নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ

ভাবতে থাকি

আমি বাংলাদেশের

ভাবতে থাকুন

আমি বাংলাদেশের › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের ভবিষ্যতে ১০নং বিপদসংকেত

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১



অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কি কি সমস্যার মুখোমুখি হবে? ভাবছেন আমরা কিছুই জানি না। আপনার বাড়ী ৫তলা ফাউন্ডেসান। আর আপনাকে প্রশ্ন করা হল ভবিষ্যতে আপনার বাড়ী কত তলা পর্যন্ত হচ্ছে। তখন আপনি নিশ্চয় উত্তর দিতে চাইবেন আর ঠিকটাই বলবেন। আসলে দেশ তো আর আপনার বাড়ী না তাই দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছেন না। কিন্তু আপনার সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনার কপালে ভাঁজ। আপনার বাড়ী দাঁড়িয়ে থাকবে কোথায়? পরাধীন দেশে না স্বাধীন দেশে? আর তখন গর্ব করে বলবেন সহজ উত্তর আমরা বাঙালি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছি অধীন দেশে বাস করতে নাকি? স্বাধীনতা অর্জন মানে কি সব জয় পেয়ে যাওয়া? মানে কি সব দায়িত্ব থেকে অবসর নেয়া? যেমন বাচ্চা জন্ম দেয়ার সাথে সাথে দায়িত্ব বেড়ে গেল আপনার বাবা অথবা মা হিসেবে তেমনি স্বাধীন দেশ পেয়ে বেড়ে গেল অনেক দায়িত্ব। এ দায়িত্ব এড়িয়ে গেলে আপনার সন্তানদের ভাগ্যে যা হবার তাই হবে। আপনার দায়িত্ব কে করবে? দেশ? দেশ তো মানুষ নয় যে সে লড়াই করবে অথবা ভাববে। যা করার আপনাকেই ভাবতে হবে। যদি বলেন আমি দায়িত্বহীন তবে আপনার দুর্বলতার সুযোগ নেবে আপনার ভাগ্য। কারন ভাগ্য দুই প্রকার ১। দুর্ভাগ্য ২। সুভাগ্য । যদি আপনে অযোগ্য হয়ে থাকেন তখন দুর্ভাগ্য আপনার কপালে যায়গা করে নেবে। আসলে দুর্ভাগ্য সহজাত, না চাইতেই পাওয়া যায়। সুভাগ্য খুবই ভদ্র, তাকে আমন্ত্রন দেয়া ছাড়া সে আপনার অতিথি হয়ে আপনার কপালে জোটবে না। আজ দেখা যাচ্ছে আমরা সবাই নিজের সন্তানদের কথা ভাবছি কিন্তু জন্মদাত্রী মায়ের জন্য বৃদ্ধাশ্রম। আজ যেমন আপনি আপনার বাবা-মায়ের জন্য বৃদ্ধাশ্রম পছন্দ করেছে ঠিক তেমনি আপনার সন্তানরাও সঠিক কাজটিই করবে। যদি তা না হয় তবে তা হবে নীতি বৈষম্য। এই মহাজগত অত্যন্ত সুশৃঙ্খল এখানে ভুলের সম্ভাবনা নেই। নিউটনের গতির ৩য় সূত্র আপনার ক্ষেত্রে যা হবে আপনার পিতামাতার খেত্রেও তাই হবে। কিম্বা আইনস্টাইন এর বিখ্যাত আপেক্ষিক মতবাদও তাই বলছে। যেমন আপনার পিতা-মাতা সাপেক্ষে আপনি সন্তান তেমনি আপনার সাপেক্ষে আপনার সন্তানেরা সন্তান অথবা আপনার সন্তানের সাপেক্ষে আপনি পিতা/ মাতা। আর বর্তমান আপনার পিতা-মাতা সমান ভবিষ্যৎ আপনি নিজেই পিতা/মাতা। এবার দেখুন আপনার অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার কারনে আপনার সন্তানদের ভবিষ্যৎ কিম্বা আপনার মায়ের দুর্দশা। যাদের মা নেই তারা ভাবুন এই মাতৃভূমি আপনার মা। যদি এই ভাবনা নিজের মনকে বিশ্বাস করাতে পারেন তবে আপনার জীবন দশায় আপনি মা হারা হবার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

