নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার ।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোজামিল নয় চাই সুষ্ঠ সমাধান ।

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:০২

আমাদের দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ে সব সময় ই লুকোচুরি খেলা হয়েছে । যে ই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে হউক রাজনৈতিক দল বা সামরিক সরকার সবাই কেন জানি এই ধর্মীয় জঙ্গিবাদের বিষয়টি লুকিয়ে রেখেছেন না হয় ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা করেছেন এতে কারো ই শেষ রক্ষা হয় নি বরং তাদের এই ধামাচাপায় ধর্মীয় উগ্র জঙ্গিরা দানব হয়ে আর্বিভূত হয়েছে । বাংলা ভাইয়ের কথা সম্ভবত আমরা কেউ ভুলে যাইনি । বিএনপি জামাত জোটের ক্ষমতা আমলে বাংলা ভাইয়ের তান্ডব নিয়ে যখন প্রায় সমগ্র মিডিয়া ই হৈচৈ তখন ই তৎকালীন সরকারের কর্তাব্যক্তিরা বলে বসলেন বাংলা ভাই ইংলিশ ভাই বলতে কেউ ই নাই সব ই মিডিয়ার সৃষ্টি । অবশ্য পরে সমগ্র জাতি ই বাংলা ভাই ও গুরু শায়েখ আব্দুর রহমানের অনুসারিদের তন্ডব উপোভোগ করেছে ।আদালত থেকে সিনেমা হল কোথা ও তো বাদ যায় নি তাদের হমলা । চা ওয়ালার চায়ের ফ্লাক্স দেখে ও পুলিশকে জীবন রক্ষার জন্য পালাতে দেখেছি । এর পর আবার বাংলাভাইকে গ্রেফতার করে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় এনে বিচারের মুখোমুখি হতে ও আমরা দেখেছি । অবেশেষে বাংলা ভাই ইংলিশ ভাইরা আর মিডিয়ার তৈরি কোন কাম্পনিক চরিত্রে থাকেনি ।

বর্তমান সময়ে একটি বৈশ্বিক হুমকির নাম আইএস । বছর খানেকের মধ্যে এশিয়া ইউরোপ আফ্রিকা সহ বিশ্বের বড় বড় হামলায় প্রানহানির দায় স্বীকার করে নিয়েছে এই ভয়ংকর জঙ্গি গোষ্ঠি এমন কি আমাদের দেশে ও ব্লগার , শিক্ষক , বিদেশী নাগরিক ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব সহ প্রায় সকল হামলা ও খুনের দায় স্বীকার করে নিয়েছে আইএস কখনো বা আল-কায়দা । সব শেষ গুলশান ট্র্যাজেডির দায় ও সাথে সাথে স্বীকার করে নিয়েছে আইএস । এমন কি উদ্ধার অভিযানের আগেই হামলার দিন ভোর রাতেই আইএস তাদের টুইটারে হামলার বিভিন্ন ছবি প্রকাশ করেছে । অবশ্য আমাদের সরকার ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহীনির কর্তাব্যক্তিরা এটাকে বাংলাভাইয়ের গুরু শায়েখ আব্দুর রহমানে জঙ্গি সংগঠন জেএমবির কাজ বলে স্বীকার করে নিয়েছেন । বাংলাদেশে আইএস আছে আইএস নেই এমন বির্তক চলছে বেশ কিছুদিন ধরে । গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানে ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলাকে হত্যার দায় স্বীকারের মধ্য দিয়ে ই এ বির্তকের শুরু । আমাদের দেশে গত ১৮ মাসে ৬২টি হামলা ও ৭৮ জন খুন হয়েছে । এসব ঘটনার মধ্যে ২৭টিতে আইএস ও ৭টিতে একিউআইএস বা আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা তাদের দায় স্বীকার করে নিজস্ব ইন্টারনেট ফোরামে বিবৃতি দিয়েছে । যদিও আমাদের সরকারের কর্তাব্যক্তিরা শুরু থেকেই দেশে আইএস বা আল-কায়েদা অস্তিত্ব অস্বীকার করে আসছেন এবং এ ধরনের ঘটনাকে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র বলে ই প্রচার করে আসছেন । বিগত কয়েক মাসে আমাদের দেশে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা গুলি আইএস বা আল-কায়েদা যারাই ঘটাউক না কেন তবে এটা যে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এটা বাস্তব ।

