নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রশ্ন কর | প্রশ্ন করা প্রাকটিস কর |

আমি দুরের পাখি

চক চক করলেই সোনা হয় না

আমি দুরের পাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

দর্শন আসলে কি ?

২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৮


দর্শন বা ফিলোসফি নিয়ে এই লেখাটা লেখবার একটা উদ্দেশ্য আছে | সেটা হলো লোককে জানানো যে দর্শন আসলে কি আর তার উপযোগিতা কি ? আধুনিক কালে যেভাবে দর্শন পড়ানো হয় তাতে লোকের কানাকড়িও লাভ হয় না | দর্শন কিন্তু ফালতু বিষয় নয় | মানুষের অশেষ উপকারে সেটা আসে | তাই দর্শন কি সেটা যথাযথ বলাটা উচিত বলেই মনে করি |

প্রথমে আমরা প্রাচীন যুগের দার্শনিকদের মতামত শুনব |

ক] গ্রিক দার্শনিক

১] সক্রেটিস

ইনি বলেছিলেন : "The unexamined life is not worth living." অর্থাৎ অপরীক্ষিত জীবন যাপন করার কোনো মূল্য নেই | তিনি জগতের সমস্ত কিছুকে পরীক্ষা করেছিলেন | সমস্ত কিছুকে অনুসন্ধান করেছিলেন | তার কাছে দর্শন হলো জীবনকে পরীক্ষা করা | এই পরীক্ষা কিভাবে করেন তিনি ? প্রশ্ন আর উত্তরের দ্বারা | অর্থাৎ প্রশ্ন করা আর উত্তর খোঁজার মধ্য দিয়েই জীবনকে পরীক্ষা করা হলো দর্শন সক্রেটিসের মতে |

২] প্লাতো

ইনি সক্রেটিসের শিষ্য | ইনি তাঁর বই রিপাবলিক-এ দর্শন তথা দার্শনিকের বিবরণ দিয়েছেন | ওই বইয়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম খন্ডে দার্শনিক তথা দর্শনের বিবরণ আছে | ওনার মতে দার্শনিক সর্বদা বিষয়ের চিরস্থায়ী প্রকৃত স্বরূপ জানবেন, পরিবর্তনশীল ওপর চাকচিক্য দেখে ভুলবেন না | তিনি সর্বদা সত্যপ্রিয় হবেন | কখনই মিথ্যার আশ্রয় নেবেন না | দার্শনিক সর্বদা জ্ঞান ভালবাসবেন | তিনি জাগতিক বস্তুকে ভালবাসবেন না | [ এই কারণেই গ্রিক দার্শনিকদের আমরা অতি সাধারণ বেশে দেখতে পাই | ] দার্শনিক জীবন ও মৃত্যুকে ভয় পাবেন না | তিনি শিখতে ভালবাসবেন |অসাধারণ স্মৃতিশক্তি রাখবেন, জগতের গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাবেন না ইত্যাদি |

৩] অ্যারিস্টট্ল

এনার মতে দর্শন হলো জ্ঞানসাধনা | দার্শনিক প্রথমে একটা দুর্বোধ্য হেয়ালির সম্মুখীন হবে | তারপর সেই হেয়ালির সমাধান করার চেষ্টা করবে দর্শন শাস্ত্রের মাধ্যমে | ওনার মেটাফিজিক্স বইতে এইরকমই সংজ্ঞা দেয়া আছে দর্শন তথা দার্শনিকের | দার্শনিক শুধু জ্ঞানের জন্য জ্ঞান চাইবে , অর্থের জন্য নয় | আর এই দার্শনিক খোঁজ কিভাবে হবে ? প্রথমে খোঁজার পথে যেসব বস্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেগুলিকে জানতে হবে | তাহলেই হেয়ালির সমাধান হয়ে যাবে | উনি মেটাফিজিক্সের বেটা বইতে এইরকম দার্শনিক হেয়ালির উদাহরণ ও সমাধান দুইই দেখিয়েছেন |

উনি দর্শনের কতগুলো সুত্র ওনার গামা বইতে দিয়েছেন | ল অফ আইডেন্টিটি , ল অফ নন কনট্রাডিক্সন আর ল অফ এক্সক্লুডেড মিডল | প্রথমটি বলে একই বস্তুর ব্যাপারে অনেক ভাবে অনেক কথা বলা যায় | যেমন স্বাস্থ্য | কিভাবে সুস্থ থাকবেন, কেন সুস্থ থাকবেন ইত্যাদি ওই একই স্বাস্থ্যের ব্যাপারে বলা হয়েছে | দ্বিতীয়টি বলছে স্ববিরোধ থাকবে না | তৃতীয়টি বলছে হ্যা আর না-এর মাঝামাঝি কিছু থাকবে না | এইটি ফাজি লজিকের বিরুদ্ধে যায় |

