![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. রাস্তায় সব সময় মধ্যম গতিতে চলবে। এত দ্রুত গতিতে চলবে না যে, লোকদের নিকট অনর্থক উপহাসের পাত্র হও, আবার এত ধীর গতিতেও চলবে না যে, লোকেরা দেখে অসুস্থ মনে করে অসুস্থতার বিষয় জিজ্ঞেস করে। রাসূল (সাঃ) মধ্যম গতিতে লম্বা কদমে পা উঠিয়ে হাঁটতেন, তিনি কখনও পা হেঁচড়িয়ে হাঁটতেন না।
২. পথ চলার সময় শিষ্টাচার ও গাম্ভীর্যের সাথে নিচের দিকে দেখে চলবে, রাস্তায় এদিকে সেদিকে দেখতে দেখতে চলবে না, এরূপ করা গাম্ভীর্য ও সভ্যতার খেলাফ।
রাসূল (সাঃ) পথ চলার সময় নিজের শরীর মুবারককে সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে হাঁটতেন, মনে হত যেনো কেউ ওপর থেকে নিচের দিকে নামছে, তিনি গাম্ভীর্যের সাথে শরীর সামলিয়ে সামান্য দ্রুতগতিতে হাঁটতেন, এ সময় ডানে বামে দেখতেন না।
৩. বিনয় ও নম্রতার সাথে পা ফেলে চলবে এবং সদর্প পদক্ষেপে চলবে না, কেননা, পায়ের ঠোকরে যমীনও ছেদ করতে পারবে না আর পাহাড়ের চূড়ায়ও উঠতে পারবে না সুতরাং সদর্প পদক্ষেপে চলে আর লাভ কি?
৪. জুতা পরিধান করে চলবে, কখনো খালি পায়ে চলবে না, জুতা পরিধান করার কারণে পা কাঁটা, কঙ্কর ও অন্যান্য কষ্টদায়ক বস্তু থেকৈ নিরাপদ থাকে এবং কষ্টদায়ক প্রাণী থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। রাসূল (সাঃ) বলেন, “অধিকাংশ সময় জুতা পরিধান করে থাকবে মূলতঃ জুতা পরিধানকারীও এক প্রকারের আরোহী”।
৫. পথ চলতে উভয় পায়ে জুতা পরিধানি করে চলবে অথবা খালি পায়ে চলবে, এক পা নগ্ন আর এক পায়ে জুতা পরিধান করে চলা বড়ই হাস্যকর ব্যাপার। যদি প্রকৃত কোন ওযর না থাকে তাহলে এরূপ রুচিহীন ও সভ্যতা বিরোধী কার্য থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবে। রাসূল (সাঃ) বলেন, “এক পায়ে জুতা চলবে না, উভয় পায়ে জুতা পরবে অথবা খালি পায়ে চলবে”।
(শামায়েলে তিরমিযী)
৬. পথ চলার সময় পরিধেয় কাপড় উপরের দিকে টেনে নিয়ে পথ চলবে যেনো অগোছালো কাপড় কোন ময়লা বা কষ্টদায়ক বস্তু জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকে। রাসূল (সাঃ) পথ চলার সময় নিজের কাপড় সামান্য উপরের দিকে উঠিয়ে নিতেন।
৭. সঙ্গীদের সাথে সাথে চলবে। আগে আগে হেঁটে নিজের মর্যাদার পার্থক্য দেখাবে না। কখনো কখনো নিঃসংকোচে সঙ্গীর হাত ধরে চলবে, রাসূল (সাঃ) সঙ্গীদের সাথে চলার সময় কখনো নিজের মর্যাদার পার্থক্য প্রদর্শন করতেন না। অধিকাংশ সময় তিনি সাহাবীদের পিছনে পিছনে হাঁটতেন আর কখনো কখনো সাথীর হাত ধরেও চলতেন।
৮. রাস্তার হক আদায় করবে। রাস্তায় থেকে অথবা বসে পথচারীদের দিকে তাকিয়ে থাকবে না। আর কখনো রাস্তায় থামতে হলে রাস্তার ৬টি হকের প্রতি লক্ষ্য রাখবে।
(ক)দৃষ্টি নিচের দিকে রাখবে।
(খ) রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস দূরে ফেলে দেবে।
(গ)সালামের জবাব দেবে।
(ঘ)ভাল কাজের আদেশ দেবে, খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখবে।
(ঙ) পথহারা পথিককে পথ দেখিয়ে দেবে।
(চ)বিপদগ্রস্থকে যথাসম্ভব সাহায্য করবে।
৯. রাস্তায় ভাল লোকদের সাথে চলবে। অসৎ লোকদের সাথে চলাফেরা করা পরিহার করবে।
১০. রাস্তায় নারী-পুরুষ একত্রে মিলেমিশে চলাচল করবে না। নারীরা রাস্তার মধ্যস্থল পুরুষদের জন্যে ছেড়ে দিয়ে এক পার্শ্ব দিয়ে চলাচল করবে, এবং পুরুষরা তাদের থেকে দুরত্ব বজায় রেখে চলবে। রাসূল (সাঃ) বলেন, পচা দুর্গন্ধময় কাদা মাখানো শুকরের সাথে ধাক্কা খাওয়া সহ্য করা যেতে পারে, কিন্তু নারীর সাথে ধাক্কা খাওয়া সহ্য করা যায় না।
