নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ জঙ্গিদের অভয়রাণ্যে পরিণত হয়েছে !

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৩

বাংলাদেশে ধর্মীয় জঙ্গিরা ক্রমেই শক্ত অবস্হানে চলে আসছে । দিন দিন জঙ্গি বিভিন্ন তৎপরতা বিভিন্ন ভাবে ডাল-পালা ছড়াচ্ছে । বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রমানয়ে জঙ্গিদের অভয়রাণ্যে পরিনত হতে চলছে । আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের ও নাকি নিরাপদ আশ্রয় স্হান এখন বাংলাদেশ এমন টা ই দাবি থাই পুলিশের । থাই পুলিশ দাবি করেছেস যে ব্যাংককে ইরাওয়ান মন্দিরে বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ইজান চীনা পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে৷ গত বৃহস্পতিবার থাই পুলিশ কর্মকর্তারা দাবি করেন ‘‘বোমা হামলার আগের দিনই সে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে৷'' ওই হামলায় ১৪ পর্যটকসহ ২০ জন নিহত হয়৷ যদিও এব্যাপারে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তেমন কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি৷ তার পর ও থাই পুলিশের জোড় দাবি যে ইজান বাংলাদেশে ই আছে ।ভারতের বর্ধমানে জেএমবির আস্তানায় বিস্টেম্ফারণের তদন্ত থেকে ও বাংলাদেশে অবস্হান করা জঙ্গিদের সম্পৃর্কততার কথা উঠে আসে । বাংলাদেশে জঙ্গিদের শক্ত অবস্হানের কথা আরো জানান দেয় জঙ্গিদের অর্থ জোগানের অপরাধে সম্প্রতি তিনজন আইনজীবীর গ্রেফতার ।বর্তমান সময়ে সমগ্র বিশ্বের আলোচিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস আর গত কয়েক দিন আগে সিরিয়ায় ব্রিটেনের ড্রোন হামলায় নিহত তিনজন আইএস জঙ্গির মধ্যে একজন রহুল আমিন যিনি বাংলাদেশে জন্মগ্রহন কারি ব্রিটিশ নাগরিক৷বাংলাদেশের গোয়েন্দাসংস্হার তথ্য মতে গত বছর বাংলাদেশ থেকে অন্তত নয় জন যুবক আইএস-এ যোগ দেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে সিরিয়ায় গিয়ে আইএস এর সথে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছে । এবং আরো অনেকে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে ।বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের কথা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে ৷ গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শিক্ষক থেকে শুরু করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষক পর্যন্ত জঙ্গি সংগঠনে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদের পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও বহিষ্কার ও করা হয়েছে৷ বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন নামে বাংলাদেশে শক্ত আস্তান পেয়েছে ইসলামিক জঙ্গিরা ।বর্তমানে বাংলাদেশে আলোচিত জঙ্গি সংগঠন গুলির মধ্যে রয়েছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম , হিযবুত তাহরীর , হরকাতুল জিহাদ, জেএমবি, জেএমজেবি, শাহদাৎ-ই-আল হিকমা, শহীদ হামজা ব্রিগেড , হিজবুত শাহাদাৎ সহ আরো বেশ কিছু সংগঠন । নামের ভিন্নতা থাকলে কাজের দিক থেকে সবার ই আদর্শ প্রায় ই অভিন্ন আর যাদের আদর্শের কেন্দ্রবিন্দু ই হলো জামায়াতে ইসলামীর আদর্শ। ১৯৯৯ সনের ৬ই মার্চ যশোর টাউন হল মাঠে আয়োজিত বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনের সমাপনী দিনে বোমা হামলা করে নিজেদের শক্তির কথা জানান দেয় হরকাতুল জিহাদ । এর একে রমনার বটমূলে বোমা হামলা বানিয়ার চড়ে গির্জায় বোমা হামলার মধ্যদিয়ে নিজেদের শক্তির আরো শক্ত অবস্হানের কথা জানান হরকাতুল জিহাদ ।এর পর অনেক অঘটনের পর বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম নারকীয় অধ্যায়ের জন্মদেয় হরকাতুল জিহাদ আর তা হলো ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসমাবেশে ন্যক্কারজনক গ্রেনেড হামলা যাতে প্রাণ হারান আইভি রহমান সহ ২৪ জন । ২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা করে আলোচনায় আসে জেমএবি যারা নাকি বাংলাদেশে জেএমবি পাকিস্তানের লস্কর-এ-তৈয়বা এবং আল-কায়েদার সহযোগি সংগঠন । আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ২০১৩ সালে থেকে বাংলাদেশ ব্লগার হত্যার মধ্য দিয়ে তদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে যাদের করে ভাবা হচ্ছে বাংলাদেশে আইএস এর সহযোগী সংগঠন । আর হিজবুত তাহরীর তো গত সপ্তাহে ঘোষনা দিয়েই ঢাকায় অনলাইন সম্মেলন করেছে এবং প্রতিদিন তারা তাদের প্রচার পত্র বিলি করেআসছে । ২০১৩ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রাম নগরীর ফয়’সলেকে একটি রেস্টুরেন্টে সভা করে আত্মপ্রকাশ জঙ্গি সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেড ।২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আবিস্কার করা হয় শহীদ হামজা ব্রিগেডের জঙ্গি প্রশিক্ষণের কেন্দ্র এখন প্রায়ই চট্রগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার ও গ্রেফতার করা হয় শহীদ হামজা ব্রিগেডের অস্ত্র সরঞ্জাম ও জঙ্গিদের ।জঙ্গিবাদের পেছনে সবচেয়ে বেশি কাজ করে অর্থ ও রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা । বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির গতিপথ নিয়ন্ত্রণে জঙ্গিবাদকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি গণতন্ত্রের পথ ধরে চলা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গোপন জঙ্গি দলের সংশিল্গষ্টতা ই শক্ত অবস্হানে আসতে সক্ষম হয়েছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন গুলি ।২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসমাবেশে ন্যক্কারজনক গ্রেনেড হামলায় হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হন্নান কিংবা ২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট বাংলাদেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলাকারী জেএমবি নেতা শয়েখ আব্দুর রহমান এবং সিদ্দিকুর রহমান বাংলা ভাইদের সঙ্গে তৎকালিন ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের মন্ত্রী ও আমলাদের সংশিল্গষ্টতা ই এসকল জঙ্গি সংগঠকে শক্ত অবস্হানে আসতে সহায্য করে । এর পর ও বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন গুলির উত্থান থেমে নেই বিভিন্ন ভাবে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় রিষ্টপুষ্ট করাহচ্ছে এদেশের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন গুলিকে ।দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠা ও ব্যাক্তি বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশের জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য করেআসছে । তাই সার্বিক ভাবে বাংলাদেশ এখন ধর্মীয় উগ্রবাদী জঙ্গিদের বিশেষ আশ্রয় কেন্দ্র তথা অভয়রাণ্যে পরিনত হয়েছে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.