![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ রাস্তায় মাসের শ্রেষ্ঠ ট্র্যাফিক জ্যাম ছিল মনে হচ্ছে। বনানী যেতেই লেগে গেলো প্রায় এক ঘণ্টা। মেজাজটাও বেজায় খারাপ হয়ে গেলো। দুপুরের দিকে দেখলাম কিছু সুপ্রভাত গাড়ি বনানী হয়ে দক্ষিণ দিকে যাচ্ছে। বুঝলাম কোন সমাবেশ ছিল। সমাবেশ মানেই সেদিন ঢাকাবাসীর আজাব। রাস্তায় কোন গাড়ি থাকবেনা। একঘণ্টা দাড়িয়ে থেকেও ঝুলে ঝুলে এক ঘণ্টার রাস্তা তিন ঘণ্টায় যেতে হবে। যা হোক এটা ছিল ছোট একটা দুর্ভোগ। আরও কত শত দুর্ভোগ আমাদের সব সময় তাড়া করছে তা আমরা সবায় জানি।
সন্ধ্যা বেলা যানজট সকালের চেয়ে কয়েকগুণ, গাড়ি চলেই না। বেপারটা খুব ভাল লাগলো না। এবার কি তাহলে প্রধান মন্ত্রী বের হয়েছে। না তার অফিস তো বনানী না। পরে শুনলাম এক্সিডেন্ট হয়েছে নৌ বাহিনীর সদর দপ্তরের সামনে। বিষয়টা এবার বুঝলাম। কিন্তু এক্সিডেন্ট কিভাবে?
সমাবেশের লোক বহনকারী গাড়ি থেকে কেউ একজন ছিটকে পড়েছে।
ও এটা তাহলে তো এক্সিডেন্ট না। সরাসরি আত্মহত্যা। এটা যে এক্সিডেন্ট হয়েছে তা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। যে যুবক ওই গাড়ি থেকে ছিটকে পড়েছে সে কি খুব মহৎ কাজের জন্য বের হয়েছিল? সে কি জানতো না সামনেই ঘর অন্ধকার যে কোন সময় সামনে ম্যানহল পড়ে যেতে পারে তারপরেও সে ওই রাস্তায় বেছে নিয়েছে।
তবে তার বিনিময়ে কিছু পেয়েছে। সে পেয়েছে ৫০০ টাকা। পাঁচশত টাকার জন্য সে এই সমাবেশে গেছে। যে যুবক এক্সিডেন্ট করেছে হয় সে বেকার নইতো দিন মুজুর। সে ভাবছিল আজ একটু কষ্টটা কম হবে গাড়ীতে হই হুল্ল করে যাবো। "দুইটা চারটা চিৎকার দিবো বিনিময়ে পাবো ৫০০ টাকা"। সেতো ছিল মূর্খ অথবা দুই এক কলম লিখতে জানা, জানেনা যে আত্মহত্যা করা মহা পাপ।
আমরা অনেক পিএইচডি ডিগ্রি ধারী আছি আমরাও এখন শিখিনাই যে আত্মহত্যা করা মহা পাপ, বা যে স্কুলে পড়েছিলাম সে স্কুলের শিক্ষক তাঁদের পড়ায় নি আত্মহত্যা মহাপাপ।
আমরা অনেক শিক্ষিত অশিক্ষিত পাগল বাংলাদেশের জাতীয় দলগুলোতে, যারা কি না ভাইয়ে ভাইয়ে, বাপছেলেতে, চা ভাতিজাতে দ্বন্দ্ব দাড় করিয়েছে তারাই নাকি আমার খুব কাছের ভাই। তারা আমার আপনজন।
কি এক আজব নিয়মের সামনে দাড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভিত্তি। উপর থেকে তাকালে দেখা যায় যে নিচে কিছু কোন পিলার আছে, কিন্তু নিচের দিকে গিয়ে দেখি কোথায় দাড়িয়ে আছে বাংলাদেশ!
©somewhere in net ltd.