নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ

ভাবতে থাকি

আমি বাংলাদেশের

ভাবতে থাকুন

আমি বাংলাদেশের › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাস্টার সভা

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৫০

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের নব সূচনাঃ ?????...আসছে মাস্টার সভা!!!............

*দয়া করে ভোট দিবেন এই সূচনার উদ্ভোধনে*

বর্তমান গন্তন্ত্রের চেহারা আমাদের জানা। এই আদি চিন্তাধারার ফলাফলের মুলঃ

১। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের বিভেদের জের ধরে বাধ্য হয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সাথে কূটনৈতিক পরামর্শ নেয় ফলে দেশের ক্ষতি ও নষ্ট হয় ভাবমূর্তি। ২। জনগণ ভোট দিয়ে সরকার গঠন করে কিন্তু সরকার হওয়ার পর আর মনে থাকেনা জনগনের কথা। ৩। নির্বাচনকালিন সংকট এ দেশে সাধারণ গঠনা। ৪। দেশের ক্লান্তি কালে থাকেনা কোন অভিভাবক, কিম্বা সরকার ছাড়া মনে হয় দেশ অভিভাবকহীন। ৫। রাজনীতির বাহিরের বুদ্ধিজিবিরা চাইলেই নিজেদের মেধার জোরে পারেনা দেশের জন্য কিম্বা প্রসাসনিক ক্ষমতায় কাজ করতে তাই বাধ্য হয়ে সবাই ঝুঁকে পরে রাজনৈতিক দলের দিকে হোক তা নৈতিক অথবা অনৈতিক। ৬। জনগনের অধিকার ভোট দেয়া এ ভোটের মান সবার সমান। কি বিবেকবান আর কি বিবেকহীন, কারও ভোটের দাম টাকা দিয়ে আর কারও ভোটের মান বিবেক দিয়ে সব ভোটের মান সমান। তাই সে পারে যে কাউকে ভোট দিতে হয় সে দুর্নীতিবাজ না হয় ভাল। জনগনের বিবেচনা হীনতার কারনে নির্বাচিত হয় প্রায় অযোগ্য লোক। এ দেশে বিবেকবান কয়জন? ৭। নির্বাচন করতে অনেক টাকার প্রয়জন তাই রাজনৈতিক দলে টাকার আকাঙ্খা পূরণ করে আসে এ সব টাকাওয়ালারা প্রয়জনের সময় দেশ বিক্রি করেও এই টাকা সুদে আসলে তারা তুলে নেয়। দেশের প্রতি মায়া তাদের শূন কেননা তাদের বাড়ী দেশের টাকায় সারা বিশ্ব। ৮। বাধ্য হয়ে রাজনৈতিক দল এসব চোরদের দলে ঠায় করে দেয়। যে দল এদের জায়গা দিবে না তারা সরকার হওয়া কঠিন। আর এসব চোরদের আস্রয় রাজনৈতিক দলের ছায়ায়। ৯। যতই চেষ্টা করা হোক বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, দুদক ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান করা যাচ্ছে না স্বাধীন। ১০। রাষ্ট্রের যন্ত্র নিয়ন্ত্রন থাকে শুধু এক নীতির দলের কাছে। ভালো নীতি অনেক হলেও সমস্যা নেই। কিন্তু বিভেদ বাজে । তাই রাষ্ট্র যন্ত্র নিয়ন্ত্রনে সরকারে সীমাবদ্ধতা দরকার। ১১। বড় রাগব বোয়াল যেন নিয়ন্ত্রণ করে চলছে সরকারকে। ১২। মনে হচ্ছে সরকারই সব, রাজনীতিই শেষ কথা।

