![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ছোটবেলা থেকেই ভাল কিছু করে দেখাতে চাইতাম। স্পেশালি আমার দেশের জন্য... আমি ধান-শালিক আর মেঠোপথের এই বাংলাদেশকে খুব ভালবাসি। দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টায় আমার নিরন্তর পথচলা। আমি বিশ্বাস করি চিরসবুজ বন্ধুত্বে। তাইতো আমি সবসময় বন্ধুসলভ, নির্মল বন্ধুত্বে না নেই। অতি কম সময়ের এ পৃথিবীতে আশেপাশে যারা আছেন যাদের সাঙ্গ করেই আমাদের পথচলা সেইসব প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ভাতৃত্বের সম্পর্ক নষ্ট করতে খুবই অপছন্দ করি। প্রতিটি মানুষের ভেতরে লুকিয়ে থাকা ভালমানুষটিকে আমি সম্মান করি। প্রিয় রঙ সবুজ, নীল এবং এর বিভিন্ন শেড।
মফিজুল ইসলাম জীবন-জিবিকার তাগিদে সদ্য সন্তান জন্ম দেয়া স্ত্রীকে ঘরে রেখে পাড়ি জমিয়ে ছিলেন বাহরাইনে। ১১ ই জানুয়ারি মানামার এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ড তার জীবন কেড়ে নেয়। বড় সাধ ছিল তার ছেলের মুখে বাবা ডাক শোনার কিন্তু তার আগেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে ।
কুমিল্লা সদরের বামিশ্বর গ্রামে দুই বছর আগে ঘর বেঁধেছিলেন হালিমা আক্তার ও মফিজুল ইসলাম। বিয়ের এক বছর পার হতে না হতেই হালিমা মফিজুলের ছোট্ট সংসারে আশার আলো হয়ে জন্ম নেয় শাওন নামের এক ফুটফুটে সন্তান। সন্তানের বয়স যখন ৩ মাস ঠিক তখনই আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং ছেলে শাওনের সুন্দর ভবিৎষতের জন্য বাহরাইনে পাড়ি জমান মফিদুল।
বিদেশের মাটিতে আট মাস পেরুতে না পেরুতেই ভয়াবহ এক হত্যাকান্ড জীবন কেড়ে নেয় মফিদুল ইসলামের। অন্ধকার নেমে আসে হালিমার জীবনে মঙ্গলবার স্বামীর লাশ নিতে এসে বার মূর্ছা যান হালিমা আক্তার। কোলের এগারো মাস বয়সী ছোট্ট শাওন নির্বাক চেয়ে আছে। অথচ শাওন জানে না তার বাবা কখনো তাকে হাত ধরে খেলতে নিয়ে যাবে না।
হালিমা আক্তার পরিবর্তন ডটকমের এই প্রতিবেদককে জানান, “১১ই জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে শাওনের বাবার সাথে আমার শেষ কথা হয়। তিনি বার বার জানতে চাইছিলেন আমার পোলা কি বাবা ডাক দিবার পারে। তুমি কেমন আছো এইতো আর অল্প কয়েকদিন পর আমি বাড়ি চলে আসবো। সব ধারদেনা শোধ করে দিবো আর কোনও অভাব থাকবো না আমাগো।”
এরপর হালিমার আর কথা হয়নি তার স্বামী মফিজুলের সাথে। রাতে খবর পান তার স্বামী পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে।
পরিবর্তন ডটকমকে হালিমা বলেন, “আমি এখন কিভাবে আমার পোলাডারে মানুষ করবো। আমরা গরীব সরকার ছাড়া কেউ দেখার নেই আমাদের।”
সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ৩৫,৫০০টাকা দেয়া হয়েছে লাশ পরিবহন ও দাফন বাবদ। সরকারের থেকে আরও দুই লক্ষ টাকা হয়তো পাবেন তিনি। কিন্তু তার স্বামী আর কখনই ফিরে আসবে না। শাওন তার বাবার কোলে যেতে পারবে না।
স্বামীর কফিন দেখে বারবার কেঁদে উঠছিলেন হালিমা। কোলের শিশুটিও কেদেঁ উঠছিলো বারবার। কে জানে সেও বোধ হয় বুঝতে পেরেছে এখানেই তার পিতার নিথর দেহটি শুয়ে আছে
Click This Link
©somewhere in net ltd.