নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মূর্খ সমাজপতি গাঁয়ে, গগনে দেখি ক্ষয়িষ্ণু চাঁদ বিচ্যুত যৌবনে জোছনা আমায় করেছে উম্মাদ

উপপাদ্য

ইমেইল: [email protected]

উপপাদ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে মন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতাও কি হোয়াইট ওয়াইনের গ্লাস হাতে নেত্রীর পায়ে চুমু খাওয়া

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪

মদুরী বা আ্যালকোহলিক



মদ খাওয়া বিশ্বের অনেক দেশেই অনুমোদিত। বাংলাদেশে এটা এখনো একটি নিষিদ্ধ পানীয়। তো এই নিষিদ্ধ পানীয়টি বাংলাদেশে যারা নিয়মিত পান করেন তাদেরকে ডাকা হয় "মদুরী" এটা সিলেটের আঞ্চলিক রূপ। মদ পান বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হলেও মদুরীরা নিষিদ্ধ নয়। এটা আজকাল দিবালোকের মতোই পরিষ্কার যে মদুরীরা ইদানিং বিশেষ বিশেষ পুরুষ্কারে পুরুষ্কৃত হচ্ছেন।



স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আশরাফ সাহেব একজন পুরাতন আ্যালকোহলিক এটা সবাই জানে। বিগত কদিন পূর্বে সুপ্রীম কোর্টে আওয়ামী টেরোরিস্টদের হামলার পর মিডিয়ায় তার বক্তব্য শুনে দেশবাসী যেমন অবাক হয়ে দেখেছে কিভাবে একজন মদুরী দেশের এতো গুরুত্বপূর্ন পদে বসে থাকতে পারে। তেমনি তার নিজ দলীয় একজন সিনিয়র নেতাও পরেরদিন টকশোতে স্বীকার করেছেন যে ঐদিন আশরাফ স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না। যাই হোক বিগত পাঁচটি বছর আমাদের এরকম অস্বাভাবিক অবস্থায় থাকা মন্ত্রী এমপিদের নির্দেশেনায় চলতে হয়েছে। এখনো এইসব অস্বাভাবিক মন্ত্রী এমপিরা দেশ চালানোর ভার নিয়েছেন। মজার ব্যাপার হলো এবার আর তাদেরকে দেশ চালানোর ভার দিতে হয়নি এবার তারা নিজেরাই জোর করে নিয়ে নিয়েছেন সেই গুরু ভার।



কে এই মহসিন আলী



কিন্তু সৈয়দ মহসীন আলী নামক একজনকে সদ্য সমাজকল্যানমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা যে উদারতার! পরিচয় দিয়েছেন তাতে মনে প্রশ্ন জাগে শেখ হাসিনাকি ইদানিং মদুরীদের প্রতি আসক্ত হয়ে গেলেন। কে এই মহসীন আলী। অবৈধ সম্পদের পাহাড়, কালোটাকা, ভূমি দখল, বিরুধীদলীয়/স্বদলীয় নেতাকর্মি নিপিড়ন, চরিত্রহীনতা ও লাম্পট্যের গল্প বলবোনা। বললে ইতিহাস হয়ে যাবে। কিন্তু মৌলভীবাজারের এই পরিক্ষীত! আ্যালকোহলিক/মদুরীকে মন্ত্রীসভায় স্থান দিয়ে কি মদুরীদের প্রতি বিশেষ ভালোবাসা প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী?



