নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ

ভাবতে থাকি

আমি বাংলাদেশের

ভাবতে থাকুন

আমি বাংলাদেশের › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রিকেট উদ্ভোধনি অনুষ্ঠান

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৩

লজ্জার বিষয়ঃ আমাদের পরিশ্রমের ঘামের টাকা নষ্ট করার অধিকার সরকারের নেই। সরকার যেমন ইচ্ছা তেমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কারন এই সিদ্ধান্তের প্রতি এই দেশের নাগরিকের সম্পৃক্ততা নাও থাকতে পারে। জনগনের মতামতের সম্মান দিতে না পারলে সরকার ভুল করবে।

কি লজ্জার বিষয়, আজ বিশ্বকাপের উদ্ভোধনি অনুষ্ঠান হল। এই বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশ পারত নিজস্ব সংস্কৃতি সারা পৃথিবীকে দেখিয়ে দিতে। আমাদের ইতিহাস কি বর্ণিল কি সমৃদ্ধ আর আমাদের ভাষা। আসলে আমাদের ভাষা ইতিহাস আর সংস্কৃতির প্রতি সম্মান আমরাই দেখাতে পারি না। আমাদের মাথায় বসে কোন অধম আমাদের শাসন করছে। তাদের নুনতম বুদ্ধি নাই। কিছু দিন আগে বলিউড সিনেমায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে অসন্মানিত বক্তব্য দিয়েছে তার পতিক্রিয়া আমরা দেখাতে পারিনি। আমাদের রক্ত নেই সারা শরীরে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আমাদের মানুষ জন বাহিরের দেশ থেকে এসে আমাদের গল্প শোনায় তারা বাংলাদেশ চিনেনা। তারা মনে করে এটা ভারতের প্রদেস। এতদিনে বুজলাম কেন আমাদের দেশ এত অবহেলিত। আমাদের কাছেই নিজ দেশের মূল্য শূন্য। ইচ্ছা করে এসব বোকামির পেছনের ভণ্ডদের গলা টিপে ডাস্টবিনে পেলে দিই। আর দেশকে বলি তুমি এখন স্বাধীন। আমরা এত শ্রমের পর পেয়েছি মুক্ত দেশ, সংস্কৃতি, ক্রিকেট আর সমৃদ্ধ ইতিহাস। আর আমরা পারছিনা নিজেকে প্রচার করতে। কি হয়েছে এই টি২০ বিশ্বকাপের অনুষ্ঠানে, কার লাভ হল, কার টাকা নষ্ট হল, কার ছিল এই অনুষ্ঠান ঘিরে উন্মাদনা। আমাদের কিছুই হল না। বর্গি এসে আমার দেশের গরিব কৃষকের ধান কেটে নিয়েছে আমার দেশের শ্রমিক দিয়ে। কিছু দিন আগে উত্তর বঙ্গে দেখা গেল হাজার হাজার টন আলু নষ্ট করে পেলেছে গরিব কৃষক। কেন? কেন?? কেন??? যে স্বপ্ন কবর হয়ে গেছে, আত্মহত্যা। আমাদের ভাষা কি এতই দুর্বল? কিছুদিন আগে ভাষার মাস ছিল। অদ্ভুদ ব্যাপার, ভাবতেই খারাপ লাগে সেই ভাষার মানুষ গুলোর ভাবনা চিন্তা এখনও দাসত্বের শিকড় পড়ে আছে।

