নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রশফায়ার কি পারবে জঙ্গিবাদের উত্থান ঠেকাতে ?

২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬

বর্তমান আওয়ামী জোট সরকার বরাবরই বলে আসছে ধর্মীয় উগ্রবাদ তথা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্হান জিরো টলারেন্স । এটা শুধু বর্তমান আওয়ামী জোট সরকার ই নয় বরং বিএনপি জামাত জোট যখন রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্বে ছিল তাদের মুখে ও এমন কথাই শুনা গেছে । তার পর ও বাংলাদেশে কোন এক অজানা কারনে ধর্মীয় উগ্রবাদ তথা জঙ্গিবাদ শক্ত অবস্হানে চলে আসছে । কোন এক সময় আমরা সরকারের কর্তাব্যক্তিদের মুখ থেকে শুনেছি বাংলাভাই ইংলিশ ভাই নামে এ দেশে কিছুই না সব ই মিডিয়ার সৃষ্টি । এ দেশের আদালতেই বাংলাভাইদের বিচার হয়েছে এবং এ দেশের মাটিতে ই বাংলাভাইদের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে । বাংলাভাইদের বিচার ও তৎকালীন সরকারের কর্তাব্যক্তিদের কথা ছিল পুরোপুরি ভিন্নমূখী ।তদের এমন বক্তব্য ই আমাদের মাঝে বিশ্বাস জন্মদিয়েছিল যে বাংলা ভাইদের সৃষ্টি ও উত্থানের পিছনের কাদের হাত ছিল ? গত দুই সপ্তাহে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে ১৮ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জনকে জঙ্গি বলে দাবি করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

এদের মধ্যে গত ৭ জুন রাজধানীর পল্লবীতে তারেক হোসেন মিলু ওরফে ইলিয়াস ওরফে ওসমান ও সুলতান মাহমুদ ওরফে রানা ওরফে কামাল দেশের বহুল আলোচিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যা, দিনাজপুরের ইস্কন মন্দিরে হামলা এবং বগুড়া শিয়া মসজিদে হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারা দুজনই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এর মধ্যম সারির নেতা ছিলেন । সবচেয়ে আলোচিত ক্রশফায়ারের হত্যার মধ্যে ছিল গত ১৮ জুন মাদারীপুরে কলেজ শিক্ষক হত্যাচেষ্টার সময় হাতেনাতে জনতার হাতে গ্রেফতার হওয়া ফয়জুল্লাহ ওরফে ফাহিমের ক্রশফায়ারে হত্যা । আমার লেখাকালীন সময়ে সর্বশেষ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি অনুযায়ি তথাকথিত ক্রশফায়ারের রাজধানীর খিলগাঁয়ে হত্যাকরা হয়েছে দেশের বহুল অলোচিত মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার ” প্রাইমারি একিউজড ” শরিফুল ওরফে সাকিব ওরফে শরিফ । ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে দেশে উগ্র ধর্মীয় জঙ্গি গোষ্ঠির হাতে ব্লগার লেখক শিক্ষক পীড় মাওলানা পুরোহিত যাজক বিদেশী নাগরিক সহ ভিন্নমতাবলম্বী অনেকই খুন হতে হয়েছে । আমাদের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহীনি কোন হত্যার ই পার কূল করতে পারেনি । অবশ্য রাজধানীর তেঁজগায়ে ব্লগার ওয়াসিকুর রহমান বাবু ও মাদারীপুরে কলেজ শিক্ষক হত্যাচেষ্টার আসামীদের সাধারন জনতা ধাওয়া করে ধরতে সক্ষম হয়েছিল । বাবু হত্যাকারিরা জেলখানায় আটক থাকলেও মাদারীপুরে কলেজ শিক্ষক হত্যাচেষ্টার আসামী ফাহিম রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তথাকথিত ক্রশফায়ারে খুন হয় । স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের ধারনা ছিল যে আমাদের আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী দীর্ঘদিন যাবৎ এসব গুপ্ত হত্যা নিয়ে যে ধরনের ঘোলাজলের মধ্যেই হাবু ডাবু খাচ্ছে তাই দুয়েক জন জঙ্গি গ্রেফতারের পর হয়তো পূর্বের হত্যাকান্ড গুলির ক্লু খুজে পাবে এবং মূল অপরাধীরা গ্রেফতারের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি হয়ে দেশে একটা স্হিতিশীল পরিস্হিতি ফিরে আসবে । আমাদের আশা শুধুই আশাতেই রয়ে গেল ।

রিমান্ডে থাকা অবস্হায় ফাহিমের কাছ থেকে আসল তথ্য উদ্ধার না করে কোন বা কি তথ্যের ভিত্তিতে বা কি উদ্ধারের অভিযানের নামে ক্রশফায়ারে হত্যাকরা হলো ফয়জুল্লাহ ওরফে ফাহিমেকে ? অভিজিৎ রায় হত্যা আমাদের দেশে ও দেশের বাহিরে নানা প্রশ্নের মুখো মুখি করেছে অথচ এমন একটি হত্যাকান্ডের আসামী আমি শুধু হত্যাকারীই বলবো না জঘন্য হত্যাকরী জঙ্গিকে গ্রেফতারের সময় তথাকথিত ক্রশফায়ারে খুন করা হলো । স্বাভাবিক ভাবেই এধরনের ক্রশফারের হত্যা আমাদের সাধারন মানুষের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে । কেন ধর্মীয় উগ্র জঙ্গিদের মূল হোতাদের গ্রেফতারের আগেই ক্রশফায়ারের নাম করে মাঠ পর্যায়ের অপরাধীদের হত্যাকরে মুখ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে ? তা হলে কি আমাদের দেশে ধর্মীয় জঙ্গিবাদের উত্থানের পেছনে এমন কোন গোষ্ঠি বা ব্যক্তির হাত আছে যাদের গ্রেফতার করলে বর্তমান সরকারের মান সম্মান নিয়ে জাতির কাছে প্রশ্ন উঠবে ? পূর্বে আমাদের আইন শৃংখলা রক্ষাকারীবাহিনী তথাকথিত ক্রশফায়ারের নামে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী কে হত্যাকরে আইন শৃংখলার অবস্হা নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করেছেন । ঠিক ধর্মীয় উগ্র জঙ্গিদের দমনে কি আমাদের আইন শৃংখলা রক্ষাকারীবাহিনী আগের একই পন্থা আবলম্বন করছেন ? যদি ঐ পন্থাই অবলম্বন করে থাকেন তা হলে কি এই ক্রশফায়ার কি পারবে জঙ্গিবাদের উত্থান ঠেকাতে ?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: আমার মনে হয় পারবে না।

ক্রসফায়ার তো দেশে অনেক আগেই শুরু হয়েছে। কিন্তু অপরাধ না কমেনি, বরং বেড়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.