খ] রোমান দার্শনিকগণ

এপিক্টেটাস ও স্টয়িক দার্শনিকরা

এনার মতে দার্শনিকদের কাজ হলো যা কিছু অনুভব করা যায় সেই সব কিছুকে পরীক্ষা করা | এই পরীক্ষার উপযুক্ত মানদন্ড নির্মান করা | এনার মতে বিরোধ বা contradiction হলো ভুল তথা মিথ্যা | সত্য হলো অবিরোধ | আরিস্ততলের দর্শনের সাথে মিল পাওয়া যায় |
দার্শনিকরা দেখবে কোনটি আমার আয়ত্তে আছে আর কোনটি নেই | এই কথার গভীর তাত্পর্য আছে | একমাত্র এইভাবেই মানুষ বাঁচতে পারে | বলাবাহুল্য যে এইসব করতে গেলে প্রশ্ন-উত্তরের খেলা ছাড়া আর কোনো ভাবে সম্ভব নয় |

গ] ভারতীয় দার্শনিকগণ

ন্যায় দর্শন

ন্যায় দর্শনে ১৬ টা পদার্থের বিচারের মাধ্যমে শ্রেয়ঃ লাভের কথা আছে | এই পদার্থগুলি হলো : প্রমান, প্রমেয়, সংশয়, প্রয়োজন, দৃষ্টান্ত, সিদ্ধান্ত, অবয়ব, তর্ক, নির্ণয়, বাদ, জল্প, বিতণ্ডা, হেত্বাভাস, ছল, জাতি, নিগ্রহস্থান | এইগুলি সবই বিচারে সাহায্য করে | কি বিচারে ? না জাগতিক পদার্থের বিচারে |

ঘ] চীনা দার্শনিকগণ

এঁদের মধ্যে কনফুসিয়াস-এর নাম উল্লেখযোগ্য | ইনি বলেছিলেন সমস্ত বিষয়ে প্রশ্ন করা উচিত |

তাহলে উপরের আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে দর্শন একটা এমন জিনিস যা মানুষকে বিচার করতে শেখায় | তা সে ভারতীয় ন্যায় দর্শনই হোক বা গ্রিক দর্শন হোক | দর্শনের বিষয় অনন্ত | পদ্ধতি একটাই | পৃথিবী জুড়ে এইরকম দর্শনই প্রাচীন যুগে প্রচলিত ছিল | দর্শন মানুষকে জগতের পদার্থগুলিকে পরীক্ষা করে হিতাহিত নির্ণয় করতে শেখায় | আর এইখানেই বিপদ |

যদি একটা লোক আজ রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজ-এর ব্যাপারে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করে আসল সত্যি জানতে চায় তাহলে শাসক শ্রেণী শোষণ করবে কি করে ? সমাজই বা অত্যাচার করবে কি করে ? অতএব দর্শনকে বাঁচতে দেয়া চলবে না | তাকে এখনি মারতে হবে | মধ্যযুগে পৃথিবী জুড়ে তাই দর্শনের মারণযজ্ঞ চলতে লাগলো |

মধ্যযুগ : দর্শনের মৃত্যুঘন্টা বেজে উঠলো

ক] ইউরোপ

খ্রীষ্টধর্ম নামে এক ধর্মের আবির্ভাব ঘটল | এই ধর্মের অধীনে দর্শনকে আনা হলো | শেষ স্বাধীন দার্শনিক ছিলেন হাইপেশিয়া | ইনি আলেকজান্দ্রিয়ার বাসিন্দা ছিলেন | এনাকে খ্রিস্টান বীরপুঙ্গবেরা নৃসংশ ভাবে হত্যা করে | মধ্যযুগে দর্শনকে ধর্মের পুল্টিশ চোখে লাগিয়ে বিচার করতে হত | প্রাচীন যুগের মত খোলামেলা বিচার ছিল না | আর কোনো ধারনাকে মাথায় গুঁজে সত্যকে খুঁজতে গেলে কখনই পাওয়া যায় না | মধ্যযুগীয় দর্শনও পেল না | দর্শনের প্রতিটা অনুসন্ধানকে বাইবেলের সাথে খাপ খাওয়াতে হত | অন্যথায় জুটত নির্মম অত্যাচার | এরই বলি হয়েছিল গ্যালিলিও, ব্রুনো, পারাসেলসাস ইত্যাদি বিজ্ঞানীরা | কোপার্নিকাস ভয়ের চোটে তার বই ছাপতে পারেন নি | দেকার্তে তার বই সব পুড়িয়ে দেবার কথা চিন্তা করেছিলেন | দার্শনিকরা হয়ে গেল চিড়িয়াখানার আজব জন্তু | মূর্খদের রমরমা হতে লাগলো |

খ] মধ্যপ্রাচ্য

ইসলামের আবির্ভাব হলো | তার হাতে দর্শন নিগৃহিত হতে লাগলো | ইসলাম সর্বপ্রকার দর্শন চর্চা নিষিদ্ধ করে | তবু আব্বাসীয় খলিফাদের আমলে কিছুটা বিজ্ঞান চর্চা হয় | পরবর্তীরা সবই বন্ধ করে | এই সময়েই আরব দার্শনিকদের এক অংশ মুতাজিলি নাম নিয়ে দর্শনের চোখ দিয়ে ঈশ্বরকে খুঁজতে থাকে | আবার সেই ধর্মের পুল্টিশ চোখে লাগিয়ে দার্শনিক বিচার | ইউরোপের সাথে কি অদ্ভুত মিল, না ?

