নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রশ্ন কর | প্রশ্ন করা প্রাকটিস কর |

আমি দুরের পাখি

চক চক করলেই সোনা হয় না

আমি দুরের পাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকিস্তান আর পরমানু হামলা

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১২

ইদানিং পাকিস্তানের পরমানু হামলা নিয়ে খুব কথা উঠছে | পাকিস্তান কি সত্যিই পরমানু হামলা করতে পারে ? দুই দেশেরই পরমানু বোমা আছে আর সেই বোমা বহনকারী মিসাইল আছে | তাহলে ?

পাকিস্তান পরমানু মিসাইল ছোড়ার ভুল কখনই করবে না কারণ সে জানে যদি সে ভারতে পরমানু হামলা করে তাহলে ভারত তাকে গুঁড়িয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে | বিপদটা ওই দিক থেকে আসবে না | আসবে অন্য দিক থেকে |

পরমানু হামলা সর্বদা মিসাইল দিয়েই করতে হবে এমনতো কথা নেই | উপায় আরও আছে | সুটকেস নিউক একটি এমনই প্রুযুক্তি | এই প্রযুক্তিতে পরমানু বোমাকে ছোট ছোট আকারে বানানো যায় যা আরামসে সুটকেস, ব্যাকপ্যাক বা ট্রলি ব্যাগ এইসবে ভরে নেয়া যায় | মোট কথা পকেট পরমানু বোমা হলো সুটকেস নিউক প্রযুক্তি | এইসব বোমার ওজন ১০.৫ কেজি | সাইজ ১০.১ সেন্টিমিটার | এদের ওয়ার হেড হিসেবে থাকে একটা পাতলা টিউব | এই টিউব-এর সাথে দুটো ইউরানিয়াম-এর পাত থাকে যা যখন পরস্পর ঘষা লাগে, তখন বিস্ফোরণ হয় | সবচেয়ে ছোট আকারের বোমাটা হলো একটা প্লুটোনিয়ামের খন্ড বা পি ইউ ২৩৩ | এই একটা খন্ডই ১০ থেকে ২০ টনের বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে | বিস্ফোরণ ঘটাতে একটা ফায়ারিং ইউনিটের দরকার যা সুটকেসের মধ্যে থাকবে | এইসব বোমাকে ধরার উপযুক্ত প্রযুক্তি ভারতের নেই | তৈরী করার ক্ষমতাও নেই |

সুটকেস নিউক বানানো হয়েছিল ঠান্ডা যুদ্ধের আমলে | আমেরিকা আর সোভিয়েত রাশিয়া বানিয়েছিল | কিন্তু ওই প্রযুক্তি এখনও পাওয়া যায় | পাকিস্তান নিজে ওটা না বানাতে পারলেও চিনের কাছ থেকে চেয়ে নিতে পারে | পাকিস্তানের পুরো পরমানু কর্মসূচিই চিনের অবদান |

ভারতকে এখুনি এই প্রযুক্তি রাশিয়ার কাছ থেকে চেয়ে নেয়া দরকার |

সুটকেস নিউকের বিস্ফোরক ক্ষমতা কতটা ? এদের বিস্ফোরণ করার ব্যাসার্ধ হলো ৩০০ ফুট | কোথাও ফাটলে এটা ১ বর্গ কিলোমিটারের মত জায়গা সাফ করতে পারে | হাওড়ায় ফাটলে মধ্য কলকাতা অব্দি সাফ হয়ে যেতে পারে | এছাড়া অন্যান্য ক্ষমতাগুলি হলো :

১] তেজস্ক্রিয়া বা রেডিয়েশন

বিস্ফোরণের জায়গার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা যেকোনো লোকের সারা শরীরে রেডিয়েশন ছড়াতে পারে | গামা রশ্মি অনেক দূর অব্দি যায় | চামড়াকে ইফেক্ট করে |

২] তেজস্ক্রিয়তা বাতাসে ছড়িয়ে পড়লে সেই বাতাস মানুষের নাকের মধ্য দিয়ে শরীরের মধ্যে চলে যায় | ভিতরের অর্গানগুলিকে আঘাত করে |

৩] তেজস্ক্রিয়তা ৩০০ ঘন্টা ১২ দিন অব্দি স্থায়ী হয় | ধীরে ধীরে কমতে থাকে | বিস্ফোরণের প্রথম ১ ঘন্টায় তেজস্ক্রিয়তা থাকে ৯০%| ১ % করে কমতে থাকে দুদিন পরে | সুতরাং এটা একটা দীর্ঘমেয়াদী প্রতিক্রিয়া |

তো যাই হোক সুটকেস নিউক থেকে বাঁচার উপায় কি ?

Treatment

If detection and decontamination occurs soon after exposure, about 95 percent of external radioactive material can be removed by taking off the victim’s clothing and shoes and washing with water. Further decontamination may require the use of bleaches or other mild abrasives.

Treatment of a victim within the first six weeks to two months after exposure is vital and is determined by what types of radioactive isotopes to which the victim was exposed.

Medical personnel will treat victims for hemorrhage and shock. Open wounds are usually irrigated to cleanse them of any radioactive traces. Amputation of limbs may occur if a wound is highly contaminated and functional recovery isn’t likely.

If radioactive material is ingested, treatment is given to reduce absorption and enhance excretion and elimination. It includes stomach pumping or giving the victim laxatives or aluminum antacids, among other things.

If radioactive material has gotten into a victim’s internal organs and tissues, treatment includes giving the patient various blocking and diluting agents, such as potassium iodide, to decrease absorption. Mobilizing agents such as ammonium chloride, diuretics, expectorants and inhalants are given to a patient to force the tissues to release the harmful isotopes. Other treatments involve chelating agents. When ingested, these agents bind with some metals more strongly than others to form a stable complex that, when soluble, are more easily excreted through the kidneys.

সুটকেস নিউক

তো ভারত কি এইসব ব্যবস্থা নিতে পারবে ? সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার এমন একটা সম্ভাবনা যে হতে পারে তা মহামান্য অজিত দোভালের মাথায় কেন এলো না তাই তো বুঝলাম না | উনি বোধহয় এখনো ১৯৬৫ সালে মেতে আছেন | ওই সময় চীন আর পাকিস্তান বন্ধু ছিল না | পাকিস্তান দুর্বল ছিল | তাই আরামসে জয় করা গেছিল | কার্গিল যুদ্ধের সময়েও একই কথা বলা যায় | কিন্তু আজকে সেই কথা বলা যায় না | চীন-পাকিস্তানের দোস্তি অনেক দূর এগিয়েছে | তাতে আজ আর পাকিস্তান একা নয় | চীন সবরকম ভাবে তাকে সাহায্য করছে |

সুতরাং ভারতকে বুঝেসুঝে এগুনো দরকার |

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সুতরাং ভারতকে বুঝেসুঝে এগুনো দরকার ।
। আপনি কি চান ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাধুক?!

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১১

আমি দুরের পাখি বলেছেন: আজ্ঞে না | আমি ভারতকে সম্ভাব্য বিপদ থেকে সতর্ক করতে চাই |

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: চাই না কোনরুপ যুদ্ধ বাধুক,,, ভারত কে কখনোই সমর্থন করিনা তারপরও,,
যাই হোক ভাই ধন্যবাদ.,,,, লেখা ভালো হইছে।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.