নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় কাটানোর জিনিস নয়, খাটানোর জিনিস।

ইউসুফ জাহিদ

ইউসুফ জাহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পানাহারের আদবসমূহ

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২০



১. খাবার আগে হাত ধুয়ে নিবে। খাবারে ব্যবহৃত হাত পরিষ্কার থাকলে অন্তরেও শান্তি অনুভব হয়।

২. ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ বলে খাওয়া শুরু করবে, ভুল হয়ে গেলে স্মরণ হওয়া মাত্রই ‘বিসমিল্লাহি আউয়ালাহু ওয়া আখিরাহু’ বলবে। স্মরণ রাখবে, যে খাদ্যে আল্লাহর নাম নেওয়া হয় না ঐ খাদ্য শয়তান নিজের জন্যে বৈধ করে নেয়।

৩. খাবার সময় হেলান দিয়ে বসবে না। বিনয়ের সাথে পায়ের তালু মাটিতে রেখে হাঁটু উঠিয়ে বসবে অথবা দুই হাঁটু বিছিয়ে (সালাতের ন্যায়) বসবে অথবা এক হাঁটু বিছিয়ে অপর হাঁটু উঠিয়ে বসবে কেননা আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এভাবে বসতেন।

৪. ডান হাতে খাবে তবে আবশ্যক বোধে বাম হাতের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।

৫. তিন আঙ্গুলে খাবে, তবে আবশ্যক বোধে কনিষ্ঠাঙ্গুলী ছাড়া চার আঙ্গুলে খাওয় যাবে। আঙ্গুলের পর্যন্ত খাদ্য বস্তু লাগাবে না। (অর্থাৎ সারা হাতকে বিশ্রী করবে না। রুটি বা শুকনো খাদ্য খেতে তিন বা চার আঙ্গুলই যথেষ্ট তবে ভাত খেতে পাঁচ আঙ্গুলের প্রয়োজন হয়।

৬. লোকমা একেবারে বড়ও নেবেনা আবার একেবারে ছোটও নেবেনা। এক লোকমা গলাঃকরণ করার পর অন্য লোকমা নেবে।

৭. রুটি দ্বারা কখনও হাত পরিষ্কার করবে না। এটা অত্যন্ত ঘৃণিত অভ্যাস।

৮. রুটি ঝেড়ে বা আছড়িয়ে নেয়া ঠিক নয়।

৯. প্লেট থেকে নিজের দিক থেকে খাবে, প্লেটের মাঝখানে থেকে বা অপরের দিক থেকেও খাবেনা।

১০.খাদ্য বস্তু পড়ে যেলে তা উঠিয়ে পরিষ্কার করে অথবা ধুয়ে খাবে।

১১. সবাই একত্রে বসে খাবে, এভাবে খেলে পারস্পরিক স্নেহ-ভালবাসা বৃদ্ধি পায় এবং খাদ্যে বরকতও হয়।

১২. খাদ্যে কখনও দোষ বের করবে না, পছন্দ না হলে খাবেনা।

১৩. মুখ পুড়ে যায় এমন গরম খাদ্য খাবে না।

১৪. খাবার সময় আট্টহাসি হাসা এবং অতিরিক্ত কথা বলা থেকে যতদূর সম্ভব বিরত থাকবে।

১৫. বিনা প্রয়োজনে খাদ্য বস্তুকে শুঁকবে না। খাবার সময় বার বার এমনভাবে মুখ খুলবে না যেন চিবানো খাদ্য অপরের দৃষ্টি গোচর হয় এবং বার বার মুখে হাত দিয়ে দাঁত থেকে কিছু বের করবে না, করাণ এতে লোকদের ঘৃণার উদ্রেক হয়।

১৬. খাবার বসে খাবে এবং পানিও বসে পান করবে। প্রয়োজনবোধে ফলাদি দাঁড়িয়ে খাওয়া যাবে এবং পানিও পান করা যাবে।

