নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর আকাশ

একটি সকাল

বাংলাদেশ কে আমি ভালবাসি

একটি সকাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৃষ্টিকর্তা আছেন? ২১০০ সাল !! হে মানব! একটু থাম। মাউস স্ক্রল করা একটু থামাও। একটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাও। তোমাকে কেন এই দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছে?

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯





বিশ্ব বিখ্যাত Artificial Intelligence & Robotics (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিক্স) বিশেষজ্ঞ `কর্মকার` (ইহা একজনের কাল্পনিক নাম, ধরুন এর অর্থ হল যিনি কাজ করেন, বসে থাকেন না।) সকাল বেলায় চায়ে চুমুক দিতে দিতে তার সব রোবট গুলো কে ডাক দিলেন। রোবট তৈরী করা তার কাছে কোন ব্যপারই নয়। ইত্যিমধ্যে নিজের কাজের জন্য অনেক রোবট তৈরী করেছেন । এই ধরুন কোনটা শুধু ঘর পরিস্কার করে দেয়, কোনটা শুধু চা বানায়। এ রকম অনেক। রোবট গুলো বসের ডাক শুনে সাথে সাথে সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে গেল।

: এই তোমারা সবাই শোন আজ আমি আরও কিছু রোবট বানাতে চাই । তোমারা তো কিছু নতুন কিছু চিন্তা করে পার না, তাদের একটু বেশী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিব যাতে তারা যেকোন নতুন সিসুয়েশনে আমার ছাড়াই ডিসিশন নিতে পারে। ভাল-মন্দ বুঝতে পারে। তাদের একটু বেশী স্বাধীনতা থাকবে।

: বস! দোহাই লাগে, এইডা করবেন না।

: কেন?

: বস! যেহেতু স্বাধীনতা থাকবে ওরা আপনাকে অপমান করবে।

: আরে রাখ। দেখ বিকাল পর্যন্ত ।

কর্মকার সাহেব চটা চট করে কিছু রোবট তৈরী করলেন। বিশাল রুমের মেঝেতে একটি টেস্টটিং এনভায়রনমেন্ট করলেন। বিভিন্ন আকাঁ-বাঁকা পথ আকঁলেন। মাঝে মাঝে খুব সূক্ষ হিসাব নিকাশ করে বিভিন্ন অবজেক্ট রাখেলেন, কোন সিসুয়েশনে কোন রোবট কি করে সেটা বোঝার জন্য। রোবট গুলোকে ভালই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিলেন, রোবট অবস্থা বিচার করে ভাল-মন্দ পথ বের করতে পারে। রোবটদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এই পর্যায়ে ওরা কাগজ ও প্লাস্টিক দিয়ে পুতুল পর্যন্ত বানাতে পারে । পুতুল গুলো ব্যাটারী দিয়ে চলে। রোবটদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এই পর্যায়ে ওরা হার্ড পেপার থেকে ইন্সট্রাকশন পড়ে কাজ করতে পারে। রোবটরা পরস্পরে যোগাযোগ (Communicate) করতে পারে। পরীক্ষায় আনলেন কিছু ভেরিয়েশন সেট করলেন অনেক প্যরামিটার যেমন এই ধরুন কোনটা মোটা, কোনটার আবার এক হাত নেই, কোনটার গায়ের রং সবুজ, হলুদ, কোনটার পজিশন এক্সপেরিমেন্টাল গোলের কাছাকাছি, ইত্যাদি। পার্ফমেন্স মেজার করা কর্মকার সাহেব কাছে কোন ব্যপারই নয়। কারন তিনি জানেন তিনি কাকে কী দিয়েছেন আর তার পাস মার্ক কত। এক্সপেরিমেন্টাল এনভায়রনমেন্টে তিনি একটি ম্যানুয়াল ও দিলেন যাতে রোবটরা সেগুলো পড়ে ঠিক ঠাক গোলে পৌছাতে পারে। প্রত্যেক রোবটের জন্য কিছু পারমানেন্ট মেমরী রাখলেন, সব ইভেন্ট রেকর্ড করার ব্যবস্থা করলেন যাতে পরে এনালাইসিস করা যায়।

পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল ।

মাঝে মাঝে কিছু ভাল রোবট মেঝেতে ছেড়ে দিলেন, ম্যানুয়ালের ভার্সন আপডেট করে তাদের মাধ্যমে সব রোবটদের জানানোর ব্যবস্থা করলেন।

পরীক্ষা চলছে।

Continuously নতুন রোবট মেঝেতে ছাড়ছেন । আর কিছু কে shutdown করিয়ে এক পাশে সরিয়ে দিচ্ছেন। এমন নয় যে একটি নিদিষ্ট সময় পর্যন্ত পরীক্ষা করতে হবে। কারন যে সময় পর্যন্ত এক্সপেরিমেন্টাল এনভায়রনমেন্টে রাখা হবে তার উপরেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে। ডোন্ট ওরী।

পরীক্ষা চলছে।

কিছু রোবট সঠিক ম্যানুয়াল পড়ে আগাচ্ছে। কিছু রোবটের হাতে ভুল ম্যানুয়াল পড়ে কোন ভাবে পথ মিলাতে পারছে না। কিছু বেশী জ্ঞানী রোবট ডিঙ্গী পেড়ে (এটা মনে হয় আমার আঞ্চলিক শব্দ, এটার অর্থ হল পায়ের গোড়ালীতে ভর দিয়ে উচু হয়ে দেখার চেষ্টা করা) দেখার চেষ্টা করছে রুমের ওপাশে কি আছে। খুজতেছে পথ রুমে বাইরে চলে যাওয়া যায় কিনা। কিছু রোবট চেষ্টা করছে আর একটা রোবট বানানো যা কিনা।

দুই রোবট:

:দোস্ত! আমাগো মনে হয় কেউ বানায়েছে। ম্যানুয়াল পড়ে তো তাই মনে হচ্ছে। দেখনা পথের পাশে বস্তু গুলো কিভবে লাইন আপ করা আছে! দেখ না আমাদের তার (cable) গুলো কেমন! এমনটি না হলে সত্যিই অসুবিধা হত। দেখনা কিভাবে উপর থেকে লাইট পড়তাছে। কোন উদ্দেশ্য নিশ্চয় আছে। আমাগো নাকি shutdown হওয়ার পরেও আবার on করা হইব!

: দুর বোকা! আমাগো আবার কে বানাইবো? রাখ তোর ম্যানুয়াল! আমি তো ম্যানুয়াল পড়ি না। কৈ আমার পাওয়ার তো ঠিকই থাকে। আমি তো কত খারাপ কাজ করি কৈ এই জন্য তো আমার চাকা আটকায় না। তুই আমি সমান। দেখ, আমরা কোন ইনপুট নিলে অটোমেটিক সেটা IC, Transistor হয়ে প্রসেসরে যায়। এটার জন্য কোন কিছু করা লাগেনা । অটোমেটিক হয়। বুঝলি হাবু? এক বার shutdown হলে আবার কিভাবে on হইব? কি অদ্ভুত কথা ।

বিকালের দিকে কর্মকার সাহেব এক্সপেরিমেন্ট বন্ধ করলেন। রোবট গুলো তুলে নিলেন। এক্সপেরিমেন্টাল এনভায়রনমেন্ট এলো মেলো করে ফেল্লেন যার আর কোন দরকার নেই। একটা রিমোটে চাপ দিলেন। সব গুলো রোবট আবার On হয়ে গেল। নিমিষেই সব ডাটা কালেক্ট হয়ে গেল । সব ভেরিয়েশন/প্যারামিটারের জন্য আগে থেকেই কোড করা আছে, আছে পাশ ফেলের threshold ভেলু। সাথে সাথে সব রোবট জেনে গেল তার পাশ ফেলের রেজাল্ট।

: পাস করেছো?

