নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার ।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিটার থেকে ও মিটার নেই !

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৯

সন্ধ্যার সামান্য পর রামপুরা টিভি ভবনের প্রধান সড়কে দাড়িয়ে আছি পন্হপথ আসার অপেক্ষায় । সামন দিয়ে বদ বদ করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা যাচ্ছে ভাই যাবেন পন্হপথ , চালক না সূচক জবাব দিয়েই সোজা টেনে চলে যাচ্ছে অবশেষে একটি অটোরিকশা চালক আসতে সম্মত হলে ও শর্ত দুই শত টাকা ভাড়া দিতে হবে । মিটার থাকা সত্ত্বে ও কেন দুই শত টাকা ভাড়া চাইলেন এর উত্তরে চালক বিনা দ্বিধায় বলে ফেললেন তা হলে রিকশায় যান ! চালকের এমন যুক্তি যুক্ত জবাবে ট্রাফিক পুলিশ ও মাথা ঘামালেন না তার ও উত্তর কি আর করার ভাই ওরা ভাই গরীব মানুষ । ভাড়া নৈরাজ্য রাজধানী বাসীর নিত্যদিনের সাথী । গত পহেলা নভেম্বর ২০১৫ থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশার যাত্রী ভাড়া গড়ে ৬০ ভাগ বাড়ানোর পর ও কোন কিছু তোয়াক্কা না করে ই আগের নিয়মে রাজধানীতে চলছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা । সরকার মিটারে চলা বাধ্যতামূলক করে দিলেও এই আইন শুধু মাত্র যেন কাগজে কলমে ই সীমাবদ্ধ। কখনো কোন কোন চালক মিটারে যেতে রাজি হলেও রিডিং থেকে ৩০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি গুনতে হয় অসহায় যাত্রীদের । নতুন নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী প্রথম দুই কিলোমিটার ভাড়া অর্থাৎ সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে আগের ২৫ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা। প্রথম দুই কিলোমিটারের পর প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৭ টাকা ৬৫ পয়সা থেকে বৃদ্ধি করে ১২ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিরতিকালের জন্য ভাড়ার হার প্রতি মিনিটে ১ টাকা ৪০ পয়সার পরিবর্তে ২ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার সেই সাথে মালিকদের জমার পরিমাণ ও বাড়িয়ে ৬০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা করা হয়েছে । রাজধানীতে যে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করছে তার অধিকাংশই কেনা হয়েছে গত বিএনপি-জামাতের চারদলীয় জোট সরকারের আমলের ২০০১ থেকে ২০০৩ সালে। ১ লাখ ৫৭ হাজার থেকে তিন লাখ টাকায় কেনা এসব অটোরিকশার আর্থিক মেয়াদ ছিল ২০০৯ সাল পর্যন্ত। পরবর্তীতে মালিকদের চাপে বর্তমান সরকার এসব অটোরিকশার মেয়াদ দুই ধাপে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে বাধ্য হয়। সর্বশেষ এ মেয়াদ আরো চার বছর বাড়ানো হয়। অটোরিকশা নীতিমালা ২০০৭ অনুযায়ী নির্ধারিত স্ট্যান্ডে অবস্থানকালে কোনো সিএনজি বা পেট্রোলচালিত থ্রি-হুইলারের চালক স্বল্প দূরত্বসহ সরকার নির্ধারিত এলাকার মধ্যে যে কোনো দূরত্বে যেতে বাধ্য থাকবেন। যা কোন ভাবেই মানছেন না চালকরা।২০০২ সালে সিএনজি অটোরিকশা চালুর পর এ নিয়ে পাঁচবার ভাড়া বাড়ানো হলো। সময়ের ব্যবধানে ভাড়া বাড়বে এটাই স্বাভাবিক তবে গত এক যুগে কখনো ই আমাদের দেশের অটোরিকশা চালকরা সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় পথ চলেনি এমন কি যাত্রীদের প্রতিবাদ সত্ত্বেও কোন কার্যকর ব্যবস্হা নেয় নি সরকার বরং ভাড়া নিয়ে প্রতিনিয়ত ই চলে যাত্রী ও চালকের কথা কাটাকাটি কখনো কখনো এই কথা কাটাকাটির সহিংস রুপ ও আমরা দেখেছি। পহেলা নভেম্বর ২০১৫ সরকরের নতুন অটোরিকশা নীতিমালা প্রণয়ন করে গেজেট প্রকাশের পর সরকার এ ব্যাপারে অভিযান চালায় এবং মোবাইল কোর্টও বসায় এতে চালকেরা দুই এক দিন আইন মানলে ও বর্তমনে যেই লাউ সেই কদু ই ।নাগরিকদের জীবনযাত্রা সহনীয় করার দ্বায়িত্ব সরকার ও তার প্রসাশনের । সিএনজিচালকরা সরকরের আইন অমান্যকরে যাত্রীদের জিম্মি করে নিজেদের খেয়ালখুশি মত ভাড়া আদায় করবে এটা কোন সভ্য রাষ্ট্রের নীতি হতে পারে না । সিএনজি আটোরিকশা নিয়ে অরাজকতায় মালিক, চালক, ট্রাফিক পুলিশ ও বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ সমন্বয় করে ই শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব । সেইসাথে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে।তাহলেই এই ভাড়া সন্ত্রাসের কবল থেকে রক্ষা করা যাবে নগররাসীকে ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৪

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
joto jai koruk, kono fayda nai

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: কিছু বলার নাই............

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.