![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকে এইসময় কাগজে একটা খবর পড়লাম | জামাতে মুজাহিদিন নাকি নারী ব্রিগেড তৈরী করেছে | তার নাম রক্তগোলাপ | তারা নাকি ভারতে হানা দেবার জন্য তৈরী | খাগরাগরে তাদের দুজনকে পাওয়া গিয়েছিল | রাজেরা আর আলেমা বিবি | অশিক্ষিত ঘরের মেয়ে | কিন্তু এই রক্তগোলাপ বাহিনীর সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া যায় তা একেবারে চোখে লাগার মত |
বাংলাদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত ও উচ্চশিক্ষিত ১২ জন মহিলা জঙ্গির তত্বাবধানে এই বাহিনী গড়ে উঠেছে | এদের মধ্যে ঢাকা আর রাজশাহির বিভিন্ন কলেজের কয়েকজন সম্ভ্রান্ত ঘরের ছাত্রীও রয়েছে | বাংলাদেশের দুটি নামী কর্পোরেট সংস্থার মহিলা কর্মীরাও আছে | গুলশান কান্ডে মৃত তামিম আহমেদ চৌধুরীর সর্বক্ষণের সঙ্গী পলাতক মেজর জিয়ার তদারকিতে এই বাহিনী চলছে | এই নারী বাহিনীর কয়েকজন জঙ্গি কিশোরগঞ্জ থেকে ধরা পড়েছিল | তাদের মধ্যে একজন ছিল ঐশী, যে মেডিকেল কলেজের ছাত্রী | সে আবার ঢাকার এক শীর্ষস্থানীয় পুলিশকর্তার আত্মীয়া |
তাহলে কি দাঁড়ালো ? সেনাবাহিনীর মেজর থেকে পুলিশকর্তার আত্মীয়া, কলেজ ছাত্রী থেকে কর্পোরেট কর্মী,অশিক্ষিত থেকে উচ্চশিক্ষিত সমস্ত রকম মানুষই আজ জামাতি হয়ে গেছে | বাংলাদেশের সমাজের আর কোন অংশটা জামাতি হতে বাকি রয়েছে ? একে যদি বাংলাদেশের জামাতায়ন বলি তাহলে কি খুব ভুল বলা হবে ?
আগেই লক্ষ্য করেছি যে কিছু ব্লগার বাংলাদেশে যে জঙ্গি আছে এটা মানতে চান না | তাদের দোষ দেই না | কারণ সুপ্রতিষ্ঠিত উচ্চশিক্ষিত মানুষেরাই তো আজকে জঙ্গি | যে জঙ্গি সে কর্পোরেট বস , কলেজ ছাত্রী, পুলিশের আত্মীয়া আরো কত কি | এইসব হোমরাচোমরা পরিচয়ের পিছনেই তো জঙ্গি পরিচয়টা চাপা পরে গেছে | সামুর ব্লগাররা বোধহয় সেটা বুঝতে পারেননি | না পারারই কথা | আমিও বুঝিনি প্রথমে | এখন বুঝছি |
এত সবের পরেও যারা বাংলাদেশকে জঙ্গিমুক্ত করতে চান , আমি বলব তারা মুর্খের খোয়াব দেখছেন | যে সমাজের নীচ থেকে উপর পর্যন্ত পচা , তার কি উদ্ধার সম্ভব ? আমার তো মনে হয় না | শুভো বুদ্ধি সম্পন্ন বাংলাদেশীদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াই শ্রেয় |
©somewhere in net ltd.