নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

venus

সুন্দর চেহারা না থাকলেও সুন্দর একটা মন ছে যা দিয়ে জীবনটা গোধূলীর মত বর্নিল করতে চাই।

venus › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এখনো প্রথম শ্রেনীতে পড়ে কোন হিসেবে??

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬


"দুজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হওয়ায় তাদের সরাসরি ভর্তি করা হচ্ছে।মোট নেওয়া হবে দশজন।বাকি সবাই
মুক্তিযোদ্ধার নাতনী হওয়ায় লটারীর মাধ্যমে নির্বাচিত করা হবে।"

মাইকে কথাগুলি শুনার পর কিছুমানুষ হৈ হৈ করে চিল্লিয়ে স্টেজের দিকে যায়।এখনো মুক্তিযোদ্ধার কোন সন্তান
প্রথম শ্রেনীতে পড়বে!!!
কিরকম যেন হিসেব মিলাতে কষ্ট হয় সবার।

যুদ্ধ হয়েছে ৪৫ বছর। ১৩ বছরের কম কাউকে মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে না।ভর্তিকৃত সন্তানের বয়স ৬।সব মিলিয়ে বাবার
বয়স হওয়ার কথা ৬৪ বছরের বৃৃদ্ধ।কিন্তু লোকটা কে এখনো সবল দেখা যাচ্ছে, এমনকি দাড়িও পাকে নি!
ব্যাপার কি...জানতে সবাই উনাকে জোকের মত চেপে ধরেছে।উনি আবার বলছে উনার মুক্তিযোদ্ধার সনদ আছে!

আমি কনফিউজড হয়ে গেলাম... এই সবল
ভদ্রলোকটি একাত্তরের যুদ্ধ করেছে নাকি তীব্র শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে যে যুদ্ধ করতে হয় সেটা
করেছে! :P
যাইহোক, এই পবিত্র সনদের সত্য দাবি করাটা হচ্ছে আমাদের নৈতিকতার বিষয়। আর এই ঘটনাটা আমাদের টাঙ্গাইলের "বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়" এর প্রথম
শ্রেনীর ভর্তি লটারীর দিনের।

প্রতি সরকারের আমলেই মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা যে হারে বাড়ছে তাতে আমি নিশ্চিত, আগামী সরকারের
আমলে আমিও যদি আবেদন করি এই সনদের জন্যে...তাহলে "পাইলেও পাইতে পারি এই অমূল্য রতন।" B-)

মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যার সঠিক হিসেব নিয়ে কথা বললে আমি
রাজাকার আর বছর বছর নয়া 'জারজ' মুক্তিযোদ্ধার জন্ম দিলেই
দেশপ্রেমিক!
কি সুন্দর চেতনা আমাদের।

প্রতি সরকারের আমলে যেখানে বাড়ার কথা বৈদেশিক মুদ্রার
রিজার্ভ, শিক্ষার মান,বেঁচে থাকার সুযোগ সুবিধা,উন্নয়নের গতি সেখানে প্রত্যেক সরকার মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বাড়াতে ব্যস্ত.... বড়ই হাস্যকর।
আচ্ছা, যারা যুদ্ধ করেছে তাঁরা কি এসব সনদের
আশায় যুদ্ধ করেছে? নাকি একটু শান্তিতে কারো অধীনে না থেকে
বাঁচার আশায় যুদ্ধ করেছে?

কোন দেশেই মনে হয় না এরকম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করা হয়। আর সেই তালিকায় ঠাই পাওয়া লোকগুলি,তাঁদের সন্তান,নাতি-
নাতনীরা পর্যন্ত এরকম সনদ দেখিয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভিক্ষা নেয়।

বর্তমানে ছত্রাকের মত অহরহ গজানো কথিত সনদধারী
মুক্তিযোদ্ধাদের দেখে সালাম দিতেও এখন কেন জানি মনে সংশয় দানা বাধে।
তিনি আসল নাকি ভুয়া???!!!

তবে প্রকৃত বীরদের প্রতি স্যালুট এ প্রজন্মের.....

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: হুম..................
মুসলমানদের যেমন ৭৩ দল থাকবে তাদের মধ্যে প্রকৃত দল একটি।

আবার এক সময় এই মক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন দল থাকবে (এখনও আছে)।
তাদের মধ্যে একটি থাকবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার দল।

বাকি সব সুবিধাবাদী জিন্দাবাদ :-P

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

venus বলেছেন: আমি দূর থেকে তাঁহাদের চিনেছি...
বুক ভরে তাদের ঘৃণা করেছি ;)

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: কোটা পদ্ধতি অত্যন্ত নির্মম।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

venus বলেছেন: মরার কোঠা,কোঠারে....
জীবনটা ক্যান ত্যানা ত্যানা করলি!!! :'(

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

সুমন কর বলেছেন: আপনিই বলেছেন,"আগামী সরকারের আমলে আমিও যদি আবেদন করি এই সনদের জন্যে...তাহলে "পাইলেও পাইতে পারি এই অমূল্য রতন।" ---- আর কিছু বলার নেই। X((

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

venus বলেছেন: মাগনা দই,ক্ষ্যার (খর) পাইতা লই।
বুঝেন ই তো ;)

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যতই উদাহরণ দেন বা ভুল ধরিয়ে দেন 'ভোট ব্যবসা'র স্বার্থে কৌটা পদ্ধতি দুই পরিবারের কেউ বন্ধ করবে না...

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: রাজাকারদের মধ্যে বিভেদ না থাকলেও মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বিভেদ/বিভাজন চলে আসছে ৪৫ বছর ধরেই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.