নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নগরবাউল জেমস ও বাংলা রকসংগীত ।

ওয়ালিদ আজিজ

আমি বাংলা ব্যান্ড সংগীতের বিশেষ অনুরাগী, বিশেষ করে নগরবাউল জেমসের গান আমার অনেক বেশি ভাল লাগে । তাই গান নিয়েই ব্লগে, ফেসবুকে লেখালেখি করি ।

ওয়ালিদ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইয়ুব বাচ্চু- জেমস- হাসান মানেই অ্যালবাম হিট !

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:১৭



আইয়ুব বাচ্চু- জেমস- হাসান, বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীত জগতে এবং মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে তিন জীবন্ত কিংবদন্তী, আমাদের প্রিয় তিন রকস্টার, আমাদের আত্মার সাথে জড়িয়ে থাকা তিনটি নাম ! আমরা যারা ৯০ দশকে বেড়ে উঠেছি তাদের শৈশবের তারকা এই তিনজন মানুষ- একেবারেই অন্তরের মানুষ তারা, এখনো তারা সেই একই অবস্থানে আছেন আমাদের হৃদয়ে । আজকের এই লেখার উদ্দেশ্য তাদের প্রতি ব্যক্তিগত ভাললাগা প্রকাশ করার জন্য না, বরং বাংলাদেশের অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে এই তিন রকস্টারের কি অসীম প্রভাব ছিল তার কিছুটা তুলে ধরার জন্যই এই লেখা । আইয়ুব বাচ্চু ও জেমস ৯০ দশকের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে, তাদের ব্যান্ড অ্যালবাম ও একক অ্যালবামগুলো ৯০ দশকের শুরু থেকেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছিল । হাসান ভাই ক্যারিয়ার শুরু করেন তাদের অনেক পরে, কিন্তু আর্ক ব্যান্ডে যোগ দিয়ে প্রথম ব্যান্ড অ্যালবাম তাজমহল দিয়েই তিনি বাজিমাত করেন । অ্যালবামে- কনসার্টে সৃষ্টি করেছিলেন তাদের রাজত্ব ! একক/ ব্যান্ড অ্যালবামের বাইরে ৯০ দশকে বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যান্ড তারকাদের নিয়ে মিক্সড অ্যালবাম করার ব্যাপক হিরিক ছিল, আর যে অ্যালবাম গুলোতে অন্যান্য ব্যান্ড তারকাদের সাথে এই তিন তারকা থাকতেন- কোম্পানিগুলো নিশ্চয়তা পেত অ্যালবাম নিশ্চিত হিট হওয়ার ! এই ধারাবাহিকতায় ২০০০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সুরকারদের সুরে বের হয় প্রচুর মিক্সড অ্যালবাম, এবং প্রায় প্রতিটা অ্যালবামই ছিল সুপার ডুপার হিট !! কয়েকটি নাম বললেই সকলের মনে পড়বেঃ "শেষ দেখা(তাদের তিনজনের গানঃ শেষ দেখা, শেষ গান, এত কষ্ট কেন ভালোবাসায়), এখনো দুচোখে বন্যা(তাদের তিনজনের গানঃ কতদিন দেখেনি দুচোখ, মা, প্রশ্ন, চলে যাও বন্ধু), স্রোত(তাদের তিনজনের গানঃ অভিমান নিয়ে দিন কেটে যায়, পাপী, যে যায় ফিরে আসে না, এক গল্প বলি), দেয়াল দুই হৃদয়ের মাঝে(তাদের তিনজনের গানঃ জিবনানন্দের কবিতায়, ফুল নেবে না অশ্রু নেবে, দেয়াল, কবিতার মত সে দুচোখ) মেয়ে(তাদের তিনজনের গানঃ মেয়ে, দেখে যারে তুই, একাকী প্রহর) ও আমার প্রেম( তাদের তিনজনের গানঃ ও আমার প্রেম, পদ্ম পাতার জল, বড় বেশি অবেলায়)"এমন অনেক অনেক মিক্সড অ্যালবাম । এইসব অ্যালবামের মুলত(অবশ্যই অন্যান্য আর্টিস্টদের গানও জনপ্রিয় হত, তবে সংখ্যায় এই তিনজনই শ্রেষ্ঠ) এই তিন তারকার গানই যেহেতু সারা বাংলাদেশে জনপ্রিয় হত তাই ২০০০ সালের দিকে কোম্পানিগুলো ভিন্ন চিন্তা শুরু করেন । তারা শুধুই এই তিন রকস্টারকে নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করার মাধ্যমে অ্যালবাম সুপারহিট হওয়ার নিশ্চয়তা পেতে চান ! শুরু হয়ে যায় শুধুমাত্র এই তিনজনের মিক্সড অ্যালবাম বা তাদের যেকোন দুজনকে নিয়ে ডুয়েট অ্যালবাম প্রকাশের হিরিক । ২০০০ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই দিনজন রকস্টারদের নিয়ে অনেকগুলো অ্যালবাম, যার প্রতিটিই ছিল ছিল চুরান্ত ব্যবসা সফল । আজ এই তিন রকস্টারের এক সাথে কাজ করা কয়েকটি অ্যালবাম নিয়ে কিছু কথা বলব, চেষ্টা করব অ্যালবামের ইউটিউব লিংক দিতে- আর অ্যালবামের কভার তো থাকছেই, যা দেখলে স্মৃতি কাতর হয়ে যাই আমরা ।