: (হেসে) হ্যাঁ বস।

: যাও যাও! ওই পাশে সুন্দর রুমে থাক। ঘুরা ঘুরি কর। আর কোন পরীক্ষা নাই।

: পাস করেছো?

: বস। বস। ভুল হয়ে গেছে। মাফ করে দাও । আবার একটি রিডিং নেওয়া যায় না? আবার এক্সপেরিমেন্টে করেন আমি অবশ্যই ভাল করবো।

: ওই! রাখ তোর আবার এক্সপেরিমেন্ট। তুই ম্যানুয়াল পড়ছিলি? ম্যানুয়াল মত কাজ করছিলি? তোর সিলেভাস দেখছিলি? ম্যানুয়ালের কথা তোকে কেউ কয়নাই? তুই ওই স্টোর রুমে থাক।

: অ্যাজ্ঞে কয়ছিল। তয় কেয়ার করিনাই।

: ম্যানুয়াল ছিল না পরীক্ষা এক বারই হইব? যা যা তোর কোন কথা শুনা হবে না। তোকে শাস্তি দেওয়া হইবে। আজ আর কোন ক্ষমা নাই।

কর্মকার সাহেব কিভাবে প্রতি দিনের সময় কাটান সেট অজানা । আজ এ রকম একটা এক্সপেরিমেন্ট করতে চেয়েছিলেন তাই করলেন। সব রোবটগুলো কে দুটি ক্লাসে ভাগ করলেন । পুরা ব্যপারটাই তার কাছে তুচ্ছ। চাইলে অহর অহর রোবট বানাতে পারেন, চাইলে এমন প্যারামিটার সেট করতে পারতে যাতে সব রোবট হয় সুন্দর রুমে না হয় স্টোরে থাকত। চাইলেই তিনি যে কোন কনফিগারেশনের রোবট বানাতে পারেন।

কিছু রিসার্স ইস্যু:

১। কত পারসেন্ট সুন্দর রুমে থাকলো আর কত পারসেন্ট স্টোরে গেল। সেটা কি আসলে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কর্মকার সাহেবর কাছে?

২। দেখতে বেশ সুন্দর যে রোবটি অথবা মেঝেতে অনেক বেশী সময় ধরে ছিল, সেটা স্টোর রুমে চান্স পেয়েছে। সেটা কি আসলে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কর্মকার সাহেবর কাছে?

৩। দুই শ্রেণীর রোবটের মধ্যে কোনটিতে কর্মকার সাহেবের বেশী ইন্টারেস্ট রয়েছে?

৪। কোন শ্রেণীর রোবটরা ভাগ্যবান?



সাল ২০১৪।



বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছে যাতে রোবটের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিতে যাতে সে নিজে কোন ডিসিশন নিতে পারে। কিছু স্পেসিফিক কাজের জন্য রোবট ইতিমধ্যেই মানুষ তৈরী করে ফেলেছ। কিছু নমুনা এখানে আছে।





https://www.youtube.com/watch?v=S5AnWzjHtWA যে কাল্পনিক এক্সপেরিমেন্টের গল্পটি বলা হয়েছে, আপনার কাছে কি মনে হয় এমন একটি এক্সপেরিমেন্টাল করা যায় না অথবা অসম্ভব? এখানে দেখুন মেঝেতে রোবেটের এক্সপেরিমেন্ট কেমন হয়। This is only an example https://www.youtube.com/watch?v=bproY7G2t4o



হে মানব! একটু থাম। মাউস স্ক্রল করা একটু থামাও। একটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাও। তোমাকে কেন এই দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছে?