একটি স্বাধীন গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যখন গনতন্ত্র যখন দূর্বল হয়ে পরে তখন সেখানে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি অপশক্তি মাথাচারা দিয়ে উঠবে এটাই স্বাভাবিক । গত ৫ জানুয়ারি ২০১৪ জাতীয় নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী যে সহিংসতা হয়েছে তার থেকেই জঙ্গিরা বিশেষ উৎসাহের যোগান পেয়েছে । অবশ্য তার আগে মানবতাবিরোধীদের বিচারের রায়কে কেন্দ্র করে যে নারকীয় তান্ডব হয়েছে সেখান থেকে ও জঙ্গিরা কম উৎসাহ পায় নি । আমাদের সরকার ও প্রশাসনের কর্নধাররা তখন অবশ্য জঙ্গিবাদের এ বিষয় টি গুরুত্ব না দিয়ে ক্ষমতা পাকা পোক্তের ব্যপারেই বিশেষ মনোযোগি ছিলেন আর তাতেই এই অপশক্তি বিশেষ শক্তি যোগার করে ই মাঠে নেমেছে । আজ যাদের নাম বা যে সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের নাম জঙ্গি সম্পৃক্ততায় এসেছে ২০১৩ সালে ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যার পর থেকে প্রতিটি অঘটনের পরেই এদের ই সম্পৃক্তটার কথা আমরা শুনেছে । পূর্বের প্রতিটি অঘটনকে সরকার ও আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনী যদি কথা আর বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ না রেখে যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতো তা হলে আমাদেরকে গুলশান বা শোলাকিয়ার ট্র্যাজেডি দেখতে হতো না । আমাদের সরকার ও আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর এ কথাটা খেয়াল রাখা উচিত ছিল যে ছোট ছোট ভূমিকম্পন ই না কি বড় ধরনের ভূমিকম্পের আভাস দিয়ে যায় ।

সম্প্রতি আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব মাহমুদ আলী এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কোন এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন " আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, ওই ঘটনায় কোনোভাবেই বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তবে এ অপশক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে। এজন্য এক বাক্যে সব বন্ধুপ্রতিম দেশ বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছে " । আমি জানিনা কিসের ভিত্তিতে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় বলেছেন আর্ন্তজাতিক ভাবে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি আমরা জানি বর্তমান পাকিস্হান সহ আন্যান ধর্মীয় উগ্র জঙ্গিদের দ্বারা আক্রান্ত দেশ গুলির বর্তমান অবস্হা । আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে আমরা ফ্রান্স বা আমেরিকার সমকক্ষ নই তাই ফ্রান্স বা আমেরিকার হামলার পরে আর্ন্তজাতিক ভাবে যে প্রতিক্রিয়া হয়েছে আমাদের ক্ষেত্রে কিন্তু তার উল্টা হওয়া ই স্বাভাবিক । গুলশান হামলা আমাদেরকে নানা ভাবে আতংকিত করেছে চিন্তিত ও করেছে বিশ্ববাসীর কাছে হয়েছি মাথা নত । এ ক্ষত পুরো জাতিকেই বহন করতে হবে ।

তবে আমাদের রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্বে আজ যারা নিয়োজিত তারাই পারেন আমাদের এই কলংকের হাত থেকে উদ্ধার করতে । ধর্মীয় উগ্রবাদ তথা জঙ্গিবাদ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ তারা আমাদের যে গোজামিলের মধ্যে রেখেছেন তার থেকে তাদের অবশ্যই বেরিয়ে এসে জঙ্গি দমনে আন্তরিক হয়ে দেশ ও জাতির মান সম্মান ও অস্তিত্ব রক্ষায় যা যা করনীয় তাই করতে হবে । এ জন্য আমাদের সাধারন মানুষের সাহায্য ও সমর্থন সব সময় ই তাদের সাথে থাকবে । কারন এ দেশ আমার এ দেশ আপনার এ দেশ আমাদের সকলের তাই এর অস্তিত্ব রক্ষায় আমরা সর্বদায় ই সজাগ ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

প্রবালরক বলেছেন: 'বন্ধু দেশের' সৈন্য আমদানীর পথে পরিকল্পিতভাবে এগোচ্ছে সবকিছু। আমাদেরকে আরেকটা স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.