নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অশান্তি যুদ্ধ আর মুসলিম বিশ্ব ধ্বংস নিয়ে আমেরিকান প্রকল্প।
মুসলিম বিশ্বের দেশ প্রধানত এশিয়া অঞ্চলের মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলোকে লক্ষ্য করতে পারি। আগেকার সময়ে যুদ্ধবাজ জাতী কারা ছিল কিম্বা কারা যুদ্ধের ইন্দন দিত, সেটা আপাতত বিবেচনায় আনলাম না। তবুও এটা ঠিক যে, যারা যুদ্ধবাজ জাতী তাদের জ্ঞান অবশ্যই সীমিত নয় যুদ্ধ নিয়ে। গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ সাধারণ আকার ধারণ করে নিয়েছে বিশেষ করে ৯-১১-২০০১ টুইন টাওয়ার হামলার পর।
এর আগে অবশ্যই ইরান-ইরাক যে যুদ্ধটা হয় সেটার পেছনে কারন ছিল দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়ন। এই যুদ্ধে দেখা যায় আমেরিকার সমর্থন ছিল ইরাকের প্রতি। তখন অবশ্য মধ্য প্রাচ্যের উপর আমেরিকার এত খবরদারি ছিল না। যুদ্ধের কারন ছিল মূলত ইরানের ইসলামি বিপ্লব নস্যাৎ করা এবং তাদের তেল সম্পদ সাদ্দামের নিয়ন্ত্রনে আনা। সাদ্দামকে নিয়ন্ত্রণ করত আমেরিকা। এদিকে ইরান হল সিয়াহ সম্প্রদায় আর ইরাক হল সুন্নি সম্প্রদায়। এই বিভক্তই সম্ভবত মুসলিম দেশ দুটি নিজেদের আলাদা করেছে সবচেয়ে বেশি জোরালভাবে। অপারেশন নিম্বল আর্চার এ মার্কিন নৌবাহিনীর আক্রমণে সমুদ্রবক্ষে ইরানি তৈল স্থাপনা ধ্বংসও করে তারা। অর্থাৎ আমেরিকার কাজ আমেরিকা ঠিকই করে নিল। এই যুদ্ধে দুই দেশের বহু মানুষ আর সম্পদ ধ্বংস হল। পরবর্তীতে ইরাক যুদ্ধটা কেন করল আমেরিকা এবং তাদের মিত্ররা সেটা আজও স্পষ্ট না। তবে এই যুদ্ধ ইরাক বাহিরের কারো সাথে করেনি নিজেদের মধ্যে বিদ্রোহ মূল কারন ছিল। আর তাদের এই বিদ্রোহ উস্কে দিয়েছে এবং শক্তি প্রয়োগও যথেষ্ট করেছে আমেরিকা। পশ্চিমারা যে কারন দেখিয়ে ইরাক যুদ্ধ করল তার প্রমান শেষ পর্যন্ত হল না। বরঞ্চ শেষ পর্যন্ত পশ্চিমারা সমালোচিত হল তারা ইরাকের তেল বাজেয়াপ্ত করতে এই নিসংস হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। কিন্তু তারা এটা মানতে রাজী নয় বাস্তবিক ঘটনা আসলেই এটাই হল। একইভাবে ধ্বংস করে লিবিয়াকে আর অন্য অপকৌশলে ইসরায়েলকে দিয়ে ধ্বংস ও হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ফিলিস্থানে।
মধ্যপ্রাচ্য এক হতে না পারার যে বীজ আমেরিকা বুনে দিয়েছে তাই যথেষ্ট আজীবন নির্যাতন হতে। এই সুযোগটি ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে আমেরিকা আর যুক্ত হল আরেকটি অপসক্তি ইসরায়েল।
প্রস্ন হল, যুদ্ধ গুলো সংঘটিত হওয়ার মূল কারন কি? এই যুদ্ধ মুসলিম বিশ্বেই ঘটতে হবে কিন্তু কেন? কখন থেকে এই যুদ্ধ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলছে? ৯-১১-২০০১ এর পর পশ্চিমা বিশ্ব ধরেই নিয়েছে যে, মুসলিম জাতী সন্ত্রাসী। তাদের এই ধারণার অন্য কোন ব্যাখ্যা আছে কি? আমেরিকা সারা বিশ্বে খবরদারি করার নিয়ন্ত্রণ নিল কিভাবে।