-----------------------------------------------

এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে আমাদের জানতে হবে যে, সৃষ্টিকর্তা আমাকে আপনাকে কেন সৃষ্টি করেছেন? এই প্রশ্নটি ধর্ম বর্ণ নির্বশেষে সকলের জন্য প্রযোজ্য। পোস্টটির পরবর্তি অংশে আমরা মুসলমান হিসাবে কী বিশ্বাস করি সেটা বলা হয়েছে। সবাইকে মানতে হবে এমনটি নয়। তবে নিরপেক্ষ দৃষ্টি দিয়ে পড়তে হবে।

পোস্টটির শুরুতে যে গল্পটি বলা হয়েছে সেটা আমার বানানো হলেও এর কাহিনীর প্রত্যেকটি ধাপ মুসলমানদের জানা। রোবটের এক্সপেরিমেন্টের গল্পটি আজ থেকে মাত্র ৫০ বছর আগে বললে কেউ বিশ্বাস করত না। বলত গল্পের মুলনীতিতেই সমস্যা আছে কারণ জড় জিনিসের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আবার কি জিনিস! জড় জিনিস নিজেরা communication করে? হাও ফানী! তাই এমন গল্প হতে পারেনা। কিন্তু কাহিনী আজ বিশ্বাস যোগ্য। যারা কম্পিউটার সায়েন্সের ধারে কাছে থাকেন তাদের কাছে গল্পটিতে অবিশ্বাসযোগ্য কিছু নেই। কিন্তু মুসলমানরা হাজার হাজার বছর ধরে পৃথিবী ও মানুষ সৃষ্টির কাহিনী এভাবেই জেনে এসেছে। উহা পুরাতন হয়নি।