আজ আপনার মাতৃভূমি কেমন আছে? কোন সন্তান মাকে বিক্রি করে বিলাস/ উল্লাস করে।আজ সে মা সুখী নয়। কিন্তু সন্তানরা কি সুখী আছে বা থাকবে? মাকে বিক্রি করে বিক্রিত অর্থ সন্তানকে সুখী করবে? যদিও সে সর্বদা মনে মনে স্বীকার করবে আমি বেঈমান। মায়ের রক্ত দিয়ে গড়া এই আমি আজ মাকেই বিক্রি করে দিয়েছি সুখের জন্য। আমার প্রথম নিঃশ্বাস গ্রহন কিম্বা প্রশ্বাস মায়ের গর্ভে। আমার প্রথম আহার। প্রথম মায়ের বুকে পা পেলে হাটা। যে এত কিছুর সাথে বেঈমানি করতে পারে সে কারো বন্ধু হবে বা হতে পারে সে বিশ্বাস শূন্য। কারা এই বেঈমান????????? তারা, যারা আজ মা/ মাতৃভূমির সাথে বেঈমানি করছে তারা। তারা কে? তারা হল সব দুর্নীতিবাজ, সব শোষক, সব অপরাধী, সব পাপের জনক। তারা কখনও হতে পারে না কারো পিতা হতে পারে না মায়ের সন্তান তারা পিতার কলঙ্ক। আজ থেকে অনেক আগ থেকেই শুরু এই বেঈমানরা মাকে বিক্রি করা শুরু করে দিয়েছে। দেশের টাকা পাচার করে আবাস গড়ছে মালেয়সিয়া সহ উন্নত কয়েকটি বিশ্বে। তাদের কাছে মাতৃভূমি/ মা হল টাকার যন্ত্র। এই দেশে যত্রতত্র যেমন ইচ্ছে তেমন করে টাকা আয় করে পাচার করছে সুইচ ব্যাঙ্কে অথবা উন্নত বিশ্বে। ঢাকার পার্ক দখল করে নির্মাণ করছে অট্রালিকা তারা দখল করছে চরের জমি আর এখান থেকে পাওয়া সব অর্থই পাচার হচ্ছে। ধ্বংস করে দিচ্ছে নগর পরিকল্পনা ধ্বংস করে দিচ্ছে দেশের অবকাঠামো ধ্বংস করে দিচ্ছে দেশের ভাবমূর্তি। মাকে বিক্রি করে দেয়া কুলাঙ্গার সন্তানদের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে, কারা আছে পৃথিবীর বেঈমান/ জঘন্য/ নির্লজ্জের এই তালিকায়? উত্তরঃ অনেক মন্ত্রী, আমলা, সরকারি দুরনিতিগ্রস্থ অফিসার এভাবে তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন কুলাঙ্গার। এই ভাবে জারজ সন্তান হয়ে গেল। একদিন এদের সাথে ঠিক এভাবেই বেঈমানি করবে এদের সন্তান ও নতুন কেনা মাতৃভূমি। কারন মা আপন সন্তানকেই বুকে তুলে নেয়। জারজদের ভুলে গেলেই ভালো।

ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সামনে যেসব সমস্যা অপেক্ষা করছে?

১। বিশ্ব উস্নায়নের ফলে গলে যাচ্ছে পৃথিবীর মেরু অঞ্চলের বরফ। তাতে আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বরফ গলার ফলে উপকূলীয় অঞ্চল ডুবে যাবে। ফলে বন্যা অনিবার্য এবং দীর্ঘস্থায়ী। এভাবে উদ্ভাস্তু হবে উপকূলের মানুষ। উৎপাদন ব্যাহত হবে খাদ্য শস্য এর। চূড়ান্ত ফলাফল হল আমাদের মৌলিক চাহিদা খাদ্য হতে আমরা বঞ্চিত হব।

২। উদ্ভাস্তু মানুষ আশ্রয় নেবে উচু অঞ্চল এবং উচু শহরে। ফলে শহর হয়ে পড়বে অচল। থাকবে না গতি। গিঞ্জি পরিবেশে মানুষ অস্থির হয়ে অন্যায় পথ বেছে নেবে। ধীরে ধীরে আমরা বঞ্চিত হব ২য় মৌলিক চাহিদা বাসস্থান হতে।

৩। আর সিকিৎসা সেবা পাবে হয়ত সমাজের হাতে গোনা কয়েকজন ধনী।

৪। যখন অস্থিরতা বেড়ে যাবে তখন কি হবে শিক্ষা গ্রহন করে। তখন সংখ্যা বেড়ে যাবে হাতাশাগ্রস্থের। বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষার্থী নেশায় জড়াবে দ্রুত। বুঝিনা সরকার কেন বদ্ধ করতে পারতেচেনা এই নেশা দ্রব্য আটকাতে। শিক্ষার্থীরা আজ আর ভাবচেনা বিজ্ঞান, সাহিত্য, চলচিত্র সহ সৃজনশীল কর্মে। তারা চিন্তা করার ভয়ে সিগারেট, ইয়াবা, ফেন্সিডিল এ আসক্ত হচ্ছে। চিন্তা যদি মানুষের নাই থাকত তবে সভ্যতা এগুতো কি করে। আছে সন্ত্রাস আছে ইয়াবাবা আছে টেন্দারবাজি। নেই ছাত্র নেই ভাবনা নেই চিন্তা নেই নেতা নেই যোগ্যতা নেই আদর্শ নেই সভ্যরা নেই নিউটন নেই নজরুল।