১৭. প্লেটে উচ্ছিষ্ট অবশিষ্ট খাদ্য তরল জাতীয় হলে পান করে নেবে আর ঘন জাতীয় হলে মুছে থালা পরিষ্কার করবে।

১৮. খাবার জিনিসে ফুঁ দেবেনা, কারণ পেটের অভ্যন্তর থেকে আসা শ্বাস দুর্গন্ধযুক্ত ও দূষিত হয়।

১৯. পানি তিন নিঃশ্বাসে থেমে থেমে পান করবে, এতে তৃপ্তিও হয়, তাছাড়া পানি এক সাথে পেটে ঢেলে দিলে অনেক সময় কষ্টও অনুভব হয়।

২০. একত্রে খেতে বসলে দেরীতে ও ধীরে ধীরে খাওয়ার লোকদের প্রতি খেয়াল রাখবে এবং সকলের সাথে একসাথে খাবার থেকে অবসর হবে।

২১. আঙ্গুল চেটে খাবে তারপর হাত ধুয়ে নিবে।

২২. ফল-ফলাদি খাবার সময় একসাথে দুইটা বা দু ফালি মুখে দেবে না।

২৩. ভাঙ্গা লোটা, সোরাই ইত্যাদি দ্বারা পানি পান করবে না। এমন পাত্রে পান করবে যার থেকে পানি দৃষ্টিগোচর হয় যেনো কোন পচা বা ক্ষতিকর বস্তু পেটে না ঢুকে যায়।

২৪. খাবার থেকে অবসর হয়ে এ দোআ পাঠ করবে।

الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَجَعَلَنَا مُسْلِمِينَ

“সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্যে যিনি আমাদেরকে পানাহার করিয়েছেন এবং মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৫

বার্তা বাহক বলেছেন: সুন্দর পোস্টটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।জাযাকাল্লাহ খায়ের..

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৬

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: ভাল লাগল, আরবিটার উচ্চারণ দিলে ভাল হত। আরও আদব থাকলে জানাবেন।
ধন্যবাদ।

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৭

ক্ষুদ্রমানব বলেছেন: অনেক কিছু শিখতে পারলাম ।

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

ডা: শরীফুল ইসলাম বলেছেন: মাশা আল্লাহ ! অনেক দোয়া রইল

৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঘরে খাবার না থাকলে কোন দোয়া পড়তে হবে?

৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২০

মুহাম্মাদ আল আমিন উজানি বলেছেন: এরকম পোষ্ট আরো চাই । আল্লাহ আপনার খেদমত কবুল করুক ।

৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৫

মাসূদ রানা বলেছেন: জাজাকাল্লাহ্‌ খায়ের ভাই .....

চাঁদগাজী বলেছেন:
ঘরে খাবার না থাকলে কোন দোয়া পড়তে হবে?


সুরা : আল বাকারা -আয়াত - ১৭৭ ::
তোমরা তোমাদের মুখমন্ডল পূর্ব বা পশ্চিম দিকে প্রত্যাবর্তিত করলেই তাতে পুণ্য নেই, বরং পুণ্য তার যে ব্যক্তি আল্লাহ, আখিরাত, মালাইকা/ফেরেশতা, কিতাব ও নাবীগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাঁরই প্রেমে ধন-সম্পদের প্রতি আকর্ষণ থাকা সত্ত্বেও সে তা আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন, দরিদ্র, পথিক ও ভিক্ষুকদেরকে এবং দাসত্ব মোচনের জন্য ব্যয় করে, আর সালাত প্রতিষ্ঠিত করে ও যাকাত প্রদান করে এবং অঙ্গীকার করলে তা পূরণ করে এবং যারা অভাবে ও ক্লেশে এবং যুদ্ধকালে ধৈর্যশীল তারাই সত্য পরায়ণ এবং তারাই ধর্মভীরু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.