নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রশ্ন কর | প্রশ্ন করা প্রাকটিস কর |

আমি দুরের পাখি

চক চক করলেই সোনা হয় না

আমি দুরের পাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকিস্তানের কাছ থেকে কেমন প্রত্যাঘাত আশা করতে পারে ভারত ?

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭

সার্জিক্যাল স্ট্রাইক-এর পর থেকেই মোদিজি ভয়ে ভয়ে আছেন | তাঁর সাথে ভয়ে ভয়ে আছে গোটা ভারত | পাছে পাকিস্তান কিছু বলে | কিন্তু প্রত্যাঘাতটা কিভাবে কোন দিক দিয়ে আসতে পারে সেটা হয়ত ভারত বুঝতে পারছে না | পাঞ্জাব সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করেছে | গতকাল বারামুলাতে বিএসএফের উপর হানা দেয়া হয়েছে | এতে মনে হচ্ছে ভারত মনে করছে পাকিস্তান বর্ডার এলাকাতেই হানা দেবে | কিন্তু সারা ভারত জুড়ে যেসব স্লিপার সেল ছড়িয়ে আছে তাদের উপর কি নজর রেখেছে ভারত ? আঘাতটা কি তাদের কাছ থেকেও আসতে পারে না ?

দ্বিতীয়ত বাংলাদেশ বর্ডার সম্বন্ধে সম্পূর্ণভাবে উদাসীন দিল্লি | এদিক দিয়েও কি হানা হতে পারে না ? রোজ কলকাতায় নতুন নতুন অস্ত্র কারখানার হদিস পাওয়া যাচ্ছে | কোথাও বোম ফাটছে | এগুলি কি এই বিষয়ের প্রমান নয় যে বাংলাদেশের দিক থেকে আঘাত আসতে পারে ? হাসিনা আশ্বাস দিয়েছে বটে কিন্তু তিনি তো নিজের দেশেই গুলশান জঙ্গি হানা ঠেকাতে পারছেন না | তার কথার কি মূল্য ? সুতরাং আমার মনে হয় বাংলাদেশ বর্ডারে সৈন্য সমাবেশ করাটা খুবই দরকার | তারও আগে একটা প্রপার বর্ডার দেয়াটা দরকার | কি রকম বর্ডার ভারত বাংলাদেশের মধ্যে ? একটা বাড়ির রান্নাঘর বাংলাদেশে আর বৈঠকখানা ভারতে ? একটা গাছের গোড়া ভারতে আগা বাংলাদেশে | এইরকম অদ্ভুত বর্ডার বন্ধ করে ভালো একটা বর্ডার দেয়া হোক | আর অনুপ্রবেশ বন্ধ করা হোক |

তৃতীয়ত বারামুলাতে যে জঙ্গি হানা হয়েছে সেটা একটা স্ট্রাটেজি হতে পারে | পাকিস্তান ভারতকে বিশ্বাস করার কারণ দিচ্ছে যে হামলা বর্ডার এরিয়াতেই হবে | যাতে করে বাকি ভারতে নজরদারি ঢিলে হয় | এই সুযোগে হামলা ওই সব জায়গাতে হবে |

গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোকে যেমন গার্ড দিতে হবে তেমনি ঘনবসতি এলাকাগুলিকেও ছেড়ে গেলে হবে না | হামলাতে বেশি মানুষ মরলে আখেরে পাকিস্তানেরই লাভ | কলকাতার মত ঘনবসতি পূর্ণ ঘিঞ্জি এলাকা আর কোথায় আছে | এইখানে কলকাতা পুলিশকে সাহায্য করার জন্য সেন্ট্রাল ফোর্স পাঠানো দরকার |

নির্জন বা খোলামেলা জায়গাও বাদ দিলে হবে না | ওই জায়গাগুলিতে জঙ্গিরা কারখানা বানাতে পারে | কারখানাগুলি সময়মত গুঁড়িয়ে দিতে পারলে ওদের আটকানো যেতে পারে | এছাড়া স্লিপার সেলের ওপরেও নজর রাখতে হবে | শিক্ষিত অশিক্ষিত যেকোনো লোক স্লিপার সেলের মেম্বার হতে পারে | উচ্চ শিক্ষিত লোকও হতে পারে |

সব মিলিয়ে একটা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে | জয় হিন্দ |

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০৪

সেলিম৮৩ বলেছেন: যুদ্ধ হলে পাকিস্তানই অার্ন্তজাতিকভাবে বেশি চাপে থাকবে।
কিন্তু এই সুযোগে ভারতের অভ্যন্তরিন হানাহানির বা হামলার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
প্রত্যেকটা জংঙ্গী গোষ্ঠী তাদের কর্মপরিকল্পনার এবং হানা দেয়ার একটা সুবর্ন সুযোগ পেয়ে যাবে এবং এটা ভারতের জন্য একটা ভয়ংকর বিপর্যয়ের সৃষ্টি করতে পারে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:০৭

আমি দুরের পাখি বলেছেন: জঙ্গি গোষ্ঠী বলতে আপনি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বলছেন কি ? ওই যারা মাওবাদী বা অন্য রাজ্যের জন্য সংগ্রাম করছে ? তা একটা সম্ভাবনা আছে বৈকি | তবে কার্গিল যুদ্ধের সময়েও তো এইরকম হতে পারত কিন্তু হয়নি তো |

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

অরিন্দম চক্রবত্রী বলেছেন: Bangladeshi der nacha nachi kiser?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.