![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যি বলতে, সত্যি লিখতে ভালোবাসি।
রোগী মরে গেছেন।এটা অবশ্যই বেদনার।
তবে সেজন্য ডাক্তারকে মারতে হবে? একজন নয় , একাধিক চিকিৎসককে প্রহার করতে হবে?
পুলিশ সাগর রুনির হত্যার সুরাহা করতে পারে না। সেজন্য আমরা পুলিশ পেটাবো?
উকিলের ভুলে আসামী রায় না পেয়েই মরে যায়। সেজন্য উকিল পেটাবো?
তাহলে লোকে ডাক্তারের গায়ে হাত তোলে কেন?
কারন ডাক্তার আর দিনমজুরের কোন তফাত নাই।
এটাই তো সেই দেশ যেখানে যে কেউ নামের পাশে ডা. লিখে দেয়। বি এস সি পাশ করা ফিজিওথেরাপিস্টরা তাদের নামের পাশে ডা. লেখে। হোমিওপ্যাথও লেখে, হেকিমও লেখে, গ্রামের কোয়াকরাও লেখে, আপনার পাড়ার ঔষধের দোকানের মালিকও লেখে।
ডিগ্রীটাও এই দেশে নিরাপদ না।
আইসিইউ বেড এ সবসময় মরনাপন্ন জাটিল রোগীরাই থাকেন। তাই এখানে বেড খালি করে আরেকজনকে বেড দেয়া যায় না। ঢাকা শহরে আইসিইউ বেডের স্বল্পতা আছে এবং এর খরচও অত্যন্ত বেশী। গণমাধ্যম এটা নিয়ে কখনো বলে না, লেখে যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মতো ডা. এর ন্যুনতম মজুরীও নির্ধারণ করা দরকার। বলে না হেলথ ইনস্যুরেন্স এখন সময়ের দাবী।
ডাক্তারদের রাস্তায় নেমে আন্দোলনের সময় নাই। তারা প্রতিবাদে থাকলে যে মানুষ বিনা চিকিৎসায় মরে।
সমাজের দায়িত্ব চিকিৎসকের নিরাপত্তা দেয়া।
আসেন নতুন করে প্রতিবাদের ভাষা ঠিক করি।
চিকিৎসা করেন, কিন্তু সবধরনের মেডিকেল সার্টিফিকেট দেয়া বন্ধ করে দেন। দেখেন কোর্টে আর পুলিশের কাছে কি পরিমান মামলা জমে যায়।
ডিসচার্জ লেখা বন্ধ করে দেন।
ডেথ সার্টিফিকেট লেখা বন্ধ করে দেন।
ফরেনসিক মামলায় কোর্ট হাজিরা দেয়া বন্ধ করে দেন।
সকল সরকারী বেসরকারী চিকিৎসক সংক্রান্ত অনুষ্ঠান বর্জন করেন অথবা কালো ব্যাজ ধারন করেন।
চিকিৎসা সেবা বাদে আর সব ধরনের কাজ বন্ধ করে দেন। বার্থ সার্টিফিকেটও লিখবেন না।
এতে মানুষ মরবে না। তবে আপনাদের দরকার টের পাবে সিস্টেম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৪
সোজা কথা বলেছেন: ভালো বলছেন ভাই।