নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রশ্ন কর | প্রশ্ন করা প্রাকটিস কর |

আমি দুরের পাখি

চক চক করলেই সোনা হয় না

আমি দুরের পাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ আসলে কি চান ? একটি যুক্তিবাদী বিচার

২৬ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩১

আল্লাহ আসলে কি চান তার বান্দাদের কাছে , আজকের ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের যুগে এটা একটা ভালো প্রশ্ন বলেই আমি মনে করি | আল্লাহ ঠিক কি চান ? উনি কি বান্দাদের কাছে কাফেরদের রক্ত চান ? না , বান্দাদের নামাজ চান ? না, উনি বান্দাদের রোজা চান ?

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আগে আল্লার সংজ্ঞা নির্ণয় করতে হবে | আল্লা সর্বশক্তিমান , দুই জগতের মালিক , মহান স্রষ্টা ইত্যাদি | এসব তো সর্বজনসিদ্ধ মত | তা এহেন আল্লার কি কিছু চাহিদা আছে ? প্রথমত, চাহিদা কার থাকে ? যার কোনো কিছুর অভাব থাকে তারই চাহিদা থাকে | এটা তো আমরা সবাই জানি | তা প্রশ্ন হলো আল্লাহের কি কিছুর অভাব আছে যা তিনি বান্দাদের কাছ থেকে চাইতে পারেন ? কিসের অভাব ? যদি আমরা ধরে নেই যে আল্লার কিছুর অভাব আছে তাহলে আমাদের আল্লার সংজ্ঞাটাই পাল্টাতে হয় যে আল্লা সর্বশক্তিমান, সব কিছুর মালিক যেটা আমরা আগে স্বীকার করে নিয়েছি | সুতরাং এহেন মালিকের যে কোনো কিছুর অভাব থাকবে না সেটাই স্বাভাবিক |

তাহলে মানুষ যে বলে আল্লাহ এই চায়, ওই চায় | এখানে বুঝতে হবে যে মানুষ আল্লাকে খুশি করার জন্য হত্যার মত নোংরা কাজও করে থাকে , এবং অনেক কিছু দুষ্কর কাজ করে থাকে সেসব শুধুই ফালতু কথা | দ্বীন দুনিয়ার মালিক আল্লার মানুষ কেন কোনো জীবের কাছ থেকেই কিছুর প্রয়োজন নেই | তাঁর স-অ-ব আছে | কারুর কাছ থেকে কিছুরই প্রয়োজন তাঁর নেই | মানুষই আল্লাকে চায় | মানুষ যেহেতু সীমিত ক্ষমতার অধিকারী সেহেতু মানুষের অভাববোধ আছে | আল্লার অভাব মানুষ খুব বেশি বোধ করে তাই আল্লাকে সে পেতে চায় | পেতে গেলে সে আল্লাকে খুশি করার জন্য অনেক দুষ্কর কর্ম করে থাকে | কিন্তু খুশি মানে তো দুঃখের নিবারণ | কিন্তু সর্বশক্তিমান , দিন দুনিয়ার মালিক আল্লার কোনো দুঃখ নেই ও অভাবও নেই | তাই তাঁর খুশিও হওয়ার প্রশ্ন ওঠে না | সুতরাং মানুষের এইসব কর্মকান্ড একরকম ব্যর্থই বলা যেতে পারে |

তাহলে মানুষের কি হবে ? মানুষ কি করতে পারে ? মানুষ শুধু নিজের হৃদয়ের ময়লা পরিষ্কার করে হৃদয়ের আয়নায় আল্লাকে দেখতে পারে | একমাত্র জীবের হৃদয়েই আল্লার ছবি আঁকা আছে | জীব -সে মানুষ পশু জিন যাই হোক না কেন | সে শুধু আল্লাকে দেখতে পারে , নিজেকে আল্লার সাথে একাত্ম করতে পারে | এইটুকু সে তার অভাববোধ থেকে করতে পারে | আর যে মুহুর্তে সে আল্লার সাথে এক হয়ে যায় তখনি তার সমস্ত অভাব দূর হয়ে যায় | এটাই মানুষের সত্য |

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: ভাল বলেছেন।

২| ২৬ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমমম ...

৩| ২৬ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সুন্দর কথা লেখছেন ।

৪| ২৬ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

কানিজ রিনা বলেছেন: সৃষ্টি কর্তা তার সৃষ্টিকে ভালবাসেন,তিনি
সৃষ্টি করতেই ভালবাসেন এবং সুন্দর সৃষ্টির
পিছনে রেখেছেন সুন্দর সিস্টেম বা নিয়ম।
সেই নিয়ম ভঙ্গ হলেই তিনি অখুশি হন।
সৃষ্টি কর্তা কারও কাছে কিছু চাননা,কিন্ত
আমরা তার কাছে চাই, কারন আমাদের
স্বার্থ আছে। তার কোনও স্বার্থ নাই।
আমরা নিয়ম বহিভূত ভাবে চললে
আমাদের ধ্বংশ, শুধু তিনি বিচার করবেন।
ধন্যবাদ

৫| ২৬ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: স্রষ্টা আর আল্লাহ্ কে গুলিয়ে ফেলেছেন।

৬| ২৬ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫

কানিজ রিনা বলেছেন: সমস্ত সৃ্ষ্টির সৃষ্টি কর্তা একই আল্লাহ্।

৭| ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৬

নতুন বলেছেন: আল্লাহ আসলে কি চান তার বান্দাদের কাছে , আজকের ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের যুগে এটা একটা ভালো প্রশ্ন বলেই আমি মনে করি | আল্লাহ ঠিক কি চান ?

আল্লাহ মানুষ সৃস্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য।

আর যারা মানুষ হত্যা করছে তারা কতটুকু আল্লাহের নিদেশ` মানে সেটা দেখার বিষয়।

আর কোন ধম`ই মানুষ হত্যা করতে বলেনাই।

ক্ষমতার লোভে মানুষ ধম`কে ব্যবহার করে তখন হত্যাও ধম`কে তুস্টির জন্য হয়ে যায়।

২৮ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩০

আমি দুরের পাখি বলেছেন: মুশকিল হলো যে আল্লাহ যদি মানুষের কাছ থেকে এবাদত চান তাহলে তাকে মানসিক দিক থেকে অপরিনত বলতে হবে | অনেকটা স্তুতিপ্রিয় বা মেগালোমানিয়াক-এর মত | তাহলে তো আল্লাকে পরম দয়ালু বলা চলে না কারণ দয়া তাহলে তিনি তাদেরই করেন যারা তাঁর স্তুতি করে | আর যারা করে না তাদের তিনি দয়া করেন না | তাহলে তো আল্লার নামই সার্থক হলো না | আল্লার সাথে একটা রাজনৈতিক নেতার কোনো ফারাক রইলো না | না, ভাই এই কথা মেনে নেয়া যায় না |

বরংচ যদি বলা যায় যে আল্লা সৃষ্টি কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে করেননি , নিজের খুশিতে খেয়ালে করেছেন তাহলে অন্তত আল্লার নামগুলো সার্থক হয় |

৮| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৪

মহসিন ৩১ বলেছেন: মানুষ একান্ত ক্ষুদ্রতম অর্থে------- একজন দাস; একজন মুন্সি ইত্যাদি, এবং অতঃপর তার charismatic সামর্থ্যের বিবেচনায় একজন eccentric বাক্তি. ......... দুই মেরুর সহবস্থানে যে সে কি হয় জানিনা। ...হয়তো ভোগবাদী হবে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.