গ] ভারত

বৌদ্ধ ধর্মের আগমনের ফলে ন্যায় দর্শনের চর্চা ব্যাহত হয় | ধীরে ধীরে ন্যায় দর্শন শুধু তর্ক আর কচকচির মধ্যে আটকে পড়ে | কার্যক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না | মুসলিম আমলে ভারতে সম্পূর্ণভাবে দর্শন চর্চা বিনষ্ট হয় | মুঘল আমলে হিন্দু দার্শনিকদের অত্যন্ত দুর্দশার মুখে পড়তে হয় |

লোকাচারের অধীনে দর্শন চলে যায় | এখানেও দার্শনিকরা চিড়িয়াখানার আজব জন্তুতে পরিনত হয় |

ঘ] চীন

বর্বর ইউআন বংশের শাসন কালে চিনের সুকুমার বৃত্তি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয় | এরপর কিছু রাজা আসেন যারা শুধু আইনের শাসনকেই বড় করে দেখেন | এঁদের আমলে কনফুসিয়াসের যুক্তিবাদী দর্শন একেবারে নষ্ট হয় |

আধুনিক যুগ : দর্শনের কফিনে শেষ পেরেক

তখনও কিছুটা দর্শন অবশিষ্ট ছিল | মানুষ ভালো মন্দ বিচার করতে পারত | কিন্তু আধুনিক যুগের সূচনার পর থেকে দর্শনের সেই অবশিষ্ট ক্ষমতাটুকুও চিরতরে বিনষ্ট হলো | এই আধুনিক যুগে দর্শন শুধুমাত্র কতগুলো মতামত পথের মধ্যেই সীমাবদ্ধ | আমি আজ ৫ বছর ধরে দর্শন পড়ে আসছি | আমি প্রতিটা বইতে দেখি শুধু ভাববাদ আর বস্তুবাদের দ্বন্দ লেখা আছে | স্কুলপাঠ্য বইতে কোন দার্শনিক কি বলেছিল এইটাই শুধু পড়ানো হয় | দর্শনের ছাত্রদের বস্তুবিচার শিখানো হয় না | কোনো বস্তুর সত্য মিথ্যা কিভাবে বুঝবে তা শিখানো হয় না | শুধু কোন দার্শনিক কি বলেছিল | এর ফলে এখন দর্শনের ছাত্ররা তুলনাপুর্বক বিচার করতে শিখছে না | তারা শুধু মুখস্ত করছে আর বমি করছে | এটাই দর্শনের কফিনে শেষ পেরেক |

সক্রেটিসের মত কোনো দার্শনিক আজ আর প্রশ্ন করে না | প্রশ্ন করাটা তো আজ বারণ | যে করে , সে মরে | মুক্তমনারা প্রশ্ন করতে গিয়ে মরেছে | দেশে দেশে , এই আধুনিক যুগে | শুদ্ধু মেনে নাও | মুখ বুজে, ভারবাহী গাধার মত মেনে নাও | মুখ খুলেছ কি মরেছ | হাতে এবং ভাতে | এই তো এখনকার দস্তুর |

আজ কয়টা দর্শনের ক্লাসে প্রশ্ন করা শেখায় ? অথচ প্রশ্ন হলো দর্শনের প্রাণ | প্রশ্ন না উঠলে দার্শনিক বিচার কখনই সম্ভব নয় | কিন্তু কয়টা স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে প্রশ্ন করা শেখানো হয় ? একটাও না | টিচারকে প্রশ্ন করার মানে হলো বিদ্রোহ করা | যাই হোক |

দর্শনের এই মরাঘটা অবস্থা থেকে দর্শনকে উদ্ধার আমাদের দর্শনপ্রেমিদেরকেই করতে হবে | কাজ খুবই কঠিন | তবুও করতে হবে আমাদের স্বার্থে | আজ বিচার না করলে আমাদের বাঁচার উপায় নেই | অজ্ঞানতার অন্ধকার বাঁচার চেয়ে জ্ঞানের আলোয় মরাও ভালো |

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:





দর্শন সম্পর্কে সক্রেট, মক্রেট কি বলেছে সেগুলো বইতে আছে, আপনি দর্শন সম্পর্কে কি বলতে চান, সেটা বলেন

২| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: জীবনের যৌক্তিকতা নিরুপণের জন্য মানুষ ঘুরে ফিরে দর্শনের দিকেই মনোনিবেশ করতে বাধ্য। প্রতিটি মানব সন্তানই অন্তত তিনবার দর্শন সংক্রান্ত বিষয়াদির উত্তর খুঁজতে বাধ্য!!

প্রশ্ন করলেই কোন মতবাদ শেষ হয়ে যায় না। যৌক্তিকভাবে বিশ্লেষণ করে প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে চুপ/মেনে নেওয়ার মতো মানসিকতা আমাদের নেই। দৃষ্টিভংগির পরিবর্তনে শিক্ষাব্যবস্থাও কাজ করছে না। অন্তঃসারশুন্য একটি শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের!! :| |-)

৩| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: সব নষ্টের মূলে ধর্ম।

৪| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: @চাঁদগাজী,
আপনি এখানে ব্যক্তি আক্রমণে চলে গেলেন কি-না চিন্তা করে দেখুন। সক্রেটিস প্লেটো'র কাছ থেকেই মানুষ আজো দর্শন/প্রাকৃতিক সাধারণ বিষয়ে জানতে শিখছে। আর আপনি কিনা তাকেই উপহাস করলেন??