আল্লাহ আমাদের এই পৃথিবীতে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। তিনি আমাদের পরীক্ষা করতেছেন। আমরা পরীক্ষা দিচ্ছি। তিনি মানুষের পরীক্ষার জন্য এই পৃথিবী,আকাশ,বাতাস,চন্দ্র,সূর্য সহএকটি ডাইনামিক কমপ্লেক্স এক্সপেরিমেন্টাল এনভায়রনমেন্ট সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর দুইটি প্রডাক্ট একটি হল ফেরেশ্তা (angel আর একটি হল মানুষ। ফেরেশ্তারা শুধু মাত্র কিছু নিদৃষ্ট কাজ করে থাকেন অনেকটা প্রথম শ্রেণীর রোবটের মত। আর আল্লাহ মানুষের মধ্যে দিয়ছেন ভাল-মন্দ বিচার করার ক্ষমতা। দিয়েছেন বুদ্ধিমত্তা। এই এনভায়রনমেন্টে আমরা কত সময় থাকব সেটা আমরা কেউই জানিনা। এখনে কত সময় থাকলাম সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। আমাদের কে মৃত্যুর পর আবার জীবিত করা হবে। আমাদের সাথে সারাক্ষন দুই জন ফেরেশ্তা দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের প্রত্যেকটি কর্মকান্ড আলাদা একটি মেমরীতে সেভ করছেন। আমাদের কে তিনি ভয়, ভীতি,ক্ষুধা দিয়ছেন। দিয়েছেন ধন,সম্পদ,উত্তম শারীরিক গঠন। দিয়েছেন ভিন্ন পথ ভিন্ন মত। এ সবই পরীক্ষার অংশ। যাকে যা দিয়েছেন তার উপরে জাজ করা হবে। তিনি ঘটনার অবতারন করেন আমাদেরকে সতর্ক করার জন্য। আমাদের জন্য একটি ম্যানুয়াল আছে। সেটাই লাস্ট ভার্সন, (এই ম্যানুয়ালেই সেটা বলা আছে। ম্যানুয়ালটির আর কোন আপডেট আসবে না। আমরা বিশ্বাস করি ম্যানুয়ালের প্রত্যেকটি কথা সত্য এবং সেই মহা কর্মকারের কাছ থেকে এসেছে। ম্যানুয়ালে কী আছে! মানুষের সকল সমস্যার সমাধান দেওয়া আছে। (কেউ কেউ আবার জিগায় (a+b)^2 এর সুত্র আছে? আমার চোখে ব্যথা,প্যারাসিটামল না নাপা খাব সেটা লিখা আছে? সেটা আবার বিশাল আলোচনার বিষয়।) ম্যানুয়ালে আছে মানুষের গোলে (গোলটা কী?) পৌছানোর জন্য সঠিক পথ কোনটি। ম্যানুয়ালে আছে মানুষ কি করবে,কি করবে না। আমরা সেই ম্যানুয়াল কে বলি আল-কোরআন। এই গ্রহন্থের পূর্বে অন্য ভার্সন ছিল যা এখন অচল। আমরা প্রতি দিন ৫ বার নামজে বলি,তার কাছে মাথা নত করে বলি,হে প্রভু!আমাদের সঠিক,সহজ সরল পথ দেখাও। কী অদ্ভুত মিল রোবটের সাথে তাই না? বর্তমানের রোবটেরা সব সময় সোজা পথ খোঁজে, কারন পথ আকা বাকা হলে রোবটদের ঘুরতে অসুবিধা হয়। আমরা আরও প্রর্থনা করতে থাকি আমরা যেন ম্যানুয়াল মত চলতে পারি। তিনি দয়ালু, কেউ তার ম্যানুয়াল মত না চললে তিনি সাথে সাথে তার জন্য অক্সিজেন, আলো বাতাস বন্ধ করে পাওয়ার কেটে দেন না। তিনি বলেছেন কোন কিছু তিনি কারন ছাড়া তৈরী করেননি। কোনকিছুই সৃষ্টি কর্তার হাত ছাড়া অটোমেটিক হয়ে যাযনি। আমরা বিশ্বাস করি এই এক্সপেরিমেন্টাল এনভায়রনমেন্ট একদিন ধংস হবে। সেই দিন সবাই কে জীবিত করা হবে (matter of single click)। পাস করলে জান্নাত ফেল করলে অগুনের মধ্যে ফেলা হবে। আপনি বা আমি, পৃথিবীর সব মানুষ পাস করলেও আল্লাহর কিছু আসে যায় না, ফেল করলেও কিছু আসে যায় না। তিনি মহা কর্মকার। আমরা এক এক জন আল্লাহর তৈরী করা বুদ্ধিমত্তা প্রাপ্ত রোবট। পুতুল তৈরী করে আমরা সেই আল্লাহর দেওয়া হিডেন কলা কৌশল রপ্ত করতে পারি কিন্তু আমাদের কোন অহংকার মানায় না। সেই সৃষ্টিকর্তা কে নিয়ে উপহাস মানায় না। এই প্যারাগ্রাফে আমি কিছু অতিরিক্ত লিখিনি এর প্রত্যকটি বাক্য জেনেছি আমাদের ম্যানুয়ালের মাধ্যমে। সব `মুসলমান`এটা জানে।

প্রশ্ন হচ্ছে রোবটের গল্প না হয় লজিক্যাল সেটা করা যায় কিন্তু সেটার সাথে আমাদের সৃষ্টি রহস্যের সাথে মিলিয়ে দেওয়ার মানে কি? গল্পটা আজকে বললেও আসলে কাহীনি টা সংলাপ সহ আমাদের ম্যানুয়ালে এসেছে হাজার হাজার বছর পূর্বে।

অনেক মানুষ যেমন ম্যানুয়ালের সন্ধানই পায়নি আবার দু:খ জনক হলেও সত্য অনেক মুসলমান সন্ধানই পেয়েও এটা বিশ্বাস করে না, ম্যানুয়াল মত কাজ করে না। তাতে মহা প্রতিপালকের কিছু আসে যায় না। রোবটের গল্গটি আবার পড়ুন। একজন রোবট নির্মাতা যদি একটি রোবটের জন্য এরকম একটি টেস্ট করতে পারে তাহলে আমাদের যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি কোন কাজটি পারবেন না?

