নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
রাস্তার পাশে জটলা দেখে আর দশটা বাঙালির মতই উঁবু হয়ে দেখার চেষ্টা করলাম। ভেতরে হিজড়ার তালির শব্দ আর যথেষ্ট হট্রগোল। পুরো হিজড়া হানাদার বাহিনী হাজির একটা বন্ধ দোকানের সামনে। ছ'ফুট হাইটের কল্যানে ভিড়ের মধ্যেও দেখতে তেমন একটা অসুবিধে হয় নি। পাশের পিচ্চি থেকে ঘটনা জিজ্ঞাসা করলাম।
ঘটনা হল হিজড়াটা এই বন্ধ দোকানের মালিকের নিকট পঞ্চাশ টাকা দাবী করেছিল। দোকানের মালিক হুজুর মানুষ। দোকানটা কাঠের দোকান। মানে কাঠ কেটে ফার্নিচার বানায় আরকি। তা হুজুর হিজড়াটাকে দশটা টাকা দিলে হিজড়াটা হুজুরের মা-বাবা তুলে গালাগালি করে শাড়ি উল্টিয়ে দিল হুজুরের সামনে। ওমনি হুজুর চটে গিয়ে হুড়মুড়িয়ে পাশে রাখা কাঠটা মেরে হিজড়াটার মাথা ফাটিয়ে দিল।
ঘটনাটি বেশ কিছুদিন আগের্। আজ এখানে সেই ধারার একজনকে দেখলাম আই টি ইঞ্জিনিয়ার্। বেপারটা নিয়ে অনেক ভেবেছি। আমাদের দেশের হিজডাদের এই অবস্তা কেন?
সেটঘই দিন বড্ড সহানুভূতি গজাইসিল মনে যা আজ এক হিজড়াকে এক্সপেরিয়েন্স করে ডায়নসরের মতই বিলুপ্ত হয়ে গেসে।
কেন এদেরকে টাকা দিতে হবে? কেন তাদেরকে অস্বাভাবিক বানিয়ে লায় দেওয়া হবে? দায়ী কারা?
ইসলাম বলে নারীর ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে সহবাসকালে সন্তান হলে সেখানে জ্বীন সঙ্গমের সুযোগ পায়। আর এই জ্বীন-মানবের সঙ্গমের ফসলই হিজড়া বা "খুন্নাস"।
এটা অস্বাভাবিকতার কিছুই না। মানুষ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হয় এটাও অনুরূপ যৌন প্রতিবন্ধী। তারাও আমাদের মতই মানুষ। আপনি কি একটা অন্ধকে মানুষ মনে করেন না? তবে হিজড়াদের কিহেতু অন্য জগতের বাসিন্দা বিবেচনা করেন?
বিজ্ঞান এর মতে ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরন ও বিভাজনের ফলে ক্রমোসোমের বেশকিছু অস্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হয় যেমন XXY অথবা XYY। এর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়।
অতি মানবতাবাদীরা বলবেন ওদের কাজ দেওয়া হয় না তাই তারা ভিক্ষা করে।
- ভাই তারা "ভিক্ষা" করে না। ভিক্ষা করলে কোন আপত্তি ছিল না। তারা "ডাকাতি" করে।
দ্বিতীয় প্রসঙ্গ তাদের কাজ দেওয়া হয় না কথাটা ভুল। কেবলমাত্র এই উপমহাদেশীয় হিজড়ারাই এমন। সৌদি সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের হিজড়ারা কাজ করেই খায়। ফ্যাশন ডিজাইনিং, টেইলর, ওয়েল্ডিং সহ বিভিন্ন কাজই তারা করে আর দশটা মানুষের মত।
এবার আসি কেন আমাদের হিজড়াদের কাজ দেওয়া হয় না?
- দেওয়া হয় না তাদের কিম্ভুতকিমাকার গেটাপ আর এটিচ্যুডের কারণে। যেটা তারা স্বেচ্ছায় করে। মজার ব্যাপার এ উপমহাদেশীয় অধিকাংশ হিজড়াই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। তাদের বিশ্বাস এটা তাদের পূর্ব জন্মের পাপের ফল।
মূল কথায় যাই। এরূপ গেটাপে মানুষকে ভয় দেখালে মানুষ কাজ দেবেই বা কেন।
মূল কথা তাদের কাজ দেওয়া হয় না কথাটা ভুল, মূলত মাঙনা পাইলে কে-ই-বা খেটে খেতে চায়।
সুতরাং হিজড়াদের এই অশোভন আচরণ বন্ধে সামাজিক ভাবে প্রতিরোধ করতে হবে এবং পাশাপাশি তাদের কাজের সহায়ক পরিবেশ তৈরী করতে হবে।
ইসলাম পালন করা যেমনি একটা অন্ধের(দৃষ্টি প্রতিবন্ধী) প্রতি ফরজ ঠিক তেমনি হিজড়াদের(যৌন প্রতিবন্ধী) প্রতিও ফরজ।
পাশাপাশি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিও পরিবর্তন করা দরকার যারা হিজড়াদের কর্মে নিয়োগ নিতে নারাজ। নিশ্চই কর্মক্ষেত্রে তার যৌনাঙ্গ দিয়ে ডুগডুগি বাজাবেন না আপনি।
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৪৪
নতুন বলেছেন: ভাই বিদেশিরা কথায় না কাজেই মানুষকে মানুষের মযা`দা দেয়...
আমরা মুখে বড় কথা বলি... কিন্তু কাজে ভন্ডামী করি... সমাজের ভন্ডামী কমতে আরো ২৫ বছর লাগবে...
আর অনেক হিজড়ারাই আছে যারা সাধারন মানুষের চেয়ে অনেক বেশি প্রতিভাবান...
৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৪৬
নতুন বলেছেন: ইসলাম বলে নারীর ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে সহবাসকালে সন্তান হলে সেখানে জ্বীন সঙ্গমের সুযোগ পায়। আর এই জ্বীন-মানবের সঙ্গমের ফসলই হিজড়া বা "খুন্নাস"।
ঋতুস্রাব চলা কালীন সময়ে নারী গভ`ধরন করেনা... কারন তখন ডিম্বানু থাকেনা...
৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৫৮
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: নতুন@ এটা দেখতে পারেন।
http://www.babycenter.com/404_can-you-get-pregnant-during-your-period_1460117.bc
৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭
মাঝিবাড়ি বলেছেন: ইদানিং হিজড়ারা বেশি বাড়াবাড়ি করছে! সরকারের অবশ্যই কর্তব্য তাঁদের পুনর্বাসন করা।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:২০
ওসিরিস টিমোন বলেছেন: কথা সত্য। কিন্তু এইভাবে কেউ তো চিন্তা কইরা দেখে নাই। সব এনজিও যে কি করতাছে অথবা অদের কাজের যে কি অগ্রগতি সেই সব তো কেউ মনিটর করতাছে না