দিস ইজ নট ফেয়া..... :-<

৫| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



@গেম চেঞ্জার ,

কোন ব্যক্তিটা আক্রান্ত হয়েছেন?

৬| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



@গেম চেঞ্জার ,
শিরোনাম দেখেন, "দর্শন আসলে কি ? "; দর্শনকে ব্যাখ্যা করতে চাচ্ছেন উনি; আমি উনার বক্তব্য শুনতে চাচ্ছি; আপনি এটম বোমা কোথায় দেখলেন?

৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:২৪

আমি দুরের পাখি বলেছেন: দর্শন জিনিষটা লেখকের আবিষ্কার নয় | বহু প্রাচীনকালে এইটা মানবজাতির কল্যানের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছিল | সেইজন্য প্রাচীন দার্শনিকদের মতামত উল্লেখ করলাম |

আমার মতামতটাও দিয়েছি | আমি বলেছি যে আমি সক্রেট মক্রেট দের সাথে একমত | লেখাটা ভালো করে পড়লে দেখতে পেতেন সক্রেটরা দর্শনকে যেমন জীবনের পরীক্ষা বলে বুঝেছিলেন প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে, আমিও তাই বলেছি যে দর্শনের প্রাণ হলো প্রশ্ন | এবং দর্শন মানুষকে ভালো মন্দ বিচার করতে শেখায়, আসল নকল বিচার করতে শেখায় | এটাই আমার মত | লেখক দুইভাবে নিজের মত প্রকাশ করতে পারেন : কোনো বিষয়ে কারো সাথে একমত হয়ে অথবা ভিন্নমত হয়ে | দ্বিতীয় ক্ষেত্রে লেখককে নিজের মতটা দিতে হয় |

আসলে আমি দেখাতে চেয়েছি দর্শনের বিবর্তনটা কেমন হলো আর আমি কোন দার্শনিকদের সাথে একমত সেটা বলেছি |

৭| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:০১

মহসিন ৩১ বলেছেন: মানুষের সাথে যোগাযোগ এবং ঈশ্বরের সাথে যোগাযোগ দুটো বিষয় সামন্তরিক হলেও ......... কিন্তু মানুষের ভারবাহী আচরণের অতীত অসামঞ্জস্যতা কারণে কিংবা পূর্ণতার পথে হাটার জন্য মানুষ মস্তিষ্কে এবং মনে দুইভাগই হয়ে যায় ......

৮| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি দুরের পাখি ,



সুন্দর লিখেছেন ।

মানুষের মন আর তার চরিত্র/ব্যবহার , তার চেতন-অচেতন অভিজ্ঞতা আর চিন্তার ধারাকে পর্য্যবেক্ষন, নিরীক্ষন, পরীক্ষন করে ব্যক্তিমানুষ বা সমাজকে বুঝে ওঠার বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়াই মনে হয় দর্শন ।

শুভেচ্ছান্তে ।

৯| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: //চাঁদগাজী বলেছেন:

দর্শন সম্পর্কে সক্রেট, মক্রেট কি বলেছে সেগুলো বইতে আছে, আপনি দর্শন সম্পর্কে কি বলতে চান, সেটা বলেন//


@চাঁদগাজী
মক্রেট শব্দের ব্যবহার করলেন কেন? সক্রেট কি আর মক্রেট কি জিনিস?? বলতে পারবেন?

এইরকম রুঢ় শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে লেখকে আক্রমণ করা। এইভাবে রুঢ় শব্দের ব্যবহার আপনার বিরক্তি ও প্রতিক্রিয়াশীল মনোভাবের প্রকাশ করেছে। এই কাজ করার পর আপনি আবার উনাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেছেন দর্শন নিয়ে উনার মত কী!

অথচ আপনি এটা ভদ্রভাবেও জিজ্ঞেস করে নিতএ পারতেন। সেটাও কি শিখিয়ে দিতে হবে? ভদ্র ব্যবহার কী সেটা আপনাকে শেখানো দরকার নয় নিশ্চয়?

"সক্রেটিস/প্লেটো/অ্যারিস্টটলের মত জানলাম। এখন আপনার কাছ থেকে জানতে চাই, দর্শন কী?"(এইভাবে বলতে পারতেন। )

১০| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সক্রেট মক্রেট রে নিয়া ব্যাক্তি আক্রমন: এইটা নতুন।

চাঁদগাজী, ইউ আর কুল। হাসতেই আছি ম্যান!



@লেখক মনে হয় মনে করেন যে বাংলাদেশে দর্শন ধর্ষনের স্বীকার। যদি পাশ্চাত্য স্টাইলে পড়ানো হইতো তাইলে দর্শন নিয়া অনেক কিছু করন যাইতো, ঠিক না?

৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩০

আমি দুরের পাখি বলেছেন: না লেখকের মনে হয় না যে বাংলাদেশে দর্শন ধর্ষণের শিকার | কারণ লেখক বাংলাদেশের সমকালীন ঘটনাপ্রবাহ থেকে এটা নিশ্চিত জানেন যে বাংলাদেশে দর্শন ধর্ষণের শিকার |

দর্শনের প্রাচ্য পাশ্চাত্য কোনো স্টাইল নেই | একটাই স্টাইল আছে | সেটা হলো প্রশ্ন করা | বাংলাদেশে যা করলেই চাপাতির কোপ খেতে হয় | পুলিশ অফিসারের বৌও বাদ যায় না |

১১| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৭

দরবেশমুসাফির বলেছেন: ইসলামের আবির্ভাব হলো | তার হাতে দর্শন নিগৃহিত হতে লাগলো | ইসলাম সর্বপ্রকার দর্শন চর্চা নিষিদ্ধ করে | তবু আব্বাসীয় খলিফাদের আমলে কিছুটা বিজ্ঞান চর্চা হয় | পরবর্তীরা সবই বন্ধ করে | এই সময়েই আরব দার্শনিকদের এক অংশ মুতাজিলি নাম নিয়ে দর্শনের চোখ দিয়ে ঈশ্বরকে খুঁজতে থাকে | আবার সেই ধর্মের পুল্টিশ চোখে লাগিয়ে দার্শনিক বিচার | ইউরোপের সাথে কি অদ্ভুত মিল, না ?

আবারও মধ্যযুগীয় খ্রীস্টান ধর্মের ক্ষতিকর প্রভাব ইসলামেরও উপর চাপানোর পাশ্চাত্য চেস্টা। ইসলাম সর্বপ্রকার দর্শন চর্চা নিষিদ্ধ করে?? কবে ?? কিভাবে?? আল কিন্দির নাম শুনেছেন কি?? তার ফার্স্ট ফিলোসফি বইটি পড়ে দেখেছেন?? তিনি দর্শন ব্যবহার করে ইসলামে স্রস্টার ধারনা প্রমানের চেস্টা করেছেন। তারপর জাবির ইবনে হাইয়ান আরও অনেক দার্শনিকের অবদান কি ইসলাম ধর্ম দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত হয়নি??

আব্বাসীয় খলিফাদের কথা এমনভাবে বললেন যেন তাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। তবে জেনে রাখুন আব্বাসীয় খলিফারা ছিলেন সুন্নী মুসলিমদের ইমাম বা পার্থিব ও আধ্যাতিক নেতা। জ্ঞান বিজ্ঞান তাদের অবদান কি ইসলামেরই অবদান নয়??

বলেছেন ইউরোপের সাথে কি অদ্ভুত মিল। ইউরোপীয় ঐতিহাসিকরা তো তাই দেখাতে চায়। কথা হচ্ছে তাদের তৈরী বড়ি গিলেই দর্শন আর ইতিহাস শেখা কি সম্মানজনক না শোভনীয়??

৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯

আমি দুরের পাখি বলেছেন: আল কিন্দির নাম শুনেছি | আল রাজি, ইবন সিনা এদের সবার নাম শুনেছি | কিন্তু আপনি বোধহয় একটা জিনিস শুনেননি যে, এইসব লোকেরা সব্বাই মুতাজিলি দর্শনে বিশ্বাসী ছিল | আর এদের জীবদ্দশায় ইসলামিক রাজ্যে এরা ভয়ঙ্কর নির্যাতন ভোগ করে | কেউ পালিয়ে যায় , কেউ মারা পড়ে |

এমাম গাজ্জালির নাম শুনেছেন তো নিশ্চয় | উনি হুজ্জাতুল ইসলাম অর্থাৎ ইসলামের প্রমান | ওনার অনেক বই পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল কারণ সেখানে উনি যুক্তি দিয়ে আল্লাকে খুঁজেছিলেন | এইটা শুনেছেন কিনা জানি না |

ইসলাম সর্বপ্রকার দর্শন চর্চা নিষিদ্ধ করে?? কবে ?? কিভাবে?? তাও শুনেননি ? শরিয়া আইনে নিষিদ্ধ জ্ঞান বা ফরবিডেন নলেজ বলে একটা অধ্যায় আছে যেখানে নিষিদ্ধ জ্ঞানের একটা তালিকা দেয়া হয়েছে | তার মধ্যে দর্শন আছে | এছাড়া ইসলামে সন্দেহ করা বারণ | বিশ্বাস সেখানে শেষ কথা | আর সন্দেহ থেকে দর্শনের শুরু | সুতরাং ইসলাম যে দর্শন নিষিদ্ধ করেছে সেটা নিশ্চয় এখন বুঝেছেন |

১২| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:২০

মমতাজ-কলি বলেছেন: দর্শন সম্পর্কে নিজের মতামত না দিয়ে অতীতে কে কি বলেছে তা নিয়ে টানাটানি!
নিজের ব্যখ্যা বলুন।

৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৪২

আমি দুরের পাখি বলেছেন: লেখক দুইভাবে নিজের মত প্রকাশ করতে পারেন : কোনো বিষয়ে কারো সাথে একমত হয়ে অথবা ভিন্নমত হয়ে | দ্বিতীয় ক্ষেত্রে লেখককে নিজের মতটা দিতে হয় | সক্রেটিসরা দর্শনকে যেমন জীবনের পরীক্ষা বলে বুঝেছিলেন প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে, আমিও তাই বলেছি যে দর্শনের প্রাণ হলো প্রশ্ন | এবং দর্শন মানুষকে ভালো মন্দ বিচার করতে শেখায়, আসল নকল বিচার করতে শেখায় | এটাই আমার মত |



