নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ থেকে বছর আগে সমগ্র জাতি হঠাৎ নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছেল । ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ আমাদের তথা বাংগালী জাতির ইতিহাসে নতুন করে রচিত হয়ে ছিল এক কলংক । ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে যেখানে খুন করা হয়েছিল শহীদ ডা: মিলন কে ঠিক তার উল্টা দিকে ধর্মীয় উগ্রবাদ তথা মৌলবাদ বিরোধী আন্দোন , মুক্তবুদ্ধি তথা মুক্তচিন্তা ঠেকতে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের চাপাতির কোপে খুন হয় মুক্ত চিন্তার বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় মারাত্মক জখম হয়ে ও ভাগ্য ক্রমে প্রাণে বেঁচে যান তার স্ত্রী ব্লগার রাফিদা আহমেদ বন্যা । অভিজিৎ হত্যার প্রতিবাদে সাড়া দেশ প্রতিবাদ মুখর হলে ও সেই প্রতিবাদের কোন মূল্যায়ন আজ ও হয় নি । সন্তান হারানোর বেদনা বুকে নিয়ে আজ ও পুত্র হত্যার বিচারে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বিচারের প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন শিক্ষাবিদ ড. অজয় রায় ৷
বর্তমান সরকার তথা আওয়ামী লীগ তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসেবে সবসময় ই নিজেদের জাহির করে আর সেটাই বিশ্বাস করেছিল অভিজিৎ রায় । তাই ধর্মীয় উগ্রবাদীদের নানা হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে ও প্রাণের টানে একুশের বই মেলায় অংশ নিতে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ছুটে এসেছিলেন নিজ মাতৃভূমিতে । কিন্তু এ দেশ যে আজ অভিজিৎ রায়দের জন্য মোটে ও নিরাপদ নয় তা হয়তো ঘুনাক্ষরে চিন্তা করেননি তিনি, প্রাণের টানই যে প্রাণ কেড়ে নিবে তা হয়তো স্বপ্নে ও কল্পনা করেননি অভিজিৎ । আর আমাদের দেশ ও যে আজ স্বাধীন চিন্তা ও মুক্ত মত প্রকাশের জন্য মোটে ও নিরাপদ নয় তা প্রমান অনেক আগের থেকে ই আছে । আমি আগেই বলেছি বর্তমান সরকরা তথা আওয়ামী লীগ তথা কথিত ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসেবে নিজেদের জাহির করে যা সম্পুর্ন ভাবে ই তাদের একটা রাজনৈতিক কূট কৌশল মাত্র । অভিজিৎ হত্যার পর গত বছর ই খুন হয়েছেন ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অনন্ত বিজয় দাস, নিলয় নীল এবং প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন ৷ গুরুতর আহত প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল ভাগ্য ক্রমে প্রাণে বেঁচে গেছেন৷
এছাড়া অন্তত ২০ জন ব্লগার, লেখক হত্যার হুমকি পেয়ে নির্বাসনে চলে গেছেন ৷এরপরও সরকারে কোন শুভ বুদ্ধির উদয় হয়নি । কোন একটি ঘটনার ও সুষ্ঠ তদন্ত আজো হয়নি। খুনিরা নিশ্চিন্তে নির্বিঘ্নে একের পর এক ঘটনা ঘটিয়েই যাচ্ছে । সরকারে মন্ত্রী এমপি বা আইন শৃংখলা রক্ষাবাহিনীও আমাদের নাচিয়ে যাচ্ছে আমরা নিরব দর্শকের মত তা উপোভোগ করছি । চার ব্লগার সহ প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে খুন করে বাংলাদেশে মুক্তবুদ্ধির ও মুক্তচিন্তার চর্চাকারিদের মনে আতঙ্ক তৈরি করতে সফল হয়েছে ধর্মীয় উগ্র মৌলবাদীরা ৷সরকার ও ধর্মীয় উগ্রবাদীদের দেখে ও না দেখার ভান করে আছে । হয়তো সরকার চায় না গুটি কয়েক মুক্তবুদ্ধির ও মুক্তচিন্তার মানুষের জন্য ইসলাম প্রধান বাংলাদেশে তাদের ক্ষমতায় কোন আঘাত হানুক । তাই সরকার ধর্মীয় উগ্রবাদীদের সাথে এক প্রকার সমোঝতা করে ই চলছে । যার প্রামন আমরা পেয়েছি বিভিন্ন সময় সরকার ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের বিভিন্ন বক্তব্যে ।
বছর ঘুরে আসছে ছাব্বিশে ফেব্রুয়ারি অভিজিৎ হত্যার বছরপূর্তি বুকের ভিতর গুমোট ভাব নিয়ে বছর পাড় হলো খুনিরা আজো রয়ে গেল ধরাছোঁয়ার বাহিরে । অভিজিৎ খুন হয়েছে ঠিকই কিন্তু অসভ্য খুনিরা কিন্তু মোটেই অভিজিৎ এর চিন্তা কে ধারনাকে খুন করতে পারেনি । এক অভিজিৎ এর থেকে আজ হাজারো অভিজিৎ এর জন্ম হয়েছে । অভিজিৎ রা কখনোই মরে না অভিজিৎ’রা কখনোই হারে না ।