২০০০ সালের শুরুতে প্রকাশ হয় শুধুমাত্র এই তিন রকস্টারকে নিয়ে অ্যালবাম #নিরবতা, আমাদের জন্য এই অ্যালবামটি ছিল আকাশে চাঁদ হাতে পাওয়ার মত । আগে যেখানে মিক্সড অ্যালবামে সকলের একটি একটি করে গান পেতাম, সেখানে এই অ্যালবামে প্রত্যেকের চারটি করে গান ছিল । আইয়ুব বাচ্চুর গানগুলোর সুর ছিল তার নিজের করা, জেমসের গানগুলোর সুর জুয়েল- বাবু জুটির করা এবং হাসানের গানগুলোর সুর ছিল প্রন্স মাহমুদ । অ্যালবামে আইয়ুব বাচ্চু, প্রিন্স মাহমুদ, তরুন, মারজুক রাসেল ও রনিম রহমানের লেহা গান ছিল । আইয়ুব বাচ্চুর নিরবতা, আমি ভেবেছি- জেমসের বন্ধু, কিছুটা আশা, সাদাকালো- হাসানের নিরবতায়, ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক গানগুলো আমাদের আজও হৃদয়ে গেথে আছে । অডিও কোম্পানি সাউন্ডটেকের দেখিয়ে দেয়া অ্যালবাম সফলতার এই পথ পরবর্তীতে অন্যান্য অডিও কোম্পানি গুলাও অনুসরন করেন ।



২০০০ সালের শেষ দিকে রোজার ঈদ উপলক্ষে সাউন্ডটেক নিয়ে আসে আমাদের জন্য আরও বিশাল চমক, শ্রদ্ধেয় প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে প্রকাশ হয় আইয়ুব বাচ্চু ও জেমসের সারা বাংলাদেশ কাঁপানো কালজয়ী ডুয়েট অ্যালবাম #পিয়ানো । এই অ্যালবাম নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই, অ্যালবামটি এখনো আইয়ুব বাচ্চু জেমস ভক্তদের কাছে অনেক অনেক প্রিয় একটি অ্যালবাম । শুধু এই অ্যালবামের কয়েকটি গানের কথা একটু স্মরণ করিঃ আইয়ুব বাচ্চুর তাজমহল, গীটার ও গান, প্রতিদাব চায়না এবং জেমসের এক নদী যমুনা, বাংলাদেশ, তুমি জানলেনা- এই গানগুলা যারাই একবার শুনেছে, তাদেরই অন্তরে স্থায়ী জায়গা পেয়েছে ।