সৃষ্টিকর্তা আমাকে আপনাকে কেন সৃষ্টি করেছেন আমার গোল কি? উ: ম্যানুয়ালে দেওয়া আছে। যদি কোনদিন ইচ্ছা হয়, যা বুঝি লিখবো।





কিছু নোট না লিখলেই নয়।

১। লেখাটির প্রতিটি বাক্যের জন্য ম্যানুয়াল থেকে রেফারেন্স দেওয়া যাবে কিন্তু প্রতি লাইনে রেফারেন্স যোগ করলে পড়তে ভাল লাগবে না। কারও কোন রেফারেন্স লাগলে দিতে পারবো।

২। লেখা টি কোন তর্ক শুরু করার জন্য নয়।

৩। মুসলমান কম্পিউটর কৌশলীরা হয়ত লেখাটি পুরাটা বুঝতে পারবেন, কি বলতে চাইছি।

৪। আমি কোন ধর্মীয় expert নই। কারও বিপক্ষে বলিনি। দয়া করে কোন

মামলাবাজ ধর্মীয় উসকানীদাতা হিসাবে আমাকে ICT আইনে ধরিয়ে দিবেনা ।

৫। বাংলা ইংরেজি মিশ্রনে ক্ষমা প্রাথী।



মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০০

রাখালছেলে বলেছেন: অনেক বড় লেখা আগে পড়ি তারপর জানাব । পোষ্টের জন্য আগাম ধন্যবাদ ।

২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭

নতুন বলেছেন: আপনি বা আমি, পৃথিবীর সব মানুষ পাস করলেও আল্লাহর কিছু আসে যায় না, ফেল করলেও কিছু আসে যায় না। তিনি মহা কর্মকার।

তাহলে কেন এতো কিছু?

আর যেহেতু আপনি/আমি রোবট.... তাই স্বগ`/নরকের কে ভয় পাবার কি দরকার?

মানুষ ( এখন ৭ বিলিয়ন+শুরু থেকে) কারুরই কিন্তু জন্মের আগের কোন স্মৃতি নেই....... তাহলে যদি ধরে নেই মৃত্যুর পরেও এই স্মৃতি থাকবেনা... খুব কি ভুল হবে?

কম্পিউটার কোড যেমন 0 and 1 ( মানে বিদ্যুত প্রবাহ আছে বা নাই ) তেমনি পৃথিবি/মহাবিশ্বের সব কিছুই ভাঙ্গলে সবারই মুল উপাদান একই....

রহস্যটা অনেক মজার... :)

৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭

ল্যাপটপ কম্পিউটার বলেছেন: অনেক সুন্দর হইছে। আমরা পৃথিবীতের আসার উদ্দেশ্যটা আবার মনে পড়ে গেলো।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১১

একটি সকাল বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৫

ল্যাপটপ কম্পিউটার বলেছেন: রোবট হলেও আগুন কিন্তু সবকিছুকেই জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আর জেনে শুনে কেউ আগুনে জ্বলতে চাইবে না।

মেমরীকার্ডের স্মৃতি নষ্ট হয়ে যেতে পারে, মেমরীকার্ড নস্ট হয়ে যেতে পারে, কিন্তু ডাটা রিকভারী ঠিকই করা যায়। @ নতুন

৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৬

আরিফিন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৩

একটি সকাল বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২০

েনাঙর বলেছেন: সুন্দর এবং চমৎকার একটি লিখা। ধন্যবাদ এত সুন্দর করে লিখার জন্য।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

একটি সকাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩

আর্টিফিসিয়াল বলেছেন: চমৎকার পোস্ট

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮

একটি সকাল বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮

 বলেছেন: চমৎকার পোস্ট! :D

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮

একটি সকাল বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাই.. অন্ধকার না থাকলে যেমন আলোর মূল্য বোঝা যায় না...
ভুল না থাকলে যেমন শুদ্ধ বোঝা যায় না... তেমনি জগতের অনেক কিছু!

