![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বল্পমাত্রার জন্মনিয়ন্ত্রণ খাবার বড়ি উৎপাদনকারী ভারতীয় একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির। ফেমি কেয়ার লিমিটেড নামের ওই কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছেন তিনি।
৬ মে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালককে লেখা চিঠিতে মজিবুর রহমান ফকির বলেছেন, ফেমি কেয়ার দীর্ঘদিন ধরে চিনির আস্তরণ দেওয়া (সুগার কোটেড) জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সরবরাহ করে আসছে। ওই ধরনের বড়ি দেওয়ার চুক্তি ছিল এ বছরের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এর পরে প্রতিষ্ঠানটি অধিদপ্তরের সঙ্গে রাসায়নিক আস্তরণ দেওয়া (ফিল্ম কোটেড) বড়ি সরবরাহের চুক্তি করে। তবে প্রতিষ্ঠানটির রাসায়নিক আস্তরণ দেওয়া বড়ির কোনো নিবন্ধন এই দেশে নেই। তারা চিনির আস্তরণ দেওয়া বড়ির নিবন্ধন নম্বর রাসায়নিক আস্তরণ দেওয়া বড়ির গায়ে লাগিয়ে সরকারকে সরবরাহ করেছে। প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, এটা সরকারি ক্রয় বিধিমালা মোতাবেক পেশাগত অসদাচরণ ও প্রতারণা। তিনি ফেমি কেয়ারের বিরুদ্ধে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন।
একই তারিখে প্রতিমন্ত্রী পৃথক চিঠি দিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে। তাতে তিনি লিখেছেন, ফেমি কেয়ারের সরবরাহ করা বড়ি সম্পর্কে তাঁর কাছে নানা অভিযোগ আছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতারণা করে নিবন্ধনহীন বড়ি সরকারকে সরবরাহ করছে। ফেমি কেয়ার ও তার এদেশি এজেন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেছেন প্রতিমন্ত্রী।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক বলেন, ‘আমরা কোনো পদক্ষেপ এখনো নিইনি। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।’ অন্যদিকে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আমির হোসেন বলেন, বড়ির ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়নি।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সূত্রগুলো বলছে, আগে মহিলাদের জন্য চিনির আস্তরণ দেওয়া স্বল্পমাত্রার জন্মনিয়ন্ত্রণ খাবার বড়ি সংগ্রহ করত সরকার। কিন্তু ডায়াবেটিসের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটি চিনির আস্তরণ দেওয়া বড়ি সংগ্রহ থেকে বিরত থাকতে সরকারকে পরামর্শ দেয়। তখন থেকে তা বাদও হয়ে যায়।
অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে ফেমি কেয়ারের এদেশীয় এজেন্ট জনতা ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক (ব্যবসায় উন্নয়ন) এ কে এম রাজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রের আইনকানুন মেনে তাঁরা বড়ি সরবরাহ করছেন।
অন্যদিকে গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির প্রথম আলোকে বলেন, তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে তিনি এ পদক্ষেপ নিয়েছেন।
রিয়াদ ফেরারী
©somewhere in net ltd.