তখন ২০০৮ সাল, থাকি জিগাতলায়। নির্বাচনী জোয়ার বইছে দেশে। আওয়ামীলীগকে জিতানোর জন্য মিডিয়া, ফখরুদ্দীন, মইনুদ্দিন, পিনাক রঞ্জন-আনোয়ার চৌধুরীরা সব কিছু মোটামোটি গুছিয়ে ফেলেছে। সৈয়দ মহসিন সাহেব তখন আমার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করেন। একই বাসার কোন এক ফ্লাটে তার কোন এক ভাগ্নে থাকেন। সে সুবাদে ঢাকা এসে কখনো সখনো এই বাসায় উঠেন। বিশেষ করে যখন নেত্রীর সাথে দেখা করতে দেরি হয়ে যায় তখন তাকে বাধ্য হয়ে অনেক সময় এই বাসায় উঠতে হয়। কারন সুধাসধন থেকে জিগাতলা বাস স্ট্যান্ডের পাশে এই বাসাটি অতি সন্নিকটে। তো সৈয়দ মহসিন সাহেবকে দু/চারবার দেখার সৌভাগ্য হয়েছিলো। না ওটা আসলে দূর্ভাগ্য বলতে হবে। বাংলাদেশের কোন অবৈধ মন্ত্রীসভার কোন এক অবৈধ জারজ মন্ত্রীর সাথে আপনার দেখা নিঃসন্দেহে দুর্ভাগ্যজনক। আপাদমস্তক ঘর্মাক্ত একটা লোকের মুখ থেকে যখন মদের অসহ্য দূর্গন্ধ চারপাশকে বিষাক্ত করে ফেলে তখন সেই লোকটির সাথে কথা বলতে কিংবা সম্ভাব্য এমপি হিসেবে মেনে নিতে নিশ্চয় রুচিতে বাধবে যে কারো। তো আমরা যারা সাধারন মানুষ আমাদেরতো রুচিবোধ নেই। রুচী থাকলে কি এরকম মানুষকে ভোট দেই, এরকম মানুষকে এমপি-মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ করে দিই? সে হিসেবে রুচিবোধহীন একজন সাধারন মানুষ হিসেবে উনার সংগে দুএক কথা বাতচিত হয়েছিলো।



কথিত আছে নিজ দলের ডাকসাইটে এক নেতার সাথে কম্পিটিশন করে মৌলভীবাজার সদর আসনের এমপি হওয়ার খায়েশ পুরন করতে তাকে প্রায় মিনিট ৩০ এর মতো শেখ হাসিনার পা ধরে বসে থাকতে হয়েছিলো। আর তাতেই বুঝতে পেরেছিলাম তার ব্যক্তিত্বহীন অশুভ অন্তরের ভেতরটা কত বিভৎস হতে পারে। আর তাইতো আমার ধারনাকে ভূল প্রমান না করতে তিনি গতকাল বলেছেন, "হু ইজ বিএনপি? বিএনপির সাথে কিসের সমঝোতা?" সাবাস প্রধানমন্ত্রী, সাবাস আপনার জারজের দল।



মন্ত্রী এমপি হওয়ার যোগ্যতা কি?



আজকাল মাঝে মাঝে ভাবি মন্ত্রি এমপি হওয়ার যোগ্যতা কি? ঠিক কি কি করলে বাংলাদেশ নামক দেশের এমপি মন্ত্রী হওয়া সম্ভব হয়। একদিকে সরকারের মন্ত্রী যখন বলেন "কয়েক গ্লাস ওয়াইন খেলে নোবেল পাওয়া যায়।" তাহলে মন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতাও নিশ্চয় ওরকম কিছুই। তাইতো আজ আমরা দেখি



- অবৈধ সম্পদের পাহাড় ও কাড়ি কাড়ি কালো টাকা থাকলে মন্ত্রী হওয়া যায়

- নিয়মিত মদ্যপায়ী হলে মন্ত্রী হওয়া যায়

- গড়পড়তা ৮/১০ টি মানুষ খুনের সাথে জড়িত থাকার রেকর্ড থাকলে মন্ত্রী হওয়া যায়

- মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার কিংবা তাদের দোসর অথবা হানাদার পাকি সরকারের অধীনে চাকরি করলে মন্ত্রী হওয়া যায়

- ইদানিং ইন্ডিয়ার সাথে গুড কানেকশন থাকলেও মন্ত্রী হওয়া যায় কিংবা তার চেয়ে বেশী পাওয়ার ফুল উপদেষ্টা হওয়া যায়।



পড়াশুনা করে কি লাভ? চলুন মহসীন আলী হই



দেশবাসীর কাছে চিন্তার বিষয় আমাদের দেশের মন্ত্রী এমপিদের যারা দেশ পরিচালনা করেন তাদের যোগ্যতা যদি হয় এইসব অপকর্ম করা। তাহলে পড়াশুনা করে কি লাভ? চাঁদাবাজ, গুন্ডা, ভূমিখেকো, তস্কর, দেশদ্রোহী হলেই মনে হয় সম্মান ও ইজ্জত বেশী থাকবে, যে সম্মান পাহাড়া দেয়ার জন্য আছে হাজার হাজার গোপালী পুলিশ। মহসিন আলীরা হয়তো এভাবেই সমাজের কল্যানের ধারায় নতুন ডিজিটাল পরিবর্তন নিয়ে আসছেন। চলুন মহসীন আলী হই।