মূলত মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস ও অন্য সাম্রাজ্যবাদী দেশ সাম্রাজ্য বিস্তারে যখন মুখ কিছুটা ফিরিয়ে নিল তখন আমেরিকা সুযোগ পেল খবরদারির। আর টুইন টাওয়ার ধ্বংসের মাধ্যমের পশ্চিমাদের আবেগ নাড়া দেয় এই সুযোগে মুসলিমদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দেয়। এই ঘটনার মাধ্যমেই আমেরিকা যুদ্ধের সমর্থন চিনিয়ে নিয়েছে অন্য শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর মতামত। যদি টুইন টাওয়ার ধ্বংস না হত তবে ইরাক আক্রমণ আমেরিকার পক্ষে সম্ভব ছিল না। এমনকি পরবর্তী আফগানিস্থান এবং বেঁচে যাওয়া সিরিয়াও। টুইন টাওয়ার ধ্বংসে ক্ষতি কি আমেরিকার হল? না, এটার ক্ষতি বহন করেছে বিশ্বের বড় বড় বীমা কম্পানি আর ক্ষতি হয়েছে অন্য দেশের বড় বড় ব্যাবসায়িদের। অবশ্য ইরাক যুদ্ধের মাধ্যমের ইরাকের সম্পদ লুটের মাধ্যমে তা পুষিয়ে নিল। আমেরিকার মত একটা রাষ্ট্রে বিমান হামলা করবে অন্য দেশের কেউ। তাও আবার তাদের গুরুত্বপূর্ণ শহরের কেন্দ্রে। আমেরিকার গোয়েন্দা, সামরিক বাহিনী কিম্বা নজরদারি এতই দুর্বল।পক্ষান্তরে যদি আল-কায়দা এতই শক্তিশালী হয় তবে আমেরিকায় আর হামলা চালায়নি কেন? এমনতো হতে পারে নিজেদের ঘর জ্বালিয়ে প্রতিপক্ষের উপর দায় দেয়া। যদি সেখানে কোনও বড় স্বার্থ থাকে। তারা কীভাবে বুঝল এই সন্ত্রাসী হামলা আল-কায়দা কিম্বা জঙ্গলিরা করল। টুইন টাওয়ার হামলার পরই পশ্চিমারা ছিল বিক্ষুব্ধ আর সুযোগ বুঝে আমেরিকা দায় চাপাল আল-কায়দার উপর। আবেগে অন্ধ হয়ে পশ্চিমা সবাই বিশ্বাস করল হ্যাঁ তারাই। কিন্তু আল-কায়দার পতিক্রিয়া শুনার সুযোগ তারা দেয়নি। মাঝে মাঝে তাদের মিডিয়াগুলো প্রকাশ করে এই হামলার দায় স্বীকার করল আল-কায়দা সংস্থা। আল-কায়দা সংস্থা পৃথিবীর অন্য সব মিডিয়াতে খবর পাঠাচ্ছে না কেন? এই ভিডিও ফুটেজগুলো পশ্চিমা মিডিয়ার সৃষ্টি নয় তার বিশ্বাস কি? আধুনিক সকল প্রযুক্তি পশ্চিমাদের কাছে। আল-কায়দার দেয়া গর্জন তাদের মিডিয়ার সৃষ্টি নয় তার নিরপেক্ষ প্রমান নাই। তাদের মিডিয়াগুলো কি আসলে নিরপেক্ষ? উত্তর একটাই না না না। এই দেখুন বর্তমানে ফিলিসস্তানে কেমন হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে কিন্তু তাদের মিডিয়া কি প্রকাশ করছে। উল্টো আফগানদের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী বলার চেষ্টা করছে। যে কয়জন সাংবাদিক সত্যি বলার চেষ্টা করে তাদের চাকরি চ্যুত করে। হলিহুডের মত বিখ্যাত যায়গায় উন্মুক্ত চিন্তার ঠায় নেই। অন্যসব যায়গা বাদই দিলাম। যে কয়জন প্রতিকূল পরিস্থিতির উদ্ধে উঠে মানবতার পক্ষ নেয় তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় পুরো ইন্ডাস্ট্রি। তাকে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দেয়। আমেরিকায় প্রকৃতপক্ষে এখনও বৈষম্য রয়ে গেছে। তাদের জাতিগত টান আর ধর্মান্ধ টানটাই মুখ্য। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করলে তাদের কি এত আসে যায়। তারা শিশু হত্যার পেছনে অর্থ লগ্নি করে। তারা অমানবিকতার পেছনে অর্থ লগ্নি করে। তারা ধ্বংসের পেছনে অর্থ লগ্নি করে। তারপরও সভ্য জগতে তারা লজ্জা পায় না। অন্য সভ্যরাও তাদের হাতের পুতুল হয়ে আছে। কেন? আসলে পৃথিবীর সকল সভ্য আর জ্ঞানীদের পেছনে তাদের লগ্নি আছে। তারা মুখ খুলবে না। দেখা যায় পশ্চিমাদের জনপ্রিয় কৌশল এটাই যার উপর হামলা করবে তাকে জনবিচ্ছিন্ন করে দেয়া। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার সৃষ্টি। তার নেতিবাচক দিকই প্রকাশ করা। এবং তাকে সন্ত্রাসী বলে ধিক্কার দেয়া। ফলে পশ্চিমের অন্য রাষ্ট্র স্মরণ করবে ৯-১১-২০০১ এর লোমহর্ষক ঘটনা। আর ঘৃণা করবে মুসলিমদের আর বলবে এরা সন্ত্রাস। ফলে তারা আমেরিকার স্বার্থের পথ সুগম করে দেবে যুদ্ধ চালাতে সমর্থন দিবে।
আল-কায়দা বা লাদেন সৃষ্টি কার? আমেরিকা ভালভাবেই জানে আল-কায়দার ব্যাবহার। ব্যাপারটা কাটা দিয়ে কাটা তোলার মতই এটা সবার জানা। আল-কায়দার সংখ্যা বাড়ার পেছনে আমেরিকার অবদান বেশি।
১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যায় আমেরিকার প্রকল্প
বাংলাদেশের উদ্ভোনের সময় আমেরিকা পাকিস্থানের পক্ষ নিয়েছে। কিন্তু কেন? পাকিস্থানের মূলমন্ত্র অন্তরে যাই হোক মুখেতো বলত তারা ইসলাম পন্থী তারপরও ইসলামের শত্রু আমেরিকা কেন পক্ষ নিয়েছে পাকিস্থানের। মূল ঘটনা এই দেশে বাঙ্গালীরা শাসন হারালে বাংলাদেশকে আমারিকা আর পাকিস্থান ভাগাভাগি করে খেত। পরে অবশ্য আমেরিকা এই সমীকরণও পাল্টে দিত। এই স্বার্থের বলে আমেরিকা বাংলাদেশের দুঃখী পরাধীন মানুষদের পরাজিত করতে মরিয়া হয়ে উঠে পাকিস্থানের সাথে। পারেনি প্রকাশ্যে খুব একটা করতে কারন সেখানে আন্তর্জাতিক সমর্থন ছিল না। এই সমর্থন আদায়ে তারা ব্যাবহার করেছে “হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, জাতিসংঘ, তাদের কূটনৈতিক কৌশল আর তাদের মিডিয়া। এরপরও তারা পুরাপুরি সফল হয়নি। বাধ্য হয়ে তারা বিশ্ব সমর্থন অগ্রাহ্য করে। তারা জানত বাঙালিরা পরাজিত হলে কেউ তাদের পক্ষ সরাসরি নিবে না। কিন্তু তাদের সব আকাঙ্খা পূরণ হল না। বাঙালি জাতির আধম্য ইচ্ছা লড়াই আর লক্ষ্যের কাছে সব বিলীন হয়ে যায়। তারপরও আমেরিকার আর পাকিস্তানের ক্ষোভ ও শত্রুতা শেষে হয়ে যায় নি। তাদের চিন্তা তাদের অবাক করে দিত। তাদের সে চিন্তা এই, ছোট একটা দেশ কীভাবে তাদের হারিয়ে দিল, সামরিক শক্তি খুব একটা ছিল না, তাদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেল এ ছিল আমেরিকার লজ্জা। সেই থেকে এ দেশের নেতাদের উপর আমেরিকা ছিল অসন্তুষ্ট। তারা বুঝেছে যদি শেখ মুজিব সরকার একবার দাঁড়াতে পারে তবে তাদের কোন পরিকল্পনা এ দেশে বাস্তবায়ন করতে পারবে না। তাই শেখ মুজিব সরকারকে ব্যর্থ করতে নানা অপকৌশল ব্যাবহার করে। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে জনগন হতে বিছিন্ন করার চেষ্টা করে কিন্তু শেখ মুজিবের জনপ্রিয়তার কাছে তা ভাটা পড়ে। বাকসাল বলে যে অপবাদের দোহায় দেয়া হচ্ছে তা কেন? বাকসালের ফলাফল জনগণ পেয়েছে যা ছিল খুব খারাপ? তখনতো এদেশে এমন কোনও নেতা ছিল না যারা শেখ মুজিব রহমানের ছেয়ে বেশি শক্তি কিম্বা সামর্থ্য সম্পন্ন। তারপরও তার প্রতিদ্বন্দ্বী সৃষ্টি কেন হল। আসলে তখন আমেরিকার কৌশলের কাছে মার খেয়েছে বিপথ সেনা সদস্যরা। যারা পরে ভুল স্বীকারও করেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমেরিকার মিডিয়া পক্ষ নিয়েছে খুনিদের। আসবই প্রমান করে ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে আমেরিকান মিডিয়া, জাতিসংঘ এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সব আমেরিকার দালালের ভুমিকায় ছিল। বাকসাল থাকলে আমেরিকার ক্ষতি হত, কখনও পারতনা এ দেশের কাছ হতে স্বার্থ উদ্ধার করতে কিম্বা সাম্রাজ্য অধিষ্ঠিত করতে। পারতনা দেশের জনগনের ঐক্য নষ্ট করতে। আর শেখ মুজিবের নামে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে ক্ষমতা চ্যুত একমাত্র লক্ষ্য ছিল তাদের। কিন্তু পরে নিশ্চয় আন্দাজ করেছে এটা সম্ভব না কারন বাংলার জনগনের আস্থা আজও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের উপর ঠিকই আছে। জনগনই শুরু করে দেবে আন্দোলন। যদি কেউ আমার যুক্তির বিরোধিতা করে তবে প্রশ্ন, জাতীয় ছয় নেতাকে কেন হত্যা করল, তাদের অপরাধ কি? সেটা কি এর প্রমান করেনা। তারপর তারা গনতন্ত্র দিল বিপক্ষ রাজনৈতিক দল দেয়ার নামে দেশের ঐক্য নষ্ট করল। আবার ফিরে এলো পাকিস্তানি সমর্থকদের রাজনৈতিক দল। যে রাজনৈতিক দলই ঝথেষ্ট এ দেশ বিভক্ত রাখতে।
জামাত ইসলাম নিয়ে আমেরিকান প্রকল্পঃ
আমেরিকা আমাদের দেশের উপর খবরদারি করবে এটা নিশ্চিত করেছে বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে। এবার বাস্তবায়নের ফালা। তাদের ইচ্ছে ছিল সেই বিপথগামি সেনা ও তাদের রাজনৈতিক দল তাদের ইচ্ছে পূরণ করবে। কিন্তু সেখানে তারা পুরাপুরি বিশ্বস্থ হতে পারেনি। তাই আমেরিকা ও পাকিস্তানের পূরনো ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে ১৯৭১-এ যে প্রমান দেখিয়েছে তাদের উপরই আস্থা নিচ্ছে এখন আমেরিকা। এই দেশেই জন্ম নেয়া তাদের এজেন্ট এবং দেশদ্রোহীরা