১১. ভদ্র মহিলাগণ যখন কোন প্রয়োজনবশতঃ রাস্তায় চলাচল করবে তখন বোরকা অথবা চাদর দিয়ে নিজের শরীর, পোষাক ও রূপ চর্চার সকল বস্তু ঢেকে নিবে এবং চেহারায় ঘোমটা লাগাবে।
১২. মহিলারা চলাফেরায় ঝঙ্কার বা ঝনঝনে শব্দ সৃষ্টি হয় এমন কোন অলঙ্কার পরিধান করে চলাচল করবে না অথবা অত্যন্ত ধীর পদক্ষেপে চলবে যেনো তার শব্দ পর পুরুষকে নিজের দিকে আকৃষ্ট না করে।
১৩. মহিলারা সুগন্ধ বিস্তারকারী সুগন্ধি ব্যবহার করে রাস্তায় বের হবে না, এ ধরনের নারীদের সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) অত্যন্ত কঠিন ভায়ায় ভর্ৎসনা করেছেন।
১৪. ঘর থেকে বের হয়ে আকাশের দিকে দৃষ্টি উঠিয়ে এ দোআ পাঠ করবে।
আরবি
“আল্লাহর নামেই আমি বাইরে পা রাখলাম এবং আল্লাহর উপরই আমি ভরসা রাখি। হে আল্লাহ! আমি পদস্খলন হওয়া অথবা আমাদেরকে পদস্খলিত করা থেকে, আমরা গোমরাহীতে লিপ্ত হওয়া অথবা, আমাদেরকে কেউ করে দেয়া, আমরা অত্যাচার করা অথবা আমরা আমাদের উপর মূর্খতাসূলভ ব্যবহার করা থেকে আনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি।
১৫. বাজারে গিয়ে এ দোআ পাঠ করবে,
আরবি
“মহান আল্লাহর নামে (বাজারে প্রবেশ করছি)। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এ বাজারের অধিকতর উত্তম এবং উহাতে যা কিছু আচে উহার অধিকতর ভালো কামনা করি। আমি আপনার নিকট এ বাজারের অনিষ্ট এবং এ বাজারে যা কিছু আছে তার অনিষ্টতা বলা-থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এ বাজারে মিথ্যা বলা থেকে অথবা অলাভজনক সওদা ক্রয় করে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি”।
হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশ করার সময় এ দোআ পড়বে আল্লাহ তাআলা তার আমলনামায় দশ লাখ নেকী লিপিবদ্ধ করে দেবেন, দশ লাখ গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং দশ লাখ স্তর মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেবেন।
“আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। সকল ক্ষমতার অধিকারী তিনি, সকল প্রশংসা তাঁর জন্য। তিনি জীবন দান করেন এবং তিনিই মৃত্যু দেন, তিনিই চিরঞ্জীব। তাঁর কোন মৃত্যু নেই, সকল প্রকার উত্তম কিছু তাঁরই ক্ষমতাধীন এবং তিনি সকল বস্তুর উপর ক্ষমতাবান”।
(তিরমিযী)
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৮
ইউসুফ জাহিদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই ।
২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৯
অদৃশ্য প্রতিভা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনাকে
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৮
ইউসুফ জাহিদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই ।
৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪
আহলান বলেছেন: সুন্দর ... !
৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৩
মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: যাজাকাল্লাহ
প্রায় ১ বছর পর লোগিন করলাম শুধু এই লেখাটার জন্য।
৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮
রাজসোহান বলেছেন:
৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭
বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪
নকীব কম্পিউটার বলেছেন: দরকারী পোস্ট। ধন্যবাদ আপনাকে।