নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাহান মে দিবস ও আজকের প্রত্যশা !

০১ লা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

আজ পহেলা মে শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন । যারা নিজেদের অক্লান্ত পরিশ্রম তথা মাথার ঘাম মাটিতে ফেলে একটি দেশের দেশের অর্থনীতির চাকা চালু রাখে আজ তাদের ই অধিকার প্রতিষ্ঠার ই দিন । অথচ বিশ্বের যে কোন প্রান্তেই হউক না কেন শ্রমিক আজো তার যথা যথ অধিকার থেকে এখনো বঞ্চিত । পূজিবাদী শ্রেনীর কাছে আজীবই বিষর্জন দিয়ে আসে খেটে খাওয়া মানুষ গুলি তাদের অধিকার । বাংলাদেশে যেখানে প্রতি পদেই লাঞ্চনা বা বঞ্চনার শিকার শ্রমিক শ্রেনী তথা শ্রমজীবি সমাজ । বাংলাদেশ যেখানে খেটে ঘাম ঝড়ানো খেটে খাওয়া মানুষের কোন সামাজিক অবস্হান আছে এটা মোটর ও প্রমানিত নয় তার মাঝে ও আজ বাংলাদেশ সহ সমগ্র বিশ্বে পালিত হচ্ছে মাহন মে দিবস পালিত হচ্ছে । বাংলাদেশে শ্রমিকদের কথা আসলে বা মনে পরলে প্রথমেই মনে করিয়ে দেয় স্মরণ কলের অন্যতম বিশ্বের ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা সাভারের রানা প্লাজা ট্রেজেডির কথা । মাটির নিচ থেকে বের হয়ে আসে কোন নাম না জানা শ্রমিক ভাই-বোনের হাড় বা মাথার খুলি । ২৪ এপ্রিল ২০১৩ সকাল আনুমানিক ৯:০০ টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা ধসে পড়ে । ভবনটিতে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা সহ একটি ব্যাংক এবং একাধিক অন্যান্য দোকান ছিল সকালে ব্যস্ত সময়ে ঘটে যায় বিশ্বে ইতিহাসের অন্যতম নাড়কীয় ঘটনা তথা বিশ্বের বিশ্বের ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা । যেখানে ১১২৬টি লাশ উদ্ধারের কথা বলা হলেও আরো অসংখ্য লাশই বের করে আনা সম্ভব হয়নি ধ্বংস স্তুপের ভিতর থেকে । ওই ঘটনায় আহত হয়েছে আড়াই হাজারের বেশি শ্রমিক আর এখনও নিঁখোজ রয়েছে হাজারের উপর । গত কয়েক দিন আগে রানা প্লাজা ট্রেজেডির দুই বছর পার হলেও এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্হতের কোন তাদের ন্যায্য ক্ষতিপূরন দিয়ে পূর্নবাসনের যথাযথ কোন ব্যবস্হ্যা আজো দৃশ্যমান নয় । অথচ সরকারের কিছু ব্যক্তি ও তথাকথিত কিছু শ্রমিক সংগঠন এ ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদরে আখের গুছিয়েছে । এ ছাড়া তাজরিন ফ্যাশন সহ হাজারো ঘটনায় প্রতিনিয়তই জীবন দিতে হয় বাংলাদেশের শ্রমিকদের । কর্মস্হলের দুর্ঘটনা ছাড়া ও আমাদের দেশের শ্রমিক বিশেষ পরিবহন শ্রমিকদের হিকার হতে হয় রাজনীতির প্রতি হিংসার । হরতাল অবোরধের নামে প্রতিনিয়ত ই আগুন আর ভাংচুরের শিকার আমাদের পরিবহন সেক্টর । ইতোমধ্যে হরতাল অবোরধের নামে গানপাউডার বা পেট্রোল বোমার আগুনে জীবন দিতে হয়েছে অনেক শ্রমিক । যার কোন সুষ্ঠ বিচার কখনো ই হয় নি । আমাদের দেশে গৃহ কর্মীদের তো মানুষ হিসেবেই মনে করেন না গৃহকর্তা বা গৃহকর্তৃ । প্রতিনিয়ত ই সংবাদ মধ্যমে ভেষে আসে কোন কোন না কোন ঝলসানো গৃহকর্মীর বিভৎস ছবি । শিক্ষক ,ডাক্তার ব্যসায়ি বা রাজনীতিক নেতা বা সমাজ কর্মী যাদের কথাই বলুন না কেন সমাজের প্রায় প্রতি টি ঘড়েই নির্মম অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন প্রায় প্রতিটি গৃহ কর্মী । পৃথিবীর প্রতিটি দেশে ই প্রতি মুহুর্তে নির্যাতিত হচ্ছে কোন না কোন শ্রমিক । তার মধ্যে ও আজ পলিত হচ্ছে মহান মে দিবস । মাহন মে দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে দুনিয়া জুরে আজ কত না সভা সেমিনার হবে । কত না বড় বড় বুলি আসবে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে । শ্রমিকদের দুই নয়ন ভরে দিবে হাজারো স্বপ্নে । আবার আগামী কাল থেকে শ্রমিকদের যে মাথায় সে কপাল ই থকবে । ভগ্যের চাকা কখনো ই ঘুরে না বা ঘুরবে না খেটে খাওয়া শোষিত মানুষ গুলির । তার পর ও আজকের মাহন মে দিবসে সেই প্রত্যাশই করবো সভা সেমিনার যাই হউক যত নীতি ই সরকার বা রাষ্ট্র গ্রহন করুক অন্তত্য কিছুটা হলে ও যেন তা শ্রমিকের জন্য কাজে আসে কিছুটা হলেও যেন শ্রমিকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় । জয় হউক বাংলাদেশের জয় হউক এদেশের খেটে খাওয়া মেহানতী ও শ্রমজিবী মানুষের ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.