![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জঙ্গিবাদ আজকের দুনিয়ায় একটা জ্বলন্ত সমস্যা | এর পিছনে মনস্তাত্ত্বিক কারণ আছে | আজকের এই লেখায় আমি জঙ্গিদের মানসিকতা কি ও তার কারণ কি সেটাই আলোচনা করব |
জঙ্গিরা মনে করে তারা যেসব খুন খারাবি করছে সেগুলো খুবই ভালো কাজ | এইভাবে তারা আল্লার সেবা করছে | এটাতে তারা মোটিভেশন পায় আরো জিহাদ করার | এইভাবে জিহাদ করতে করতে একদিন তারা মারা যায় | অন্যে যতই কাজটাকে খারাপ বলে , জঙ্গিদের মনোবল ও জেদ তত বাড়ে | তারা মনে করে যে জিহাদে মরলে স্বর্গ তাদের হাতের মুঠোয় | এই ধারণাগুলিকে তারা সত্যি বলে বিশ্বাস করে | মোটামুটিভাবে এই হলো জিহাদিদের মনস্তত্ব |
এবার আসি কেন এবং কিভাবে এই মনস্তত্বের সৃষ্টি হয় | আমরা মনোবিজ্ঞানের আলোকে বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করব | জঙ্গিদের এই যে বিশ্বাস যে তারা যা করছে তা ঠিক কাজ : এটা একটা ডিলিউশন বা ভুল ধারণা | এই ভুল ধারণা জঙ্গিদের মনে ঘাঁটি গেড়ে বসে কারণ হলো গ্রুপ ইফেক্ট | মনোবিজ্ঞানের ভাষায় শিশু বয়স থেকে কোনো গোষ্ঠীতে থাকার ফলে শিশুরা একটা কোড অফ কন্ডাক্ট গ্রহণ করে | মুসলিম শিশুরা তাদের ধর্মীয় গোষ্ঠীতে থাকার ফলে এই ভাবে ভাবতে শেখে যে কাফেররা খুবই বাজে , তাদের হত্যা করলে আল্লা খুশি হয় ইত্যাদি | একে সোশ্যাল ফ্যাক্টর বা সামাজিক প্রভাব বলে | প্রায় প্রতিটি মুসলিম শিশুই এই গ্রুপ ইফেক্ট-এর শিকার | এর সাথে যুক্ত হয় পরিবেশের প্রভাব | একজন ব্যক্তি তার আশেপাশে যা হচ্ছে সেটাতেই অংশগ্রহন করে | পরিবেশ ওই ব্যক্তির ওপর ক্রিয়া করে যাকে স্টিমুলাস বলে | আর ওই ব্যক্তি যে প্রতিক্রিয়া দেয় তাকে রেসপন্স বলে | একজন মুসলিমের পরিবেশ সবসময়েই অমুসলিমের প্রতি ঘৃনায় ভরা | অমুসলিমদের বিরুদ্ধে লাগাতার বিষোদ্গার আর একটিভিটি হয়ে চলে যাতে ওই মুসলিম অংশগ্রহন করতে বাধ্য হয় | এইভাবে ধীরে ধীরে তাদের মগজধোলাই হতে থাকে | লাগাতার এইরকম একটা প্রক্রিয়া চলারই ফল হলো ভুল ধারণা বা ডিলিউশন যার কথা একটু আগে বলেছি |
তাহলে দেখা যাচ্ছে পুরো ব্যাপারটাই মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা | তাহলে এর সমাধানও মনোবিজ্ঞানের পথেই হবে | সবার আগে মুসলিমদের পরিবেশ বদলাতে হবে | তাদেরকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে রেখে পাল্টা মগজধোলাই করতে হবে | এর জন্য তাদের সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে | যাতে করে মুসলিম গ্রুপ ইফেক্ট তাদের জিহাদী না বানিয়ে ফেলে | এর বদলে ওই রিহাব সেন্টারে তাদের সেকুলার গ্রুপ ইফেক্ট দেবার ব্যবস্থা করতে হবে | তাদের পরিবেশ যেন অমুসলিমদের প্রতি ভালবাসায় ভরা থাকে সেটা দেখতে হবে | এই কাজ শিশু বয়স থেকেই করতে হবে | এই কাজে দরকার পড়লে তাদের মা বাবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে হবে | তবেই আমরা এই জিহাদের একটা সমাধান পেতে পারি | শুধু বোমাবাজি করে এই জিহাদ থামবে না |
২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬
আমি দুরের পাখি বলেছেন: প্রথমে তো আপনি বাংলা ভাষাটা ভালো করে লিখতে শিখুন | এত অজস্র আপনার বানান ভুল করেন যে আপনাকে বাঙালি বলে ভাবতে কষ্ট হয় | বুদ্ধিশুদ্ধির কথা ছেড়েই দিলাম |
২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪
আমি দুরের পাখি বলেছেন: সমুর কাছে বিশেষভাবে আবেদন জনাব যে এই পোস্টটাকে রেখে দেয়া হোক আর এর ওপর গভীরভাবে ভাবনাচিন্তা করা হোক | মুসলিম জাতির গায়ে যে কলঙ্ক লেগেছে তা থেকে মুক্ত হবার এটাই একটা সুযোগ | আজকে দুনিয়ায় মুসলমানদের গভীর অসুখ আর এই অসুখ মানসিক | এর কারণ ও চিকিত্সার যে নিদান এতে দেয়া হয়েছে সেটা ভালোভাবে পর্যালোচনা করা হোক | একটা অশিক্ষিত ব্লগার যে বাংলা বানানে অজস্র ভুল করে , তার কোথায় এই পোস্ট দয়া করে উইথড্র করে নেবেন না |
৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮
বাংলার জামিনদার বলেছেন: সমাজ সবসময় কাফের, ইহুদি, নাসারার নামে নামাজের মোনাজাতে অভিশাপ দেওয়া অনুমোদন করে আসছে। জন্ম থেকেই ব্রেইন ওয়াশড্ ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২৭
আ ন ম খাদেম বলেছেন: সামুর কাছে বিষেশ ভাবে অনুরোধ জানাবো এই ইসলাম বিদ্দেশী ঘৃনিত পোস্টটিকে উইড্র করে নেয়া হয়!
একজন মুসলমান হিসেবে আমি এর তিব্রনিন্দা জানাই।