নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এখন সেফ।

আমি এখন সেফ।।

উৎস১৯৮৯

সারাদিন ঘুমাই আর সারারাত কম্পিউটারের সামনে বসে থাকি।

উৎস১৯৮৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিন গোয়েন্দা ও আমি

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০৭

সম্ভবত ২০০৫-২০০৬ সাল থেকে আমি তিন গোয়েন্দা পড়া শুরু করি। একদিন এক আত্বিয়ের বাসায় যেয়ে প্রথম তিন গোয়েন্দার সন্ধান পাই। তারপর থেকে শুরু। সবসময় চিন্তা করতাম কিভাবে আরো বই কেনা যায়। বই কেনা এক ধরনের নেশার মত হয়ে গিয়েছিল। মতিঝিল মডেল স্কুলে যাওয়ার সময় কমলাপুর রেল স্টেশন পড়ত। স্টেশনের প্লাটফর্মে ঢোকার সময় হাতের বামে দুইটা বইয়ের দোকান ছিল। ওই দুই দোকান থেকে অনেক বই কিনেছি। আস্তে আস্তে তিন গোয়েন্দা ভলিউম ১-৫৯ পর্যন্ত সব ভলিউম কিনে ফেললাম। বাসায় অনেক বকা খেয়েছি তিন গোয়েন্দা পড়ার জন্য। সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত স্কুলের পড়া পড়তাম। তারপর আব্বু বিটিভির সংবাদ দেখতে বসত আর এই সুযোগে আমি তিন গোয়েন্দা পড়তাম। :) অবশ্য সাড়ে আটটার মধ্যে পড়া শেষ করতে হত। কারন সাড়ে আটটার মধ্যে খবর শেষ হয়ে যেত। :| কতগুলো গল্প আজও মনে আছে। কঙ্কাল দ্বিপ, কাকাতুয়া রহস্য, ঠগবাজি, বোম্বেটে, অথৈ সাগর। বইমেলায় গেলে সেবা প্রকাশনির মূল্য তালিকা নিয়ে আসতাম। একবার বইমেলায় রকিবদার সাথে দেখা হল। তারাতারি একটা তিন গোয়েন্দা কিনে উনার অটোগ্রাফ নিলাম। কিন্তু বাসায় এসে দেখি অটোগ্রাফে আমার নামের বানান ভূল। :(( এভাবেই চলছিল দিনকাল। একদিন দুপুর বেলায় ফুটবল খেলার কথা বলে দোকানের ভিডিওগেম খেলে বাসায় আসার পর দেখি আমার সর্বনাশ হয়ে গেছে। আমার সব তিন গোয়েন্দার বই আম্মু পেপারের সাথে বিক্রি করে দিয়েছে। X(( তারপর থেকে তিন গোয়েন্দা পড়া বন্ধ করে দিলাম। কিছুদিন আগে এক ছোটভাইয়ের কাছ থেকে কয়েকটা নতুন তিন গোয়েন্দার বই নিয়ে পড়লাম। পড়ে চরমভাবে মেজাজ খারাপ হল। কি সব ডেথসিটি, রেনট্রি দিয়ে ভরিয়ে রেখেছে। তিনটা গল্পের মধ্যে দুইটাই আজগুবি। এখন আর সেইসব চুরি করে গল্প পড়ার বয়স নেই। এখন সেইসব দিনগুলি কেবলই স্মৃতি। অনেকদিন পর আজকে হটাৎ করে তিন গোয়েন্দার কথা মনে পড়ল। তাই এই পোষ্ট লিখলাম।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২৫

ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: ভাই, ক্যান যে সবকিছু মনে করিয়ে দেন, আপ্নারে মাইনাস !!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২৭

উৎস১৯৮৯ বলেছেন: :(

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২১

নীল-দর্পণ বলেছেন: কত বকা যে খেয়েছি।
প্রতিটা মেয়াদী পরীক্ষার সময় সারা পরীক্ষায়(কখনো একদিন পর পর) যে দশ টাকা করে দিতো সে টাকা জমিয়ে শেষ পরীক্ষার দিন বাসায় ফেরার পথে একটা ভলিউম কিনে বাসায় ফিরতাম। কখনো ভাগ্য চরম ভাল থাকলে দুইটা।
বাসায় এসেই নাম-মুখ গুজে দিতাম সেই বইয়ে। আর আম্মা বলতেন (অবশ্যই আদর করে না) " তিন গোয়েন্দার যত বই আছে লিস্ট দিবি আমারে সব কিনে দেবো" ! :|

ঈদের সালামীর টাকা পেয়েই ছুটতাম লাইব্রেরীতে তিন গোয়েন্দা-ওয়েস্টর্ন এর খোজে। খুব মিস করি সেই দিন গুলি

