নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশের নারীদের চোখের জল খুব সস্তা। কাউকে বাসা থেকে বের করে দিলে কান্না, কেউ বা খেলায় জিতলে কান্না। কিছু কান্না কুমিরের, কিছু কান্না ব্যাঙের।
বিশ্বের ৭.৪ বিলিয়ন মানুষের ভিতিরে, খেলা নিয়ে অাবেগী হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশী মনে হয়, আমদের এশিয়ার চারটি দেশে মানে, ভা-পা-শ্রী-বা । তবে আমার জানামতে কখনও ভা-পা-শ্রী এর দেশের উচ্চ কোন ব্যক্তি এই ক্রিকেট নিয়ে মায়া কান্না কেদেঁছে, আমি দেখিনি। যাই হোক আবেগ থাকা ভাল কিন্তু সব জায়গায় আবেগ দেখানো এরকম ক্ষমতাধারীদের উচিত না।
খেলা কে যদি দেশের জন্য যুদ্ধ করা ভাবেন, তাহলে আমি মনে করবো, যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিল এবং তাদের মূল্যবান জীবন দিয়ে দেশকে রক্ষা করেছিল, তাদের কে অপমান করা হয়। একজন খেলায়র মানুষকে বিনোদন দিতে পারা ছাড়া আর কিছু করতে পারে না। আর একজন মুক্তিযোদ্ধা মানুষকে স্বাধীনতা দিতে পারে এবং দিয়েছে। আমরা কতদিন তাদের কবরের সামনে গিয়ে কান্না করেছি । বড়জোড় ফটোসেশন করার জন্য ২১, ১৬ এর প্রভাত ফেরীতে গিয়ে সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে কার আগে কে ফটোতুলে তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করবে সেটার প্রতিযোগীতা করেছি। কাউকে কি কখনো দেখেছেন কান্না করতে। না দেখননি, দেখবেনও না। কারণ আমরা ক্রিকেট খেলাটাকে যুদ্ধ বলে ঘোষনা করেছি। যদি খেলায় হারি, যুদ্ধে হেরেছি, খেলায় জিতি তাহলে কান্না করে তা বুঝাচ্ছি, যে আমরা ৯ মাস যুদ্ধ করে খেলা জিতেছি, এই খেলায় আমাদের ইজ্জত, মান সব গিয়েছিল, তাই আজ জিতে সেটা রক্ষা হয়েছে। প্রতিটি খেলোয়াড় কে এক একটা মুক্তিযোদ্ধা ভাবে সবাই। তাহলে যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিল বা যারা করছে, তাদের কি ভাবা উচিত আমাদের?
কান্না হওয়া উচিত সীমান্তে যারা দিন রাত ঝড়, বৃষ্টি, শীত উপেক্ষা করে দেশকে রক্ষা করছে, কান্না হওয়া উচিত যারা দেশের অভ্যন্তরে মানুষের সেবার এবং নিরাপত্তার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছে। কই এদের জন্য আমরা কত জন কান্না করি। এরা যখন দেশকে রক্ষার জন্য অভ্যন্তরে বা সীমান্তে প্রতিপক্ষের আঘাতে জীবন দিয়ে থাকে, তখন আমরা বলি, তদন্ত হবে ২৪ ৪৮ ৭২ ঘন্টার ভিতর, কিন্তু ১ মিনিটের জন্য এদের নিয়ে একটু শোকও প্রকাশ করে না। ১ সেকেন্ডর জন্য কারো চোখ সিক্ত হয় না এদের জন্য, শুধু তাদের পরিবার ছাড়া। যেই পরিবার এইসব সোনার ছেলেদের বছরে দুইবার পায়। সেই পরিবারই এদের জন্য আজীবন কান্না করে। আর আমরা সাধারণ এদের সেবাই এবং নিরাপত্তার কারণে রাত্রে শান্তিতে একটু পরম নিদ্রা দিয়ে থাকি, আমরা কি করি? খেলা দেখি শান্তিতে, কান্না করি আরামে।
৬ ই মার্চ ২০১৬ কিসের হবে এই কান্না, জয়ের নাকি পরাজয়ের?
২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
" ৬ ই মার্চ ২০১৬ কিসের হবে এই কান্না, জয়ের নাকি পরাজয়ের?
-আপনি কোনটা চাচ্ছেন?
বকবক
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩
অগ্নি কল্লোল বলেছেন: আমি বাংলাদেশের জয়ে কাঁদবো। বাঙালি নোবেল পেয়েছে আমি কাঁদবো,বাঙালির নতুন আবিষ্কার দেখে আমি কাঁদবো,বাঙালি হিমালয় জয় করেছে আমি কাঁদবো। হ্যা আমি বাঙালির খুশিতে,বিজয়ে কাঁদবো। কিন্তু আমি বাঙালির পরাজয়ে,হত্যা,খুন,অপমানে আমি কাঁদবো না আমি জমে শক্ত হবো। তারপর প্রতিশোধ কিংবা প্রতিবাদ করবো, আমার শক্তি দিয়ে দমন করার চেষ্টা করবো।