নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক উপনাম ব্যবহারকারী সরকারকে, আসলে কে চালাচ্ছে, পুলিশ নাকি সেনাবাহিনী। উত্তরটা সহজ সবাই এক বাক্যে বলে দিবে পুলিশ। আমার একটা ছোট প্রশ্ন ছিল যদি পুলিশ প্রশাসন দিয়ে সরকার টিকে আছে (উক্তিটা নিরপেক্ষ সরকার দাবীদারদের), তাহলে সেনাবাহিনী বর্তমানে সকল কিছুতে পুলিশের চেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে কেন?,, তারা ব্যাংক থেকে শুরু করে হোটেল ব্যবসা এমনিক ট্রাভেল ব্যবসার সাথেও এখন জড়িত। এখন যদি সেনাবাহিনী ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে যায়, তাহলে সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও তো তা করতে পারে। (হ্যা জানি সেনাবাহিনী সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান না) যাক তাহলে এবার ব্যবসায়ীর সংখ্যা দিন দিন বাড়বে বাংলাদেশে আর যারা আসল ব্যবসায়ী তারা হয়ত আলু ব্যাচা ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না। বাংলাদেশের সরকার ভাল করে জানে, যদি সেনাবাহিনী একবার মোড় নেয়, তাহলে তাদের গনতান্ত্রিক উপনাম ব্যবহার করা তকমা টা আর থাকবে না, তাই সেনাবাহিনীকে খুশি করার জন্য, জান মাল ইজ্জত সব দিয়ে দিয়েছ এই সরকার। তো পুলিশ ভাইরা আপনারা দোষের কি করেছেন, আমার মতে হরতাল বা যেকোন সরকার বিরোধী আন্দোলনে সেনাবাহিনীর থেকে আপনাদের ভুমিকা অনেক বেশি, পুলিশদেরও উচিত সমান অধিকার ভোগ করা। কাধে কাধ মিলিয়ে আপনারাও ব্যবসার সাথে জড়িত হন। আসলে পুলিশদের অল্পতেই সুন্তষ্ট তারা উচ্চভিলাসী হতে পারে না এবং চায়ও না। যেমন ধরুন একটা জিডি লিখিয়ে নিতে ১০০ টাকা,, এক বোতল মদ পেলে ১০০০ টাকা, তাও আবার ১০ জন। একজন আসামীকে তার পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য এক প্যাকেট ব্যান্ড সন্স সিগারেট। তাদের সকল কাজের জন্য এক একটা মূল্য রয়েছে শুধূ মূল্য সংযোজন কর ছাড়া। পুলিশ ভাইয়েরা ২০১৬ এসে পড়েছে অনন্ত এবার আকিজ বিড়ি থেকে গোল্ড লিফ এ আসেন। সেনাবাহিনীর মত কিছু করার চেষ্টা করেন। আর কত কাল এভাবে অবহেলায় পাড় করবেন। আসুন সবাই কাধে কাধ মিলিয়ে একসাথে এগিয় যাই।
যাইহোক লেখতে চেয়েছিল ৫ই জানুয়ারী নিয়ে। কিন্তু ৫ই জানুয়ারীর কথা আসলেই পুলিশের সেই অসাহসীক ভূমিকার কথা মনে পড়ে, বালুর ট্রাকের কথা মনে পড়ে। এগুলো সবই কিন্তু আপনাদের অসম্ভব সাহসের কারণে হয়েছে। আর সেইদিন সেনাবাহিনী শুধু ব্যারেক বা ঘরে বসে আরাম করেছে। তাই আপনারা কেন বা পিছে থাকবেন। আজকে আপনাদের কারণেই এই সরকার ২টা বছর পাড় করে দিল। যদি আপনারা চান আগামী ১০০ বছর পর্যন্ত এই সরকার বহাত তবিলে থাকিতে পারবো।
৫ জানুয়ারি,, আমার দ্বিতীয় ভোটাধিকার এই সরকার ক্ষুন্ন করেছে। এটা গনতন্ত্রের বিজয়ের দিবস হয় কিভাবে? আমি এটাও বলবো না যে এটা গনতন্ত্র হত্যা দিবস। কারণ হত্যা করলে তার কোন অস্থিত্ব থাকে না। গনতন্ত্রের অস্থিত্ব আছে শুধু কাগজে কলমে। তাই এটা গনতন্ত্র পঙ্গু দিবস। গনতন্ত্রকে পঙ্গু করে দিয়েছে। একজন পঙ্গু করেছে, আরেকজন ঘরে বসে মেকাআপ করেছে সেই দিনে। সঠিক নেতৃত্ব্যের অভাব সেই ৫ এ ছিল, এই ৫ও বহাল তবিলতে রয়ে গেছে, ভবিষ্যতের ৫ও থাকবে
©somewhere in net ltd.