ইতিমধ্যে আবারও প্রমান দিল আমরা তোমাদের সেই এজেন্ট হিসেবে আজও আছি। দেশে মারাত্মক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এই দেশদ্রোহীরা। তারা প্রমান করল নতুন মুখোশের আড়ালে তাদের সেই হায়না চরিত্রই লুকিয়ে আছে। যুদ্ধঅপরাধীদের পক্ষ নিয়ে আমেরিকা, জাতিসংঘ, পশ্চিমা গনমাধ্যম ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানান দিল আমরাও আছি তোমাদের পাশে সেই একাত্তরের মতই। এই দেশকে তোমরা জ্বালিয়ে দাও আছি আমরা তোমাদের পাশে। কিছুদিন আগে আমেরিকা থেকে একজন দূত আসল জামাতের বিচার রোধ করতে। সে বলছে, যুদ্ধঅপরাধী ব্যাক্তি কেন্দ্রিক। বিচার বাক্তির হবে দলের নয়। এটা তাদের নতুন কৌশল। যখন দেখল তাদের সব অপতৎপরতাও কাজ হচ্ছে না। তাই নতুন পন্দি বাঁধল। তারা জানে জামাতি নীতি বেঁচে থাকলে আগামীতে আরও জন্মাবে নিজামি, মুজাহিদ, গোলাম আজম সহ দেশদ্রোহীরা। তাই তারা সর্বস্ব দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে জামাত প্রতিষ্ঠায়। যদি আমেরিকা জামাতকে আগামীতে কখনও ক্ষমতায় আনতে পারে তবে কখনও তারা এ দেশ আর ছাড়বে না। ক্ষমতা থাকবে মূলত জামাতের হাতে কিন্তু দেশ চলবে আমেরিকার ইচ্ছায়। একাত্তরের পরাজয় আমেরিকা কিম্বা জামাত আজও ভুলেনি। এ দেশে তাদের এই নির্লজ্জ চরিত্র বারবার প্রয়োগ করে চলছে মুলত তাদের উদ্দ্যেশ্য পূরণের লক্ষ্যে। পাকিস্তান লজ্জা পেয়ে এ দেশ থেকে পালালেও আমেরিকা তাদের লোভ চাড়তে পারেনি। এরা এতই অমানবিক যে তাদের স্বার্থের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ মারতেও তাদের ন্যূনতম বিবেকে বাঁধবে না। জামাত মানুষ হত্যা করে ধর্মের দোহাই দিয়ে আর এরা লোভে। আমেরিকা এবার কি চায় এ দেশে? উত্তর একটাই তাদের সাম্রাজ্য বিস্তার। তাদের উদ্দেশ্য পূরণ করতে তাদের প্রদক্ষেপ কি? যদি জামাতকে ক্ষমতায় বসাতে না পারে তবে জামাত-শিবির দিয়ে এ দেশকে বিশৃঙ্খল করে রাখবে আর তখন তাদের গনমাধ্যম এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ প্রচার করবে বাংলাদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কিম্বা সরকার বিদ্রোহীদের উত্থানে দেশের মানুষের শান্তি নেই। আর তারা দেশে গৃহ যুদ্ধ সৃষ্টির চক্রান্ত তারা চালিয়ে যাবে। আর সাহায্যের নাম করে আমেরিকান সৈন্য ঢুকে দেশে চালাবে যুদ্ধ। তারা কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকারের বিপক্ষে কিম্বা বিএনপির পক্ষ তা নয়। তাদের মূল লক্ষই বাংলাদেশকে তাদের নিয়ন্ত্রনে রাখা। আর বিশ্বের অনেক দেশের মত এই দেশেও তাদের অনুগত সরকার প্রতিষ্ঠা। মনে রাখতে হবে তাদের এই চক্রান্ত বহু আগের। আর তাদের পথের বাধা যাকে ভাববে তাকে হত্যা করবে কৌশলে যেমনি কৌশল হয়ে ১৯৭৫-এর ১৫ই আগস্ট।
©somewhere in net ltd.