৫। আমাদের যখন ঘিরে ধরবে সকল সমস্যা তখন আমাদের নেতারা মঞ্চে সিগারেট, ইয়াবাবা টানবে। এই নেতাদের ভবিষ্যৎ ভাবনা কিম্বা দূরদর্শন নেই।

চোখ বদ্ধ করে ভাবুন এই পরিস্থিতিতে আপনি কি করবেন? হতাশ হতাশ হতাশ। তাই তো হয়ত তারা যারা জেনে গেছে দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার তারা উদ্ভাস্তু হয়ে দেশের সম্পদ লুট করে আশ্রয় গড়েছে অনত্র। ভেবে দেখুন তারা সেখানে কীভাবে থাকবে? যদি সেখানেও বিশ্ব উস্নায়নের প্রভাব পড়ে অথবা না পড়ে অন্য সমস্যায় পড়ে। আর সকল সমস্যার মাঝে যদি তারা হয়ে পড়ে অসহায়। তখন কি হবে? ধরুন বিশ্ব থেকে বাংলাদেশ মুছে গেছে অথবা শক্তিহীন হয়ে পড়েছে আর তখন ঐসব বেঈমানদের কি হবে? তাদের নকল মাতৃভূমির আসল সন্তানেরা আইন পরিবর্তন করে যদি তোমাদের( বেঈমান বাঙালিদের) বের করে দেয় নিজের দেশ হতে। তখন কি হবে? তোমাদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ থাকবে না। তোমরাই হবে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অসহায়। তাই যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বাঙালি জাতিসত্তার মূল্যায়ন থাকবে। কাজেই দেশের প্রতি অতিযতন করে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। ধর তুমি হয়ে গেছ সেই বেঈমান বাঙালি আর তোমার নতুন জন্মভূমি ( টাকা/ মেধার বিনিময়ে কেনা মাতৃভূমি) থেকে তোমাকে বের করে দেয়া হল। কারন তাদের দেশে অশান্তি শুরু হল কিম্বা জনসংখ্যা বেড়ে গেল কিম্বা তাদের স্বার্থ উদ্ধার হল কিম্বা খাদ্য সংকট শুরু হল কিম্বা বিশ্ব উস্নায়নের ফলে দেশের আয়তন কমে গেল কিম্বা পৃথিবী ছোট হয়ে গেল কিম্বা অভিবাসন আইন পরিবর্তন হল কিম্বা জাতিগত বিভেদ শুরু হল কিম্বা পৃথিবীতে বাঁচার কঠিন প্রতিযোগিতা শুরু হল। যে কারনেই হোক তুমি বিছিন্ন হয়ে গেলে তাদের জাতিসত্তা থেকে। তখন এই বাংলাদেশ হবে তোমার শেষ আশ্রয় কিন্তু এই বাংলাদেশ নেই আর সেই সবুজ বাসযোগ্য। কারন তুমি চেয়েছ যা তাই হল। সময় পুরাবার আগেই চিনে নাও নিজের মাকে দাও মায়ের মর্যাদা আপন করে নাও নিজের ভিটাভূমি মিশে যাও নিজের জাতিসত্তার সাথে। আর গড়ে নাও এই বাংলাদশেই তোমার ঠিকানা, জাতী আপন আর গড়ে নাও স্থায়ী ভিত্তি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭

খাটাস বলেছেন: সুন্দর, দায়িত্বশীল লেখা। আসলে আমরা ঠিক হই না, তাই এত সমস্যা।
আর জাতিয়তাবাদের দর্শনের চেয়ে ভোগবাদের দর্শনের অনুসারি হলে, নিজ স্বার্থ সব চেয়ে বড় হয়ে যায়, দেশ সেখানে বিশেষ কিছু নয়।
সবাই ভাবে দেশ কখন ও ভাল হবে না, তাই নিজের নিজের চিন্তা করে বলেই কিছুই ঠিক হয়।
আপনার মানসিকতা অনেক ভাল লাগল।
লিখে যান। ++++

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১২

আমি বাংলাদেশের বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.