১৩| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:০১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: দর্শন হলো যে কোন প্রকার পর্যবেক্ষণ । নিজের সম্পর্কে , পৃথিবী সম্পর্কে জানার অদম্য আগ্রহ থেকে দর্শনের জন্ম হয় । একেবারে যথাযথ বলেছেন - প্রশ্ন করাটা খুব জরুরী , তাহলেই আসবে ফিলসফিক্যাল রিলিভ ।

উপড়ে দেখলাম তর্ক বিতর্ক হচ্ছে । চাঁদগাজী বললেন ," আপনি দর্শন সম্পর্কে কি বলতে চান , সেটা বলেন... "

@ চাঁদগাজী , আমার মনে হয় লেখক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে কিছুটা ইলাবরেশন করেছেন , এখান থেকেই লেখকের চিন্তাধারা সম্পর্কে আইডিয়া পাওয়া যায় । লেখাটা ভালো হয়েছে ।

লেখায় যদি শুধুই ইনফরমেশন থাকে , সেটা ইন্টারমেডিয়েট লেভেলের লেখা হয় । আর যদি বিশ্লেষণ , পর্যালোচনা থাকে তাহলে এডভান্স লেভেলে উপনীত হয় এবং যদি নিজস্ব মতামত থাকে তাহলে এডভান্স লেভেলের থ্রেশল্ড ক্রস করে এক্সট্রিম্লি হাইয়ার লেভেলে পৌঁছে যায় । সেই বিচারে লেখাটি আমার কাছে মোটামুটি এডভান্স মনে হচ্ছে ।

অনেক ধন্যবাদ লেখককে সুন্দর একটি লেখা উপহার দেবার জন্য । :)






১৪| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:০৭

বিপ্লব06 বলেছেন: আপনি আগের দার্শনিকগণের কথা বলার চেষ্টা করছেন। সবার বক্তব্যকে সামারাইজ করেন নাই। আম পাবলিক দর্শন পইড়া কি করবে এইটাই ব্যাখ্যা করেন নাই।

দর্শন ভালা পাই। চিন্তা করতে করতে মাথা আউলাইতে ভালো লাগে। আমি পারসোনালি মনে করি দর্শন মানে কোনকিছুকে ফেসভ্যালুতে না নেওয়া, সবকিছুকে প্রশ্ন করতে পারার ক্যাপাবিলিটাই বড় মনে হয়। যদিও অঙ্কের মত দর্শনে সব প্রশ্নের কংক্রিট উত্তর নাই, কিন্তু সিচুয়েশন এনালাইসিস করতে দর্শন বেশ হেল্পফুল। দর্শন আমাদেরকে ভাল-মন্দ বিচার করতে শেখায়।

আমাদের মত আম-পাব্লিকরা রিয়াল লাইফে ক্যামনে দর্শনকে কাজে লাগাবে এই ব্যাপারটা ভালো কইরা ব্যাখ্যা করতে পারেন।

পোস্ট ভালো লাগছে।

৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫১

আমি দুরের পাখি বলেছেন: দর্শন জীবনে ভালো মন্দ আসল নকল বিচার করতে শিখায় | দর্শন বলে প্রতিটি জিনিসের দুটি সত্তা আছে | একটা দেখা যায় আরেকটা দেখা যায় না | প্রথমটাকে বলে দৃশ্যমান সত্তা আর দ্বিতীয় টাকে বলে প্রকৃত সত্তা | যা দেখা যায় তাই কি সত্যি না এর আড়ালেও কিছু সত্যি আছে , এটাই দর্শনের বিচার্য বিষয় | দর্শন বলে চক চক করলেই সোনা হয় না | সোনার চমকানিটা দৃশ্যমান সত্তা | আর সোনার গুনমানটা হলো প্রকৃত সত্তা যা সোনার মূল্য নির্ধারণ করে | কেউ কেউ চমকানি দেখেই সোনা মনে করে এবং ঠকে যায় | কিন্তু দার্শনিকরা সোনার গুনমান যাচাই করে | তা দিয়ে সোনা না অন্যবস্তু তাই নির্ধারণ করে | তাই তারা ঠকে না |

জীবনেও অনেক লোককে দেখে মনে হয় যে তারা ভদ্রলোক কিন্তু তাদের আসল চরিত্র পশুর চেয়েও নোংরা | এখানে বেশভূষা হলো দৃশ্যমান সত্তা আর চরিত্রটা হলো প্রকৃত সত্তা | দর্শন এই দৃশ্যমান সত্তার আড়ালে প্রকৃত সত্তাটাকে খুঁজে বার করে আর তার বিচার করে | এটাই দর্শনের কাজ |

এইভাবে চললে কখনই ঠকতে হবে না |

১৫| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:১৪

প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: ঠিক করে নিতে পারেনঃ প্লাতো হবে না, প্লেটো হবে। রেনে দেকার্ত ছিলেন অাধুনিক কালের দার্শনিক। তিনি গির্জার প্রভাব থেকে মুক্ত করেছিলেন দর্শনকে এ কারনে রেনে দেকার্তকে অাধুনিক দর্শনের জনক বলা হয়।

১৬| ৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:০৬

মহসিন ৩১ বলেছেন: আমরা যখন কোন কাজ করি তখন কি ঘটে ......... ( বিতর্কিত bitter বাদে ); তখন প্রত্যেকের মনে কাজের মানসিকতা ১০০% থাকে বলে ধরা যায় ( কিন্তু কেন )......কোন স্থান ,কাল এবং পাত্র ভেদে । এটা মানব মনের deliberate and spontaneous act.