আমাদেরে দেশের শিল্পীরা অতি সস্তা শ্রমের মূল্য নিয়ে বিনোদন দিয়ে আসছে এই দেশের গরিব সাধারণ মানুষদের। আর অথচ এই আমাদের এই সস্তা শ্রমের শিল্পীদের কোন মূল্যই দেয়া হল না। কাল থেকে স্বাধীন বাংলার সব শিল্পীর অনসন কেউ আর গাইবে না, নাচবে না, অভিনয় নাটক কিছুই হবে না। আনুন ভারত থেকে সব শিল্পী !!!!!!!!!!!!! কতদিন পারবেন ? আরে আমরা উর্দুকে না করেছি। সেই উর্দু আমাদের রক্ত রাজপথে ঝরিয়েছে। একটা দুঃখ আমার দেশের আজ অনেক টাকা হয়েছে তাই বাহিরের শিল্পী নিয়ে নাচতে হচ্ছে। তাদের সব টাকা দিয়ে আমরা আমাদের গরিব মানুষের পেতে লাত্থি দিচ্ছি। ভাষাকে ধিক্কার দিচ্ছি আর বলছি তুমি দুর্বল ভাষা বিশ্ব আসরে গাইবার মত শক্তি তোমার নেই। ভাষার শহীদের দেশে তাদের এই সম্মান। ভারতের শিল্পীরা হিন্দি গান গাইবে তার জন্য এত আয়জন! সে হয়ে গেল মধ্যমনি। আর আমার দেশের গান আর আমার দেশের শিল্পী হয়ে গেল আগাছা। আর যদি কেউ কখনও বলে ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি ঠিক তখনই এই আজকের দিনের কথা মনে করে লজ্জায় চেপে যাবে। আমাদের সাথে ইয়ার্কি হচ্ছে। আমাদের সেই জ্ঞান নেই যে জ্ঞান একটা অনুষ্ঠান করার মত পর্যন্ত। এই কোঠি টাকা কার পকেটের ???????? একটা নাটক করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ পাচ্ছে না আমার দেশের শিল্পীরা। আর ভারত থেকে মানহীন শিল্পী আনছে কোঠি কোঠি টাকা খরচ করে। আমরা কোন দেশের অনুষ্ঠান প্রচার করছি আমাদের দেশে। একজন বিদেশি আমাদের দেশে আসলে দেখা যায় অনেক বেকার আর উদ্ভাস্তু তার পিছু নিচ্ছে। যেন চিড়িয়াখানার যন্ত্র-জানোয়ার দেখছে। আর এই ধ্যান-জ্ঞান নিয়ে চলছে আমাদের দেশের নেতৃত্ব। তারাও মনে করে বাহিরের লোক আমাদের বড় ভাই, প্রভুর মত তাদের সম্মান করতে হবে। নিজস্ব কোন ব্যাক্তিত্ত্ব নাই। সবই পরাধীন, পরগাছা। যতবার শুনি আমার দেশে অন্য ভাষার গান কিংবা অন্য সংস্কৃতি প্রচার হচ্ছে আমাদের টাকা নষ্ট করে তখন লজ্জার ছেয়ে বেশি জেদ হয়।

কি এমন গান এ, আর, রাহমান গাইল যেটা গাইবার জন্য এত টাকা খরচ করতে হল গরিব দেশের সরকারকে। কি এমন বানি ছিল এসব গানে তার জন্য এত অপেক্ষা। কি এমন সৈন্দর্ঝ ছিল যা ভুলিয়ে দিছে নিজের সক্রিয়তা আর সৃজনশীলতা। কি এমন প্রাপ্তি ছিল যা ম্লান করে দিয়েছে নিজের দেশের শিল্পীর সম্মান আর সুনাম। কি এমন মুগ্ধতা ছিল যাতে বিমোহিত হয়েছে এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষ। কি এমন নতুনত্ব ছিল এই বিদেশি গানে যা ভুলিয়ে দিয়েছে নিজের ভাষা সংস্কৃতি। কি এমন মূল্য ছিল যার জন্য খরচ করতে হয়েছে অনেক সময় আর অর্থ। কি এমন শিক্ষা আমরা পেলাম যা মনে থাকবে আমাদের সারা জীবন।

আমাদের মাথা মগজ দাসত্ব থেকে মুক্তি পায়নি বলে আজও আমরা আমাদের ভাষা সংস্কৃতির মুক্তি দেখিনি। সবাই ভাববে এদের নিজস্ব সংস্কৃতি নেই। এরা ভারতের নতজানু। আর বোকা।