পিয়ানো অ্যালবাম মুক্তির আড়াই মাসের মাথায় ২০০১ সালের শুরুতে কোরবানির ঈদেই সাউন্ডটেকের দেখিয়ে দেয়া পথে হাটে আরেকটি বড় মিউজিক কোম্পানি সংগীতা । তারা প্রকাশ করে জেমস ও ব্যান্ড আর্কের ডুয়েট অ্যালবাম #বৃহস্পতি, ঐ ঈদে সাউন্ডটেক থেকেও আসিফের ও প্রিয়া তুমি কোথায়, এলআরবি ব্যান্ডের অ্যালবাম মন চাইলে মন পাবে ও হাসানের একক অ্যালবাম তাল প্রকাশ পায়, কিন্তু জেমস ও আর্কের ডুয়েট অ্যালবাম বৃহস্পতি ঐ ঈদের অত্যন্ত ব্যবসা সফল হয় । অ্যালবামে জেমসের গানগুলোর সুর ছিল জুয়েল- বাবু জুটির, আর্কের গানগুলো পঞ্চমের সুরে করা । জেমসের দুইটি গান মারজুক রাসেলের, দুইটি রনিম রহমানে একটি গান তরুনের লেখা ছিল । অন্যদিকে আর্কের গানের গীতিকার ছিল কবির বকুল, মাস মাসুম ও রনিম রহমান । এই অ্যালবামে গাওয়া জেমসের তের নদী সাত সমুদ্দুর, মাঝে মাঝে নিজেকে একলা লাগে, আগামীকাল আমার শততম দুঃখবার্ষিকী, দুঃখওয়ালা এবং আর্কের তোমাকে আজ, যন্ত্রণায়, এখনি নামলে আঁধার গানগুলো আজও ভাল লাগে ।






২০০১ সালেই সংগীতা আবার নিয়ে আসে নতুন অ্যালবাম, জুয়েল- বাবু জুটির সুরে বছরের মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশ পায় তিন সুপারস্টার আইয়ুব বাচ্চু- জেমস ও হাসানের মিক্সড অ্যালবাম #সুন্দরী । এই অ্যালবামে তিনজনের গাওয়া ৯টি গান ছিল, বন্যার মাঝে বছরের মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশ পেলেও এই অ্যালবামটিও ধীরে ধীরে সারা বাংলাদেশে হিট হয় । অ্যালবামে আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ঘুম এলোনা, নিশাচর- জেমসের গাওয়া বিধাতা, তোমারই কারনে- হাসানের আপন কষ্ট, আমার একমুঠো স্বপ্ন সহ সব কয়টি গানই এখনো প্রিয় গানের তালিকায় আছে । এখানে ঠিক সাউন্ড কোয়ালিটি না থাকলেও সুন্দরী অ্যালবামের ইউটিউব লিংক যুক্ত করা হল ।






২০০২ সালে সাউন্ডটেক থেকে প্রকাশ হয় প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরের কালজয়ী ১০টি গানের "আনপ্লাগড উইথ ভায়োলিন" অ্যালবাম #ছুটি, মুলত এটি ছিল কালজয়ী ১০টি গানের মিউজিক অ্যারেঞ্জ পাল্টে শ্রোতাদের নতুন একটি স্বাদ দেয়ার চেষ্টা । এর আগে এই ধরনের কোন মিক্সড অ্যালবাম না হলেও ৯০ দশকের মাঝামাঝি এলআরবি'র একটি আনপ্লাগড লাইভ অ্যালবাম প্রকাশ হয় আর জানা মতে ২০০১/০২ সালেই সোলস ব্যান্ডের মুখরিত জীবন অ্যালবামটি বের হয় এই ধরনের মিউজিক আয়োজনে । ছুটি অ্যালবামে ভায়োলিন বাজিয়েছিলেন সুনীল দা, ড্রামস বাজিয়েছিলেন ফানটি, পিয়ানো বাজিয়েছিলেন আসাদ গীটারে ছিলেন সম্ভবত সোহেল । এই অ্যালবামটি চেনা পরিচিত গানগুলোর প্রতি নতুন করে ভালোলাগা সৃষ্টি করে । অ্যালবামে আইয়ুব বাচ্চুর অভিমান নিয়ে, কতদিন দেখেনি দুচোখ, চোখের জলের কোন রঙ হয়না- জেমসের মা, বাবা, শেষ গান- হাসানের এত কষ্ট কেন ভালোবাসায়, চলে যাও বন্ধু, আরও দূরে চলনা যাই, এক গল্প বলি(কে বলে বরষা) গানগুলো ছিল । এই অ্যালবামের সাউন্ড কোয়ালিটি ছিল মুগ্ধ হবার মত, এখন সাউন্ডটেক অডিও কোম্পানির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে এই অ্যালবামটি যেভাবে আপলোড করা সেখানে আইয়ুব বাচ্চু ও হাসানের একটি করে গান কমিয়ে অবসকিউর ব্যান্ডের টিপুর দুইটি সুন্দর গান যুক্ত করা হয়েছে- অ্যালবামের সাউন্ড কোয়ালিটিও ঠিক আগের মত নেই- অ্যালবামের কভারের সাথে সাথে দুটি ইউটিউব লিংক যুক্ত করা হল, একটা লিংকে প্রথমবার প্রকাশিত সব গান আছে, আরেকটি এখন পাওয়া যাওয়া অফিসিয়াল লিংক ।