(বাংলাদেশী রাজনীতিতে কমবেশী অনেকেরি এই কু অভ্যাসটি আছে। মদ খেয়ে কেউ যদি ভালো কাজ করে তাকে আমি তার ভালো কাজের জন্য নিশ্চয় প্রশংসা করবো। কিন্তু কোন মদুরী যদি সারক্ষণ মাতাল থেকে আবোল তাবোল বকতে থাকে। কিংবা কেউ যদি বলে হু ইজ বিএনপি। বিএনপির সাথে কিসের সমঝোতা? তাকে নিশ্চয় কলমের খোঁচার উপর রাখবো)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মজার ব্যাপার হলো এবার আর তাদেরকে দেশ চালানোর ভার দিতে হয়নি এবার তারা নিজেরাই জোর করে নিয়ে নিয়েছেন সেই গুরু ভার!!!!!!!!!!!

...গণতন্ত্রকে অসম্মান করা হয়েছে, অপমান হয়েছে মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগ। এক সরকারী নেতা কর্মী বাদে এই উপহাসের নির্বাচন দেখে লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে গেছে সারা বাংলাদেশের মানুষের

শুধু লজ্জ্বা হয়নি স্বৈরাচারের আর তার অন্ধ সমর্থকদের।

বরং এই উপহাসের প্রহসনের নির্বাচনে ৫%কে ৪০% বানিয়ে তাদের অংকজ্ঞানের অসরাতার সাথে সাথে কমেডিয়ানিজমে বেশ প্রফুল্লতার সাথেই বগল বাজাচ্ছে!!!!

দাদা আমরনা এবার ৫% ভোটের শতভাগ (এর মাঝেও ব্যলট ছিনতাই, টুকুর পুতের একাই ৪৭৫টি ভোট দেওয়া, বাংলাদেশে ১ম নাবালকদের লাইন দিয়ে ভোট দেবার কিস্সা আর ধরবেন না) পেয়ে পাস করেছি!!!!!!

আত্ম সম্মান, আত্ম মর্যাদা, সব ভুলিন্ঠিত। সুশীলদের উচিত একযোগে আত্মহত্যা করা। এইরকম অর্বাচিনতায় হিজরের মতো বেঁচে থেকে সুশীলতা ফলানোর চেয়ে তাই কি ভাল নয়!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৮

উপপাদ্য বলেছেন: লোভ মানুষকে তার হিতাহিত জ্ঞান ভুলিয়ে দেয়। আমাদের দেশের এইসব টিপিক্যাল রাজনীতিকরা এতটাই লোভী যে তাদের হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেয়ে গেছে অলরেডি।

আজ যারা বাংলাদেশের মানুষের সংগে বেইমানি করে জোর করে ক্ষমটাকে মসনদ ভেবে আঁকড়ে ধরে আছেন এদের ধ্বংস্স নিশ্চয় ঐ মসনদের চোরাবালিতেই লুকায়িত আছে বলে দৃঢ় বিশ্বাস।

অনেক ধন্যবাদ, বিদ্রোহী ভাই।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

উপপাদ্য বলেছেন: ১৩ জানুয়ারী থেকে আজ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮ মাসের ব্যাবধানে মন্ত্রী মহসিন আলী নিজেকে একজন পাকা কুলাঙ্গার হিসেবে প্রমান করে বুঝাতে পেরেছেন যে কুলাঙ্গার কতৃক নিয়োগ পেয়ে তিনি কুলাংগারি পথেই আছেন।

পরিবর্তন এ জাতির ভাগ্যে নেই।

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: সমাজের আস্তাকুড়ে যাদের নিক্ষিপ্ত হওয়ার কথা, ফৌজদারী দন্ডে যাদের এখন জেলের ঘানি টানার কথা তারাই এখন আমাদের আইন-প্রনেতা। সুতরং এদের কাছ থেকে আপনি কি আশা করতে পারেন?

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

উপপাদ্য বলেছেন: আমরা এসব কুলাঙ্গারদের কাছে কিছু আশা করিনা বলেইতো পরিবর্তন চাই। পরিবর্তনশীল এই পৃথিবীর সাথে খাপ খাইয়ে চলতে হলে নতুন নেতৃত্ব ও সৎ মানুষের হাতে দেশের দ্বায়িত্ব দেয়া ছাড়া জাতির মুক্তি নেই।

অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.