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০৭

উৎস১৯৮৯ বলেছেন: এখন টাকা আর পড়ার স্বধীনতা দুইটাই আছে কিন্তু পড়ার ইচ্ছাটা মরে গেছে। :(

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ভাই, আমার ঘটনা কপি পেস্ট মারছেন ক্যান? :(( :(( :(( :((

জন্মদিনে গিফট পাই প্রথম বইটা তারপরে একটাও আর বাদ দেই নাই, যতদিন রকিবদা নিয়মিত ছিলেন... সেও ২০০৩/০৪ এর আগে পরে হবে না শুরু করেছিলাম।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১১

উৎস১৯৮৯ বলেছেন: ভাই তিন গোয়েন্দা পড়ুয়া আমাদের সবার ঘটনাই প্রায় একই রকম। এখন চরমভাবে মিস করি সেইসব দিনগুলি।

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
রকিব হাসান অসাধারণ একজন লেখক। ছোটবেলায় অবাক হতাম , এই রকম একজন লেখক কে, কেন কেউ চিনে না। তবে এখনও রকিব সেই প্রিয় স্থানে -ই আছে। স্যালুট টু হিম... যিনি ছোটবেলার সেই সব দিনে, কিশোর মনে এডভেঞ্চার এর রঙ ছড়িয়ে দিয়েছিল।






রকিব হাসান
লিঙ্ক

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১২

উৎস১৯৮৯ বলেছেন: পুরা আমার মনের কথাটা বলছেন "স্যালুট টু হিম" :D

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
রকিব হাসান অসাধারণ একজন লেখক। ছোটবেলায় অবাক হতাম , এই রকম একজন লেখক কে, কেন কেউ চিনে না। তবে এখনও রকিব সেই প্রিয় স্থানে -ই আছে। স্যালুট টু হিম... যিনি ছোটবেলার সেই সব দিনে, কিশোর মনে এডভেঞ্চার এর রঙ ছড়িয়ে দিয়েছিল।






রকিব হাসান
লিঙ্ক

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২১

দানবিক রাক্ষস বলেছেন: খুব সুন্দর লিখছেন,

অতীত মনে পড়ে গেলো :( :((

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৪

উৎস১৯৮৯ বলেছেন: আমারও অতিত মনে পড়েছিল দেখে এই পোষ্টের আর্বিভাব। ধন্যবাদ। :)

৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৪

রবিন মিলফোর্ড বলেছেন:
আমার কৈশোরের বড় একটা অংশ জুড়ে আছে তিন গোয়েন্দা আর সেবা প্রকাশনী । কত বকা খেতে হয়েছে তিন গোয়েন্দা পড়তে গিয়ে কিন্তু তা গায়েই লাগত না । এখন ভাবতেই অবাক লাগে কত অভিনব পদ্ধতিতে যে লুকিয়ে লুকিয়ে তিন গোয়েন্দা পড়তাম ।

অতীতের অনেক সুন্দর মুহূর্তের কথা মনে করিয়ে দিলেন । +++

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

উৎস১৯৮৯ বলেছেন: আপনার নিকনেম দেখলেই বোঝা যায় আপনি আমাদের দলের লোক। :)

৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

রিজভী বলেছেন: শুধু এই কমেন্টটা করতেই প্রায় ৫/৬ মাস পর সামুতে লগ ইন করলাম।

১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭- এই তিন বছর পাগলের মতো তিন গোয়েন্দা সিরিজ পড়েছি। প্রতি মাসে একটা করে তিন গোয়েন্দা প্রকাশ হতো। স্টলে নিয়মিত খোঁজ নিতাম নতুন বই এসেছে কিনা। তিন গোয়েন্দার প্রথম ১০০টি বইয়ের প্রায় সবগুলোই এসময় পড়েছি। এরপর ১৯৯৭ এর শেষের দিকে মাসুদ রানা পড়া শুরু করায় আর তিন গোয়েন্দার পড়ায় আগ্রহ পাইনি। ২০০৫/০৬ এর দিকে ছোট বোনের কাছে শামসুদ্দিন নওয়াবের লেখা একটা তিন গোয়েন্দা দেখতে পেয়ে পড়ার চেষ্টা করেছিলাম। ৫/৬ পৃষ্টার পর ন্যূনতম আগ্রহ পাইনি। :(

লেখককে ধন্যবাদ অনেক পুরনো একটি স্মৃতি মনে করিয়ে দেবার জন্য। :)

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫০

উৎস১৯৮৯ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। :) আসলেই এখন সেইসব দিনগুলোর কথা মনে পড়লে খারাপ লাগে। জীবনের অনেক সুন্দর সময় হারিয়ে ফেলেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.