কিন্তু প্রশ্ন এবং উত্তর এর জন্য মানসিকতা ১০০% deliberate হয় না । যেখানেই স্বচ্ছতার অভাব( কিসের কি ) ; সেখানে seek and sought টাইপের meanings, মনের মদ্ধে তখন বিশুদ্ধ ভাবের টানাপড়েনে ------ মেনে নেয়া, না নেয়া; পরিবর্তন,অথবা; নূতন, পুরাতন; ইত্যাদি ইত্যাদি (অসামঞ্জস্যতায়) spontaneously manifestation হতে থাকে।

আসল কথা হল ; একজন দার্শনিকের মনবিজ্ঞান কিরূপ হওয়া উচিৎ, হক কোথায় সে সম্বন্ধে মুক্ত কণ্ঠ ঘোষণা থাকলে স্বচ্ছতাও থাকবে।

৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

আমি দুরের পাখি বলেছেন: @ আসল কথা হল ; একজন দার্শনিকের মনবিজ্ঞান কিরূপ হওয়া উচিৎ, হক কোথায় সে সম্বন্ধে মুক্ত কণ্ঠ ঘোষণা থাকলে স্বচ্ছতাও থাকবে।

একদম ঠিক কথা | এটা নিয়ে আরেকটা লেখা দেব |

১৭| ৩০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

দরবেশমুসাফির বলেছেন: আল কিন্দির নাম শুনেছি | আল রাজি, ইবন সিনা এদের সবার নাম শুনেছি | কিন্তু আপনি বোধহয় একটা জিনিস শুনেননি যে, এইসব লোকেরা সব্বাই মুতাজিলি দর্শনে বিশ্বাসী ছিল | আর এদের জীবদ্দশায় ইসলামিক রাজ্যে এরা ভয়ঙ্কর নির্যাতন ভোগ করে

ভুল তথ্য। আল কিন্দি ও আল রাজি ২ জনেই সরাসরি খলিফাদের তথা সরকারের সমর্থন ও সম্মান পেয়েই কাজ করেছেন। ইবন সিনা তাঁর জীবনের একটি সময়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখী হলেও তিনিও একসময় সরকারের সমর্থন ও সম্মান পেয়েছেন। আল কিন্দি খলিফা মামুনের প্রতিস্ঠিত বায়তুল হিকমা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। আল রাজি ছিলেন রাজ চিকিৎসক। এরা ভয়ঙ্কর নির্যাতন কখন ভোগ করলেন??

এমাম গাজ্জালির নাম শুনেছেন তো নিশ্চয় | উনি হুজ্জাতুল ইসলাম অর্থাৎ ইসলামের প্রমান | ওনার অনেক বই পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল কারণ সেখানে উনি যুক্তি দিয়ে আল্লাকে খুঁজেছিলেন | এইটা শুনেছেন কিনা জানি না

এইটা শুনব না। ইমাম গাজ্জালী আমার ফেভারিট ফিলোসফারদের একজন। তিনিও বুয়াইয়া আমির তথা খলিফার প্রতিনিধিদের প্রধানমন্ত্রী নিজামুল মূলক প্রতিস্ঠিত নিজামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও পরে নিশাপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। তিনিও ছিলেন খলিফাদের তথা সরকারের সমর্থন ও সম্মানপ্রাপ্ত। তাঁর বই পুড়িয়েছিল ধর্মান্ধ মোল্লারা। এই ধর্মান্ধ মোল্লাদের তখন ইসলামী জগতে খুব বেশি প্রভাব ছিল না।

এখন বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং নাস্তিক হওয়ায় যদি কিছু ব্রিটিশ পাদ্রী রাস্তায় তাঁর বই পোড়ায় তবে কি বলবেন স্টিফেন হকিংও ব্রিটেনে ভয়ঙ্কর নির্যাতন ভোগ করেছেন??