এর পর ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত সময় এই তিনজন তারকার আরও অনেক মিক্সড অ্যালবাম এবং যেকোন দুজনের আলদা করে অসংখ্য ডুয়েট অ্যালবাম প্রকাশ পায়, এক সত্যি সত্যি সবগুলো অ্যালবামই এই অত্যন্ত ব্যবসা সফল, তাই বলাই যায় ২০০০ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত সময়টাতে আইয়ুব বাচ্চু- জেমস- হসান মানেই অ্যালবাম হিট ! বাকি অ্যালবামগুলোর নাম নিচে দেয়া হল, সবগুলো কভার সম্ভবত দেয়া যাবে না- কিছু অ্যালবামের ইউটিউব লিংক দেয়ার চেষ্টা করব ।

২০০২ সালের শুরুতে জুয়েল- বাবু জুটির সুরে আইয়ুব বাচ্চু ও হাসানের ডুয়েট অ্যালবাম আষাঢ়ে শ্রাবন, ২০০২ সালের শেষ দিকে জুয়েল- বাবু জুটির সুরে জেমস ও হাসানের কালজয়ী ডুয়েট অ্যালবাম সাত রঙের কষ্ট( লিঙ্কঃ ) , ২০০৩ সালের শুরুতে আইয়ুব বাচ্চু, জেমস, হাসান ও বিপ্লবের দহন তোমার জন্য(লিঙ্কঃ ) , ২০০৩/০৪ সালের দিকে শওকত এর সুরে আইয়ুব বাচ্চু ও হাসানের ডুয়েট অ্যালবাম ইচ্ছে, ২০০৪ সালের শুরুতে প্রিন্স মাহমুদের সুরে আইয়ুব বাচ্চু ও জেমসের দেশে ভালোবাসা নাই( লিঙ্কঃ ) , কিছুদিন পরে আজকের গান বাংলা টেলিভিশনের কর্ণধার তৎকালীন নগরবাউল ব্যান্ডের কিবোর্ড বাদক তাপসের সুরে জেমস ও হাসানের খেলারাম খেলে যা, তারও কিছুদিন পরে প্রিন্স মাহমুদের সুরে শফিক তুহিনের কথায় জেমস ও হাসানের ডুয়েট অ্যালবাম সারেগামা( লিংকঃ ) , ২০০৪ সালেরই মাঝামাঝি শওকতের সুরে আইয়ুব বাচ্চু ও জেমসের ডুয়েট অ্যালবাম আচল(লিংকঃ ) , এই বছরেরই শেষ দিকে রোজার ঈদে প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে আইয়ুব বাচ্চু ও জেমসের ডুয়েট অ্যালবাম যন্ত্রণা( লিংকঃ ) ও ইথুন বাবুর সুরে ভালবাসতে মন লাগে রে । ২০০৫ সালের শুরুতে শওকতের সুরে আইয়ুব বাচ্চু ও জেমসের ডুয়েট অ্যালবাম নয়- ছয়, ২০০৫ সালের শেষ দিকে রোজার ঈদে প্রিন্স মাহমুদের সুরে আইয়ুব বাচ্চু ও জেমসের দুইটি "মাটি ও দীর্ঘশ্বাস"- আরমান খানের সুরে দোস্ত দুশমন, শওকতের সুরে দিল নামে চারটি ডুয়েট অ্যালবাম প্রকাশ পায় । এছাড়াও এই ঈদেই আইয়ুব বাচ্চু- জেমস- হাসানের দেনা- পাওনা নামে একটি মিক্সড অ্যালবাম প্রকাশ পায়, যার কথা লিখেছিলেন তানভীর তারেক, সুর ছিল প্রিন্স মাহমুদের । ২০০৫ এর একেবারে শেষে বা ২০০৬ সালের শুরুতে(কোরবানির ঈদে) নাজির মাহমুদের সুরে আইয়ুব বাচ্চু হাসানের ডুয়েট অ্যালবাম ছলনা প্রকাশ পায় এবং আইয়ুব বাচ্চু ও জেমস কাজ করেন