নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার ।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদককোষে ও চুরি !

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

আমাদের দেশে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাটি হলো আমাদের রাজকোষ চুরির । গ্রামের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে টেলিভিশনের টক শো কোথায় নেই এ আলোচনা ? প্রতিদিনই সংবাদপত্রের শিরোনাম ও এই একই ঘটনা। নানা জনের নানা কথা নানা গুজব । আজ ভেবে ছিলাম এ নিয়ে কিছু লেখার হঠাৎ করে মনে পরল অন্য একটি চুরির ঘটনা শেষ পর্যন্ত মত পাল্টে নিলাম । তার পর ভাবলাম ঐ চুরিটা নিয়েই লিখি কারন এটা যে আমাদের সমাজের বাঁচা মরার সমস্যা । তাই রাজকোষ চুরি রেখে মাদককোষ চুরি নিয়েই লিখতে ইচ্ছে হলো । গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অফিসের রক্ষিত ভান্ডার থেকে ১ লাখ ৮১ হাজার ৯১৩ পিস ইয়াবা ও ২ কেজি গাঁজা চুরি হয়েছে গেছে যার বাজারমূল্য প্রায় সোয়া ৫ কোটি টাকা। বিভিন্ন স্থানে বছর ধরে অভিযান চালিয়ে এ মাদক জব্দ করেছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর যা রক্ষিত ছিল টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অফিসে । স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে এত মেধা এত কষ্টের পর উদ্ধার হওয়া মাদক অনায়াসে কিভাবে চোরের হাতে চলে গেল ? মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে টেকনাফ অফিস কি তা হলে এতই অরক্ষিত ? বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত মরণ নেশা ই হলো ইয়াবা আর এই ইয়াবা বাংলাদেশে প্রবেশের সিংহদ্বার ই হলো কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এলাকা । স্বাভাবিক ভাবেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কাছে টেকনাফ এলাকার গুরুত্ব দেশের অন্যান সীমান্ত এলাকার চেয়ে অনেক বেশী । এখানে প্রশ্ন হলো এমন একটি গুরুত্ব পূর্ণ জায়গার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অফিস কেন এতটা অরক্ষিত ? এ ঘটনার পর সেখানকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবী তারা বিভিন্ন কাজে বাহিরে ছিলেন ! স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন কার স্বার্থ হাসিলের জন্য সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাব্যক্তিরা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অফিস অরক্ষিত রেখে বাহিরে অবস্হান করলেন ? কেনই বা উদ্ধার হওয়া ইয়াবা এমন একটি অরক্ষিত অফিস ভবনের সাধারন আলমারিতে রাখা হলো আর কারা ই বা এটা চুরির সাথে জড়িত ? দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজারের বর্তমান সরকার দলীয় এক সাংসদকে ইয়াবা পাচার ও ব্যবসার মূলহোতা হিসেবে নানা সংবাদ মধ্যমে সংবাদ প্রচার করে আসলে ও তার টিকিটি পর্যন্ত ছুতে পারেনি আমাদের প্রশাসন বরং ঐ সাংসদের অত্যাচারে নাকি অতিষ্ট সেখানকার প্রশাসন ।
আমাদের জাতীয় মূল সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম ই হলো মাদক সমস্যা । আমাদের উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের একটি বিরাট অংশ মরণ নেশা ইয়াবা সহ নানা মাদক নেশায় আসক্ত । আমাদের সমাজ তথা রাষ্ট্র থেকে মাদককে নির্মূল করা যে বিভাগের কাজ তা হলো মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর । ররারই এই অধিদপ্তর সহ প্রশাসনের নানা সংস্হার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে মাদক পাচারকারী ও ব্যবসায়ীদের সাহায্য সহযোগিতা করার এমন কি অনেক ক্ষেত্রে তা প্রমান ও হয়েছে । তার পর ও কোন ভাবেই প্রশাসনের সু-নজর পরছে না এ ক্ষেত্রে । ক্রমানয়েই আমাদের সমাজে বেড়ে চলছে মাদক সেবন ও মাদক ব্যসায়ীর সংখ্যা । আমরা চাইবো সরকার ও প্রশাসন সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অফিসের চুরির ঘটনা ও চুরি হওয়া মাদক উদ্ধারে সক্ষম হবে যা আমাদের সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০০

ঢাকাবাসী বলেছেন: দেশটাকে সবাই লুটছে!

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২০

কানিজ রিনা বলেছেন: ইয়াবা মদ গাজা হেরইন সেবা আজ জাতির
মেরুদন্ড ভেঙে গিয়েছে। তারপর আদালতের
নথী চুরি ব্যংক ডাকাতি দেশে কি নাই
এই আমাদের স্বাধীন দেশ।
আজ এজাতি নেশার ঘোরে আকৃষ্ট,
সমাজ সংশার পরিবার রাষ্ট্র সবই পথও
ভ্রষ্ট। নেশার কারনে পরিবার সমাজ রাষ্ট্র
ভয়াবহ রুপ ধারন করেছে।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: লুটের দেশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.