়নি....অথচ ঘাতকরা আজো মাথা উচু করে চলে।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৯
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: আমাদের দেশটা কোথায় যেন আটকে আছে।যা সত্যি খুব কষ্টকর।
২০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২৮
নাজনীন১ বলেছেন: আপনার সাথে সাথে আমিও ঘুরে এলাম।
ভাল লাগলো তাদের নিজস্ব বাগান আর পুকুর দেখে।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২০
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: কবে গেলেন আপু? ইশ জানলে নিশ্চয়ই আপনার দেখা পেতাম!!!!!!!!!!!!
২১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৩৫
নাজনীন১ বলেছেন: আমার এক রুমমেট ছিলেন, মুক্তা আপু, উনি ভারতেশ্বরী হোমসে পড়াশোনা করেছেন। মুক্তা আপু কেবল আমার রুমমেটই ছিলেন না, একেবারে বড়বোনের মতো ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অনেক গাইড আমি উনার কাছ থেকে পেয়েছি।মাঝে মাঝে বকাও খেতাম টুকটাক।
তো, উনি ভারতেশ্বরী হোমসের প্রিন্সিপালের একটা কথা প্রায় আমাদের বলতেন, ঐ ম্যাডাম নাকি তার ছাত্রীদেরকে বলতেন তার মেয়েরা রাণীগিরিও করতে পারবে, বুয়াগিরিও করতে পারবে। মানে সব কাজে যেন সমানভাবে পারদর্শী হয় মেয়েরা এমনভাবেই ঐ স্কুলের মেয়েদের ট্রেনিং দেয়া হতো। এ কথাটা আমার খুব মনে ধরেছিল।
ঘরে বাইরে সব কাজে সমানভাবে পারদর্শী হতে হবে মেয়েদের।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৩
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: আপু আপনি কোন হলে এটাস্টেড ছিলেন?
ঘরে বাইরে সব কাজে সমানভাবে পারদর্শী হতে হবে মেয়েদের। অহর্নিশ চেষ্টা করব কথাটা মনে রাখতে।ধন্যবাদ আপু লেখাটা পড়ার জন্যে।
২২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৫৭
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
সুন্দর বর্ণনায় প্রাণবন্ত কাহিনী পড়লাম ।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৫
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: আমার ব্লগ-এ আপনি!!!!!!!!!!!এটা অবিশ্বাস্য।আশরাফুলের কাছে আপনার অনেক প্রশংসা শুনেছি।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ছাইরাছ হেলাল।
২৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩১
ফেরারী... বলেছেন: পুকুরপার তো হেভী সুন্দর । বেশ ক-বছর মির্জাপুরের ওইদিকে ছিলাম তাও হাস্পাতালে যাওয়া হয়েছিলো কিন্তু এই রুপ দেখি নাই।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০১
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: হাসপাতাল থেকে একটু ডানদিকে এগুলেই পুকুরটা।
মন্তব্য করার জন্যে আপনাকেও ধন্যবাদ ফেরারী।
২৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৩
ফাইরুজ বলেছেন: আপনার লেখার স্টাইলের কারনেই অনেক সাধারণ পোস্ট ও খুব সুন্দর লাগে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০২
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: কেন যেন মনে হচ্ছে অনেক অনেক দিন আপনার এই ইনোসেন্ট ছবিখানা দেখলাম।ভালো আছেন তো আপু?
২৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:১০
সালমাহ্যাপী বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার বর্ননা পড়ে।অনেক সুন্দর করে লিখেছেন আর বলতেই হয় জায়গাটা অনেক বেশি সুন্দর।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৪৩
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: আপু জায়গাটা এত সুন্দর আর পরিপাটি যে আমাদের সামরিক হাসপাতালগুলো ছাড়া এরকম পরিপাটি হাসপাতাল খুব একটা দেখা যায়না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ভালোই তো।