![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমানে জঙ্গি হামলার এক নতুন মডেল এসেছে একক জঙ্গি হামলা | এটাতে কোনো জঙ্গি গোষ্ঠির সাহায্য ছাড়াই একজন সোলো মুসলিম গিয়ে হানা দিচ্ছে | অনেক লোক মারছে | অরলান্ডোর ওমর মতিনই হোক কি ফ্রান্সের নিসের ট্রাক চালক কি বাংলাদেশের হলি আর্টিজান বেকারী কেস সর্বত্র এই মডেল দেখা যাচ্ছে |
এই মডেলে জঙ্গি হামলার কিছু সুবিধা অসুবিধা আছে | এই পোস্টে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টা আলোচনা করব |
১] সুবিধা
ক] জঙ্গির দিক থেকে
জঙ্গিকে কারো নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না | নিজের খুশিমত কাজ সে করতে পারে | প্লান লিক হয়ে যাবার ভয় কম থাকে | জঙ্গি পছন্দমত টার্গেট বেছে নিতে পারে, অস্ত্র বেছে নিতে পারে | পরিচিত জায়গায় হামলা চালাতে পারে , তার ফলে হামলা করা আর পালিয়ে যাওয়া খুবই সোজা হয়ে যায় | যেহেতু এই ধরনের জঙ্গির নাম জঙ্গি হিসেবে পুলিশের লিস্টে নেই , সেহেতু পুলিশকে প্রথমে খুবই অসুবিধায় পড়তে হয় |
খ] পুলিশের দিক থেকে
যদি ঘটনাস্থলে পুলিশ সময়মত পৌছুতে পারে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি সে ওই জঙ্গিকে মারতে পারবে কারণ জঙ্গির সংখ্যা কম | এই ধরনের জঙ্গিরা বিশেষ ট্রেনিংপ্রাপ্ত নয় তাই এরা বেশিক্ষণ পুলিশের সাথে এঁটে উঠতে পারবে না |
২] অসুবিধা
ক] জঙ্গির দিক থেকে
বিশেষ ট্রেনিংপ্রাপ্ত নয় বলে এরা বেশি সময় যুদ্ধ করতে পারে না | পুলিশ সময়মত পৌছুলে এরা খুব খুব তাড়াতাড়ি মরে | এরা পণবন্দী করার মত বড় কাজ করতে পারে না | এদের অস্ত্রশস্ত্র উন্নতমানের হয় না , কারণ টাকা পয়সার যোগান বেশি নেই |
খ] পুলিশের দিক থেকে
যেহেতু এই ধরনের জঙ্গির নাম জঙ্গি হিসেবে পুলিশের লিস্টে নেই , সেহেতু পুলিশকে প্রথমে খুবই অসুবিধায় পড়তে হয় | যদি একবার এরা পালাতে পারে তাহলে এদের ধরা পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম | এদের প্ল্যান আগাম জানা কঠিন কাজ | মুসলিমদের সংখ্যা বিশ্বে অনেক বেশি তাই , প্রতিটি মুসলমানের পিছনে লোক লাগানোর মত ম্যান পাওয়ার পুলিশের নেই |
অপরের আলোচনা থেকে এটা বোঝা গেল যে এই ধরনের জঙ্গিদের মারার একমাত্র উপায় হলো পুলিশের চটজলদি ঘটনাস্থলে পৌছে যাওয়া আর মুসলিমদের উপর যতটা পরিমানে সম্ভব নজরদারি |
এই পোস্টে আপাতত এইটুকুই লিখতে পারলাম | ভবিষ্যতে নতুন সুবিধা অসুবিধা যা আসবে তা নিয়ে আলোচনা করা যাবে |
©somewhere in net ltd.