ভাইরে ইসলামের ইতিহাসের উপর এত পুওর নলেজ নিয়ে ইসলামকে নিয়ে এত কথা বলাটা কি ভাল দেখায়?? দার্শনিকরা যা জানেন না সে ব্যাপারে বলে দেন আমি জানি না। যারা না জেনেও জানার ভান করে বা না জেনেই কিছু মেনে নেয় তারা দর্শনের জন্মলগ্ন থেকেই দর্শনের শত্রু।

আশা করি দর্শন নিয়ে কথা বলতে এসে নিজেকেই দর্শনের শত্রু প্রমান করবেন না।

১৮| ৩০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

র‍্যাশ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। শেষ কথাটা গুরুত্বপূর্ণ। অজ্ঞানতার অন্ধকার বাঁচার চেয়ে জ্ঞানের আলোয় মরাও ভালো |
প্রতিটি বস্তু, প্রতিটি ঘটনা, প্রতিটা সম্ভাব্যতাকে তার অন্তনিহিত সত্তাকে দিয়ে বিচার করাই দর্শন।

১৯| ৩০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

জেন রসি বলেছেন: এই পোস্টে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে বিতর্ক চলছে । বিতর্কটা উপভোগ্য।

২০| ৩০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২২

মহসিন ৩১ বলেছেন: ভাই আপনার কথাগুলি জাজ্বল্যমান সত্য ! ( burning question ) । কিন্তু প্রশ্ন ও উত্তর প্রক্রিয়া হল একধরনের সাময়িকী ! কারণ মাত্রাজ্ঞানের বিচার যে করতেই হচ্ছে। ( বৃহৎ বা ক্ষুদ্র কনেক্তা মাত্রার সংজ্ঞায় ) । ফলত কোন বাক্তিই যেন তার বর্তমান অবস্থার দায়কে অস্বীকার করে পার পাচ্ছে না।

সত্যকে খুঁজতে গেলে theory of everything এর ব্যাখ্যার মদ্ধেই খুঁজতে হয়; তা না হলে তো সবকিছুই তখন প্রক্রিয়াধীন কিছু অসার বাক্যমালায় পর্যবসিত হবে। দর্শন কিছুমাত্র হবে না।

কোন বাক্তির অসংলগ্ন মনলগের মদ্ধে প্রচুর স্ববিরোধীতা যদি থাকে তাহলে ওইসকল বাক্তির বাক্তি স্বাধীনতার মধ্যেই সেসবের উত্তর খোঁজা বাঞ্ছনীয়; কেননা তাদের autobiography র মধ্যে যে কোনই দর্শন নাই।

২১| ৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৩

মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন বলেছেন: আপনি যদি ভাবেন,জীবন সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি না, তাহলে আপনি দর্শন কে মুক্ত করে ভাবতে পারেন। যেই মুক্ত চিন্তা সৃষ্টিকর্তাকেও/ধর্মকেও আক্রমন করে। আর যদি মানুষ কে শ্রষ্টার সৃষ্টি হিসাবে মানেন, তাহলে মানতে হবে, প্রথমে ধর্ম অতঃপর দর্শন। ধর্ম সৃষ্টিকর্তার দান। আর মানুষের অন্তর-বাহির, মঙ্গল-অমঙ্গল সম্পর্কে সৃষ্টিকর্তার থেকে ভালো কেও জানে না। সুতরাং সেই অবস্থায় দর্শন কে ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত করাটা মোটেও খারাপ কিছু নয় বরং জীবন কে সুন্দর করার চূড়ান্ত প্রচেষ্টা।

২২| ৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৮

কল্লোল পথিক বলেছেন:







সুন্দর পোস্ট।
লেখকের সাথে সহমত।

২৩| ৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৯

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: দর্শন কখনো বিলুপ্ত হবে না । কেউ না কেউ ঠিকই এই সঠিক চর্চা করবেই । :)

২৪| ৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৪

সরওয়ার ফারুকী বলেছেন: দর্শনে এতো অল্প পুঁজি নিয়ে মন্তব্য করা দুঃসাহসী-ই বটে। ইসলাম দর্শনের ময়দানে 'চিন্তার প্লাবন' এনে দিয়েছে। মানবজাতির চিন্তাজগতে মৌলিক পরিবর্তন এনেছে, সেখানে আপনার উদ্ভট মন্তব্য 'ইসলাম দর্শন চর্চা নিষিদ্ধ করে'!
নিঃসন্দেহে সকল যুগে সকল জাতীতে চিন্তার দ্বন্দ্ব ছিল, আছে, থাকবে এবং দ্বন্ধের মধ্য দিয়েই সত্যের উত্তরণ ঘটবে। এ দ্বন্ধ কখনো কথায়, কখনো লিখায়, কখনো বাহুবলে।
আপনার এ আলোচনা 'জ্ঞান' থেকে নয় 'ধারণা' থেকেই প্রসবিত।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১০

আমি দুরের পাখি বলেছেন: মহাশয় ইসলামে প্রশ্ন করলেই চাপাতি-তলোয়ার-গুলি-বোমা ইত্যাদি খেতে হয় এটা তো মানবেন | তাহলে ইসলাম কিভাবে দর্শন চর্চার প্লাবন আনলো যেখানে দর্শনের মূল কথাই হলো প্রশ্ন করা ?

২৫| ৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

ইউনুন খান বলেছেন: ভালো হয়েছে।

২৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

হুজ্জাত বলেছেন: ইসলাম সম্পর্কে আমার মনে হয় আপনার আরো বেশি জানা উচিত। তিন পৃষ্ঠা দর্শন পরেই এ অবস্থা, না জানি পরবর্তিতে কি বলতে শুরু করেন। ব্লগে এসে একটা জিনিস অন্তত বুজতে পারলাম ধর্ম নিয়ে একটা খোচা না দিলে অনেকের লেখাই সম্পুর্ন হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.