তাদের এই পর্যন্ত করা শেষ ডুয়েট অ্যালবাম প্রতারণা তে, যার কথা ও সুর ছিল প্রিন্স মাহমুদের । আর আমাদের প্রিয় তিন রকস্টার এই সময়েই শেষ কাজ করেন জগৎবাড়ি নামের আরেকটি মিক্সড অ্যালবামে, যে অ্যালবামটিরও কথা ও সুরও ছিল প্রিন্স মাহমুদের । এর পরে ২০০৬ সালের শেষ দিকে আসে তাদের যৌথ ভাবে করা শেষ কাজ প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে "দেবী", তবে এই অ্যালবামে আরও সাত/ আট জন ব্যান্ড তারকা/ গুণী শিল্পী কাজ করেন । এরপর আর কোন মিক্সড/ ডুয়েট অ্যালবাম বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তিন রকস্টার আইয়ুব বাচ্চু- জেমস ও হাসানকে এক সাথে কাজ করতে দেখা যায়নি। আসলে এর পর থেকে বাংলাদেশের অডিও ইন্ডাস্ট্রিই ধংস হওয়া শুরু করে, পাইরেসি সহ নান জটিলতা এর জন্য দায়ী । যদিও ২০০৪/০৫ সালের এই সময়টাতে এই তিনজন অনেক বেশি অ্যালবামে কাজ করেছিলেন, যা ছিল আমাদের জন্য বিশাল পাওয়া । প্রতিটা অ্যালবামই ছিল সুপারহিট, কিন্তু ঐ হিট করাতে যেয়ে এই সময়ের(২০০৪/০৫) প্রায় সব অ্যালবামেই বাজার কাটতি কিভাবে বাড়বে সেই চিন্তা করে তিনটি/ চারটি করে গান রাখা হত- আমরা যারা সেই ৯০ দশকের শুরু থেকে আইয়ুব বাচ্চু- জেমস কিংবা হাসানকে শুনে আসছি, তাদের কাছে তা ছিল সত্যিই দুঃখজনক । কয়েকটি অ্যালবামের কভারের ছবিদেয়া হল, এর কয়েকটি ছবির জন্য বিশেষ ধন্যবাদ "বাংলা ব্যান্ড" গ্রুপ সহ বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ও ফেসবুক ফ্রেন্ডদের ।





বাংলাদেশের প্রায় ধংস হয়ে যাওয়া অডিও শিল্প ২০১৫ সাল থেকে অনলাইন কেন্দ্রিক বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে আবার মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে, প্রত্যাশা থাকবে আবার এই তিনজন প্রিয় ব্যান্ড তারকা সহ সকল গুণী শিল্পীদের/ তারকা শিল্পীদের/ ব্যান্ড অ্যালবাম/ মিক্সড অ্যালবাম আবার নিয়মিত প্রকাশ হোক । আমরা আবারও সেই ৯০ দশকের মত কিংবা এই শতকের শুরুর সময়ের মত করে বাংলা সংগীতের সাগরে হারিয়ে যেতে চাই । জয় হোক বাংলা ব্যান্ড সংগীতের, জয় হোক বাংলা গানের । সব শেষে একটা প্লে- লিস্ট যুক্ত করি, যারা শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়বে, শুধু তাদেরই চোখে পড়বে এই লিঙ্ক- অনেকগুলো বাংলা ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম আছে এখানেঃ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.