আচ্ছা শুদ্ধকে, আলোকে বোঝানোর জন্য যে অন্ধকার তাতেতো অন্ধকারের নিজের কোন দায় নেই! আছে কি?

যদি তাই হবে তবে আর অন্ধকারে ভয় কেন? সবইতো তারই সৃজন!

নজরুরলে ভাষায়.....খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে.....

মহাকালের মহা সময়ে আমরাতো কিছূই না... তার পরিকল্পনায়ইতো সব চলছে!!!

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৪

একটি সকাল বলেছেন: মন্তবের জন্য ধন্যবাদ

১০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

মাসূদ রানা বলেছেন: দারুন পোস্ট .......... প্রিয়তে রাখলাম :)

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৯

একটি সকাল বলেছেন: প্রিয়তে রাখার জন্য ধ্যনবাদ ।

১১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪

হাসান নাঈম বলেছেন: চমৎকার লেখা - সোজা প্রিয়তে

আসলেই বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে কোরআনের কথাগুলি অধিকতর বোধগম্য হয়ে উঠছে।
যেমন: ক্লোনিং এর ধারনা উদ্ভাবনের আগে পিতা ছাড়া সন্তান ছিল অকল্পনীয়। খ্রিস্টানরা তাই ঈসা(আ.) কে আল্লাহর জৈবিক পুত্র ( নাউজুবিল্লাহ ) হিসেবে কল্পনা করে এসেছে হাজার বছর ধরে - অথচ আজকে বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে আমরা জানি যে পিতা ছাড়াও সন্তানের জন্ম হওয়া সম্ভব।

এ'ভাবেই বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে কোরআনের প্রতিটি কথা সত্য প্রমানিত হবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আজ থেকে হাজার বছর পরে যে সত্য মানুষের বোধগম্য হবে সেটাকে এখনই বোঝার জন্য জিদ করা। যারাই এই জিদের বশবর্তী হয়ে আজকেই বা একজন মানুষের বুদ্ধি দিয়েই বিশ্বজগতের সকল রহস্য বা কোআনের সকল কথা বুঝতে/ব্যাখ্যা করতে চেস্টা করবে তারাই বিভ্রান্ত হবে। তাই অতিরিক্ত চিন্তা বা বাড়াবাড়ি পরিহার করাই শ্রেয়।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

একটি সকাল বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯

জনাব মাহাবুব বলেছেন: প্রথম অংশ পইড়া মাথায় কিলবিল করতে ছিল।

পরের প্যারাটাতে আপনার লেখার মূল উদ্দেশ্য বুঝতে পারলাম। :D :D :D

সুন্দর যৌক্তিকভাবে লেখাটি প্রকাশ করেছেন।

দুনিয়াতে আমাদের আসার মূল উদ্দেশ্যটি মনে পড়ে গেল।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭

একটি সকাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

১৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: এরপর নিয়মিত travel & tour চলবে আমাদের, আমাদের সংগে যে কেউ আসতে পার।

শর্ত শুধু এই যে tour এ কেউ গোমরা মূখ করে থাকতে পারবে না এবং tourটা যে কোন পরিস্তিথিতে উপভোগ করে যেতে হবে।

১৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৬

ইমরান আশফাক বলেছেন: উপরের পোস্টটি (আমার মন্তব্যটি) অনুগ্রহপূর্বক ডিলিট করে দিন, ভুলকক্রমে এখানে পোসট হয়ে গেছে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

একটি সকাল বলেছেন: উপরে পোস্ট টা ডিলিট করলে পরের পোস্ট টাও ডিলিট করা লাগবে, তাই কোন পোষ্টই ডিলিট করলাম না।

১৫| ১৪ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭

একটি সকাল বলেছেন: সকল কে অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.