![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা বেশিরভাগই ছাত্রজীবনে নোটস বানাই | কর্মজীবনেও কেউ কেউ বানাই | কিন্তু কেউ কি কখনো ভেবে দেখেছে যে নোটস কিভাবে বানাতে হয় ? অর্থাৎ কোন জিনিষটা নোট করার যোগ্য ? এই প্রশ্নের উত্তর দেবার আগে আসুন দেখি আমরা নোটস কেমন করে বানাই ?
ছাত্রজীবনে নোটস মানে হলো একটা টেক্সট বই আর পাঁচটা রেফারেন্স বই মিশিয়ে তৈরী খিচুড়ি | স্বদে উপাদেয় , পরীক্ষায় পাশ যোগ্য | কখনো নোটস মানে স্যার বই দেখে হুবহু বলে যাচ্ছেন আর আমরা লিখে যাচ্ছি, যেমনটা আমি আমার আইনশিক্ষার সময়ও দেখেছি | কখনো এটার মানে হলো প্রশ্নোত্তরের ভঙ্গিতে বইয়ের বিষয় লেখা | বাজারে ঠিক এইজাতীয় নোটস কিনতে পাওয়া যায় | কিন্তু এগুলির কোনটাই নোটস নয় | তাহলে নোটস কি ?
মারিয়াম ওয়েবষ্টার অভিধানে আছে যে "কোনো জিনিস যা আশ্চর্য, অদ্ভুত, দৃষ্টি আকর্ষণকারী , তা নোট করার যোগ্য |" এই সংজ্ঞা মেনে নিলে উপরের যাবতীয় প্রচলিত নোটস গুলিকে বাতিল করতে হয় | কারণ ঐগুলির মধ্যে কোনো অদ্ভুত বা আশ্চর্য ব্যাপার নেই | নেহাত পাতি কপি | এইভাবে শিক্ষাব্যবস্থায় ধস নামিয়ে যুবশক্তির মাথা চিবিয়ে খাওয়া হচ্ছে | আসুন দেখা যাক অভিধানের সংজ্ঞা অনুযায়ী নোটস বানাতে গেলে কি করা উচিত ?
আগে জানতে হবে কোনো বিষয়ে অদ্ভুত কি আছে ? তারপর সেটা নোট হবে | যেহেতু আমি আইনজীবী সেহেতু আইনের ব্যাপারেই বলি | মহিলাদের সুরক্ষা আইন মহিলা ঘেঁষা বা একপেশে | এখন আইন কখনো একপেশে হয় না এটা সাধারণ নিয়ম | এর ব্যতিক্রম হলো ভারতের মহিলা সুরক্ষা আইনগুলি | তাই এটা আশ্চর্য এবং নোট করার যোগ্য | এই উদাহরণ থেকে বুঝা গেল আশ্চর্য তথা ব্যতিক্রমকে জানতে গেলে আগে স্বাভাবিক কি তা জানতে হবে | স্বাভাবিককে যত ভালোভাবে জানতে পারব অস্বাভাবিককে ততই তাড়াতাড়ি চিনতে পারব | তবেই আমরা ভালো নোটস তৈরী করতে পারব | এর মানে নোটস তৈরির আগে বিষয়টা সম্বন্ধে একটা সাধারণ জ্ঞান থাকবে | তবেই তো অসাধারণকে খুঁজে পাওয়া যাবে |
এই ব্যতিক্রম থেকেই ফিলোসফি তথা দর্শনশাস্ত্রের শুরু | অর্থাৎ রিসার্চ-এর শুরু | তাহলে ভালো অনুসন্ধান বা রিসার্চ করতে গেলে আগে ভালো নোটস বানানো শিখতে হবে | নোটস বানানো এক কলা বিদ্যা | অনুশীলন ছাড়া এটা করা সম্ভব নয় | পরীক্ষায় পাশ করতে গেলে বই পড়লেই হলো | অন্তত আমি তো ঐভাবেই পাশ করেছি | তার জন্য নোটস লাগে না | এইভাবে নোটস এর নাম মজার ছত্রিশ ভাজা পরিবেশিত হচ্ছে তাই তো ভালো রিসার্চ স্টুডেন্ট তৈরী হচ্ছে না এই বঙ্গে | সব্বাই রিসার্চ টাকেও টুকে মেরে দিচ্ছে |
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৩
আখেনাটেন বলেছেন: আসলে নোট করে পড়া এই ধারণাটাই সেকেলে। এতে জাস্ট মুখস্ত করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। আমাদের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে এটা একটা বিষফোঁড়া। অথচ পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনলেই এই নোট করার খিচুড়ি অবস্থা থেকে ছাত্ররা বের হতে পারত।
নিজের একটা উদাহরণ: দেশের বাইরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ক্রেডিটের একটি বিষয়ে বিস্তর পড়াশুনা করার পর টিচার পরীক্ষার দিন কিছু পাজল ও কঠিন কঠিন কয়েকটা এমসিকিউ প্রশ্ন হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল, যাও সমাধান কর। ওপেন বুক এক্সাম। সময় তিন ঘণ্টা। অনেক ঘাটাঘাটি করে সর্বোচ্চ মার্ক উঠেছিল ২৩/৫০। ২৩-তেই এ প্লাস। যে সর্বোচ্চ পাবে তাকেই এ প্লাস বিবেচনা করা হবে এটাই ইউনির নিয়ম।
'মানে হচ্ছে লেকচার ভাল করে শোনো। এরপর টপিক ভাল করে পড়। তা নিয়ে চিন্তা কর। কোনো বিষয় নিয়ে খটকা বাঁধলে তা নিয়ে টিচারের সাথে অালোচনা কর। তবে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কোনো কিছু মুখস্ত করতে যেয়ো না। এই ছিল তাদের দর্শন।'
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৫
আমি দুরের পাখি বলেছেন: এইটাই হওয়া উচিত |
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৫
ছদ্দবেশি লৌকিক বলেছেন: ধন্যবাদ,,, আমি এখনো ছাএ, উপকৃত হলাম।