ভবিষ্যতে এই দেশ নয় কোন দেশেই ঠায় পাবে না কালো টাকার মালিকরা। তাদের নিজস্বতা নেই। গাছের যেমন মূল না থাকলে সে হয়ে যায় পরগাছা, তেমনি যে মানুষের দেশ/ সংস্কৃতির প্রতি প্রেম নেই তারা উদ্ভাস্তু। আমাদের দেশের কালো টাকার মানুষরা নিজেকে এত বেশি কিছু মনে করে যে তাদের কাছে দেশ, দেশের সম্মান/ সংস্কৃতির মূল্য তুচ্ছ। এরাই আবার দেশের নেতৃত্ব নিতে চায়। অযোগ্য হয়েও যোগ্যতম স্থান দখল করে বসে আছে। আর ভোগাচ্ছে আমাদের সাধারণ বাঙ্গালিদেরকে। আগামীতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব কে নেবে। নিশ্চয় বুদ্ধিমান, পরিশ্রমী আর সৎ মানুষ। সবাই একেই চায়, কিন্তু এখন হচ্ছে না। তবে ভবিষ্যতে হবে। আর তখন টাকার খেলা শেষ। পুরান ঢাকার বাড়ীওআলারা অনেকেই আছে যারা বাংলায় কথা বলে না। সবসময় হিন্দি আর উর্দুতে বলে। এরা কোন দেশি জানি না? আমার একটু ভুল হতে পারে। তবে কবির প্রতি সম্মান দিয়ে। কবি আব্দুল আলিমের কবিতা অনুসারে, “ যে সব জন্মে বঙ্গেতে হিংসে বঙ্গ বানি তাদের জন্ম নির্ণয় না জানি”। তারা আবার বলে, আমরা ঢাকাইয়া। আমাদের আছে শহীদ মিনার, স্মৃতি সৌধ। ঢাকা গিয়ে দেখেন এই ইতিহাসের প্রতি ঢাকাইয়াদের সম্মান কতখানি। এটাতে তারা আবেগ/ স্পৃহা/ চেতনা পায় না। আমাদের এই ইতিহাসে স্মৃতির প্রতি কতখানি সম্মান আছে কাছে গেলেই বুঝা যায়। সব অযত্নের দখলে। এই ঢাকাইইয়াদের কাজ নাই, সাদা লুঙ্গি পরে আর পান চিবায়। লুঙ্গি লাল করে পানের লালা দিয়ে। টাকার অভাব দেখা দিলে বাড়ী ভাড়া বৃদ্ধি করে জীবন চালায়। কোন কাজ করে না চলে এই ভাবে। জীবনে নেই কোন অভিযান/ লড়াই/ রোমাঞ্চ।

এ, আর, রাহমানের কনসার্ট দেখতে আসছে তারা নিশ্চয় বাড়ী ভাড়া বাড়িয়ে সব পুষিয়ে নেবে। কেউ আছে গুসের মহাপরিকল্পনা আঁকছে। কেউ আছে টাক মাথা ডেকে বুড়ীওয়ালা বড় পেট চেপে দুর্নীতির দুশ্চিন্তার কবলে আটকে।

আমাদের সাধারণ মানুষদের জন্য আসেনি ঐ বিদেশিরা, তারা কি বলে আমরা বুঝিওনা। তাই বলে ভেবে রাখবেন না আমরা হিন্দি বুঝিনা। সত্যি আমরা হিন্দি পারিনা। লক্ষ করে দেখেন জাপান, চীন কিংবা জার্মানিরা অনেক ভাষা জানে কিন্তু কথা বলে নিজের ভাষায়। আর আমাদের বাংলাদের বাঙ্গালীরা একটু ইংরাজি জানলেই নিজেকে ইংরেজ ভাবতে বসে। আর ইংরেজরা ভাবছে মহাবিশ্ব আর নতুনত্ব নিয়ে।

দেশ, ধর্ম, দেশের মানুষ, ভাষা সংস্কৃতির প্রতি সম্মান জানাতে আমাদের অনেক অনেক জ্ঞানী হতে হবে। অনেক জানতে হবে এবং অনেক উধার হতে হবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:২৩

বেকার সব ০০৭ বলেছেন: দেখেন আর কয়েক দিন পরে কিনা,, বাংলাদেশের প্রধানমন্তী রাহুল গান্দী হয়

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৪৬

আমি বাংলাদেশের বলেছেন: এতটা ভাবচিনা, তবে ভারতের আচরণ রীতিমত বেয়াদবি। এদেরকে আদব শেখাতে হবে। এটা সত্যি তাদের মন-মানসিকতার অনেক উন্নয়ন দরকার। আর বাংলাদেশকে নিজেদের ব্যাপার নিজেরাই ভাবতে হবে।

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: +++

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৬

আমি বাংলাদেশের বলেছেন: ---

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.