রাষ্ট্র ব্যাথ হওয়ার এসব নিয়ামক থেকে বের হতে চাই নতুন দিগন্তের গণতন্ত্রতে সুচনা। পদ্ধতি ও আলোচনাঃ ১। দেশ পরিচালনা করবে জনগনের প্রতিনিধিরা। তাদের নিশ্চিত করতে হবে জনগনের ৫টি মৌলিক অধিকার আর শান্তি। ২। জনগন অপরাধ করলে সাজা দেবে আদালত। ৩। দেশের দির্ঘমেয়াদী ও বড় পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকবে মাস্টার সভা। বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হবে সরকারের কাঁধে। ৪। রাষ্ট্রপতি নিয়ন্ত্রণ করবে দুদক, আদালত, বিচার বিভাগ, নির্বাচন/ নির্বাচন কমিশন। ৫। যে কোন পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি করবে সরকার কিন্তু অনুমোধন লাগবে মাস্টার সভার। ৬। সরকার আইন করলে অনুমোদন নিতে হবে মাস্টার সভার কাছ থেকে। ৭। সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার দায়িত্তে থাকবে রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রাথি দেবে সরকার। এক্ষেত্রে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে মাস্টার সভা। রাষ্ট্রপতিকে মাস্টার সভার সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য থাকতে হবে। ৮। মাস্টার সভার অধিকার থাকবে রাজনৈতিক দলের হিসাব বার্ষিক হিসাব নিতে ৯। রাষ্ট্রপতি সমালোচনার শিকার হলে কিম্বা অপসারনের ক্ষেত্রে তার সিদ্ধান্ত নেবে মাস্টার সভা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে “না” ভোটের বিধান আছে। নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে তিন বারের বেশি সময় লাগলে মাস্টার সভা থেকে প্রাথী দিতে হবে সরকারকে।

মাস্টার সভা কিঃ যে সভা নিয়ন্ত্রন করবে রাষ্ট্র যন্ত্রের মৌলিক কাঠামো।

কারা মাস্টার সভার সদস্যঃ নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা।

কে হবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানঃ নিজ প্রতিষ্ঠানের সব সদস্যদের নির্বাচনে নির্বাচিত। যেমনঃ শিক্ষা একটা প্রতিষ্ঠান আর এর সদস্য হবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট প্রধান উপাচার্য, সরকারী কলেজের প্রিঞ্চিপাল। বোর্ডের প্রধান। প্রধানের প্রাথি হবেন উপাচার্যরা। একজন প্রধানের বয়সসীমা দুই বছর, তিনি সর্বোচ্চ ২বার নির্বাচিত হতে পারেন। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ন্ত্রক মাস্টার সভা অবশ্য যোগ্যতা। এভাবে সব প্রতিষ্ঠানের জন্য, যেমন আরও প্রতিষ্ঠানঃ বিচার বিভাগ* সকল গন মাধ্যম * লেখক, কবি * সামরিক* গবেষক* চিকিৎসক* ব্যা্বসায়ি ইত্যাদি সংগঠন।

ফলাফলঃ প্রথমে আলচিত বিপর্যয়গুলো মারা ঝাবে। সাম্পদায়িক কিম্বা অন্য কোন বিভক্তি হতে দেশ রক্ষা পাবে। সরকার যা ইচ্ছে করতে পারবে না। দেশের জন্যে সকল মেধা কাজে লাগবে। বাহিরের দেশের অপতৎপরতা বদ্ধ হবে তারা দেশ দুর্বল ভেবে সুযোগ নিতে পারবে না। রাজনৈতিক দলও সতর্ক থাকবে দেশের স্বার্থ দেখতে। কাল টাকা কমে যাবে। জ্ঞানীরা সম্মান পাবে। দেশের অভিভাবক হবে, কখনও দেশ অসহায় বোধ করবে না। আগামী বিশ্বে বাংলাদেশের সামনে যে কঠিন চ্যালেঞ্জ তা মোকাবেলা করার সামর্থ্য পাবে। দেশ পাবে গতি থাকবে শৃঙ্খলা। জবাবদিহিতা থাকবে সব ক্ষেত্রে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.